কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০

সম্পর্ক

আমাদের কোথাও একটা বড় ভুল ছিলো
সে ভুলটাকে নিয়েই আমরা বন্ধন গড়েছি
আমাদের পরস্পরে যোজন ব্যবধান ছিলো
তা আঁকড়েই আমরা নিজেদের জড়িয়েছি।
আমাদের ভাবনারা ভিন্ন ছিল
চলার পথ পারত (পারত পক্ষে)
আমাদের চিন্তা-চেতনায় বৈষম্য ছিল
ব্যাস বিন্যাসও হয়ত
তবুও বলি;
যদি ঐ ধ্রুবতারা সত্যি হয়,
যদি এ পৃথিবী, আকাশ, বাতাস, মাটি, জল সত্যি হয়
যদি পৃথিবীতে প্রেম-ভালোবাসার নামটি সত্যিই রয়
তবে একদিন আমরাও অজান্তে এতটুকু বেসেছি
যেটুকু বন্ধনটাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কালান্তে
হয়তো জন্ম-জন্মান্তে...
উত্তপ্ত নিঃশ্বাসে-
তাই আমরা বীজ বুনি প্রজন্মের!

বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০

সময় পুরিয়ে এল ঐ যাবি কি সঙ্গে যাবি

ওরে ব্যাকুল বেহালা
আর কতদিন গাবি
সময় পুরিয়ে এল ঐ
যাবি কি সঙ্গে যাবি!!


মনে আজ এক অজানা
শঙ্কার ঢংগা বাজে ঐ
বাতাসে নিঃশব্দে বাজে
মৃত্যুর শিকল পড়ল কৈ
জানাতে সব অজানা
রক্তচোষা রক্ত খাবি!!
সময় পুরিয়ে এল ঐ
যাবি কি সঙ্গে যাবি!!


শুনেছি সময়ে পুরোবে
সময়ের পার্বণ
মৃত্যুর পর ছুবেনা দেহ
এমনই সে মরন
বসে অঘোর ঘোরে ভাবি
তবে কি সঙ্গে রবি!!
সময় পুরিয়ে এল ঐ
যাবি কি সঙ্গে যাবি!!


আজ মরি তো
কাজ হবে না
স্বপনের ভীটে
ঘর হবে না
যারা লড়িল
তারাও চলিল
মাঝখানটায়
নীরব সবি!!
সময় পুরিয়ে এল ঐ
যাবি কি সঙ্গে যাবি!!

রবিবার, ৩ জুন, ২০১৮

মুক্তি

চাই না বাঁচতে আর ধরায়
তবু কোন পিছুটান জানি
           জড়িয়ে ধরে পায়...


রাতের প্রহর শেষে
দিনের তরীর গানে
শত মমতা, শান-শওকত
জড়িয়ে আছে মনে


বাড়ছে ভূ-লোকে দায়
ঋণের দায় কাঁদে বয়ে
        হে পৃথিবী বিদায়...

শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮

উন্নয়ন

এ'দেশের শহরে গ্রামে
যে আট-দশ ঘরে করছে আলো চকচকানি
সে আলো ছুটছে কোথায়? ফুটছে কোথায়?
আমরা জানি, হয়ত জানি!


উন্নততর-উন্নতধারায়;
উন্নত কাদের নভোযান?
দেখছি পথের ধূলোয় মিশে
৯০ 'গৃহস্থের গোরস্থান।


হয়ত বদলাচ্ছে জীবনধারা;
পাল্লায় জীবনমান বাড়ছে কি হায়?
উন্নয়নের জোয়ার ছুঁয়েছে আকাশ
আমরা ডুবে-ডুবে খাবি খাই?

শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

যথার্থ সঙ্গ দিলে, আমিও যোগ্য অর্ধাঙ্গ হব

যদি রাগ না কর, প্রিয়তমেষু;
তবে সত্য বলি!
তুমিই কেবল আমার প্রিয়তম নও!


অধিকারের কথা বললে-
তাই সত্যটাও জানানো কর্তব্য!
আমার প্রথম অর্ধাংশ আমার শিক্ষা
সময়ে অসময়ে মানা না মানার মাঝেও-
জড়িয়েছি তার প্রণয়ে,
অর্জন করেছি তার স্থিতি
তাই; তাকে কটুক্ত প্রণয়ে ছিন্ন করবে
সে শক্তি তোমার কোথায়?


