সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৩

মনোলি-০২


অযাচিত ভাবনারাও একদিন মুখ থুবড়ে পথে পড়ে,
তখন জীবনপথের আসক্ত বাসনাটুকু আর থাকে না।
পূর্ণচাঁদে গ্রহণদিলে যেখানে শুক্লপক্ষের জোৎস্না ম্লাণ হয়,
জীবনজোৎস্না চাঁদহীন গ্রহণে সেখানে ম্লাণ হবার মত কি খুঁজবে?


দূরবেলায় আমার আচারিসুখ আজ
দিবালোকের কত আলোই না ম্লাণ করে দিচ্ছে,
দূর দিগন্তে বসে এই আমার পাণে চেয়ে চিত্রশিল্পী‘রাও
হয়তো ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ হবে এ জীবনের পটচিত্র,
কেননা সেও যে অন্তরক্ষরণ দাহ'তে দাতস্থ।

আজ দীর্ঘ দুটো বৎসর এই তোর সাথে
হাসপাতালের জেনারেল সিটটাতে বসবাস
তুই দূরালোকে চেয়ে আছিস ফাঁকি দেবার আশায়
আর আমায় রেখে যাচ্ছিস নিঃসঙ্গ একাকী জীবনে
দু‘টুকরো সোনালী স্বপ্নের মায়ায়।

বড় ভয় লাগে সুশান্ত;
অযাচিত যাপনবেলায় একাকী একেলা
এ আমার সব হারাবার দারূণ ভয়
শরীরের রঙ্গের যে আবহ দেহকে চাহিদাযোগ্য করে;
সে রং যে আমার মুচেনি;
বিলক্ষন এ জীবনে তাই কতই না অশুভ শনি ইঙ্গিত করে।

তোর বিহীন এ আমার হয়ত কোন ভাষা রবে না,
তাম্রলংকারে অন্ধকারের যে ছবি ভেসে বেড়ায়
প্রতিবাদ যে তার হয় না। পথহারা বিপথগামীর
বাসনারা কি কখনো শক্তিশালী দেয়াল পায়
এ আকড়ে থাকবে বলে?

তুই সব জানিস; তুমি সব বুঝিস,
তবু অবুঝ ভাষায় ফ্যাল-ফ্যাল চেয়ে থাকিস;
বল দেখী আমার নয়ণধারায় এই অনবরত বর্ষণও কি
তোকে একটু চেতনা দেয় না; বলে না তুই ছাড়া
এ মনোলি; একটা মূর্তিমান দেহবোধ ছাড়া কিছুই না!

সবকিছুই আজ দীর্ঘশ্বাসের বীষে মিশে যায়; সুশান্ত
জীবনরেখার অন্তঃগামীর চোরাশি চেরাকাঁটার বীষক্ষরণে
আমার জীবনের লাভ-ক্ষতির সব হিসেব চুকে যায়।
আর আমি! বরষার আকুলতায় ব্যকুল হয়ে পথে বয়ে যাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন