বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৬

হিংসের কারণ

তেনাদের কাজকম্ম দেখে কি আর কব...

আরে কচ্ছিলাম পুছকাগুলানের কতা যেনারা ভেংচি কাটে, কানাচোখে চায়, বোপ দেয়
আর দামের হিসেব কষলে যেনাদের কাছে আমি সিকি আধুলিও না...

তবে তেনাদের হগল লজ্জার গুপন কতা মুই জানি, যেগুলান শুনলে আপনারা মুখ খিছিয়ে চোখবুজে ছুটবেন...

কচ্ছিলাম কি...

এদ্দিন দেকি তেনাদের একজন হামাঘুড়ি মেরে ছুটছেন, ছুটে আশপাশে একটু দেকলেন।
দেকলেন তেনার চারপাশে দুখানা মুরগি কুকক্-কুকক্ করে খাবার খুটে খাচ্ছেন।
এদেকে তেনা বেজায় খুশি হয়ে হাসতে-হাসতে দু‘নম্বর কাজটা সেরে দিলেন...

তারপর কি দেখলুম বাপু; পাশের মুরগি দুটো ছুটে এসে তেনার ত্যাগ করা দু‘নম্বর জিনিস দু‘ঠোকড় মেরে দিল!!! আর অমনি তেনা উল্লাসে নিজের ত্যাগ করা দু‘নম্বর জিনিস নিজের দু‘হাতে ধরে উল্লাস করতে লাগলেন। মুই তেনার মানসুলেমান পান্সার করা কম্ম দেখতে রইলুম। উম্মা দেখি তেনা দু‘নম্বর জিনিস ধরা হাত ছুড়ে আমার দিকে ছুটছেন? আমি পড়ি কি মরি, মরি কি বাঁচি করে যেই না সরতে চাইলাম অমনি তেনা কান্না শুরু করে দিলেন। পরে তেনার মা কান্না শুনে তেনাকে পরিষ্কার করতে নিয়ে গেলেন।

এরপর থেকে তেনারা দু‘নম্বর কম্ম করে ফেললে আমি আর তেনাদের ধার ধারি না।

কিন্তু এদিন হল কি, গেলুম মেজদিদির বাসায়। দিদি ভাত খেতে দিলে দিব্যি আরাম-আয়েশ করে খাচ্ছি। ছোটভাগিনা (মানে- পুছকাদলের লোক) একবার এদিক ছুটছেন তো আরেকবার ওদিক। কোনভাবেই তেনাকে ঠেকানো যাচ্ছেনা। তেনার জন্য আয়েশের খাওয়াটা একটু কমিয়ে নিতে হল- কেননা বলা যায়না তেনা কখন খাবার পাতের উপর বসে খেলতে শুরু করে দেন। খাবার সময় তেনার এমন আনন্দ করে খেলা দেখে বেশ হিংসে হচ্ছিল, কিন্তু দিদি সামনে থাকায় তেনাকে কাঁদানোও যাচ্ছিল না, তাই হিংসে মনে চেপে খাচ্ছিলাম। হঠাৎ কি হল- তেনা একনম্বর কামটা সারিয়ে দিলেন।

সমস্যা তাও না, সমস্যা তৈরী হল তখন যখন তিনি একনম্বর কাজখানা সেরে তা নিয়ে খেলতে চাইলেন। দিদি ঘটনা দেখার সাথে-সাথে তেনাকে সরিয়ে না নিলে কি ঘটনাটাই না তেনা ঘটিয়ে দিতেন। মনে পড়লে এখনও বুক দুরু-দুরু করে উঠে।

আমি কোনভাবেই বুঝতে পারি না, তেনাদের সাথে আমার হিংসের জায়গাটা কোথায়? কেন তেনারা আমাকে হিংসে করেন? অবশ্যি আমারটা আমি জানি, আমি তেনাদের হিংসে করি কারণ- তেনাদের সবাই আদর করেন, কিন্তু আমার বেলায়.....