আমার দ্বিতীয় সত্ত্বা আমার কর্ম, কর্তব্য!
প্রথম প্রথম তার ভয়েও পালাতাম!
অথচ দীর্ঘ কালচক্রের সমস্ত জিজ্ঞাসায়
আমাকে সে সমর্পিত করে নিয়েছে!
শিখিয়েছে- ভালোবাসার জন্য যথার্থ সমর্পণ!
বুঝিয়েছে- অক্লান্ত প্রচেষ্টায়ই মেলে
কেবল প্রেমময় অমৃতসুধা!
তাই; সে জায়ার প্রতি সম সমর্পণে
সঁপেছি সমস্ত, যা তার প্রাপ্য সংকলন।
জীবনের গতিপথ নির্মাণে এটুকু যদি পর্যাপ্ত হত!
যদি যোগ্য উত্তরসূরির প্রদাহ তাড়নায় না বাঁধত।
তবে তুমিই বা আমার কি ছিলে?
অথচ কি আশ্চর্য দেখ-
সে তুমিই দাবী করে বসলে, তুমিই প্রথমা!
দাবী করলে তুমি সমস্ত প্রনয়ের দাবীদার! জানালে তুমিই ঐশ্বর্য্য, শয্যা, সংসার!


এটা কতটা অবাক ব্যাপার না? বল!
মাত্র কয়দিনেই তুমি আমি হতে শুরু করলে!
প্রতিভূ শুরু করলে আমার নাড়ী- নক্ষত্র, অস্তিত্বে!
তাও হয়ত সে পর্যন্তই ঠিক ছিল-
কিন্তু; যখন বোঝালে তুমি ব্যতীত আমি লীন!
তখন তোমাকে সত্য জানানো জরুরি হয়ে পড়ল।
তবে হয়ত এও সত্য,
অত তাড়া না দিলে-
সময়ের প্রয়াসযজ্ঞে তুমিই হবে আমার
সত্যিকারের অধিশ্বরী, প্রেমময় অর্ধাঙ্গিনী!


তাই; পুনঃ প্রেমময় আহ্বান-
খোলসের আগ্রহে বেঁধোনা প্রিয়তম।
হে প্রিয়তমেষু, তুমি বরং সময়ের যোগ্য হও!
বিশ্বাস রেখ, শিক্ষা নিষ্ঠা কর্মে যথার্থ সঙ্গ দিলে
শাশ্বত সত্য শপথে আমিও যোগ্য অর্ধাঙ্গ হব!

বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৭

প্রদীপ আর সুবাস হও

 প্রদীপ হও
সলতে হয়ে জ্বলি তোমার মাঝ
জ্বলুক এ দেহখানি
তুমি নাও আঁচ
বিশ্বভুবন আলোর সুখে পাক
তপ্তদহন শ্বাস!


সুবাস হও
আগর হয়ে দহে-দহে যাই
উড়বার আগে আঁচটুকু নাও
বোঝ কতটা জ্বলছি তাই
বিশ্বভুবন মজুক সুখে
সুরভিত বিশুদ্ধতায়...

রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭

দ্বীধা

দ্বীধা;
ধরেছিস যত মোরে
সরে গেছি তত দূরে
পথখানি পাড়িবারে
জন্মে যে সংশয়,

পারিনে দাঁড়াতে পথে
কোথা কি জানি রটে
নামিলে আঁধার বাটে
পড়িবে মনে নিশ্চয়

অবাধ্য প্রেমিক

তখন স্বপ্নটাকে ছুঁলে আর দুটো হাত নাগাল ফেলে
আমিও তোমার মত কারও অবাধ্য প্রেমিক হতাম!

সহসায় বাতায়নে বসন্ত দৌলা দেয়
সব আকাশেই পাখিরা ডানা মেলে উড়ে
কখনও নীলঘন মেঘে, কখনও আবার সাদা
কখনও অন্তঃধ্যানে গুড়ু-গুড়ুম বা এক চিলতে বৃষ্টিতে
ভেজামন হারায় তোমার- আমার কিংবা আমাদের
যদি উপাস্য হতে, আমিও হাত ধরে তোমারি হতাম!

