লিরিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
লিরিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০

এমন নির্ঝর দিনে

 এমন নির্ঝর দিনে
    তোমাতে এঁকে যাই
    আমার হৃদয়াদ্রিত বাসনা,
এমন শিরশির ছোঁয়ায়
    তুমি আমি দু'জনে হারাই
    না জানা কোন অজানায়।

বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৯

পথ খুঁজি কোথাই....

কাঁচা শরীর পেকে গেছে,
কাঁচা শরীরে পাক ধরেছে
উপায় খুঁজে না পাই
বলগো ও... ও সাঁইজি
পথ খুঁজি কোথাই....
বলগো ও... ও সাঁইজি
পথ খুঁজি কোথাই....।


আড়ম্বর করিয়া আমি, ভেবেছি কি ভুখে
কাটিয়ে দেব এমনি করে, রঙ্গরসে সুখে
বয়সদোষে দেহকোষ মরে গো গোসাঁই
বলগো ও... ও সাঁইজি
পথ খুঁজি কোথাই....


মধুকে মধুকর বসে, খেল মধু সুখে
সুখের প্রমোদ গৃহ, হাসি মুখে-মুখে
হঠাৎ গৃহে ঝড় বহিয়া, গৃহ উজানে মিশে যায়
বলগো ও... ও সাঁইজি
পথ খুঁজি কোথাই....


যদি বোধ এমন হতো,
মানব ভ্রুণ কি কভু প্রমোদে ভুলিত
জানি বা কি? জানি বা কোথায়? সাঁই
ডাকে অবিবেচক অসহায়
বলগো ও... ও সাঁইজি
পথ খুঁজি কোথাই....

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

কে জানে কার পানে চেয়ে

কে জানে কার পানে চেয়ে
ফোটে বনফুল
কামিনী-মাধবী-দোপাটি
সাঁঝের বকুল।।

শিশির ভিজিয়ে দিলে
গোলাপের ঢালি
প্রভাতে শিউলি কুড়োয়
কোন বনমালি।
কোন ফুলে সে কার অনুরাগ
বিরহ ব্যাকুল (গো)
কে জানে কার পানে চেয়ে
ফোটে বনফুল।।

ফোটে ঐ বনফুল
বনের ধারে
মনে কেন কানাকানি
মধু হেরিবারে।
জানিনে কার আসায় সে কে
ছড়ালো মুকুল (গো)
কে জানে কার পানে চেয়ে
ফোটে বনফুল।।

বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

নদীর উথাল-পাতাল ঢেঁউ

ও নদী ক্ষরস্রোতে ভেঙ্গে দিলি কার সোনার শহর
ও নদী ভেঙ্গে দিলি স্বপ্নডাঙ্গার পাড়া-পড়শির ঘর
ও নদী কেড়ে নিলি অনুরাগীর কপলের সিঁধুর
ও নদী গহীরে ডুবিয়ে দিলি রাখালিয়ার সুর
ও নদী তোর বুকে একটু কি মায়া নাই
ও নদী পাষান হৃদয় তোর মত আর নাই
কারও নাই নাই নাই নাইরে
ও নদী পাষান হৃদয় তোর মত আর নাই

(নদীর উথাল-পাতাল ঢেঁউ, বাঁধিতে নাই কেউ
ক্ষরস্রোতে দু‘কূল ভেঙ্গে যায়।)

নয়া ভেলায় ডাক পড়িলে বৈঠা বায় ত্বরায়
ও সে পাষাণে ভূলায়
নতুন পাতা সবুজ গায়ে ফাগুন জাগায়
ও সে পুলকে মজায়
তবে তোর চলনে রসের রঙ্গ কেন ভেসে যায়
হায় কোন সে সীমানায়
কারও নাই নাই নাই নাইরে
ও নদী পাষান হৃদয় তোর মত আর নাই

(নদীর উথাল-পাতাল ঢেঁউ, বাঁধিতে নাই কেউ
ক্ষরস্রোতে দু‘কূল ভেঙ্গে যায়।)

