বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

বান্দিও মন্দিরাতে

ভোরের পাখি খুলে আঁখি
ডানামেলে ডাকিও
বিহানবেলায় হিমেল ছোঁয়ায়
সাথে নিও সঙ্গ দিও, প্রিয়।

রাত জোনাকি নিলে ডাকি
ডেকে নিও সাথে
আকাশ তারা আলোকধারা
বান্দিও মন্দিরাতে।

কোরোনা দেনা-দরবার

দ্বীপ জ্বলুক কিংবা দিল
দুই জ্বলে কেবল অঙ্গার
নিকষ কালোয় আলো দেখে
কোরোনা দেনা-দরবার।

হয়ত একদিন

হয়ত একদিন লড়তে থাকা জীবনগুলো পূর্ণতা পাবে!
রবি আর রাতের তারার আলো আলতো ছুঁয়ে প্রাণ জুড়োবে
সানবাঁধানো পুকুরজলে জলতরঙ্গে মন ভোলাবে
উদাস হাওয়া সবুজঘাসে প্রজাপতির দোল সে খাবে

হয়ত একদিন লড়তে থাকা জীবনগুলো পূর্ণতা পাবে!
স্বপ্ন দেখে লড়তে থাকা জীবনগুলো রং রূপ পাবে
কাঁদার মাঝে লুটিয়ে পড়া আলোর ঝলকে চিত্র হবে
ভূলে যাওয়া পথের ভাবুক সেও স্মৃতি খুঁজে নেবে

হয়ত একদিন লড়তে থাকা জীবনগুলো পূর্ণতা পাবে!
ন্যায় আদায়ের দীপ্তকণ্ঠ আকাশ জ্বেলে বজ্র হবে
অসহ্যের সব দৃড়বলয় ভেঙ্গে-চুরে গুড়িয়ে দেবে
জানবার মতো বিশ্বসংসার আপন হাতে গড়ে দেবে।

এখনও বিয়ে করিনি

একজন বলল বিপ্লব ভাই, আপনার কেউ নেই?
বললাম- আছে ত, মা-বোন-পাড়া প্রতিবেশী -আত্মীয়
আরে তা না
তবে?
প্রেমিকা!
না, প্রেমিকা নাই, বউ আছে...
বউ? কোথায়?
বাপের বাড়ি
কেন? এখনও উঠিয়ে আনেন নি?
আরে তা না, এখনও বিয়ে করিনি...

মেয়ের পেছনেও কিন্তু ঘুরে

বন্ধুশ্রেণীর একজন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল- ভাইরে দুনিয়ার সবাই স্বার্থের পিছনে ঘুরে।
আমি তার দীর্ঘশ্বাসকে হালকা করে দিয়ে বললাম- মেয়ের পেছনেও কিন্তু ঘুরে..

ঘৃণার থু-থু সে খুব কমজনই গিলে নিতে সক্ষম

সবাই কম-বেশী লিখতে চায় কিন্তু সবাই লিখতে পারে না আবার লিখলেও সবাই ভালো লেখে না।
একই মানুষের সন্মানের জায়গাটা জনবিশেষে কিংবা স্থানবিশেষে ভিন্ন। আজকে কারও লেখার অনেক কদর থাকতে পারে আবার ভবিতব্য সময়ে অলেখা-কুলেখাগুলোই সমান প্রিয় হতে পারে।
পৃথিবীতে একদিন ধর্মটা তীব্র বিশ্বাসের স্থানে ছিল, তখন বিজ্ঞানটাকে অবাস্তব রুপকথা ভাবত সকলে। কিন্তু এখন যখন বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠিত, ক্রমাগত দ্যৌদুলমান জীবনে পড়ে মানুষ এখন ধর্মটাকে সংশয়ে ঠেলে রুপকথার গল্প বলতে চাইছে?

বলছি সময়ের প্রাপ্তিকাল কিন্তু খুব বেশী নয়, তাই অযথা অন্যের লেখার মানদন্ড নিরূপণ না করে প্রত্যেককে প্রত্যেকের মত কিছু প্রকাশের স্বাধীনতা দিন না। বলছি- আঘাতের পরিণাম ত হাসি তে হয় না আর ঘৃণার থু-থু সে খুব কমজনই গিলে নিতে সক্ষম।

নেবে কি খেলায় যাদু-সোনা

খেলার বয়স চুকিয়ে এলাম তবু-
মন আমার আজও ভরল না
আমার সোনারঙ্গা দিনগুলো ছোঁব
নেবে কি খেলায় যাদু-সোনা?

প্রকৃত জয়ী

জীবনযুদ্ধে বার-বার হেরেও যে বা যিনি মাথা তুলে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে পারেন, তিনিই প্রকৃত জয়ী।

২০০২ সালে মাধ্যমিক দেয়া ছেলে-মেয়েদের বেশীরভাগ ভোদাই প্রজন্ম!

২০০২ সালে মাধ্যমিক দেয়া ছেলে-মেয়েদের বেশীরভাগ ভোদাই প্রজন্ম!

না বলছিলাম- ২০০২ সালে আমরা যারা মাধ্যমিক দিয়েছি তাদের অনেককেই দেখেছি জীবনের প্রতিটি পরতে এত-এত নিষ্ঠুরতার মুখোমুখি হয়েও বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের সংশোধন করতে সমর্থ হইনি। জীবনের প্রতিটি প্রহসনই এখন যখনটা না মর্মাহত করে, তারচেয়ে নিজেদের বোকামীর জন্য হাসি আসে। জীবনের গল্পগুলো বললে হয়ত অন্যরাও আমাদের বলদামির কথা শুনে হেসে উঠবে।

আচ্ছা গতকালকের বন্ধুর মোবাইল রুম থেকে নিয়ে যাওয়ার গল্পটাই বলি। নতুন বাসায় আমরা দুবন্ধুই আঁচ করতে পেরেছিলাম বাসায় এঘটনা ঘটার সম্ভবনা শত ভাগ। তারপরও নিজেদের অসাবধানতায় বন্ধুর আইফোন আর নোকিয়া সেট দুটো রুম থেকে চোরে নিয়ে গেল। বন্ধু রাত তিনটায় ঘুমিয়েছে আর আমি ৬ টার দিকে ঘুম থেকে উঠেছি, অথচ ঘুম আমাদের এমনভাবে জড়িয়েছিল, দুইবন্ধুর কেউই টের পাইনি এমন একটা ঘটনায়।

সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে চলে আসলাম, বুঝতেই পারিনি কিছু একটা ঘটেছে। আর বন্ধুর অফিস শুক্রবারে বন্ধ থাকে বিধায় সে ১১ টায় ঘুম থেকে উঠে টের পেয়েছে। সন্ধ্যায় অফিসে বসে ছোটভাইয়ের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনে বেশ কষ্ট পেলাম। তারপর যখন বাসায় পৌঁছে বন্ধুর বিমর্ষ মুখ দেখলাম তখন নিজেদের ভোদাই গুণের কথা মনে করে কষ্টের বদলে মুখ চেপে হাসি বেরিয়ে আসছিল। সত্যি বলছি- জীবনের প্রহসনগুলো সত্যি বড় বেশী হাসিয়ে যাচ্ছে।

নদীর উথাল-পাতাল ঢেঁউ

ও নদী ক্ষরস্রোতে ভেঙ্গে দিলি কার সোনার শহর
ও নদী ভেঙ্গে দিলি স্বপ্নডাঙ্গার পাড়া-পড়শির ঘর
ও নদী কেড়ে নিলি অনুরাগীর কপলের সিঁধুর
ও নদী গহীরে ডুবিয়ে দিলি রাখালিয়ার সুর
ও নদী তোর বুকে একটু কি মায়া নাই
ও নদী পাষান হৃদয় তোর মত আর নাই
কারও নাই নাই নাই নাইরে
ও নদী পাষান হৃদয় তোর মত আর নাই

(নদীর উথাল-পাতাল ঢেঁউ, বাঁধিতে নাই কেউ
ক্ষরস্রোতে দু‘কূল ভেঙ্গে যায়।)