স্বপ্ন বনাম বাস্তবতা

কেউ যখন ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে, তখন সে তার চারপাশে দেখা অনেক হীরে-জহরত-মণি-মুক্তো থেকে বেছে-বেছে সেরাগুলোকে নিয়ে আলোকসজ্জা তৈরী করে স্বপ্নের ঘর সাজায় আর সেরা হীরে সুউচ্চে সাজায়ে রাখে যেন সবাই দেখে।

কিন্তু যখন বাস্তবতার ঘর সাজাতে যায়, সে দেখে সবটাই মূলত আলোকছটা, যা নষ্ট অকেজো জিনিস জ্বালিয়ে চোখ ধাঁধিয়ে ছিল। আর নিজের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় সারাজীবন এই অকেজো জিনিস সাজিয়ে রঙমশাল জ্বালাতে হবে!

স্বস্তি

যাচ্ছি মাতৃটানে মাটির গন্ধ অঙ্গে নিতে জড়িয়ে
শহরের যান্ত্রিক কৌলাহল ছেড়ে সবুজের ভীড়ে

---বাড়ি যাচ্ছি, কয়েকদিনের জন্য। শহরের কৌলাহলে আবারও ৭ মাস কেটে গেছে, যান্ত্রিকতা আর অফিসের কাজের ভীড়ে দমও বন্ধ হয়ে আসছে। একটু খোলা চাতালের মুক্ত বাতাস না ফেলে আর বাঁচা দায়।

ছুটটি আপন আঙ্গিনার পথে, যেখানে মা-বাবা তার আহ্লাদের কনার মায়া রেখে শান্ত মনে শুয়ে আছে নিরবে-নিভৃতে। কতদিন প্রাণখুলে কথা বলার কাউকে পাই না, মনের মাঝে জমানো ব্যকুলতা কতদিন কাউকে বলা হয় না। মা-বাবার নিভৃতি ভেঙ্গে কিছু বলব, দেখী বুকের ভার একটু কি কমে..

আসব কয়দিন পরেই, ততদিন হয়ত কথা হবে না যান্ত্রিক বিজ্ঞানে, হয়ত খোঁজ রবে না অনলাইনের কারও সনে। তবু ভাষা জমবে, কথা বাড়বে এই কয়েকদিন পরেই, মন ফুরফুরে হলেই।

উর্বর উপযুক্ত

জমিন ফসল ফলাবার জন্যই, কিন্তু ভালো ফসল পেতে গেলে জমিনকে উর্বর উপযুক্ত করে নিতে হয়। যে যত ভালো উর্বর করতে সক্ষম, তার জমিনের ফসল তত সজীব, তত ফলনশীল আর তত সুমিষ্ট।

প্রতিটি বুকের খাঁজে যে ছোট্টকুঠুরি, ওটাও জমিনের মত ভালোবাসা ফলবার জন্যই প্রস্তুত থাকে। সেখান থেকে সজীব-সুমিষ্ট প্রেম-প্রেরণা পেতে প্রত্যেকেই আপনা শ্রমেই স্থানটিকে উর্বর করে নিতে হয়।

বদল

বদলে যাচ্ছে দুনিয়া, একটু করে বদলে যাচ্ছি আমিও
বদলে যাওয়ার অনিবার্য রীতিতে, বদলে যাচ্ছ তুমিও

সময় গল্প শিখে, কবিতা লেখে, গান শুনে মনের খেয়ালে
পূর্বাপর সময়ও হয়ত হেঁটেছে একই মাত্রায় একই তালে
শুধু বদলেছে দিন, পাল্টেছে বোল, সাথে মেরুন রংমাখা রুপের ছটা
রাত্রির স্বপ্নরাঙ্গানো প্রহর শেষে পথে ফেলে যাওয়া উন্মাষিক বারতা।

নির্বাচন সুস্থ-নির্দলীয়-নিরপেক্ষ হয়েছে!!!

নির্বাচন সুস্থ-নির্দলীয়-নিরপেক্ষ হয়েছে এটা বলার অপেক্ষা নেই...