আমার ভেস্তে গেলে ঘর, আমি পড়ি তার ভিতর
দিন পড়িতে দিনের মায়া নাই
যখন সময় সে ফুরায়, আমার দেহ খাবি খায়
স্বাদের জীবন জলেতে মিলায়
তবে জীবনটাকে মিছে মায়ায় কেন বেসে যাই
বাসিবার যা ছিল কেন বাসতে পারি নাই
কারও নাই নাই নাই নাইরে
ও নদী পাষান হৃদয় তোর মত আর নাই

(নদীর উথাল-পাতাল ঢেঁউ, বাঁধিতে নাই কেউ
ক্ষরস্রোতে দু‘কূল ভেঙ্গে যায়।)

বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫

মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে

আমার মাঝে আমি না রইলে 
আমার রব সে রবে কোনখানে 
মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে
ওরে ও ভোলা মন- 
মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে

গীতায় স্বয়ং বিধাতা, বলিছে সে গুহ্য কথা
জীবেতে আত্মারুপে বসত, করে চিণ্ময়আত্মা
যদি আত্মায় আত্মা না চিনে, মানুষ চিনিবে কেমনে
মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে
ওরে ও ভোলা মন- 
মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে

দেহেতে সাঁইত্রিশট্রিলি কোষ ঘের, তাতে দুইশ রকম ফের
শুদ্ধসংঘ না পেলে বান্ধব, বুঝবে কি হেরফের
আবার অহমে ইন্দ্রিয় না শুধে, শুদ্ধ হৃদয় পাই কেমনে
মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে
ওরে ও ভোলা মন- 
মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে

আগে কর্ম কর ঠিক, তবে পাইবে সঠিক দিক
ষড়রিপু বশ হইবে, মানুষ হইবে ঠিক
অবিবেচক কয় গীতা-কোরাআন-বাইবেল, তাহাই বলে বর্ণনে
মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে
ওরে ও ভোলা মন- 
মানুষ না হয়ে মানুষ ভজিব কেমনে

প্রশ্ন!

এখনও কি সম্মোহনে পল্লিগাঁয়ের রাখালিয়া
বাঁশিতে নেয় সখী ডাকি?
এখনও কি ঢোলের ঢুংয়ে পায়েতে বাজে ঘুঙ্গুর
খেলাঘরে নামে আলোর চাঁন কি?

বল হে সখী বল, রোদেলামন আজও কি ভিজে
চৈতালি মেঘবরণ ধারায়
আজও কি প্রতীক্ষা শেষে নয়নে নামে ঢল
ব্যাকুল মন কেঁদে-কেঁদে সারা।

এই তবে ভালোবাসা, ছুঁয়েছে মন তোমার
মরিতে হবে বীষের জ্বালায়
জানিও ওগো সখী, কলঙ্ক লাগিবে গায়ে
পুড়িতে হবে নিষ্ঠুর কালায়।

মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫

এই দুনিয়ায় স্বর্গ গড়ে থাকতে চাই

এই দুনিয়ায় স্বর্গ গড়ে থাকতে চাই
আমি যে কয়েকটা দিন বাঁচি ভাই...

আমি দুনিয়ার মোহে সব ভূলে যাই
পরকালের স্বর্গ খুঁজি কোথায়?

আমার ধর্মজ্ঞান নাই (আমার ধর্ম আচার নাই)
বেদ-কোরানের তত্ত্বসার জানিব কোথায়?
(আমার) রাত পৌহালে সংসারযজ্ঞে
সারাটা দিন কেটে যায়
এই দুনিয়ায় স্বর্গ গড়ে থাকতে চাই...
যারা করে ধর্মের আচার, জানে তারা তাঁর তত্ত্বসার
তাই পরপারের স্বর্গের আশায়, করে তা প্রচার।
শুধু বুঝি না তাদের এ কেমন বিচার
আমার এপাড় স্বর্গ পুঁড়ে করে ছাই
এই দুনিয়ায় স্বর্গ গড়ে থাকতে চাই...

