রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৪

আমরা শ্রদ্ধেয়জনকে শ্রদ্ধা করব আর ঘৃণিতজনকে ঘৃণা

আমরা শ্রদ্ধেয়জনকে শ্রদ্ধা করব আর ঘৃণিতজনকে ঘৃণা। স্বাধীনতার প্রাক্কালে এদেশে অবস্থানরত যেসকল জারজ দেশের বিরূদ্ধাচারণ করার পরও রাষ্ট্র তাদের তোষন করে স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চিত করেছে, সে রাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ এবং জারজদের প্রতি ঘৃণা আমাদের আমৃত্যু জেগে থাকবে। শুধু এই নয়, নয়া উথিত জারজদেরও কোন নিষ্ঠাবান নাগরিক ক্ষমা করবে না কোনদিন। কিন্তু একটা বিষয়ে আমার বলার আছে, তা হল আমাদের এমন কোন আচারণ করা শোভা পায় না, যা কিনা ভন্ডামীতে গিয়ে ঠেকে। হ্যাঁ; আমি বলছি গোলাম আজমের কবর দেয়া প্রসঙ্গে-
এই জারজের প্রতি আমাদের ঘৃণার মাত্রা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, সে আজীবন আমাদের মনে বিশ্বাসঘাতক মীরজাফরের মতো কুলাঙ্গার হয়ে বেঁচে থাকবে। তাই আমরা সচেতন থাকব যাতে এই কুলাঙ্গারকে রাষ্ট্র কোনপ্রকার সন্মানিত করার সুযোগ না দেয়। কিন্তু কবর দেয়ার ব্যাপারে আমাদের কোনপ্রকার হস্তক্ষেপ ঠিক হবে না। আমার মতে- এ কৃলাঙ্গারের অবস্থান যেহেতু বাংলাদেশে, তাই এই কুলাঙ্গারের কবরের ব্যবস্থা বাংলাদেশের বাহিরে করা সম্ভবপর নয়। যেহেতু সম্ভবপর নয়, তাই যতদ্রুত সম্ভব কুলাঙ্গারটিতে কবর দেবার সুযোগ দিয়ে কোনপ্রকার সন্মান প্রদর্শন বন্ধকল্পে আমাদের সক্রিয় অবস্থান জরুরী।

আহত আমি

প্রায় এক বছর ধরে আমার বাবা বেশ অসুস্থতায় ভূগছে। নিজের সামার্থ্য অনুসারে যতটুকু সম্ভব তাকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। বাবার মূল সমস্যা ডায়াবেটিস, কিডনীর সমস্যা আর খাদ্যনালীতে পাথর। বাবার চিকিৎসা হচ্ছে মূলত ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হসপিটাল (বারডেম) ‘এ। কিন্তু সময় অসময়ে নোয়াখালীতেও ডাক্তার দেখাচ্ছি। খাদ্যনালীতে পাথর অপারেশনের ব্যাপারে বারডেমে কথা বললাম। কিন্তু তারা বলছে বাবার যেখানে পাথার সেখানের পাথর অপারেশন করে মূলত কোন লাভ হবে না, তাছাড়া অপারেশনের মতো বাবার শারীরীক উপযুক্ততাও নেই।
ইদানিং বাবার যে সমস্যা বেশী হচ্ছে তা হল- একটু হাঁটাহাঁটি করলেই বাবার পা বেশ ফুঁলে যাচ্ছে আর পা ফোলা সহজে কমছে না। কিন্তু হাঁটা-হাঁটি না করেও উপায় নাই। কারণ আমি ঢাকায় থাকায় বাড়িতে বাজারসহ সাংসারিক কাজ করার মত কেউ না থাকায় বাবাকেই তা করতে হচ্ছে।

