রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

ঘুছবে সকল প্রণয় বাসনা

আমার দেহ তোমার দেহে জড়িয়ে ধর
প্রাণের ব্যাকুল তৃষা মিটিয়ে আদর কর
দেব আমার যা কিছু তা উজাড় করে
দিও তোমার যা কিছু তা তোমার করে।
সুখেরস্রোতে যখন মোদের স্বপ্ন হবে
সে স্বপ্নে নতুন একটা পৃথিবী পাবে
যে পৃথিবীতে জ্যোৎস্না দেবে চাঁদনী কন্যা
রবির আলোয় ঘুছবে সকল প্রণয় বাসনা।।

মা তোমাকে আমি খুব মিস করছি

ছোটবেলা থেকে দেখা স্বর্গালোকপ্রাপ্তীর আগ পর্যন্ত আমার মায়ের যে জীবনযুদ্ধ করে টিকে থাকা, এখনো জ্বলজ্যন্ত হয়ে জ্বলছে আমার দু‘চোখে। এখনকার সকলকে এমনকি আমার বোনদের দিকেও তাকিয়ে আমি নির্ধিদ্বায় বলে দিতে পারি, তার এক কিঞ্চিৎ গ্রহণ করার মতো শক্তিও তারা নিজেদের মধ্যে ধারণ করতে পারছেনা। হতে পারে সময় ব্যবধানই তার প্রধান কারণ।
আমার জীবনের যতটুকু শিক্ষা আজ বর্তমান তার ৭০শতাংশই আমার মায়ের কাছ থেকে আমি পেয়েছি।
আমার লেখালেখির যাবতীর ইচ্ছে বা আগ্রহ, তার সমস্তই আমার মায়ের কাছ থেকে নেয়া। মায়ের মুখ থেকে শোনা দু‘একটা লাইন যেগুলো আমার মনে ধরত, সেগুলো দিয়েই আমার প্রথম দিকের লেখার হাতে খড়ি। যেমনঃ
মা একদিন বললেন- ছোট‘রা কাঁচামাটির চুলোর মতো, এদেরকে ছোটবেলা থেকে যেভাবে গড়ে তোলা যাবে, এরা সে`মতই হবে।

শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

কার্পণ্য

৭৫‘ পরবর্তি সময়ে বঙ্গজননী নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক সন্তান পয়দা করতে না পারলেও মুখোশধারী কপট সন্তান পয়দা করতে কার্পণ্য করে নি।

ভাবনা

যে নিজের বিশ্বাস কে চেনে, বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করতে জানে, সে তার শ্রদ্ধা-বিশ্বাসে নিজের প্রত্যয়কে জানে। কিন্তু অবিশ্বাসী লোকদের কাছে সকলে স্বার্থপর ঠেকে।

প্রবচনঃ সংগ্রহ ননুদাদু থেকে

লেই রাখছি কলাহাত্রে, হুন মারাও গৈ হাত্রে হাত্রে।
( সংগ্রহঃ ননুদাদুর কাছ থেকে)
 

উপরের প্রবচনটি নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় রচিত, যেটা আমি শুধুমাত্র আমার শ্রদ্ধেয় ননুদাদুর কাছ থেকেই শুনতাম। এখানে ব্যবহৃত আঞ্চলিক ভাষাসমূহ- লেই=লিখে, কলাহাত্রে= কলারপাত্রে, হুন= মানব দেহের পশ্চাৎদেশ, মারা= মার খাওয়া/দেওয়া, হাত্রে- জমিনে/ক্ষেতে।
এই প্রবচনটি তিনি তখনই কেবল ব্যবহার করতে, যখন তিনি কাউকে কোন ভালো বিষয়য়ে বুঝাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে রেগে পড়তেন।

বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

রহস্যময় পৃথিবী

পৃথিবীতে মানুষের বিশ্বাসের বাহিরেও অনেক কিছু ঘটে, মেনে নিতে না চাইলেও অনেক কিছু মানতে হয়। এমন কিছু না চাইলেও হঠাৎ মেলে আবার নিশ্চিত প্রাপ্য কাঙ্খিত বস্তুটি অদৃশ্য হয়ে যায়।