আমি মূর্খ্য মানবভ্রুন, পাইব কোথায় তেমন জ্ঞাণীর গুণ
যাদের হাজার রকম নরক যন্ত্রণায়, টুটে যায় চোখের ঘুম
অজ্ঞাণী আমি ভাবী বসে, দেহের মধ্যে কোনস্থান আছে
দহণ ব্যথায় সমান না পৌড়ায়
এই দুনিয়ায় স্বর্গ গড়ে থাকতে চাই...
শুনি গুণীজনের কাছে, লক্ষ যোনি পর মানব এসেছে
মানব মুক্ত নিষ্কাম কর্মগুণে, স্বয়ং স্রষ্টা বলেছে
তবে স্বর্গ পাবার কর্ম কিসে, চলছে সবাই কিসের পিছে
অবিবেচক ভেবে কয় জানা নাই
এই দুনিয়ায় স্বর্গ গড়ে থাকতে চাই...

বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫

আমি সুখের আশায় বিষ গিলে প্রাণে মরি যে...

দয়াল গো...
ও দয়াল, দয়াল গো.....

দয়াল- মাতাল হাওয়ায় উদাস এ মন পাগল হয়েছে
আমি সুখের আশায় বিষ গিলে প্রাণে মরি যে....

বাবুই পাখি বাসা বুনে সুনিপুন অতি
আমার দেখিয়া এমন কর্ম মনে জাগে মতি
তাই পরের খড়-কুটো কাটি, মজি জগত বিনাশে...
আমি সুখের আশায় বিষ গিলে প্রাণে মরি যে...

দেহমোড়া জড়ধেনু সুখের আশায় ছুটে
আমি কামনার ফলা বানিয়ে দিলেম তাতে জুটে
এখন চলছে জীবন লুটে-পুটে, না দেখে ভিতর-বাহিরে...
আমি সুখের আশায় বিষ গিলে প্রাণে মরি যে...

কাঁদেতে কলিকাল এসে কালি মেখে যায়
আমার দেহ-কর্ম চিত্তমর্ম ভুমিতে লুটায়
অর্হনিশ জীবন খাতায়, অনেক হিসেব জমেছে...
আমি সুখের আশায় বিষ গিলে প্রাণে মরি যে...

ঝরা-জিহ্ন দেহ নিয়ে সাধু সঙ্গ করি
গুরুর পদপদ্মে মজে স্মরি হে শ্রীহরি
আমার কূলহারা তরী ব্যকুলে ছুটে, ডুবে মরি অকূল সমুদ্রে...
আমি সুখের আশায় বিষ গিলে প্রাণে মরি যে...

কতবীষ ঐ চোখে জমানো বল সখী

তোমার ঐ চোখ চোখে বীষ ঢেলে দেয়
বীষচোখে উঠে অনল জাগি
কতবীষ ঐ চোখে জমানো বল সখী (সখীগো)।

দেখিতে চোখ বড়ই কোমল
কালো মনিতে হয়েছে সজল
কাজলের কালো পাপড়িতে জল টলমল,
আবার সে জলে জ্বলে মোর আঁখি
শীতল মন চঞ্চল দেখী...
কতবীষ ঐ চোখে জমানো বল সখী (সখীগো)।

ভাবে লোক আমি জাত মাতাল
চোখ তাই এমন রক্তলাল
বলিতে পারি না সখী কেন এমন হাল
অবিবেচক কয় লোক জানেনা
মাতালের নয় কেবল এমন আঁখি...
কতবীষ ঐ চোখে জমানো বল সখী (সখীগো)।

বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫

যদি ঐটুকু অশ্রুসুখে প্রিয়গো না ভরে আঁখি

যদি ঐটুকু অশ্রুসুখে
প্রিয়গো; না ভরে আঁখি
বলো বলোগো কি আর থাকে বাকী,
প্রিয়গো কি আর থাকে বাকী....