অবস্থান নির্ণয়

নিজের অবস্থানে দাঁড়িয়ে অন্যের অবস্থান নির্ণয় করতে শিখতে হয়, না হলে নিজের পক্ষে স্বাভাবিক জীবন-যাপন যেমন কঠিন তেমনি অন্যের স্বাভাবিক জীবন-যাপনেও আপনি বাঁধা।
স্বাভাবিক ভাবনাই কেবল আপনাকে মানষিক প্রশান্তি দিতে পারে। যে দোষী তাকে তার দোষের ভার বহন করতে দিতে হবে, অস্বাভাবিক ভাবনায় হিসেব-নিকেশ করে যারা স্বাভাবিক ভাবনাকে অস্বাভাবিক করে তোলে, সমাজ-সংসার দূষণে তাদের অবস্থানই মূখ্য। যতটা সম্ভব এদের পাশ কাটিয়ে চলুন, এরা নিজে সুখ না পেয়ে অন্যের সুখ কেড়ে নেয়।

মুক্তি ও বাঁধা

যার দায়বদ্ধতা আছে সে দায়মুক্তির চেষ্টা করবে, কিন্তু দায়বদ্ধহীন লোক সজ্ঞানেই দায়বদ্ধলোকের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করবে।

ভূল

ভূল মানুষকে ভালোবাসতে নেই, এতে আপনার ঘরে আগুন লাগিয়ে ভূল মানুষ সমেত আপনাকেই পুড়ে মরতে হয়।

বিশুদ্ধ নারী খোঁজ

আমার এক কলিগ পাত্রী পছন্দের জন্য গতপরশু গিয়ে আজ ফিরে এলেন। জিজ্ঞাসা করলাম- কি অবস্থা? পাত্রী পছন্দ হয়েছে? আমার প্রশ্নের উত্তর না দেয়ায়, আরোক কলিগ উত্তর দিলেন- তার পাত্রী পছন্দ হবে কি করে? তিনি ত বিশুদ্ধ পাত্রী খুঁজতেছেন। আর এখন কি বিশুদ্ধ পাত্রী আছে?
আমি রসিকতার সুরে বললাম এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া, আপনার আমার মতো পুরুষ‘রা নারীকে জোর করে ধর্ষণ করতে না পারলেও চোখ দিয়ে প্রতিনিয়ত যে পরিমান ধর্ষণ করে চলছি তাতে বিশুদ্ধ নারী খুঁজে পাওয়া সত্যি দুষ্কর!!!

সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৪

লুকিয়ে রাখাতেই সুখ

জীবনের সামনে অনেক বিষয় উত্থাপিত হয়। এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলো বড় বেশি বিষাদের। তবুও কিছু-কিছু ব্যাপার সময়ে লুকিয়ে রাখাতেই সুখ থাকে।

জানানো

জানি আমার পাওয়ায় না পাওয়ায় দেশ-জাতি-সমাজের সহানুভূতি ছাড়া এতটা ক্লেশ বা ক্ষোভ জন্মাবে না, কারণ সবারই আমার মত ত্রাহি-ত্রাহি অবস্থা। তবুও নিজের ক্ষোভ চাপা রাখতে না পেরে প্রতিনিয়ত জানান দিচ্ছি নিজের আকুতিগুলোকে, নিজের অনুভূতিগুলোকে। বিশ্বাস, যদি সেখানটায় আগুনের দাবানল ধরাতে পারি, যদি সেখানকার দাবানলের আগুনে জ্বালিয়ে দিতে পারি মুখোশধারী কপট স্বার্থাণ্বেষীদের। যারা ক্ষমতার দাপটে আমি বা আমাদের মেধা, শ্রম সর্বস্ব লুটে নিয়ে আমাদের বিকলাঙ্গ করে ছাড়ছে।

সংঘবদ্ধ

হাজার মতাদর্শ লালিত যে বাঙ্গালী জাতি, তাদের চাইলেই একত্রীভূত করা সম্ভবপর নয়। চাইলেই তাদের কাছে সঠিক মতাদর্শকেও সঠিক বলে প্রমান করা সম্ভব নয়। তাই বাঙ্গালী জাতিকে সামষ্টিকভাবে একত্রীভূত করতে হলে তাদের প্রয়োজনগুলো চিহ্নিত করে তাতেই তাদের প্রলুব্ধ করতে হবে। কারণ- অনৈক্য সংঘ কেবলমাত্র প্রয়োজনের খাতিরেই সংঘবদ্ধ হয়।

