মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪

ও আমার রঙ্গিন ঘুড়িগো

ও আমার রঙ্গিন ঘুড়িগো
কে নিয়ে যায়
আমি নাটাই-সুতো নিয়ে বসে আছি ও সাঁই
তোমার দরগায়।


সাঁইগো তোমার পদধুলি
হবে আমার রঙ্গিন ঘুড়ি
আমি সে ঘুড়ি উড়োতে যাব
বেহেস্তের দরজায়।


সময় গেলে রস-রঙ্গে
কার সঙ্গ হবে নবরঙ্গে
রং ঢেলে আপন অঙ্গে
না যাই গুরুর ঠিকানায়।


এখন যখন হুঁশ হল
রঙ্গিন ঘুড়ি সুতো কেটে গেল
ধর বাঁধ সাঁই রঙ্গিন ঘুড়ি (ও গুরু...)
ধরে দাও আমার রঙ্গিন ঘুড়ি
তোমায় বিনে পড়ি অসহায়।

এসেছিলে রেনুকা

এসেছিলে রেনুকা;
তাই কদম্ববনে বংশির ধ্বনি
ছায়াবনের মায়া হরিণী
তব নয়নে দেয় ধরা।


জান কি? সে কিগো কেবল মনের আপন
যে ময়ুরী নেচে যায়, যে রাগিণী ছুঁয়ে যায়
তারে ভাবিতে ভাসিতে কেনগো তবে এত গোপন।
মধুর তরী বয়ে রাগে চিত্রকুঠিরে কুহুকিনী গেয়ে যায়।


এসেছিলে রেনুকা;
হায় এসেছিলে-
নেচেছিলে নিক্বনে হীজল বনে কাহার সনে
বিরহ রাগিণী সঁপে তাহারে, নয়ন কেনগো এত ভেসে যায়।

নারীর মন স্বয়ং বিধাতাও.....

অনেকেই বলে থাকেন- “নারীর মন স্বয়ং বিধাতাও নির্ণয় করতে পারেন না”। এ কথার প্রেক্ষিতে আমার একটা কথাই জানার আছে সকলের কাছে- যদি বিধাতা নারীর মন নির্ণয়ে ব্যর্থ হন তবে তিনি কি করে পুরুষের মন নির্ণয় করেন?

যে সভ্যপুরুষ নারীকে অসতী তকমা দিয়ে সমাজের চোখে কোনঠাসা করে সুযোগে রাতে তার সাথে শয্যা রচনা করে, সে পুরুষের মন নির্ণয় বিধাতার কাছে কি করে সহজ হয়?

নির্ণয় সুকঠিন

ভাবনার বাহিরের যে জীবন, তার অবস্থান আবেগ দিয়ে নির্ণয় সুকঠিন।

মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

আমার মন দরিয়ার অকূল পাথার পাড়ি দেবে কে?

আমার মন দরিয়ার অকূল পাথার পাড়ি দেবে কে?
(ওরে) কূলহীন আমি অকূল পথে পড়ে আছি রে....

নবরঙ্গ অষ্টফাঁদে গেলাম আমি পড়ি
কোথায় আছে সোনার সংসার, কোথায় টাকা কড়ি (আমার)
নয় দ্বারে যায় পরান যায়, পথের পথিক কে?

মায়া-মায়া-মায়া করে ভ্রমিলাম সংসার (আমি)
ভ্রমিলাম দেশ-বৈদেশ শখে, করে যৌবন অঙ্গার (আমার)
বাঁশের ভেলা যায় ভেসে যায়, মাটির বাসরে....

কোথায় থেকে কোথায় এলাম করলাম আমি কি
পথের ভক্তি-শক্তি আমার, পথে হারিয়েছি (ও প্রভু)
পথহারা পথে কর কর পার, অবিবেচক অবোধরে....

শিহরিত মোদের প্রাণ

মাটির বুকে ভাসুক কথা, বাজুক মুক্তির গান
রক্ত দিয়ে কেনা এ মাটি, শিহরিত মোদের প্রাণ।

জানিব তব জন্ম কোথায়

কত রক্ত দিয়ে, কেনা এ‘মাটি
ভাষায় বোঝাতে না রি
কত হা-হা-কার, কত অনাচার
এ মাটি নিয়াছে সহি

সে কি বুঝিবে কথা, মনের মর্ম ব্যাথা
যে হয়নি পীড়িত জন
হৃদয়ের কত ক্ষত, নয়নজলে সাগর কত
জমা কত তায় আত্মপীড়ণ

আজ বল ভাই, ভূল যেন যাই
অতীত না কি ধরে পা‘য়
তোমাদের কাছে বলার, এ কেবল আছে
জানিব তব জন্ম কোথায়?

ধ্যাণপূর্ণ রক্তে ভেজা যে মাটি

ধ্যাণপূর্ণ রক্তে ভেজা যে মাটি
তার এক কদমও বৃথা যাবে না
কসম মা, তোমার মাটির একদানাও
কেউ নিংগাঢ়ে যেতে পারবে না
যতদিন বেঁচে তোমার ছায়াতলে
শতদল বীর মুক্তিসেনা....