শরতের শিশির ঝর-ঝর আড়ালে কি তার আছে
কেন এত ভালোলাগা অকারন এ জীবনে আসে
মরমের ভালোবাসা কেন এত ডাকে বলো দেখী
যদি ঐটুকু অশ্রুসুখে
প্রিয়গো; না ভরে আঁখি

চেনা টানে চেনা সুরে গায় যখন আড়ালে বিরহী পাখি
উতলা হৃদয় পুড়ে মেঘধারায় ভেজামন যায় প্রিয় ডাকি
বিরহ বিনা প্রেম আবেগী মধুর দিন চায় কি
যদি ঐটুকু অশ্রুসুখে
প্রিয়গো; না ভরে আঁখি

এই সে দান প্রিয় এই সে দান
ভালোবাসার অশ্রু বেড়ে যে দান হয় মহিয়ান
জানে শুধু অর্ন্তযামী ব্যকুলমন প্রিয় আঁশে পায় কি
যদি ঐটুকু অশ্রুসুখে
প্রিয়গো; না ভরে আঁখি

মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৫

জীবনরে বেচে দিলে মিলবে কি একমুঠো সোনালী আলো

জীবনরে বেচে দিলে মিলবে কি একমুঠো সোনালী আলো
ও জীবনরে- বিলিয়ে দিলে অনাদরে, ক্ষয়ে যাবে কি অন্তরের কালো

জীবনরে ইচ্ছে মত পুড়িয়ে নিলে ভস্ম ছাইয়ে মিলে কি কোন সোনার কনা
ও জীবনরে ভাসিয়ে দিলে অবেলার স্রোতে, দাম মিলে কি তার দু‘চার আনা।

ও জীবনরে তোর চাওয়াতে উড়ে চলি, চাতক পাখির মতো
জীবনরে তৃষ্ণায় ছাতি ফাটে তবু প্রেয়সি মেঘে ঘুরি অবিরত
জীবনরে অভিশাপের এই মোহনায় সুখ কুড়োতে যাই কার সে সীমানায়
ও জীবনরে চোখের দেখায় ঝাপসা দেখী, খুঁড়ে চলে স্বপ্ন অজানায়।

ও জীবনরে বনের বাঘে খাচ্ছে হরিন ছুটছে সবে রণে
জীবনরে গোপন মন্ত্র জপতে-জপতে ছুটি বৃন্দাবনে
জীবনরে ওপাড় স্বর্গে এপাড় পুড়ে কেন করলি বনাচার
ও জীবনরে বিবেক ধ্বংশ মগ্ন নেশায়, ছুটে শেষ কৈলাশপাহাড়।

ক্ষ্যাপা তুই বাঁধবি কোথায় ঘর

ক্ষ্যাপা তুই বাঁধবি কোথায় ঘর
ও ক্ষ্যাপামন বাঁধবি কেমনে ঘর
ও তুই পরের ঘরে থাকিস পড়ে, আপন করিস পর।

ভাবিস কত আপন তোর
ইট-পাথরের দেয়াল তুলে বাঁধবি আপন ঘর
ওরে উড়ু-উড়ু মনের খেলায়, পড়ে যাস ঠিক পথের উপর
ক্ষ্যাপা তুই বাঁধবি কোথায় ঘর
ও ক্ষ্যাপামন বাঁধবি কেমনে ঘর

তোর চলন ভালো নয়
দেহ পচে মনটা পচে উপায় কি আর রয়
ও তোর রুগ্নচেতন ইষ্ট কিসে, কি বয়ে দেহপীঞ্জর ক্ষয়
ক্ষ্যাপা তুই বাঁধবি কোথায় ঘর
ও ক্ষ্যাপামন বাঁধবি কেমনে ঘর

ভেবে নিলি জগতেই সব তোর
ভোরের আশায় জাগিস তবু কাটে না যে ঘোর
ও তুই মাঝনদীর উত্তালে পড়ে, কেঁদে ডাকিস কোথায় প্রানেশ্বর
ক্ষ্যাপা তুই বাঁধবি কোথায় ঘর
ও ক্ষ্যাপামন বাঁধবি কেমনে ঘর