প্রস্তুতি

যেকোন বিষয়ে ঝাপিয়ে পড়ার আগে বিষয়টি সম্পর্কে আপনার শারিরিক এবং মানষিক প্রস্তুতি সম্পর্কে সজাগ থাকা জরুরী। একটা বিষয় সবসময়ই মনে রাখা প্রয়োজন পড়ে- প্রস্তুতি ব্যতীত হাতের জ্বলন্ত কাঠি হাতেই পুড়ে নিঃশেষ হয়, তা দিয়ে দাবানল তৈরী সম্ভবপর হয় না।

সত্য প্রতিষ্ঠা

আপনি যদি সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য লড়তে উন্মুখ থাকেন তবে সকল প্রকার শত্রু-মিত্রদের নিয়ে সাথে কাজ করুন। ছোট-ছোট শত্রুদের সাথে লড়ে টিকে থাকতে পারলেই কেবল আপনি বড় শত্রুদের মোকাবেলা করতে সমর্থ হবেন।

সেনানায়ক

যুদ্ধ করতে গেলে সেনানায়কের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশী। সব সেনাই আগুন জ্বালাতে পারে, বারুদ ধরাতে পারে। কিন্তু কোথায় যে বারুদের আগুণ ছুঁড়তে হবে সে জানে না।

পৌঁছা

গন্তব্যে সবাই পৌঁছতে পারে, পার্থক্য- কেউ বুদ্ধি-অভিজ্ঞতা-কৌশল খাটিয়ে সরল পথ নির্মাণ করে পৌঁছে, কেউ ভাগ্য জোরে সহজ পথ পেয়ে পৌঁছে আর কেউ ঘুরে-ঘুরে শ্রান্ত দেহের ক্লান্তি নিয়ে পৌঁছে।

বাড়ন্ত

ভূল পথে গন্তব্যের পথ বাড়ে।

সমর্থ্য

যেহেতু সমাজ-সংসারে মায়া-মমতা ও সৌন্দর্য্যের আঁচড় আছে, সুতরাং উপলব্ধ ব্যক্তি কখনওই সমাজ-সংসারের পিছুটান হতে মুক্ত নন। কিন্তু কেবলমাত্র একজন সত্যিকারের জ্ঞাতা `ই সমাজ-সংসারের সমস্ত পিছুটানকে উপড়ে ফেলতে সমর্থ্য হন প্রয়োজনের তাগিদে।

মৃতসদৃশ এই স্বপ্নগুলো

মানুষের জীবনে অনেক স্বপ্ন থাকে, সাধ থাকে। স্বপ্নগুলো রাত-দিনের আলোয় নিজেদের প্রকট-প্রচ্ছন্ন করে। সময়ের ধারায় স্বপ্নের ধারাও পরিবর্তিত হয়। কিন্তু একটা বিষয় নিয়ত ঘুরে-ফিরে দেখি, তা হল- প্রায় প্রতিদিন এক-একটা স্বপ্ন মারা পড়ে, মারা যাওয়া স্বপ্নের প্রকোষ্ঠে আবার নতুন স্বপ্ন ধরা পড়ে। তবুও কিছু-কিছু স্বপ্ন আছে যারা ক্ষয়ে যেতে-যেতে শেষধাপে এসেও হৃদয়ের গহ্বরে আঠার মতো লেগে জানান দেয় তার অস্তিত্ব। আর তার এই শেষধাপে এসে নিজের অস্তিত্ব জানান দেয়ার মাঝেই মাথা ছাড়া দেয় স্বপ্নগুলোকে বাঁচাতে না পারার হতাশা। হতাশাগুলো দিন-দিন সমস্ত অর্জনকে ধীরে-ধীরে নিঃশেষ করে। কিন্তু আশ্চার্য ব্যাপার হল- চাইলেই মৃতসদৃশ এই স্বপ্নগুলোকে ছেটেও দেয়া যায় না, কারণ এই স্বপ্নগুলো সম্পূর্ণ মরে গেলে বেঁচে থাকার সব সাধ-বাসনাই মরে যায়, মানে পুরো মানুষের অস্তিত্বটাই মুহূর্তে বিলীন হয়ে পড়ে।