শুধু গোপন একটা কথা ছিল ভাই।

আমি পাগলা কামাইল্লা। তয় ভাই আপনারা আমারে চিনেন আর না চিনেন, যদি আমি নির্বাচনে দাঁড়াতাম আর দলীয় মনোনয়নে আমার মার্কা ঠান্ডা জলে ভাসার একখান নৌকো হত। তয় আমারও দেশ-দশের সেবা কইরা দেশটারে উল্টাইয়া-পাল্টাইয়া ঝকঝকা করে বাড়িখানা টাওয়ার বানানোর ব্যবস্থা হইত। লগে পাগলা পদবী কাইটা জনাব হইত।

আহা! একখানা সুযোগ আপনাদের আমার সেবা পাওয়া থেকে কতটাই না বঞ্চিত করল।

তাড়না

গাড়িতে টুপি পাঞ্জাবি পড়া টিংটিঙ্গে লোকটা হাত পেতে বলছে পবিত্র কোরআন শরিফ বানব ভাই-চাচা-আপা-আম্মা, সবাই ২ টাকা ৫ টাকা দেন। সবাই কম-বেশি দিচ্ছে, একজন জিজ্ঞাসা করে, বানতে কত লাগে চাচা? জবাব শুনি, সে ১৩০ টাকা। চেয়ে দেখি প্রয়োজনের অধিক উঠে যায় গাড়িতেই।

লোকটি গাড়ি থেকে নামে, অন্য গাড়িতে উঠে। হয়ত একই বয়ান চলে তার গাড়িতে-গাড়িতে। হয়ত পবিত্র কোরআন শরিফ পড়ে থাকে যত্নবিহীন কোন তাকে। তবে একই বয়ান ওছিলাতে টাকা তুলে মেটে তার কোন অস্পষ্ট তাড়না?

জরুরী

বিড়াল পুষে মেঁও ডাক শোনার চেয়ে, মেঁও টাকে হাতে পাওয়াটা জরুরী।

প্রয়োজনে

সময় সংকীর্ণতায় আর চরিত্রের প্রয়োজনে
শরীর বাঁকে, বোল পাল্টে, রুপ বদলায়, দৃষ্টি ভিন্ন হয়।

সৎ জীবন-যাপনের জন্য প্রাইভেট চাকুরী খুঁজছেন?

সৎ জীবন-যাপনের জন্য প্রাইভেট চাকুরী খুঁজছেন? তবে মানষিক প্রস্ততির সময় এখনই-

প্রাইভেট চাকুরী করতে গেলে, প্রথমে মনে রাখা প্রয়োজন-
কোম্পানীতে মালিকের ইচ্ছেই ইচ্ছে, আপনি তার টাকায় কেনা গোলাম।
আপনার ইচ্ছে-অভিলাষ থাকবে স্বাভাবিক, তবে সেটা গোপনে।

প্রথমে যোগদানের সময় আপনার শিক্ষাজীবনের অর্জিত ফসল
বন্ড সই করে জমা দিয়ে কোম্পানীর দায়িত্ব বুঝে নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।
আপনি কোম্পানীর ক্ষতি করতে পারেন যেকোন সময়,
তাই সরকারী জামিনদার দেখাতে হবে।
কোম্পানীতে কাজ করার ইচ্ছে আছে মানে-
কোম্পানী যেকোন কাজ করতে প্রস্তুত হতে হবে।
আপনার বাড়ি টেকনাফ অফিস তেঁতুলিয়া, সমস্যাবোধ করা যাবে না।
আপনার নিয়োগ অফিসের কর্মকর্তা হিসেবে, কিন্তু কোম্পানী চাইলে
আপনাকে চায়ের কাপ টানাতে পারে, তাতে রাগ করা যাবে না।
কোম্পানীর গ্রাহক বীষ খাওয়ালে তা হজম করে
কোম্পানীর প্রয়োজন মিটিয়ে নিতে হবে।
প্রয়োজন মিটাতে বীষক্রিয়ায় মরে গেলে আপনি ব্যর্থ,
বেঁচে থাকলে আপনি কোম্পানীর একনিষ্ট কর্মচারী।

এখানে গ্রাহকের সাথে মালিকের সম্পর্ক বজায় রাখার প্রয়োজনে আপনাকে
মিথ্যে অন্যায়-অপবাদ মুখ বুজে সইবার মানষিকতা রাখতে হবে।
আপনি যতদিন শ্রম-মেধা খাটাতে সক্ষম ততদিন আমি কোম্পানীর কর্মচারী,
অক্ষম হয়ে পড়লে মেনে নিতে হবে-
কোম্পানী আপনার মত ছা-পোষাদের রাখবে কেন?