দরিদ্রতা

দরিদ্রতা অসুস্থতাকে করে না ক্ষমা
বুঝেনা উন্মত্ত যৌবনের বেহাল অনুনয় কিসে আসক্ত।

কি ব্যাথা দেহ সহে-সহে যায়
কি ব্যাকুলতায় আকুতি‘রা হারায়
বুঝতে চায় না ষোড়শি বিকেলে কি তার আদি বৃত্তান্ত....

একদিন তাদের সঙ্গ নেব

ভাবছি উন্মাসিক মগ্নতা মেপে নেব
ধীরে-ধীরে ভূলণ্ঠিত কৃতজ্ঞতা
পাথরের অগ্নিস্নান ক্ষয়ে দেয় দেহ রক্ষার কবচ -

পথে পড়েছি
দেখছি কবেকার নবান্ন ছুটে আসে উৎসুকে
দিনে-দিনে যে স্বপ্ন চুপি-চুপি পথ হারায়
একদিন তাদের সঙ্গ নেব।

প্রয়োজনে বিনষ্ট হোক চোখ

প্রয়োজনে বিনষ্ট হোক চোখ
দেখা যদি না হয় হোক, তবুও কথা হোক।
আবেগের বিবাগী ক্ষন, কেন এত কেঁদে মরে
মরে যাবার আগে কেন তোমার স্বরই মনে পড়ে।

শিক্ষা জীবনের জন্য, সাচ্ছন্দের জন্য নয়

শিক্ষা জীবনের জন্য, সাচ্ছন্দের জন্য নয়। শিক্ষার মূল উপাদানগুলো শুধুই জীবনের প্রয়োজনে প্রয়োগের জন্য। তাই যারা শিক্ষাকে সাচ্ছন্দের উপকরণ হিসেবে খুঁজে, তাদের জীবনে শিক্ষা কেবল একটা স্বপ্ন মাত্র। যা স্বপ্নের ন্যায় যখন-তখন ধূলির্সাৎ হয়ে যেতে পারে।

মুখোশধারী

এই তোদের মতো সভ্যতার মুখোশধারী নাক সিটকানো মানুষগুলোকে দেখলেই আমার ঘেন্না লাগে। শালা সুগন্ধীযুক্ত খাবার খেয়ে হজম করতে না পেরে দূর্গন্ধ মল ত্যাগ করিস, সে মলে নোংরা কীট জন্মে। সযত্নে রাখা তোদের সোনার দেহ পঁচেও দূর্গন্ধ ছড়ায়, নোংরা কীট জন্মে। অথচ অহংকার তোদের ধমে না। না অতটা ক্ষ্যাপিস না, বলি এই জীবনের সাথে মিশে দেখ...জীবনের প্রতি যত অভিমান আছে সব কেটে যাবে, জীবনকে উপভোগ করতে পারবি।

মুখোমুখি

মুখোমুখি আমি আমার ছায়া একাকী
বলতে চাইনা কিছু , শুধু কি বলে দেখী

হৃদয়ভাঙ্গানো উর্বশী

চোখে আলো পড়ে তখন ঝলসে উঠে চোখ
অলস দুপুর পড়ে-পড়ে যাচ্ছে করে ক্ষোভ
তখন তুমি নৃত্যচলে হৃদয়ভাঙ্গানো উর্বশী এক।

যে ধারণ করে সে বহনের চেষ্টা করে

যে ধারণ করে সে বহনের চেষ্টা করে। কিন্তু যার মধ্যে ধারণ করার কোন প্রয়াসই নেই তার বহন করার অভিলাষ থাকে না বরং সে ধারণকারীর বহনে অযাচিত হস্তক্ষেপ চালায় এবং বহন করার প্রয়াস নস্যাৎ করে।

আমিতো....

সময় সময়কে দিক নির্দেশনা দিচ্ছে, আমিতো কেবল সময়ের দিশারী।

বাঙ্গালী জাতি

খড়গ হস্তে ধরে, পত্রে ছাড়ি
এ আমাদের নীতি
আমরা ভূল মগজে, কর্ম ভুলে
হয়েছি বাঙ্গালী জাতি।

প্রকৃত বীর

কৌশলী হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা খুবই সহজ, শুধু নিজের ভাব-প্রকাশ-অভিলাষ লুকিয়ে রেখে সৌহার্দ্যপূর্ণ বাণী প্রচার করতে পারলেই চলে। কিন্তু প্রকৃত বীর তাঁর কর্মে-আচারে বীরত্ব প্রকাশ করে।

সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

শর্ষ্যের ভেতর ভূত

কত শর্ষ্যের ভেতর ভূত
কত ভূতের ভেতর শর্ষ্য
আমি ছড়াতে পারিনি কিছু, আমি মেনেছি সবের বশ্য
আমি সব নিয়েছি মেনে
আমি যাচ্ছি দিন গুনে-গুনে
যাকনা জীবন দেখিয়ে তার বিভ্রম রহস্য।।