আজ-কাল যেকোন সুশিলদের দেখলেই আমার হাসি পায়

আজ-কাল যেকোন সুশিলদের দেখলেই আমার হাসি পায়, তেনারা বেশ চমকপ্রদ পোষ্ট প্রসব করেন কিন্তু যখন প্রসব করা পোষ্টটি নিয়ে কঠোর সমালোচনা হয় তখন তেনারা নিজেদের চেপে রাখেন। সেখানে প্রয়োজনীয় অতী গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থাকলে এবং সেসবের উত্তর দেয়া অভিসম্ভাবী হয়ে উঠলেও তেনারা সেখানে কোন মন্তব্য করেন না।
কিন্তু কেন? তবে তেনাদের পোষ্টের উদ্দেশ্য কিংবা রহস্য কি? তেনারা কি চান যে তেনাদের পোষ্ট লাইক কমেন্টে ভরে উঠুক আর দ্বিধা-দ্বন্দে পড়ে আমজনতা বিভ্রান্ত হোক? তেনাদের আজ-কালকের সুশিলতা দেখে একটা কথাই শুধু মনে ভাসে- অসৎ সন্তানের বাবা-মা‘রা সন্তানকে মানুষ করতে চেষ্টা করে যখন ব্যর্থ হয় তখন তারা তাকে কেবল তার অধিক উপার্জনের পারঙ্গমতা দেখে ভালোবাসে। আমাদের সুশিলদের অবস্থাও কি তাহলে দিন-দিন সেখানে গিয়ে ঠেকছে?

জায়েজ করা যায় কি না?

নিত্য-নিমিত্তিক যা চোখে ভাসে, তাকে আমরা সাধারণ বলি
কারণ আমাদের চোখ মুষলধারের বৃষ্টির মত যখন-তখন ভিজে,
সচেতন সমাজ দেশ-জাতি-জনগন সবার ভাবনা মাথায় রাখে
শ্রেণীসংগ্রাম-জোচ্চুরি-মিথ্যা-পুঁজিবাদ তারাই আমাদের শিখিয়েছে।

একটু-আধটু শিক্ষায় আমরা আজ নিজেদের নিয়ে যখন ভাবতে শুরু করেছি
যখন আমদের রক্ত টগবগে করে উঠার অপেক্ষায়, তখন; ঠিক তখন দেখি

পুঁজিবাদের লাগাম টানতে যে সচেতন সমাজ চিৎকারে গলা শুকিয়েছে
তারাও মিথ্যা ছড়ায় নিজের স্বার্থহাসিলে, চোখ খুলে যাওয়ায় এ দেখে ফেলেছি
তাই ভাবছি চারদিকে যখন টানা-হেঁছড়ার দ্যৌলা-খেলা চলে সুচতুর কৌশলে
সেখানে তাদের একটু-আধটু মিথ্যা জায়েজ করা যায় কি না?

শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৪

অসন্তোষ

প্রত্যেকের উচিত নিজের দায়িত্ব কর্তব্য ঠিক করে যথাসাধ্যের সহিত তা সম্পন্ন করা। যে নিজের দায়িত্ব কর্তব্যের প্রতি সজাগ নয়, যে ঠিক করতে পারে না কোনটি নিজের দায়িত্ব কোনটি অন্যের- অসন্তোষ সৃষ্টিতে তার ভূমিকাই প্রধান। কারণ হিসেবে নিচের গল্পটির ভাবার্থটিকে নিতে পারেন।