পৃথিবী রহস্যময় !!! তাই রহস্যভেদ করার ইচ্ছেও মানুষের মাঝে প্রকট। যদি পৃথিবী রহস্যহীন হত? তবে বেঁচে থাকার এতটা ব্যকুলতা কেহই বোধহয় এতটা বোধ করত না।

মানুষ বেঁচে থাকবে

[গল্পঃ মাতৃহৃদয়
এই কিছুক্ষন আগেই কাদিরমিয়ার পুকুর থেকে স্নান সেরে ঘরে ফিরলাম কানুর সাথে, শীতকালের এই সময়টাতে আমাদের বাড়ির তিনপাশে তিনটে পুকুর থাকলেও ফসলি জমির সেচ করতে-করতে শীতকালে প্রায় পানিশূণ্য হয়ে পড়ে। তাই এই সময়টাতে আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় মিনিট পাঁচ-সাতেকের পথ হেঁটে কাদির মিয়ার পুকুরে স্নান সারতে হয়। স্নান করতে গেলেই প্রায় প্রতিদিনই আমাদের গল্পের আসর জমে, চারপাশের ফসলি সবুজ জমি তার মাঝখানটায় গাছগাছালি ঘেরা পুকুরটি সাক্ষী হয়ে যায় আমাদের জীবনে পার করে যাওয়া কতশত গল্পের স্মৃতিকথায়। তাছাড়া কাদিরমিয়ার পুকুটির অবস্থান এমনস্থানে যেখানে শীতকালে পুকুরের পানিতে সূর্যের আলোয় কিছুটা তপ্ত থাকে, ফলে আশপাশের অনেকের পুকুর থাকার স্বর্ত্ত্বেও, শীতের ভয় ভেঙ্গে গোসল করতেও ওখানে ছুটে। যাই হোক স্নান সেরে এসে যখনই ঘরে ডুকলাম, ঠিক তখনই শান্তিঠাকুরমার চিৎকার শুনতে পেলাম। আমাদের বাড়ি হতে প্রধান রাস্তায় বের হতে একশ কদম পার হলেই তাদের বাড়িটি। শান্তিঠাকুরমা সম্পর্কে আমাদের রক্তের জ্ঞাতী, মানে আমার দাদার বাবার পক্ষীয় সম্পর্কের রক্ত। আর আমাদের হিন্দু সমাজে আমরা আজও বোধকরি অনেকে ৭ টা বংশধর পার হওয়া পর্যন্ত জ্ঞাতীকে চেনার চেষ্টা করে।

মাতৃহৃদয়

এই কিছুক্ষন আগেই কাদিরমিয়ার পুকুর থেকে স্নান সেরে ঘরে ফিরলাম কানুর সাথে, শীতকালের এই সময়টাতে আমাদের বাড়ির তিনপাশে তিনটে পুকুর থাকলেও ফসলি জমির সেচ করতে-করতে শীতকালে প্রায় পানিশূণ্য হয়ে পড়ে। তাই এই সময়টাতে আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় মিনিট পাঁচ-সাতেকের পথ হেঁটে কাদির মিয়ার পুকুরে স্নান সারতে হয়। স্নান করতে গেলেই প্রায় প্রতিদিনই আমাদের গল্পের আসর জমে, চারপাশের ফসলি সবুজ জমি তার মাঝখানটায় গাছগাছালি ঘেরা পুকুরটি সাক্ষী হয়ে যায় আমাদের জীবনে পার করে যাওয়া কতশত গল্পের স্মৃতিকথায়। তাছাড়া কাদিরমিয়ার পুকুটির অবস্থান এমনস্থানে যেখানে শীতকালে পুকুরের পানিতে সূর্যের আলোয় কিছুটা তপ্ত থাকে, ফলে আশপাশের অনেকের পুকুর থাকার স্বর্ত্ত্বেও, শীতের ভয় ভেঙ্গে গোসল করতেও ওখানে ছুটে। যাই হোক স্নান সেরে এসে যখনই ঘরে ডুকলাম, ঠিক তখনই শান্তিঠাকুরমার চিৎকার শুনতে পেলাম। আমাদের বাড়ি হতে প্রধান রাস্তায় বের হতে একশ কদম পার হলেই তাদের বাড়িটি। শান্তিঠাকুরমা সম্পর্কে আমাদের রক্তের জ্ঞাতী, মানে আমার দাদার বাবার পক্ষীয় সম্পর্কের রক্ত। আর আমাদের হিন্দু সমাজে আমরা আজও বোধকরি অনেকে ৭ টা বংশধর পার হওয়া পর্যন্ত জ্ঞাতীকে চেনার চেষ্টা করে।

সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

হুঁশ ও ত্যাগ

একজন জীবন্ত ক্রুশ আর জাগতিক যত হুঁশ
ছড়িয়ে পড়ে সমাজে সংসারে
একজন জীবন্ত ত্যাগী আর সংসারে যত ভোগী
ছাড়ে সংসার যোগীরূপ ধরে!

রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

ক্ষমতা আর জীবন

চোখ রগাড়াতে-রগাড়াতে টকটকে লাল হয়ে গেছে, অনিয়মিত খাওয়া আর অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে চেহারার জলুস ভাঙ্গা শরীরের শীরদাঁড়াগুলো স্পষ্ট চোখে লাগছে। তবুও পেটের দায়ে আজ পথে নেমেছে ৬০ উর্দ্ধ বিনয় দত্ত। সারাদিন এধার-ওধার খুঁজে হয়নি তার আহারের ব্যবস্থা। চলার সামার্থ্য নেই তবু পরিবারের দায় বয়ে সংকোচে-সৌহার্দ্রে ফিরতে পারছে না। ঘরে যে পড়ে আছে তার জন্মান্তরের বন্ধিনী স্ত্রী মানষী, অকালে যৌবন খুইয়ে মরা ৩০ উর্দ্ধা একমাত্র কন্যা নীরা।

লজ্জায়; শারীরীক দূর্বলতায় পথ চলে না তার, তবু সংকুলান বুঝে না মনের শক্তি। বিকেল ঘনিয়ে এলে শ্রান্ত দেহ তার এলিয়ে পড়ে পথের কদম গাছতলায়। চোখ ভেঙ্গে আসে কিন্তু ঘুম আসে না, দিনভর কোন ভয়, হতাশা, বিষন্নতা তাড়িয়ে বেড়ায়। ঠিক তখনই দু‘চোখ ভিজে যায় অতীত স্মৃতির মূর্চ্ছনায়। বিনয় দত্তের মনে আসে সে দিনগুলোর কথা। দেশান্তরি হবার আগের দিনগুলোর কথা।

নষ্ট চেতনা

এ দংশন হতে নিস্তার মিলবে কিসে?
যদি দংশনে নতজানু হয় বিবেকের দায়,
মুক্ত হবার দায়ভার হতে মুক্তির মুহূর্তে?

ভাবতে গেলে অবাক হই!
মানুষ যদি মানুষই হয়, তবে এ দায় হবে কেন?
যে জন্মদাতা-জন্মদাত্রী রক্তধারায় পুষে, তাদের নিষ্ঠুর পরিণয়

চতুরতা

খেলাঘরে চতুর খেলোয়ার এলে- খেলার ধরন পাল্টায়, রুপ পাল্টায়
বলে এভাবে খেললে নাকি খেলা আরও নব্যতা পায়।
আমরা প্রতিদিনকার খেলার রুপ বদলায়ে খেলি। নতুনরুপের খেলায় মজি,
কিন্তু; দিনশেষে আমাদের রুগ্নরুপের খেলাই প্রিয় হয়।

খোঁজ

ধীর! আরও ধীর হয় চলার পথ
একলা চলতে পিচ্ছিল পথে শীতল হাওয়ায় জমে যাই
তবু উষ্ণতার আশায়, দেহ কেটে-কেটে শিরা খুঁজি
যেখানে জমেছে সে উষ্ণ রক্তটুকু...