মঙ্গলবার, ২৬ মে, ২০১৫

প্রেমের বাজারে প্রেমিকরুপ যায় চেনা

মনের সাথে মনের ভাব হইলে,
দেহের ভাবও যায় জানা
ভবের বাজারে রসিক আমরা সবজনা
(ওরে) প্রেমের বাজারে প্রেমিকরুপ যায় চেনা।।

প্রেমেরও কাঞ্চণমনি, গলে পড়ে তত্ত্বজ্ঞাণী
অমৃতের সুধা মাখে জঠরে
মজাইয়া প্রেমসলিলে, কদম্ব গাছের ডালে
মুররীর সুর ধরে করে আনমনা।
ভবের বাজারে রসিক আমরা সবজনা
(ওরে) প্রেমের বাজারে প্রেমিকরুপ যায় চেনা।।

দিবসে ধন-বৈভব, বাসনায় জ্ঞাণ বিলোপ
সংসার ত্রিসম্ভাবীমায়া বাঁধে মন্তরে
ষড় ইন্দ্রিয়ের পরিচয়, শুধু মায়ায় মায়া হয়
মোহরুপের পরিচয় না হয় জানা।
ভবের বাজারে রসিক আমরা সবজনা
(ওরে) প্রেমের বাজারে প্রেমিকরুপ যায় চেনা।।

সংসার মায়ায় পড়ে, গুরুপদে আশ্রয় না লয়ে
জগৎ মোহবাসনায় করি প্রেমের বন্দনা
অবিবেচক কয় জগৎ পাগল, মেলে না আর এমন যুগল
যে যুগলরুপে জাগে প্রেমিক হবার বাসনা।
ভবের বাজারে রসিক আমরা সবজনা
(ওরে) প্রেমের বাজারে প্রেমিকরুপ যায় চেনা।।

বৃহস্পতিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

যখন বন্দি আমার এই মন

যখন বন্দি আমার এই মন
যখন বন্দিনী তুমি আপন
চল্ না দূর তটদেশে.....
চল্ না সমুদ্র পাশে.......
দু‘জনে হাত ধরে যাব বহুদূরে, এ পথের শেষ হবে না
আকাশের নীলসীমা, দু‘জনে ছৌঁব চল্, পথভূলে হারাবো দু‘জনা
শুধু রাশি-রাশি কাঁশফুল ছুঁয়ে যাবে আমাদের এ মন
যখন বন্দিনী তুমি আপন।

বল্ নাগো সাথে তুমি যাবে......
বল্ নাগো সঙ্গী পথের হবে.......
ভালোবাসা ছড়িয়ে দেব, হৃদয় বাঁধিয়ে নেব, সে বাঁধন কভু ছিড়বে না
কনকলতার ডোরে, বাঁধিয়া দু‘জনারে, গড়ব স্বপনের ঠিকানা
শুধু প্রেম সত্য ছড়াব ভুবন
যখন বন্দিনী তুমি আপন।

মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪

ও আমার রঙ্গিন ঘুড়িগো

ও আমার রঙ্গিন ঘুড়িগো
কে নিয়ে যায়
আমি নাটাই-সুতো নিয়ে বসে আছি ও সাঁই
তোমার দরগায়।


সাঁইগো তোমার পদধুলি
হবে আমার রঙ্গিন ঘুড়ি
আমি সে ঘুড়ি উড়োতে যাব
বেহেস্তের দরজায়।


সময় গেলে রস-রঙ্গে
কার সঙ্গ হবে নবরঙ্গে
রং ঢেলে আপন অঙ্গে
না যাই গুরুর ঠিকানায়।


এখন যখন হুঁশ হল
রঙ্গিন ঘুড়ি সুতো কেটে গেল
ধর বাঁধ সাঁই রঙ্গিন ঘুড়ি (ও গুরু...)
ধরে দাও আমার রঙ্গিন ঘুড়ি
তোমায় বিনে পড়ি অসহায়।

মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

আমার মন দরিয়ার অকূল পাথার পাড়ি দেবে কে?

আমার মন দরিয়ার অকূল পাথার পাড়ি দেবে কে?
(ওরে) কূলহীন আমি অকূল পথে পড়ে আছি রে....