অনুগল্পঃ অসন্তোষ
===========
একলোকের স্ত্রী একটি ছেলে সন্তান প্রসব করলে সন্তান প্রসবের পরবর্তী সময় প্রসূতি আর আগত সন্তানের দেখাশুনার জন্য একজন স্ত্রীলোকের সান্নিধ্য খুবই জরুরী হয়ে পড়ে। কিন্তু কিছুটা সহজ-সরলতার আর একরোখা স্বভাবের ধরুন কারও সাথে ভালো সদ্ভাব বজায় না থাকায় সে নিজের কর্তব্য সমন্ধে কোনভাবে সজাগ হতে পারছেনা।

মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৪

শতকে দুই একজনই কেবল মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকে

জন্মের পরপরই আমাদের একচোখ কানা করে দেয়া হয় আর বাড়ন্তবেলায় কানা হয় বাকী চোখ। যদি বাকী চোখটিকে কানা করা সম্ভব না হয় তবে ব্যথায় কুকরানো অভিনয়ে হলেও তা কানা বলে চালিয়ে নিতে হয়। এতে নিজের অজ্ঞতাকে খুব সহজে ঢেঁকে রাখা সম্ভব হয়, পাশাপাশি দৈণ্যতার জন্যও কারও মুখোমুখি হতে হয় না।
জন্মে যে চোখ কানা হয়, শতকে দুই একজনই কেবল প্রাণপণ চেষ্টায় নিজের কানা চোখটিকে সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয়। আর এই দুই একজনের সামান্য রটনাও সবচেয়ে বেশী ছড়ায়। তবে সব থেকে বড় যে সত্যিটি সামনে দাঁড়ায়, শতকে দুই একজনই কেবল মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকে।

জিজ্ঞাসা

মৃত্যুর কাছাকাছি জন্মের ঘুমে
বিষবৃক্ষ নীলঘুম দিয়েছিল চুমে
জরায়ু ভ্রুণে লেগে জমে যে বিষ
জন্মিতে জন্ম স্বাদ নিঃশ্বাসে নিস
বেদ-কোরানে বিভেদ যেমন জন্মে গ্রন্থবাদী
চক্ষুবিষ দমে লুকায়ে আসছে সকল মানবাদী
লোকচক্ষুর যা অন্তরাল, পায় না কেউ টের
সাম্প্রদায়িক মুখের বুলি আড়ালে তীর ফের
এমনি করে জগত জীবন যাচ্ছে টেনে-টেনে
মানুষ আমরা মানুষ কি রই, সত্য প্রহসণে?

মতভেদ

চোর চুরি করে আর চুরি মহাপাপ। কিন্তু এই চুরি করাটার অর্থ জন বিশেষে ভিন্ন। যেমন কেউ বলে সে পেটের দায়ে চুরি করেছে, কেউ বলে বাধ্য হয়ে চুরি করেছে, কেউ বলে শালা হারামির বদ-স্বভাব বশে চুরি করেছে, তাই বিতর্কের বিষয়টিও জনবিশেষে ভিন্ন হবে।

সাহিত্য

সাহিত্যিক যত্ন করে রুপালী কাগজ আর সোনালী কলমের
দুই‘য়ে মিলে জড়ো করে বিবেকি বিন্যাসের কর্মকান্ড আর স্পন্দন
সোনালী কলম ফালি-ফালি করে কাটে রুপালী কাগজের নাড়ী-নক্ষত্র
জমাট বাঁধা কালো-কালো ছোপে তাতে অক্ষর হয় কিছু অশ্রু বিসর্জণ।

জীবনযুদ্ধ

যুদ্ধের ঢংঙ্গা পেছনে বেজে যাচ্ছে অবিরত। এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই এতে, কেননা এ‘যে জীবনযুদ্ধ। নাকের ডগায় যতক্ষন শ্বাস থাকে ততক্ষন লড়ে যেতে হয়, না হলে ভীরুর ন্যায় অন্ধকারে পালিয়ে বাঁচতে হয়। না অন্ধকারের পালাতে চাই না, নিজের সামার্থ্যক্রমে লড়ে যেতে চাই। কারণ লড়াকু পরাজিত বীরের গৌরব থাকে, কিন্তু কাপুরুষ জঞ্জালরুপে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হয়।