দিনপড়েছে

চেতনার জীবন খর্ব হলে, ব্যবচ্ছেদের পর জীবন পাই
ভাবি এ জীবন কি জরায়ুর উৎপাদনের মতোই ক্রিয়াশীল?
দিনপড়েছে বলে প্রতিবাদী স্বর ঝিমিয়ে পড়ে নিরাশ্রয়ে।

খোলা চিঠি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী;
আমরা লজ্জিত, আমরা খুবই লজ্জিত আর দুঃখিত। দুঃখ ভারাক্রান্তচিত্তে বলছি- আপনার দল আওয়ামীলিগ কিছু শিখুক আর না শিখুক রাজনীতি করতে শিখেছে, তাই তাদের কাছে সবধরনের চলন-বলন-ধরন ‘ই রাজনীতির চালে চালিত করতে উৎসাহ দেয়। এখানে আমাদের আম-জনতার চাওয়া-পাওয়া তাদের কাছে বড় কিছু নয়, আমাদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসে ইতোমধ্যে আপনারা তা আমাদের দেখিয়েও দিয়েছেন।

দেখছি

চেয়ে-চেয়ে দেখছি
কি করে মানুষ মানুষ হয়
অমানুষ জাতে যায়....

আমি আমার নিজেকে আকড়ে পড়ে থাকতে চাই

না আর ইতিহাস শুনতে চাই না,
ইতিহাস মিথ্যে বলে, ইতিহাস প্রতারণা করে
ইতিহাস আমায় কটাক্ষ করে, আমার চেতনা নিয়ে ব্যবসা করে
না, আমি আর ইতিহাসের দারস্থ হতে চাই না, সব প্রতারক, সব প্রতারনা। সবাই সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করে, ইতিহাসকে মিথ্যে বানিয়ে দেয়। আমার বাঁচার দুয়ার রূদ্ধ করে ফেলে। আমি আর কোনদিন এই ইতিহাস আকড়ে ধরে থাকতে চাই না। আমি কেবল নিজের গোলার্ধকে আকড়ে রেখে বাঁচতে চাই।

দয়া করে বেঁচে থাকা বাকী চেতনাটুকু কেউ কিনতে আসবেন না, আমি আমার নিজেকে আকড়ে পড়ে থাকতে চাই।

আওয়ামীলিগের প্রতি-

চেতনার বীজ রোপণ করে,
আমাদের আবাদক্ষেত্র করলে
চারাগাছ গজালে এই আবাদে,
যত্ন করতে অন্যে দিলে?

ফল গজালে এই আবাদে,
ভাগ-ভাগি করে নিলে
আমাদের এই আবাদক্ষেত্র
বিরাণ করে দিয়ে গেলে?

এই আমার ভেতরের আমি

মানুষের মন বড় বিচিত্র আর অস্থির।
তাই কি?
ঠিক বেঠিক জানি না, তবে আমার মতো করে পৃথিবীকে চিন্তা করি বলে আমার কাছে তাই মনে হয়। তাই এই আমি-

কখন কখন ভাবুক হয়ে যাই। ভেবে চলি- কিছু নিয়ে গবেষনা করে দুনিয়াকে চমকে দেব! আরে না না বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে যাবে সমস্ত বিশ্বব্রক্ষ্মান্ড ঠিক এমন একটা কাজ করে তাক লাগিয়ে দেব!

কখনো আবার রক্তের টান পড়ে, ছুটে যাই সে চিন্তায়। ভাবী কত কর্তব্য পড়ে আছে। আমার নিয়ে যে যা ভাবুক, আমার জন্য কেউ কিছু করুক বা না করুক, সবাইকে টেনে তুলব একে-একে। সবাইকে বুঝাবো এভাবে টান-পৌড়ন, ঝগড়া-ঝাটিতে সুখ নেই। আমাদের দেহে একই রক্ত, তবে কেন বুঝতে পার না আবেগ-অনুভূতি। ফিরে এস!! আমরা সমস্ত বিভেদ ভূলে একটা শৃঙ্খলে আবদ্ধ হই।

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

নিষ্কৃতি ও জিজ্ঞাসা

বর্ণচোরা; যতবার হাত বাড়িয়েছে
ততবারই করে গেছে এ দেহে কারবার
আমি ধরতে পারি, বরাবরই ধরতে পারি
কিন্তু ততক্ষনে সে নেই।
আমারও অবস্থা নেই
আগের মতো পথে দাঁড়াবার!
বটতলার সন্ন্যাসী
সে সাঁঝ হলে কোথায় ফিরে যায়
পথের ভিখারী