নয়া ভেলায় ডাক পড়িলে বৈঠা বায় ত্বরায়
ও সে পাষাণে ভূলায়
নতুন পাতা সবুজ গায়ে ফাগুন জাগায়
ও সে পুলকে মজায়
তবে তোর চলনে রসের রঙ্গ কেন ভেসে যায়
হায় কোন সে সীমানায়
কারও নাই নাই নাই নাইরে
ও নদী পাষান হৃদয় তোর মত আর নাই

(নদীর উথাল-পাতাল ঢেঁউ, বাঁধিতে নাই কেউ
ক্ষরস্রোতে দু‘কূল ভেঙ্গে যায়।)

আমার ভেস্তে গেলে ঘর, আমি পড়ি তার ভিতর
দিন পড়িতে দিনের মায়া নাই
যখন সময় সে ফুরায়, আমার দেহ খাবি খায়
স্বাদের জীবন জলেতে মিলায়
তবে জীবনটাকে মিছে মায়ায় কেন বেসে যাই
বাসিবার যা ছিল কেন বাসতে পারি নাই
কারও নাই নাই নাই নাইরে
ও নদী পাষান হৃদয় তোর মত আর নাই

(নদীর উথাল-পাতাল ঢেঁউ, বাঁধিতে নাই কেউ
ক্ষরস্রোতে দু‘কূল ভেঙ্গে যায়।)

বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫

দু‘জন যদি ভাসি

পূর্ণিমার চাঁদ
সেদিন; দেবে কি লাজুক আলোর হাসি...
সহসায় হৃদ তৃয়াসে জলতরঙ্গে
দু‘জন যদি ভাসি!

গীবন জ্বইলে-পুইরে ধুয়া-ধুয়া, পুড়া-পুড়া হইয়া যাইব

বিয়ের আগেই কত্ত অভিজ্ঞতা জ্ঞান ভান্ডারে জমা হইতেছে, আমি ত জ্ঞাণীর জ্ঞাণী মহাজ্ঞাণী হয়ে যাচ্ছি হে...

আইজকে এক কলিগ কইল- প্রাইভেট চাকুরীজীবীদের বউকে বাড়িতে রেখে দূরে চাকুরী করতে হলে বউরে আদরে আর গাজরে রাখত হইব। নইলে মোবাইল ফুনে প্যানাপ্যানানি আর চাকুরীতে বসের গ্যানগ্যানানী দুই‘ই মিলে গীবন জ্বইলে-পুইরে ধুয়া-ধুয়া, পুড়া-পুড়া হইয়া যাইব।

জীবন কেমনে চলে জানতে চান?

জীবন কেমনে চলে জানতে চান?

তবে বলি-

ধরুন; কোথাও টাকা দিয়ে একমুঠো সুখের সুযোগ বিক্রি হচ্ছে। সুখের কথা শুনেই মুহূর্তে অনেক প্রার্থী এসে জুটে সুযোগ পেতে। অনেক প্রার্থী দেখে বিক্রেতা ফন্দি করে লটারির মাধ্যমে যার ভাগ্যে জুটবে তাকে সুযোগ দিতে আর বেশী লাভের আশায় শর্ত জুড়িয়ে দেয়- সুযোগের পূর্বে অর্থ প্রদান করতে হবে এবং তা অফেরতযোগ্য। অফেরতযোগ্য অর্থের কথা শুনে উচ্চবিত্ত বাবা-মায়ের সন্তানগুলো সুযোগ পেতে নির্ধিদ্বায় টাকা দেয় এবং বিকল্প সুযোগ খুঁজে। উচ্চমধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানগুলো প্রতিযোগিতায় মধ্যবিত্ত কিংবা নিন্মবিত্তদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেখে হিংসুটে মনে ওদের ঠেকাতে অংশ নেয়। মধ্যবিত্ত ঘরের উগ্র সন্তানগুলো যারা প্রত্যহ জীবন-যাপন নিয়ে অসন্তুষ্ট, তারা পরিবার পরিশেষে ক্ষোভ পোষন করে টাকা দেয়। মধ্যবিত্তঘরের ভদ্র হবার চেষ্টা করে ফেরা সন্তানগুলো বাবা-মা কষ্ট পাবে বলে দিতে চেয়েও সরে যায়। নিন্ম মধ্যবিত্তঘরের সন্তানগুলোর তীব্র আকাঙ্খা দেখিয়ে আশপাশ করতে থাকল কেউ যদি তাকে সুযোগ করে দেয়, তারা নিজেরাও কিছুটা ম্যানেজ করতে চেষ্টা চালায়। আর দরিদ্রঘরের সন্তানগুলো উৎসুক মনে বোকার মত সবার কার্য্য দেখে হতবাক চেয়ে থাকে।