সম্পর্ক

জন্মের পর সম্পর্কগুলো ধীরে-ধীরে পূর্ণ হয়
মৃত্যুর আগে সম্পর্কগুলো ক্ষয়ে-ক্ষয়ে নিঃশেষ হয়।

চেনা

উদারমনা আর উদ্ভ্রান্ত এ দুই শ্রেণীরলোক নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে পারে শত সংকোচ কেটে। কিন্তু যে নিজের দেহ অলংকরণের জন্য খুঁতখুঁতে হয়, দ্বীধাহীনভাবে বলা যায়- সে স্বার্থপর। কোনপ্রকার কার্য্যসিদ্ধি ব্যতীত তার কাছে কিছু আশা করা বৃথা।

সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৪

বলিদান

চাপাতির নিচে ঢলে পড়ে জীবন হয় বলিদান
পথ-ঘাট ভেসে যায় রক্তস্রোতে, নিয়তির কর্মধারায়
ভাঙ্গাকাঁচের জানালায় ভেসে আসে কাঁচামাংসের গন্ধ!

সকলে কেবল বাহিরেরটাই দেখে

স্বাদ-ইচ্ছে যাই থাক না কেন, সকলে কেবল বাহিরেরটাই দেখে। বাহিরের অভিব্যক্তিকে কেবল সত্য হিসেবে ভাবতে চায়।
আপনি আপনার প্রেমিকাকে মিথ্যে আশ্বাসে বারংবার বলছেন ভালোবাসি, সে তাই মানবে। সে বুঝবে আপনার মত তাকে কেউ কোনদিন ভালোবাসে নি, বাসবেনা। সে আপনার জন্যই কেবল ব্যকুল হবে।
আপনজনের অসুস্থতায় আপনি শুধু আবেগগুলো প্রকাশ করেন মুখ দিয়ে, তবেই হবে। তারা বুঝে নেবে, আপনার মত কেউ সতর্ক যত্ন নেয় নি, নেবে না।
কিন্তু কেউ এতটুকু বুঝেও বুঝতে চায় না কিংবা কাউকে এতটুকু বোঝানো সম্ভবপর হয় না, ভালোবাসা সবার মাঝেই থাকে, সবসময়ই থাকে আর সকলেই ভালোবাসার অনলে পুড়ে। পার্থক্য কেউ বাহির পৌঁড়ায় আর কেউ অন্তর। বোধে নিলে এ সত্যই কেবল ধরা পড়বে।

স্বার্থ

অনেক ভেবে দেখেছি, এখনও ভাবছি। উত্তর একটাই মিলল, কেউই ছাড় দিতে রাজি নয়, কেউ ছাড় দিতে চায় না। না বাবা, না ভাই-বোন, না পাড়া-পড়শি-বন্ধু-বান্ধব। স্বার্থসুখেই সকলে মুখে কবুল বলে, আবার স্বার্থ পুরোলেই তালাক দিয়ে পিছু হটে। মুখের কিংবা সুখের স্বাধীনতা নামক স্তবকটিও ভাব না বুঝে নিরুদ্দেশে চলে যায়। সময় মুখোমুখি দাঁড়ালে মতের বিমতে দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তির হাতেও খড়গ চলে আসে।

সজাগ



জীবনযুদ্ধে নিজেকে একা লড়ে যেতে হয়, কিন্তু বাঁচতে গেলে সবাইকে নিয়েই বাঁচতে হয়।
তাই যাদের নিয়ে আপনাকে বাঁচতে হবে তাদেরকে ছাড় দেয়ার মানষিকতা সম্পর্কে বারংবার সজাগ করুন। না হলে আপনার নিজের বেঁচে থাকাটাই দূরহ হয়ে পড়বে।

আলোর বিশোধনে

দিন-রাতগুলোকে আগের মত আলাদা করতে পারি না
আলাদা করতে পারি না হৃদয়ের আধকৌণে জমা স্মৃতিভার।