দোহাই

দেবার মতো নেই যে কিছু, 
শূণ্য আমি ধরা তলে
বাসনা তোমার পূর্ণ চাঁদ, 
নেমেছ সুখে অতল জলে।

আমার নাই যে কিছু নাই, 
আমার ভেতর তোমার ছায়া আঁধারে লুকাই
তোমার পথ জ্যোৎস্নার আলোয়, 
যাও সে পথে দেই দোহাই।

বুঝ

ছেড়ে দেবার মত শূণ্য এ‘ঘর, নির্ঘুম আঁধার
আকাশ-বাতাস-রাত মর্ত্ত হয় মাদকতায় 
অনন্ত যৌবণ ঘিরে কেবল শূণ্য হাহাকার।

ওপাড়ের ষোড়সী বালিকা, সেও বুঝে উঠে না,
সাত-সকালে ফুল তুলতে তারও মনে আসে
কার আশায় ফুল তোলা? কার আশায় গাঁথা মালা?
অথবা কার তরে হৃদয় জড়িয়ে পড়ে ফাঁসে।

বাবা দেখা দে, নইলে টাকা দে

এলাকায় একপরিচিত- তাকে আমরা কাকা বলেই সম্মোদন করি।
কাকা সিদ্ধপুরুষ শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারীর ভক্ত। 
তো হয়েছে কি, একদিন লোকনাথ মন্দিরে শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারীর আর্বিভাব তীথি কিংবা তীরোধান তীথির অনুষ্ঠান চলছে (স্পষ্ট মনে নেই)।
হঠাৎ কাকা শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারীর মন্দিরের সামনে ষষ্টাঙ্গ প্রণাম করে আবেগকাতুর হয়ে পড়লেন। আবেগঘন কন্ঠে তিনি বলতে লাগলেন- বাবা দেখা দে, নইলে টাকা দে। দে বাবা, দে..... 

বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আমার চিন্তায় সমাজের পচন ঘাত সৃষ্টির কারণ

চলতে পৃথিবীতে কিছু-কিছু চাহিদার বাস্তবিক প্রয়োগের কোন প্রয়োজন নেই। তবুও কেহ-কেহ তা করে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ চরিতার্থের জন্য, অন্যের পেটে লাথি মেরে নিজের অবস্থান সুস্থির করার জন্য।

প্রত্যেকের জন্য মৌলিক চাহিদাসমূহ যেমন- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বিনোদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী। সাথে বংশবৃদ্ধি কিংবা সমাজ-সংষ্কৃতি রক্ষায় জরুরী সমাজ-সংসারের। অথাৎ একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের চাহিদাগুলো অপরিহার্য। যদি তা হয় তবে এর ব্যতীত আমরা যা কিছু চাই তার প্রয়োজন কতটা? আর এর ব্যতীত অন্যকিছু প্রয়োজন অনুভব কি অস্বাভাবিক জীবন?

আমার মতে মৌলিক চাহিদা কিংবা স্বাভাবিক সংসারজীবন ব্যতীত মানুষের যে কোন চাওয়ার পিছনের যে কারণ তা হল তার মধ্যেকার অস্বাভাবিক আচারণের তাড়না। আর এই অস্বাভাবিক তাড়নাই মানুষের পাশবিক তাড়নাকে প্রগাঢ় করে। এখানে অস্বাভাবিক তাড়না তখনই অতিমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে, যখন মানুষের মৌলিক চাহিদার বাহিরেও সবকিছুর অঢেল মজুত থাকে।

শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

মানুষের মুখের ভাষা আর মনের ভাষা যদি এক হত

মানুষের মুখের ভাষা আর মনের ভাষা যদি এক হত, তবে পৃথিবীর প্রতিটি পদক্ষেপ দূষ্কর ঠেকত।