ডিউটির ক্ষেত্রে আপনার অফিসে ডোকার সময় নির্দিষ্ট হবে,
কিন্তু বের হবার সময় কোম্পানীর মার্জি মাপিক...
পরপর তিনদিন দেরিতে অফিসে গেলে আপনার একদিনের মাইনে কাটা।
প্রতিদিনকার সময়ের চেয়ে একটু বেশী ডিউটি করলে কোম্পানী খুশি হবে,
কিন্তু ওভারটামই বা কোন সুযোগ-সুবিধার প্রসঙ্গ এলে কোম্পানী এড়িয়ে যাবে।

বছর শেষ, সারাবছর শ্রম করে আশা পুষে আছেন বছর শেষে বেতন বাড়বে,
কিন্তু কোম্পানী এসে শুনাল কোম্পানীর লস হচ্ছে, অনেক কোম্পানী বন্ধ করে দিচ্ছে
কোম্পানীতে কাজ করতে হলে ২০% কম বেতনে করতে হবে,
না হলে চাকুরী ছেড়ে যেতে পারেন, মেনে কাজ করতে হবে।

সবশেষ যে কথাটি মাথায় রাখতে হবে-
কোম্পানী মনে করে আপনাকে অন্যকেউ দু‘টাকায় পুছত না,
অথচ তিনি কিংবা তার কোম্পানী আপনাকে জামাই আদরে রাখছেন।
প্রস্তুত আছেন তো? তবে আবেদন করুন, চাকুরী আপনার জন্য অপেক্ষমান।
রাজী না থাকলে যুদ্ধ করুন নিজের জন্য,
যদি টিকে যান তবে অন্যদের জন্য কানাওয়ালা বাঁশ নিয়ে দাঁড়াবারও সুযোগ আছে।

আমার প্রচেষ্টার ছিহ্নটুকু রেখে যাব একদিন

ছোটবেলায় লিখতাম কিনা জানি না, তবে ২০০২ সালের একটা ঝাপ্টা এসে এতটাই বিষন্ন করে তোলে যে, লেখালেখিটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সঙ্গী হয়ে যায়। তারপর থেকে এলোমেলো মনের কথাগুলো, ভাষাগুলো, ব্যাথাগুলো নিয়মিতই মগজ ছেড়ে ছুটতে থাকল। শিরা ছিড়ে কালির যোগান দিতে থাকে।

২০০৪ সালে কাকুর হাত ধরে ঢাকায় আসি, তখন নিজেকে তুলে ধরার একটা আবছা বাসনা পেয়ে বসে। ছুটোছুটি করি একটা বই বের করার। কিন্তু মধ্যবিত্ত বলয় আটকে দেয়। যেখানে জীবনের দায়টাই বড়, সেখানে আমার মতো মানুষগুলোর কাছে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টাটুকু অনেকটা অতিরঞ্জিত করে জাহির করার মতো। বাংলাবাজারের একতা প্রকাশনী তে- ২০০৫ সালেই আমার বই “কামনা” প্রকাশিত হবার কথা থাকলেও, প্রকাশনীর সাথে চুক্তিবদ্ধ সম্পূর্ণ টাকার অর্ধেকটাও দেয়া হয়নি আর বইয়ের প্রকাশ সে আকাঙ্খার মধ্যে নিঃশেষ হয়ে গেল। এরপর আর ইচ্ছেও হয়নি, চেষ্টাও করিনি।

২০০৮ কি ২০০৯ থেকে ফেবুতে মোটামুটি নিয়মিত আছি। ফেবুতে থাকাকালে বন্ধুদের মাধ্যমে ২০১০ সালের দিকে ব্লগ জগতের সাথে পরিচয় মেলে। “শৈলীব্লগ” দিয়ে শুরু করি অনলাইনে লেখালেখি। তারপর গল্পকবিতা, সবারব্লগ, আমারব্লগ, শব্দনীড়, সামু, প্রথমআলো থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি ব্লগে লিখি। জানতে থাকি এপাড়-ওপাড় দুইবাংলার বিখ্যাতদের সাথে। ফলশ্রুতিতে নিজেকে বিশ্লেষন করার, নিজের লেখার মান যাচাই-বাছাই করার, নিজের ভূল-ভ্রান্তীগুলো সংশোধন করার সুযোগ আসে। বুঝতে পারি, যা লিখে যাচ্ছি সে কেবল বিক্ষিপ্ত মনের প্রকাশ মাত্র, এর বেশী কিছু না। ফলে একদিন টাকার অভাবে যে বাসনাটি অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়েছে, এখন হাতে টাকা থাকলেও সে বাসনা দানাবেঁধে পীড়িত করে না।

প্রতিবছর বইমেলায় উপলক্ষ্যে অথবা বইমেলা ছাড়া অনেক শুভকাক্ষী আর প্রিয় লেখকদের বই আসে, কিছু প্রিয়জন-ভাই-বন্ধুরা উৎসাহ দিচ্ছে অন্তত একটা বই বের করার জন্য। কিন্তু আমি কেন জানি উৎসাহ পাই না। সত্যি বলতে কি- যতক্ষন পর্যন্ত নিজের লেখাটি নিয়ে নিজে সন্তুষ্ট হতে না পারছি ততক্ষন বই বের করার ইচ্ছে রাখছি না। কিন্তু এখনও একটা বাসনা জিইয়ে রাখছি, তাহল- সারাজীবনের তপস্যার সারাংশ নিয়েই না হয় আমার প্রচেষ্টার ছিহ্নটুকু রেখে যাব একদিন।

নিজেকে খুঁজে নিতে পারাটাই প্রত্যেকের জন্য সবচেয়ে বড় সফলতা

নিজেকে খুঁজে নিতে পারাটাই প্রত্যেকের জন্য সবচেয়ে বড় সফলতা। আপনি যখন আপনার ভিতরটাকে জানবেন, আপনি জানতে পারবেন আপনার ক্রোধ-হিংসা-অহংবোধ-দ্বেষ-ঘৃনা-সংযুক্তি। আবার আপনি যখন আপনার বাহিরটাকে জানবেন, আপনি বুঝবেন আপনার বাহ্যিক রুপ-লাবন্যপ্রভা-সবুজ-সৌন্দর্য-শৈর্য্য-বীর্য ।

যিনি নিজের ভিতর-বাহির সম্পর্কে অবগত, তিনি ধীর-স্থির হন। নিজের ভার অনুযায়ী কথা বলেন, বিষয়িক গতিবিধি সতর্কতার সাথে প্রত্যক্ষ করেন।

মানুষ তখনই কেবল নিজেকে আর সকলে চিন্তার উর্দ্ধে স্থাপন করতে সক্ষম হন, যখন তিনি তার গতিপ্রকৃতি যথার্থভাবে অনুধাবন করতে সমর্থ।

না চাহি আপন গলে

অতটা দেবার ছিলনা আমার
যতটা তুমি চেয়েছ
চোখের কিনারে দু‘ফোঁটা অশ্রুজলে
অকারণ চরণ ভিজিয়েছ

আমিতো কভু ছিলেম না চাঁদ
ধারিয়া আলোয় ভাসাব তোমায়
তবু মিছেমিছি কোন খেলার ছলে
জড়িয়ে গেলে হায়!

রাতের সেঁজুতি ডুরিয়া কাঁদে
শিহরিয়া বারে-বারে
কেন অকারন পড়িলে ফাঁস আজ
না চাহি আপন গলে!

নির্ণয়

সুন্নি না হয়ে সুন্নত করলে কি
মুসলিম হয়রে ভাই
শিয়া, ওহাবী, কাদিয়ানী, খারিজির
সুন্নতের দাম নাই!

সুন্নত কেবল সুন্নি জানে
জানত হিন্দু ব্রাক্ষ্মণে
জাত-পাতের বিধান ঘুটিয়ে
শুয়ে গেছে তারা শ্মশানে!

সুন্নি দেহ জান্নাতবাসী
সবকিছু তাদের জায়েজ হবে
বাকীসকল মাটির দেহ
কবরমাঝে কীটে খাবে!

দোজাহানের মূল্য কি জানি
আমার মত অজ্ঞ-ফ্যাসাদী
ধার্মিকের দেহে বোম্ বাঁধা দেখে
বাঁচিবার আশায় তাঁকে ডাকি।

ডাক কি তিনি শুনবেন আহা
সুন্নত আমার বড় বিকল
সুন্নতের পর সুন্নতি মুসলমান
বলিছে ধর্ম তাদেরই আসল!!!