বুক পকেটে খোলা খামে চিরকুটটি সাক্ষী হয়ে যায়
শুধু সিঁথিতে সিঁধুর লেগে কারও বাসর রচিত হয়,
আর মেনে নিতে না পারা কারও আঁচল ভিজে যায়।

জীবনের বেলাভূমে সবকিছু বড় বর্ণিল!
অথচ আলোর প্রকাশে কত স্বরূপের ব্যত্তি ঘটে
কুয়াশাঘেরা পৃথিবীরও ঘোর কাটে আলোর বিশোধনে।

ছল্

ঘর বেঁধেছি-
সুখকে নিয়ে নয় বরং তোমাকে নিয়ে
স্বপ্ন সাজিয়েছি-
কাউকে দিয়ে নয় বরং তোমাকে দিয়ে
অথচ সাজানো নাট্যশালার রঙ্গচিত্রে-
আমাকে করতে হল প্রতারক পাঠে অভিনয়?

শ্মশানঘাট

পড়ন্তবেলা স্মৃতিকথার হানা দেয়া শেষ হলে
মেঘদল কাঁশফুলে শরতের আকাশ ছুঁয়ে যায়
হঠাৎ অবধারিত বারিধারা নামে,
সমাপ্তীরগল্প পুকুর পাড়ে রচনা করে শ্মশানঘাট।

স্বীকৃতি

যদি আপনি এক ঘন্টা পরে ঘুমান, যদি আপনি এক ঘন্টা আগে উঠেন
তবে পৃথিবীতে কেউ স্বীকার করুক বা না করুক, আপনি অন্য কারও থেকে বেশি কিছু করেছেন।
জানি আপনার কর্মে আপনার কোন লাভ হয়ত হবে না, হয়ত আপনাকে কেউ আপনার যোগ্য সম্মানে অবহেলা করবে, কিন্তু আপনার ভিতরকার শক্তিতে আপনি দৃড় হবেন, আপনি তাতেই এগিয়ে যাবেন। আর এই এগিয়ে যাওয়াই আপনাকে বাঁচিয়ে দেবে, আপনার কর্মের গুণকৃর্তিতে।
------শ্রদ্ধেয় রেজা স্যারের কথা কে কিছুটা বিস্তৃত করে সাজিয়ে লেখা। ( এটা আমার সিনিয়র কলিগ সবুজ ভাইয়ের মাধ্যমে জানা।)

শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৪

মানুষ বাঁচে

মানুষ বেঁচে থাকে নিজের কৃর্তিগাঁথা স্থাপনের আশায়
নতুবা অকারণ অস্পষ্ট বেদনা পুষে রাখার আশায়!

বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০১৪

বেওয়ারিশের আত্মকথণ

পঁচা-গলা আবর্জ্জনার আঁশ দেহে লেপ্টে মলিন হয়েছে খুব
বুভূক্ষু আমি ক্ষুধায় রাস্তায় নামি, ডাস্টবিনে খাবার পাই
পঁচা খাবারে পেট ফুঁলে, মল ঝরে, পথে পড়ি-পড়ি করি
অদেখা অন্তহীন পথে তবু আমি মানুষ হয়ে বেঁচে আছি!


অতীতেও আমি মানুষ হয়ে ছিলাম, বর্তমানেও আমি মানুষ
ভবিষ্যতেও আমি মানুষ হব, ঈশ্বরের নাকি প্রতিজ্ঞা তাই
জন্মের পর জন্ম হবার আক্ষেপ ঘুছে যায় সলর্জ্জ অভিমানে
দূর অধরায় বসে ঈশ্বর খুশিতে ভ্রুকুটি কাটে ভাবোউল্লাসে!

রাগ

আগের মত রাগছি না
তোমার সাথেও থাকছি না
হয় যদি হোক-
সব কিছুর আজ অবসান,
দিন পড়ছে বলে চলি
পথের সাথে কথা বলি
পথ ভূলে হোক-
চোখ ইন্ধনের আহ্বান।