(বিঃ দ্রঃ - সমসুযোগ বলতে জীবনে কিছু নেই, থাকে না।)

লটারি হয়ে গেছে, এখন ফলাফল ঘোষনার পালা। পাওয়া কিংবা হারাবার ভয়ে সবার মনে কিছুটা ধুরু-ধুরু। কি হবে? আর কে হবে সৌভাগ্যবান?

কি হবে তা নিয়ে একটু অগ্রীম ভাবি-

যদি উচ্চবিত্তদের কেউ সুযোগ পায়। তাহলে কি হবে?

# উচ্চবিত্তেরদল উচ্ছ্বসিত হবে।
# উচ্চমধ্যবিত্ত না পাওয়ার আকাঙ্খায় অনুভব করলেও আহত হবে না।
# মধ্যবিত্তের ক্ষুদ্ধদল পরিবার সমাজের কাছে আরও বেপারোয়া হিসেবে পরিচিত হবে।
# মধ্যবিত্তঘরের ভদ্র সন্তানগুলো চারপাশ মিলিয়ে নিজেকে শান্তনায় ভুলাবে কিন্তু হীণমন্যতায় ভুগবে।
# নিন্মমধ্যবিত্ত অংশগ্রহণের সুযোগ না পাওয়ার যন্ত্রণায় ভুগবে।
# দরিদ্রের দল হাততালি দিয়ে পেটের ক্ষুধা দমিয়ে নেবে।

যদি উচ্চমধ্যবিত্তদের কেউ সুযোগ পায়। তাহলে কি হবে?

# উচ্চবিত্তেরদল থোরাই-কেয়ারে চলে যাবে।
# উচ্চমধ্যবিত্ত পাওয়ার আনন্দে মধ্যবিত্ত কিংবা নিন্মমধ্যবিত্তদের বাক্যবানে জর্জরিত করতে চাইবে।
# মধ্যবিত্তের ক্ষুদ্ধদল পরিবার সমাজের কাছে আরও বেপারোয়া হিসেবে পরিচিত হবে।
# মধ্যবিত্তঘরের ভদ্র সন্তানগুলো চারপাশ মিলিয়ে নিজেকে শান্তনায় ভুলাবে কিন্তু হীণমন্যতায় ভুগবে।
# নিন্মমধ্যবিত্ত অংশগ্রহণের সুযোগ না পাওয়ার যন্ত্রণায় ভুগবে।
# দরিদ্রের দল হাততালি দিয়ে পেটের ক্ষুধা দমিয়ে নেবে।

যদি মধ্যবিত্তঘরের উগ্র কেউ সুযোগ পায়। তাহলে কি হবে?

# উচ্চবিত্তেরদল মনে-মনে আপসোস বোধ করে চলে যাবে।
# উচ্চমধ্যবিত্ত আহত হয়ে ভৎসনা করবে।
# মধ্যবিত্তের ক্ষুদ্ধদল আত্মভিমানী হয়ে সময়ে উচ্চমধ্যবিত্তকে চপটেঘাত করতে চাইবে আর নিজের অবস্থানের সকলকে কটাক্ষ করার প্রয়াস করবে।
# মধ্যবিত্তঘরের ভদ্র সন্তানগুলো আপসোস বাড়বে কিন্তু নিজেদের মধ্যেকার কেউ পাওয়ায় মনে-মনে আহ্লাদিত হবে।
# নিন্মমধ্যবিত্তদের যন্ত্রণা তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।
# দরিদ্রের দল কিছু পাবার আশায় হাত বাড়াতে চাইবে।