জীবনের কিছু-কিছু মুহূর্ত জীবনকে এতটাই বিষিয়ে তোলে যে, প্রিয়জনদের ঘিরে অনেক অপ্রিয় গরল অনিচ্ছায় বেরিয়ে পড়ে কিন্তু গরল উগঢে গিয়ে মন যখন স্থির হয়, তখন মমতার বন্ধনে আবদ্ধ হৃদয়ে জমে থাকা আকুতিগুলো আরও ব্যকুল হয়। অনুশোচনাবোধে ক্ষমাযোগ্য হৃদয়ের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়।

জীবনের প্রতিটি ধাপে বোঝাপড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, না হলে চলার পিচ্ছিল পথে পড়ে দেহের প্রতিটা পাঁজর ভেঙ্গে চূর্ণ হতে পারে। তাই দ্বিধা-দ্বন্দ যাই থাকুক না কেন- প্রিয়জনদের মনকে বুঝতে সচেষ্ট হওয়া খুব প্রয়োজন, নচেৎ সামান্য হোঁচটও জীবনের জন্য কঠিন সময় বেঁধে দিতে পারে।

স্বার্থের পৃথিবীতে

ঠিক কিছুই বোধে আসে না;
কি করে চিবুক এত জমে
কি করে জীবন যায় থেমে!

লিখেছি ছায়াপথে হেঁটে চলার গল্প
নিষ্কৃতি মেলে নি
মঞ্চে করেছি জীবননাট্যের মঞ্চস্থ
স্বীকৃতি আসে নি।

শুধু ভাবি; কোথায় উদরে রাখা পিতা! 
কোথায় হারিয়েছে মমতাময়ী মাতা?
ছায়াপথে একে-একে হারায় পাড়া-পড়শি,
জীবনের গল্পে সবাই থাকে, তবু সারাক্ষন নিঃসঙ্গ উদাসী

স্বার্থের পৃথিবীতে রক্তের টানও ছিড়ে ছুটে বার-বার অধরায়।

সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

অভিমান

চলে যাব;
শৈশব গেছে, কৈশর গেছে, ধীরে-ধীবরে যৌবণও সে যায়
অথচ খড়-কুটেতে আটকে থাকা শরীর চিতলে শীতল হয়!
তাই বলে ভেবো না- চিতলে দাঁড়কাক দাঁড়াবে বিনা অনাদরে।

লক্ষ তাঁরারা ডুবে যায় মাঘের পূর্ণিমার জ্যোৎস্না স্নানে এসে
গোপণ শশীকিরণ পৌঁছে কাঁধ-জোড়াল বয়ে যুবকের ধমনীতে
ডুবে মর্ত্ত হওয়া প্রেমের পালে হাওয়া ধরা তেরটি প্রেমের আখ্যান
অথচ সলিল গল্পে জমে থাকে কত-কত ভুতূড়ে সমীক্ষা।

এ কি মনুষ্য জীবন?

প্রত্যেকটি দেশের মানুষ রাজধানী বা বড়-বড় শহরগুলোতে বসবাস করে বাড়তি নাগরিক সুবিধার জন্য। খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা কিংবা জীবনযাপনে একটু আরাম আয়েশের জন্যে। অথচ আমরা আমাদের রাজধানীতে বসবাস করছি একান্ত ঠেকায় পড়ে। রাজধানীতে বসবাস করতে গিয়ে আমাদের নাগরিকবোধ জাগ্রত হবার বধৌলতে দিনকে-দিন আরো থমকে যাচ্ছে। মানুষ পরকালের ভয় দেখায়- বলে ওখানে নাকি বড় যাতনা-যন্ত্রণা নির্মম জায়গা। অথচ রাজধানী জীবনে যে নির্মমতার মুখোমুখি হচ্ছি এরচেয়ে সে যন্ত্রণা আসলে কতটা বেশী এখনও তা বোধগম্য নয়। শুধু এইটুকু বলতে পারি- জীবনটা বড় বেশী দূর্সহ ঠেকছে। না খাওয়ায় শান্তি, না চলায় শান্তি, না বসতে শান্তি, না উঠতে শান্তি, না ঘুমাতে শান্তি, না জাগরণে শান্তি। সবস্থানে শান্তিদের কতটা অসহায় অবস্থান তা বলাই বাহুল্য।