মনের বিষূবরেখা এড়াতে পারি না-
একাকি সঙ্গোপনে এলোকেশী এলে
তাকে এড়িয়ে যাব এতটা কঠোর তো নই...
বরং হৃদয়ের ভূ-খন্ড চিরে গড়তে রাজি ছিলেম
সবুজ বনায়ন, তৃষ্ণার্থ পাহাড়ের স্রোতধারা
সংকোচ কেটে অভয় দিলে, সেই কেবল বলে ফিরতাম!

নব জলপ্রপাতের ধারা ব্যাকুল বাসনায় ছুটে
ঘাস ফড়িং ছুটে ফেরে সবুজের কোমলতা ছুঁয়ে
অথচ আপনাকে বারবার হারিয়েও ফিরি আপনায়
কেননা অন্তরের বেচা-কেনা এত সহজ নয়
অনুপযুক্ত লেন-দেনের হিসাব কষে নেয়াও সহজ নয়
তাইতো চোখের জলুস ফেলে পথ ফেরে গন্তব্যে
আর বাসনারা ব্যাহত কাতরতায় বলে যায়-
পরস্পরের সম্মতি মিললে আমরা হয়ত কুটির গড়তাম!

সুন্দরের মহিমা কেমনে খুঁজিতে?

মনের মাপকাঠিতে মেপে
সুন্দরের মান ধরি
অসুন্দর আছে বলে হই
সুন্দরের পূজারি।

যদি কুৎসিত কদাকার কিছু
নয়নে না পেতে
জগতে সুন্দরের মহিমা
কেমনে খুঁজিতে?

কোথাও কেউ নেই

কোথাও কেউ নেই
ডাঙ্গায় গাছ নেই, নদীতে জল নেই
সবুজ আর ঘাস নেই, আকাশে নীল নেই
শুধু তুমি আমি মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রশ্নে
আমরা কি শুধু বেঁচে ভাষাহীন নিরবে?

কোথাও কিছু নেই
সুখে হাসি নেই, দুঃখে কান্না নেই
বেদনায় আকুলতা নেই, কষ্টে বিষন্নতা নেই
তবু পাশাপাশি হাত ধরে দাঁড়িয়ে ভাবনায়
আমরা কি আগের মতো আছি সে?

সকলে তুলিতে চায় ঘরে

অনাদরে কাননে ফুটে যে ফুল
সৌন্দর্য্য তাহার সবে না জানে
কাহার আদরে ফুটে যে ফুল
কুড়িয়ে সবে তা, টাকায় কেনে।

বুঝি বুঝি এথা
চিত্তের মর্ম ব্যথা
ব্যথাতুর হীয়ার তরে
অবহেলায় নয়
আদরে ফোঁটা ফুল
সকলে তুলিতে চায় ঘরে।

থেমে গেছে অল্পে

শৈশবের স্বল্প আলোর তেলের প্রদীপ নিভতেই
রাস্তার নিকষ কালোয় গ্রাস করত ধাঁ-ধাঁ-রা
ভূত-প্রেত, রাখাল-রাজা আর স্বপ্নপুরীর গল্পে

এখন নিয়ন আলোয় রাতগুলো দিনের মতো
আলোর পথ কমতে-কমতে মিলে গেছে পথে
আমাদের ভাবনার বিচরণও থেমে গেছে অল্পে।

আমাদের ক্ষমা করো

রাষ্ট্র যখন অন্যায়ের কাছে মাথা নুড়ে দেয়, অন্যায়কে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, তখন সে রাষ্ট্রের গণমানুষের বেহালদশার গল্পগুলো মুখে জানানোর প্রয়োজন পড়ে না।

...দেশমাতৃকা আবারও লাজ-লজ্জা হেলে উন্মুক্ত দরবারে উলঙ্গ হল। তাঁর শাসক-নিয়ন্ত্রক যারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল, জীবনের বিনিময়ে হলেও মায়ের সম্মান সমুজ্জল রাখব! তারাও অন্যায়ের কাছে নিজেদের প্রতিজ্ঞা বিকিয়ে, নিজের হাতে দেশমাতৃকাকে উলঙ্গ করে ছাড়ল, তাই তাদের জন্য আবারও-

আমাদের ক্ষমা করো-
হে আমাদের রুগ্ন জন্মধাত্রী
আমরা নষ্ট বীজে অপুষ্ট ভ্রুণ
নেই গ্রহীরে শক্তি...