[বিঃ দ্রঃ - উদযাপনটা বৃত্তাকারে বিত্তভেদে হয়]

ব্যাপারগুলো এখানে সীমাবদ্ধ নয়।

চলতে চলতে চক্রাকার জুয়া খেলার এই জীবনে কেউ বারংবার হেরে হয় জুয়াড়ি-সন্ত্রাসী কিংবা লুটররাজ,
কেউ নেয় ফকির-দরবেশ কিংবা বাউল সাজ।
কেউ যাপনে চির দুঃখী হয়ে কলহে করে নিত্য চিৎকার,
কারও দিনব্যাপী সুখী দিনে ভালোবাসারা মিলেমিশে হয়ে যায় একাকার।

সমগ্র বিচার ব্যবস্থা স্থগিত করা হোক

নিজামী ভদ্দরলোক, খুবই অমায়িক ভাষা-ব্যবহার-আচারণ। তাই অতীতের ভূলগুলো বর্তমান চরিত্র ও বয়স বিবেচনায় ক্ষমা করে দেয়া হোক। -খন্দকার মাহবুব।

পৃথিবীর সব অপরাধীর বর্তমান প্রত্যক্ষ করা হোক আর তাদের বয়স এবং আচারণ বিবেচনায় তাদের ক্ষমা করা হোক। -অবিবেচক দেবনাথ।

এপিটকঃ রক্ত টগবগে থাকা কালে অপরাধ করুন এবং লুকিয়ে পড়ুন। বয়স বাড়লে ভালো মানুষি মুখোশ পড়ে ধরা দিন। কিছু আবাল আইনজীবী আপনার ভদ্র ব্যবহার আর বয়স দেখে বিচার করতে আর্জি জানাবে।

[বিঃ দ্রঃ বয়স আর আচারণ বিবেচনায় অপরাধের শাস্তি হলে, সমগ্র বিচার ব্যবস্থা স্থগিত করা হোক।]

জীবনটাকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ফালা-ফালা করতে হবে

যেহেতু ঢাকা শহরের ৯০ শতাংশ বাড়িওয়ালারা ব্যাচেলরদের বাড়ি ভাড়া দেবে না বলে ঠিক করেছে, সেহেতু প্রত্যেক বাড়িওয়ালাদের উচিত অনেকগুলো কন্যাসন্তান পয়দা করা আর আমাদের মতো ব্যাচেলরদের ২-৩ মাস পরপর বাড়ি ভাড়া খোঁজা থেকে রেহাই দেয়া।

নতুন বাসায় উঠতে রাত দুটো পর্যন্ত কাজ করে এখন শরীরের ব্যাথা সহে অফিস করতে হচ্ছে। এই ঢাহা শহরের বাড়িওয়ালাগুলোর যন্ত্রণায় হয় বিয়ে করে তাদের বউ দেখাতে হবে, না হয় জীবনটাকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ফালা-ফালা করতে হবে।

মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে

আমার মাঝে আমি না রইলে 
আমার রব সে রবে কোনখানে 
মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে
ওরে ও ভোলা মন- 
মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে

গীতায় স্বয়ং বিধাতা, বলিছে সে গুহ্য কথা
জীবেতে আত্মারুপে বসত, করে চিণ্ময়আত্মা
যদি আত্মায় আত্মা না চিনে, মানুষ চিনিবে কেমনে
মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে
ওরে ও ভোলা মন- 
মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে

দেহেতে সাঁইত্রিশট্রিলি কোষ ঘের, তাতে দুইশ রকম ফের
শুদ্ধসংঘ না পেলে বান্ধব, বুঝবে কি হেরফের
আবার অহমে ইন্দ্রিয় না শুধে, শুদ্ধ হৃদয় পাই কেমনে
মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে
ওরে ও ভোলা মন- 
মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে

আগে কর্ম কর ঠিক, তবে পাইবে সঠিক দিক
ষড়রিপু বশ হইবে, মানুষ হইবে ঠিক
অবিবেচক কয় গীতা-কোরাআন-বাইবেল, তাহাই বলে বর্ণনে
মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে
ওরে ও ভোলা মন- 
মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে

প্রচেষ্টা

যন্ত্র যদি পড়ে থাকে লক্ষ জনা মাঝে
যান্ত্রিক বিনা যন্ত্র কেমন করে বাজে।

উপরের দুটো লাইন গানের লিরিক। কিন্তু আমি এই লাইন দুটো দিয়েছি অন্য উদ্দেশ্যে।
যারা এই দুটো লাইনের মর্ম উদ্ধারে সমর্থ, একমাত্র তারাই বূঝতে পারে চলার পথটা কার সঠিক।

আমি সবসময় একটা বিশ্বাস ধরে রাখি এবং তা ধরে আকড়ে থাকি। আমাকে যখন পদচ্যুত পথ আকড়ে ধরে, তখন আমি নিজের মনের কাছে মণিষীদের বাণীগুলো উচ্চারণ করি-

“সবার উপরে মানুষ সত্য তার উপরে নাই।“
“যত্র জীব তত্র শিব।”
“জীবে প্রেম করে যে জন, সেজন সেবিছে ঈশ্বর।”
অথবা নিজে চয়ন করে বলি-

“মানুষ বিনে ধর্ম কি ভাই পালন হবে শুদ্ধ, ধর্মের শান্তির বাণীতে যদি মানুষই বিদ্ধ।”
“অগত্য কোন পথে, শান্তি মিলে ভাই। মন যদি না শুদ্ধ রয়, বন্ধন মিলে কি তায় ”
অথবা
“আমার মাঝে আমি না রইলে, আমার দয়াল সে রবে কোনখানে। মানুষ না হয়ে মানুষ ভজব কেমনে।”

আমি জানি এই দুনিয়ায় স্রষ্টাই যখন নানানজনে কাছে নানানরুপে পরিব্যাপ্ত তখন বিভাজনে আমরা কতটা বিচ্ছিন্ন হই কিংবা আমরা সত্যিকারে মানুষ হবার পথটাতেই হয়ত বিভক্ত হয়ে পড়ি। তবু একটা উপায়েই কেবল আমরা সঠিকভাবে স্রষ্টার অণ্বেষন করতে পারি, তা নিজেদের মধ্যেকার মূল্যবোধ সৃষ্টি করে, মানবতাটুকু পরিশীল করে। পরিপার্শ্বের সাথে যুদ্ধ করে সত্যিকারের মানুষ হওয়া সত্যি দুষ্কর কর্ম । তবুও যতটা সম্ভব হচ্ছে চেষ্টা চালাচ্ছি, বাকিটা যিনি গন্তব্য স্থির করে দিয়েছেন তাঁর ইচ্ছে হলেই পৌঁছুতে পারব।

প্রশ্ন!

এখনও কি সম্মোহনে পল্লিগাঁয়ের রাখালিয়া
বাঁশিতে নেয় সখী ডাকি?
এখনও কি ঢোলের ঢুংয়ে পায়েতে বাজে ঘুঙ্গুর
খেলাঘরে নামে আলোর চাঁন কি?

বল হে সখী বল, রোদেলামন আজও কি ভিজে
চৈতালি মেঘবরণ ধারায়
আজও কি প্রতীক্ষা শেষে নয়নে নামে ঢল
ব্যাকুল মন কেঁদে-কেঁদে সারা।

এই তবে ভালোবাসা, ছুঁয়েছে মন তোমার
মরিতে হবে বীষের জ্বালায়
জানিও ওগো সখী, কলঙ্ক লাগিবে গায়ে
পুড়িতে হবে নিষ্ঠুর কালায়।

আত্মবিশ্বাস শূণ্য এবং সে কারও দায়িত্ব নিতে অসমর্থ্য

কারও মন যদি অন্যের আশ্রয় কিংবা অন্যের কাছ থেকে সুযোগ নেবার প্রত্যাশায় থাকে, মনে রাখুন তার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস শূণ্য এবং সে কারও দায়িত্ব নিতে অসমর্থ্য।

