মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

রাতগুলো কেমন জানি

 এভাবে বসে-বসে কত রাত পার করে দিয়েছি তার ইয়ত্তা নেই। জীবনের রাতগুলো কেমন জানি, মাঝে-মাঝেই অস্থির করে তোলে!

সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

পথগুলো কঠিন বলেই

 পথগুলো কঠিন বলেই-

অভিযোগ রেখে অনুযোগ করি,
অভিমান জমিয়ে রেখে পথ দেই পাড়ি।

কান্না নাকি চোখের নোনা?

মনের অজান্তেই নেমে আসে শ্রাবনধারার বৃষ্টি!
কেউ জানে না-
একি আকাশের কান্না নাকি চোখের নোনা?

শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বাস্তবতা

 দুনিয়া সংসার এমন এক রঙ্গমঞ্চ, যেখানে-
ভালো অভিনেতাকে আদর্শ মনে হয়,
নীতিহীনকে কৌশলী মনে হয়,
ঠকবাজকে চালাক মনে হয়,
মিথ্যেবাদী প্রতারককে ধূর্ত মনে হয়,
রং চঙে সাজা বাগ্মীকে সুখী মনে হয়,
ঝামেলা এড়িয়ে চলা জনকে বোকা মনে হয়,
সত্য উন্মোচনকারীকে পাগল মনে হয়,
সত্যভাষীকে নিঃসঙ্গ মনে হয়,
আর অসহায়ত্বকে সবচেয়ে বড় দূর্বলতা মনে হয়।

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

কেউ যদি না জানে

কেউ যদি না জানে সখা
আছ কতটা সত্ত্বা জুড়ে
কি করে জানিবে সবে
এ বিষন্ন বিকেল ছুঁয়ে?

কে জানে কার পানে চেয়ে

কে জানে কার পানে চেয়ে
ফোটে বনফুল
কামিনী-মাধবী-দোপাটি
সাঁঝের বকুল।।

শিশির ভিজিয়ে দিলে
গোলাপের ঢালি
প্রভাতে শিউলি কুড়োয়
কোন বনমালি।
কোন ফুলে সে কার অনুরাগ
বিরহ ব্যাকুল (গো)
কে জানে কার পানে চেয়ে
ফোটে বনফুল।।

ফোটে ঐ বনফুল
বনের ধারে
মনে কেন কানাকানি
মধু হেরিবারে।
জানিনে কার আসায় সে কে
ছড়ালো মুকুল (গো)
কে জানে কার পানে চেয়ে
ফোটে বনফুল।।

মানবতারই জয় হবে

স্বপ্নহীন আমি আশায় বাঁচি, একদিন পৃথিবী মানুষেরই হবে। সব শেষে মানবতারই জয় হবে।

মায়া, মমতা আর মানবতা

মায়া, মমতা আর মানবতা সব একইসুতোয় বাঁধা। কাউকে আপন মনে না হলে- মানুষ তাকে মিথ্যে করেই তা দেয়। মিথ্যে তোষনেই অন্যকে বোকা বানানোর চেষ্টা করে।

মানুষ ব্যক্তিটাই যদি অন্যকে মানুষ হিসেবে পরিগনিত করতে অক্ষম হয়! যদি ব্যক্তিসত্ত্বা ব্যক্তিকে জাতী ধর্মের উর্দ্ধে দাঁড় করাতে সক্ষম না হয়! তবে মানবতা নামক শব্দটাই একপ্রকার ভাড়ামো। আর তা দেখাতে চাওয়া সবাই মুখোসধারী, কপট, ভন্ড, প্রতারক। যারা করুনার ডালিতে রঙ্গিন পসরা সাজিয়ে নিজেকে মহান সাজাবার চেষ্টা চালায়।

অশ্রু বর্ষনে

অপেক্ষার প্রহর বড় মধুময়...
অশ্রু বর্ষনে লবনাক্ত হয়...

নিয়ামক

ভুল বুঝতে কিংবা বোঝাতে একটা নিয়ামকই যথেষ্ট!

সারাজীবন নিজেকে দহে অর্জিত ভালোবাসাটুকুও এক নিমিষে মিথ্যে নিরর্থক করে দিতে পারে, শুধু একটা প্রভাবক। আর অশ্রদ্ধা অবিশ্বাস এ ত সারাজীবনের অংশিদারিত্বে তদারকি করে বেড়ায় নিত্যদিন।

অনুধাবন

ঝিনুকের মুক্তোর মতো হৃদয়ের গহীনে লুকায়িত ভালোবাসার মুক্তোটি! অনুধাবন ব্যতীত এর ঘনত্ব কিংবা গভীরতা নির্ণয় সু-কঠিন।

উম্

একের শরীরের উম্ অন্যকে উদ্দীপ্ত করে, নব জীবনের স্বীকৃতি দেয়।

ভাবনা

সাজিতে-গুছিতে আমার গেল দিনমান
কেমনে হবে তবে মুশকিল আসান

স্বীকার ও স্বীকৃতি

কেউ হাতটা বাড়িয়ে না দিলে পায়ের কদমগুলো সেখানেই জমে পড়ত।

স্বীকার কিংবা স্বীকৃতিটাকে পড়তে চাই না, নির্দ্বিধায় নিশ্চিত হয়েই বলতে চাই- কেউ হাতটা বাড়িয়ে না দিলে আপনার বড়াই-অহংকার যেমন স্বীকৃতি পেত না, তেমনি মুক্তির পথটাও আরও সন্নিকট হত।

ভবঘুরে!!!