আমাদের ক্ষমা করো-
ক্ষমাহীন যত অযাচিত শাপ
জন্ম মোদের সংকরিত ফল
প্রভেদে রটে প্রবাদ...

আমরা আপনা নীড় আপনি ভাঙ্গি
নির্বাক প্রতিবাদে
আমাদের জন্মধারায় সংশয় আতুরঘর
কাঁদে ধুকে-ধুকে।

আমাদের ক্ষমা করো-
হে আমাদের রুগ্ন জন্মধাত্রী
কাপুরুষ সন্তান জন্মাতে বয়েছ প্রসব বেদনা
কাপুরুষ সন্তানের ভীড়ে হয়েছ মৃত্যু পথযাত্রী।

শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭

দেখা হয়েছিল সে কবে

দেখা হয়েছিল সে কবে
কোন এক পৌষ-ফাগুনের মেলায়
মনে পড়তেই দশকের সংখ্যা পেরুই
ফিরে যাই পৌষ-ফাগুনের মধ্যদুপুর...
আগন্তুক তুমি আমি আর আমাদের চঞ্চল চোখ
মুখোমুখি হতেই কত লুকোচুরি খেলত লজ্জায়!

দেখা হয়েছিল সে কবে
কোন এক পৌষ-ফাগুনের মেলায়
সেদিন তোমার আর্দ্রগালে ছিল মল্লিকের কুসুম ছড়ানো টোল
বাঁশবনের মাতাল হিমেল হিল্লোলে ছিল কোকড়ানো চুলে দোল
আর উড়ু-উড়ু মনে পাখা মেলে উড়ছিল প্রজাপতি
আকাশের সাতরং সবুজ গায়ে মাখছিল রবি জ্যোতি

দেখা হয়েছিল সে কবে
কোন এক পৌষ-ফাগুনের মেলায়
হয়ত নির্জীব আলোড়নে মনে কোন সংবেদন পেয়েছিলে
অথবা নিলর্জ্জ কারও চোখকে দিতেছিলে ক্ষমাহীন মুক্তি!
তবুও দুটি চোখ আবদ্ধ বলয়ে বেঁধে নিয়েছিল...
আপনার আপন ভেবে আপনাকে সঁপে দিয়েছিল।

দেখা হয়েছিল সে কবে
কোন এক পৌষ-ফাগুনের মেলায়
জীবনের ভালোলাগা রং বদলে যায় সময় পেরিয়ে
ভালোলাগা ভালোবাসা পায় বার-বার অভ্যর্থনা পেলে
অথচ ভালোলাগা সে দাগকাটা হৃদয়
তুমি তো দেখলে কেবল ক্ষনিকই
আড়াল হতে আগলে হৃদয়
কি করে বুঝবে কেউ বাসে ভালো নীরবেই...

দেখা হয়েছিল এইতো সেদিন
এদিনও ছিল ফাগুনের আগুন রাঙ্গানো বেলা
হয়ত ভুলেছ হয়ত মনে আছে
কিন্তু চিনলে না বলে বুঝতে পারি
এ‘কেবল আপন মনে রাঙ্গানো আলতার রং
ধ্রুবকরাশির মান মেলাতে যা মুছতে হয় সহস্রবার
কালবেলায় কারও বেদনার ব্যর্থ অনুচ্ছেদ রচনায়।



আক্ষেপের বেদন

কলি বলল- যদি প্রজাপতির রঙ্গিন ডানা আঁকতে পার
বসন্তের মাতাল হাওয়ায় ফুটব বেনুবনে, দুলব দ্যৌলায়!

সে থেকে তুলি হতে আপন খেয়ালে
আঁকি স্বপ্ন, রঙ্গের আল্পনা
অথচ বসন্ত আসে বসন্ত যায়,
হয়না আঁকা প্রজাপতির ডানা!

এইটুকু আলোয় দেখাবে বেশ ভালো

ঘোর অমবস্যাও নামল পূর্ণিমার চাঁদ
তখন আমি ছুটছি জোনাকের পিছে,
আমার দশায় হেসে কুটিকুটি চাঁদ
বলল- বোকার মত ছুটছ কেন মিছে?