সিরিয়াস কৌতুক সাথে প্রশ্ন (মিঃ বিন দেখার কারণে কৌতুকটির জন্ম সাথে প্রশ্নটির)

পাশের ফ্ল্যাটের পিচ্ছি অনুমান করি বয়েস দুই কি তিন হবে, অনেকক্ষন ধরে আব্বু-আব্বু করছিল। কোনদিক থেকে কোন সাড়া আসছিল না। আমি আমার রুমের চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম আমি ছাড়া আর কেউ নেই। বলুন তো পাশের ফ্ল্যাটের পিচ্ছি কাকে আব্বু-আব্বু ডাকছে?

অসহায় নিরাপরাধ কাকে বলে?



অসহায় নিরাপরাধ কাকে বলে?

আমি অসহায় নিরাপরাধ শব্দগুলো নিয়ে গোলযোগে পড়েছি। এতদিন আমার গোলযোগ ছিল না, কিন্তু রাজাকারদের ফাঁসি শুরু হবার পর থেকে কিছু বন্ধু-বান্ধবদের কথায় এই শব্দদুটি নিয়ে আমি বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছি। এখনো আমার বন্ধুদের কেহ-কেহ উগলে বমি করে বলতে চাইছে, যাদের ফাঁসি দেয়া হচ্ছে তারা রাজাকার নয়। যদি জিজ্ঞাসা করি কেন? সহজে উত্তর দেবে- শুধু কি এরা রাজাকার? আওয়ামীলিগে রাজাকার নাই? সরকার যদি রাজাকারের বিচার করে থাকবে তবে, শুধু বিরোধীপক্ষকে কেন রাজাকার বলে ফাঁসি দিচ্ছে? প্রধানমন্ত্রীর নিজের বেয়াইও ত রাজাকার, তার বিচার করবে?

আমার প্রশ্ন দেখুন আর তাদের উত্তর দেখুন। প্রশ্ন কেন তারা রাজাকার নয়- আর উত্তর আওয়ামীলিগে রাজাকার নাই, বেয়াইও রাজাকার।

কোন সৌজন্যতা দেখাচ্ছি না, সরাসরি ভেবে নিচ্ছি তাদের মনস্তাত্ত্বিক ধ্যান-ধারনা আর কার্য্যবিধি। কিন্তু তারপরও একটি কথা তাদের উদ্দেশ্য করে আবার বলা- আজ যাদের রাজাকার হিসেবে ফাঁসি হচ্ছে- ঠিক কি কারণে এদের অসহায় নিরাপরাধ বোধ হচ্ছে?

এদের অর্থ-বিভব নেই? ক্ষমতা-দাপট নেই? বিদেশী লবিং নেই? তাদের জন্য লড়ার আইনজীবী নেই? এদের অবস্থা কি ঠিক এতই কর্পদস্ত যে, চাইলেই এদের অপরাধী প্রমাণ এত সহজতর? আইন-প্রশাসনের পক্ষে এদের অপরাধী প্রমাণ করা এতটাই সহজ? তবে অকারণে এদের রিভিউ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে? ঠিক কি কারণে এদেরকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী আওয়াজ উঠছে? একদম সহজ করে বলি- পাকিদের সাথে আজও এদের কেন এত সখ্যতা দৃশ্যমান হচ্ছে?

এরপরও নিরাপরাধ অসহায়?

বলছি ভোদাই, তোদের যতই বুঝাই,

মাথায় যে মাল জমেছে তা ঝেড়ে ,মানুষ হবি? চেষ্টা বৃথাই।

আর একবার দেখুক পৃথিবী

সাকা চৌধুরীর মতো গলা মিলিয়ে বলতে চাই না- “ফাঁসি যখন নিশ্চিত তখন তা উপভোগই শ্রেয়!”

বরং বলতে চাই, আর একবার দেখুক পৃথিবী- “অপরাধীর ক্ষমা নেই, সে যত ক্ষমতাশালী কিংবা দাম্ভিক হোক না কেন।”