কিছুটা হারিয়ে আছি কাজের ঘোরে,
কিছুটা নিজের ঘোরে।
আড়াল হলে শুনি বলে লোকে-
আমি নাকি ভবঘুরে!!!

উপযুক্ততা নির্ণয়

দর কষাকষি করে উপযুক্ততা নির্ণয় করা যায় না, অথচ আহম্মকের মতো সে কাজটিই আমরা প্রতিনিয়ত করে বেড়াই।

বিনিময়

এটাই শেষ লড়াই, শেষ আর্তনাদ। এরপর কেবল নিশ্চল দেহটিকে টুকরো-টুকরো করার পালা।
একের আনন্দ বিনিময় হয় অন্যের জীবন বলিদানে!

কি মিলেছে

ধ্রুবতাঁরা!
আকাশ হতে চেয়েছিলে সংঘাতে
দুনিয়া জানতে চায়নি
কি মিলেছে প্রভাতের বিধূর বৈরি সংকটে?

আবেগ ও জীবন

হ্যাঁ; আবেগ সাময়িক। কিন্তু জীবন! একে সাময়িক শেকলে আটকানো যায় না। আবেগের ঘোর সময়ের চৌ-কাঠ ফেরুলেই খানিকটা কেটে যায় কিন্তু পায়ের প্রতিটি কদমে নিজেকে সামলায়ে জীবনের যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগের ফলাফল মিলাতে হয়।

আর একটা কঠিন, তবে জীবনের জন্য অপরিহার্য্য। কিছু পেতে কিছু হারাতে হয়। দু'টো আকড়ে রাখতে গেলে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়।

যতই চাস

পথ তোকে পথবেড়ী পরিয়ে
ঠাঁই রাস্তায় রাখব দাঁড়
তুই যতই চাস করতে
আমা হতে ছন্ন ছাড়।

বোধ-বসবাস

সবুজ তুই না বুঝে আমায়
কেন এত পৌহাস
আমার ধ্যান-মান সব পড়ে রয়
তোর বুকে করতে বাস।

প্রাপ্তী-অপ্রাপ্তী

সবুজ তোকে গিলে খাব বলে
তোর গীত গাই
আমার মাতাল হবার আগে গিলে নে তুই
বিঘোর অমবশ্যায়।

বাহির-ঘর

কবিতাকে ভালোবেসে
ঘর ছেড়েছি কবে
কোন ঔশ্বরির ঝলকে পড়ে
ফিরলাম ঘরে তবে?

জিজ্ঞাসা

অন্যকে ভাবতে গিয়ে মানুষ না হয় হিমশিম খায়
মানুষ সারাজীবন ভেবে আপনাকে কি চিনতে পায়?

সুখ!!!

সবে বলে- টাকায় নাকি সুখ কেনা চলে,
অথচ তিনি টাকার বিছানা ফেলে
ঝুল বারান্দায় ঝুলে গেলেন চির নিদ্রায়।

অনুভব আর জীবন

রাজপ্রসাদে থেকে সর্ব্বোচ্চ মাটিরঘরে থাকার সুখ অনুভব করা যায়, থাকা যায় না।

ঔরসের ওজন মাপতে অক্ষম

পত্নীতলায় বহু বেদুঈনের জন্ম হয় কিন্তু সে বেদুঈনের পিতা আপন ঔরসের ওজন মাপতে অক্ষম।

আমি যা

বে-খেয়ালি জীবনকে হেয়ালির খেয়াল পরিয়ে লাভ কি?
তারচে আমি যা তাই বলে ফেরা ভালো।

ভাগ

স্নেহ-সান্নিধ্য আর ভালোবাসার ভাগ কেউই সেচ্ছায় ছাড়তে রাজি নয়। তাইতো সকলে ভালোবাসার মানুষটিকে আকড়ে রাখতে চায়, শক্ত শিকলে বেঁধে রাখার মনোভাব পোষন করে। আর ব্যর্থতায় ভালোবাসার মানুষটিকেই ভাগ করতে বসে যায়। অথচ এই হিসেবের ভাগে পড়ে যে মানুষটি বিভাজিত কিংবা খন্ডিত-বিখন্ডিত হচ্ছে, তার যন্ত্রনাটুকু কেউ অন্বেষণ করার প্রয়োজনও বোধ না।

পবিত্র চরিত্র

আহা! বাহ! বাহ!
দেখতে কি চমৎকার
পুরুষ পবিত্র চরিত্র পায়
নারী সন্তান নিয়ে ছাড়লে সংসার।

সৌন্দর্য আর যোগ্যতা এক জিনিস নয়

সৌন্দর্য আর যোগ্যতা এক জিনিস নয়! সৌন্দর্য অন্যকে বিমোহিত করে, যোগ্যতা প্রশংসিত করে।
এর একটা প্রকৃতির দান অন্যটি অর্জন। তাই সৌন্দর্য নিয়ে আত্মভিমান অনেকটা দানের টাকায় রাজসভা করার মতো।
ফুলের মতো সৌন্দর্যও কিছুদিন পর মলিন হতে থাকে কিন্তু যোগ্যতা ব্যক্তিকে আরও পরিনত করে তোলে।