নবরঙ্গ অষ্টফাঁদে গেলাম আমি পড়ি
কোথায় আছে সোনার সংসার, কোথায় টাকা কড়ি (আমার)
নয় দ্বারে যায় পরান যায়, পথের পথিক কে?

মায়া-মায়া-মায়া করে ভ্রমিলাম সংসার (আমি)
ভ্রমিলাম দেশ-বৈদেশ শখে, করে যৌবন অঙ্গার (আমার)
বাঁশের ভেলা যায় ভেসে যায়, মাটির বাসরে....

কোথায় থেকে কোথায় এলাম করলাম আমি কি
পথের ভক্তি-শক্তি আমার, পথে হারিয়েছি (ও প্রভু)
পথহারা পথে কর কর পার, অবিবেচক অবোধরে....

সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

শর্ষ্যের ভেতর ভূত

কত শর্ষ্যের ভেতর ভূত
কত ভূতের ভেতর শর্ষ্য
আমি ছড়াতে পারিনি কিছু, আমি মেনেছি সবের বশ্য
আমি সব নিয়েছি মেনে
আমি যাচ্ছি দিন গুনে-গুনে
যাকনা জীবন দেখিয়ে তার বিভ্রম রহস্য।।

বুধবার, ৭ মে, ২০১৪

ওরে খাইলে মিটেনা ক্ষুধা

ওরে খাইলে মিটেনা ক্ষুধা, বাড়ে তার জনবল
লোভ মোহের উর্দ্ধে যিনি, তাহার যে সকল।

মায়ার মোহে বাঁধা পড়ি, গেল জীবন গড়ি
বর্ষা-শরতের আগমন খবর পেলাম না
ওরে আঁধার ঘনিয়ে এল, যখন আমার হুঁশ হল
দেখী সকলে গেল, আমি যে বিকল।

দেহকল নিশ্চল হলো, উর্দ্ধবায়ু যেন চলিল
মায়ার ডাক তখন বলিল, কে কে সঙ্গীজনা
ওরে আশেপাশে কেহ নাই, নিতে হবে একা বিদায়
সবভেবে শেষ পেলাম, তাঁর চরণ আসল।

ক্রান্তিসন্ধি অন্তিমকাল, পাইনা কোন তাল
বেতাল আমি অশ্রু নেত্রে চাই তব চরণ
ওরে না পেলে ঔ চরণ, ভাবে অবিবেচক মিথ্যে জীবন
শেষ প্রভু এই আবেদন, চরণে দাও দখল।

কান্না ও কান্নারে

কান্না ও কান্নারে
তুই কি আমার বন্ধু হবি? সারাজীবন সঙ্গে রবি?
দুঃসহ ব্যথা ছাড়িবারে।

ওরে নয়না;
শুনরে কথণ; হারিয়েছি আমার মা।
যাকে নিয়ে স্বপ্ন গড়া, সে স্বপ্নে তাকে ছাড়া
সু‘সময়ে পৌষমাস দ্বারে।

ওরে বদ্ধবাসী;
গুরুদোষ ছাড়া হলাম উদাসী।
যাহা আমার আশা বিশ্বাস, সেযে আজ বদ্ধ নিঃশ্বাস
প্রহসণ যে প্রতি সুরাসুরে।

ওরে গ্রহীরনীদি;
যত ব্যথা; নে না সাধী।
যাহা উদাসধারা পথে, কালঙ্গির রথে
উড়ে চলছে আকাশ দুয়ারে।

সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০১৪

গানঃ আজ নয়নে মোর খেলেগো আলো - ভিডিও

আজ নয়নে মোর খেলেগো আলো, তোমারি নয়ন লুটে।।
বাদল বরষায় দেখেছি তোমারে, চলেছ ভেজা পথে
তোমারি নয়ন লুটে।

এইযে, আমার সীমানা পেরিয়ে আলো, ছড়িয়ে গেছে হৃদমিনারে তোমারে বাসিতে ভালো
ছ্ল-ছ্ল উত্তল বরষা…… তোমারি আশায়, যাবো দূর পথে হেঁটে
তোমারি নয়ন লুটে।