ঘেমে-নেয়ে হাসিমুখে বলি
শোনো হে অপরূপ সুন্দরী
আমার আঁধার কুঞ্জকাননে রয়েছে যতটুকু কালো
সে কালোয় এইটুকু আলোয়, দেখাবে বেশ ভালো।

বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৬

অসার জন্ম

জন্মে যাদের তীব্র ঘৃণা
মর্মে তাদের কি?
রক্ত গঙ্গা সাঁতরে সেথায়
মানুষ খুঁজেছি

মানুষ খুঁজেছি আতুরঘরে
খুঁজেছি অন্ধ কবরে
বসতঘরের চারপাশ খুঁজেছি
অষ্ট প্রহর ঘুরে

ঘুরে-ঘুরে খয়ে জন্ম
আয়ু করি পার
মর্ম চোখের চর্ম তুলে
জন্ম হয় অসার।

সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৬

গন্তব্য নিশ্চিত সবাই জানে!!!

গন্তব্য নিশ্চিত সবাই জানে!!!

তবু মনের বুভুক্ষু রেখা মাড়াবার যাতনা বড়
সোহার্দ্যে বাঁচার কাতরতায় ঢেঁকে যায় মৃত্যুর পাহাড়-উপত্যকা

মিথ্যাকেই আগলে রাখি-
যদি সত্যকেই জড়াতে চাইব-
তবে স্বপ্ন বাঁচবে কিসে?
রহস্য মিলবে কোথায়?
কিসের নেশায় উন্মোচিত হবে আদিমত্তা?
অার কেনইবা বাঁচার ইচ্ছেতে জন্মাবে জীবনের প্রতি নির্ভরতা?

বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

ভালোবেসে দেখেছ কি...

ছুঁতে চাইলে অহংকারী হিংসুটে গোলাপ
পাপড়ি ছড়িয়ে সুবাস ঢেলে উঠলে বলে
আমার মত এত কোমলরূপ পাবে নাকো...
মিথ্যে শুনতে আমার সে রাগ হয় বড়
বললেম আমি-
শুধু কি আরশিতে আপনায় রাখ?
আড়াল চোখে আমার প্রিয়ার
রাঙ্গা মুখখানী একটু দেখ!

সে দেখলে!
লজ্জায় লুকিয়ে নিলে সুবাস
গুটিয়ে নিলে পাপড়ি..
বললে আমায়-
কোথায় পেলে ষোড়শী অপরূপ কেশী?
বললেম আমি-
ভালোবেসে দেখেছ কি রূপের আরশিতে চাঁদনির হাসি?

বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬

প্রেম ও পরিণতি

শুরুটা ভালো লাগার, স্পর্শের কিংবা মনের সাথে লুকোচুরির
কিন্তু বিশ্বাসের ত্রয়োদশ বিন্দুরেখা পেরিয়ে পরিণতি সহজ নয়
কতকটা দ্যোদুলমান মন, কিছুটা মৌণস্তব্ধতা অথবা হারাবার কিছুপথ
আতঙ্কগুলো ভূত হয়ে পথ আগলিয়ে সমাপ্তিকে ইন্দ্রজালে আটকালে
আর চেয়ে নেবার মতো বাকী থাকে কেবল এক
যেখানে পরিবার-স্বজন, স্নেহ-সম্মান-দম্ভ-আধিখ্যাতা
জড়িয়ে পড়ে লক্ষ্যহীন ছায়াজালে, নাট্যমঞ্চের বিষাদে

ভালোবাসা হেয়ালীপনার মাত্রা যেমন বোঝে না
তেমনি বোঝে না এগিয়ে যাওয়া পথের সীমাবদ্ধতাটুকুও
শুধু মেঘধারার উপকূল ধরে ফেরবার আশার নৌকোটি
কূলে ভিড়বে বলেও ভেড়ে না
এখানে ভয়টা হারাবার, বিচ্ছেদের
তাই দিগন্তকে ছড়িয়ে যাবার নেশায় ঢেঁউগুলো যখন আরও অপ্রতিরোধ্য
তখন ঝরে পড়ে বেড়ে উঠা সীমানায় নিখাঁদ ভালোবাসার পালকগুলো।