আলোচনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আলোচনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭

পরিস্থিতি মোকাবেলা

ঠান্ডা মাথায় যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করবার মত মানষিক দৃড়তা চরিত্রের সবচাইতে বড় গুণ, যা বেশিরভাগ মানুষেরই থাকে না।

আজ অফিসে আসার সময় শতাব্দী গাড়ির গেইটম্যানের চারিত্রিক দৃড়তায় আমি মুগ্ধ। মুলত পরিস্থিতি খারাপ হতে না দিয়ে অন্যায়কারী কে যথাযথ জবাবে প্রতিহত করবার মত দক্ষতা কেমন হতে পারে তা দেখলাম। 

ঘটনাটি হল- আমাদের গাড়ি পল্টনের কাছাকাছি পৌঁছতেই বামদিকে একটু সাইড করায় একটা মাইক্রো গাড়ি বের হতে অসুবিধা হওয়ায়, সে গেইটম্যানকে বাজে ভাষায় গালি দিতে থাকলে গেইটম্যান কিছুক্ষন চুপ থেকে জবাব দিল- আমাদের দুজনকে দেখতে তো একই দেখাচ্ছে, যদি আমি তাই হই তবে আপনিও তো ভিন্ন হবার কথা নয়। 

চিন্তা করুন- সে কি করে একই গালি প্রতিপক্ষকেও দিল। অথচ প্রতিপক্ষের কিছুই বলার সুযোগ থাকল না।

আমি মূর্তিপূজা শতভাগ সাপোর্ট করি

আমি মূর্তিপূজা শতভাগ সাপোর্ট করি এবং এটাকে সম্মানের সহিত দেখি। অনেকে বলতে পারে এটা আমার ধর্মের অনুসঙ্গ হিসেবে তা আমি করি, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা মোটেই নয়। কারন জন্মে মানুষ যদিও পরিবার কিংবা তার সমাজের ধরুন কোন বিশেষে আকৃষ্ট হয় কিংবা তার প্রতি দূর্বলতাবোধ করে। কিন্তু বিস্তৃত সমাজ পরিসরে বসবাস করতে গিয়ে সকলের সামষ্টিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে সে ঘোর অনেকটাই কেটে যায় বলেই আমার বিশ্বাস।

এখন প্রশ্ন হতে পারে- কাল্পনিক, পৌরনিক অথবা মৃত মিথ!!! -কে বিশ্বাসে আগলে আমার সাপোর্ট এবং সম্মানের কারন বা হেতু কি?

যদিও লেখালেখির কলরোলে আমাকে খুব কমজনই জানে- তবুও সত্য যে, আমি দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখির সাথে সংযুক্ত। আর এ লেখালেখি করতে গিয়ে আমি একটা বিষয় খুব বেশি অনুধাবন করি, তা হল- বাস্তবতা আপনি যতই নিরীক্ষন করুন না কেন, আপনার পর্যবেক্ষনকে রুপদান করতে গেলে অথবা তাকে নিখুঁত ফুটিয়ে তুলতে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবেগ এবং কল্পনা- এ দুইয়ের আশ্রয় নিতেই হবে। আবেগ ব্যতীত অনুধাবন যেমন সম্ভব নয়, তেমনি কল্পনা ব্যতীত বিষয়ের আশ্রয়ও কঠিন। ধরুন রুপগুণহীন নারী সুদর্শন পুরুষকে কামনা করছে যদিও তার অনুপযুক্ততার বিষয়ে সে শতভাগ নিশ্চত। একইভাবে কল্পনায় যে পুরুষটি সুদর্শনা নারীটিকে ছুঁয়ে যাচ্ছে! তাও মিথ্যা। কিন্তু তবু তাতে তারা আবেগের আহ্লাদী আহবানে অন্তরের প্রসন্নতার খেয়ালটুকু মিটিয়ে নিচ্ছে। আসলে চোখের দর্শন আর ব্যক্তি আকর্ষন কখনোই উপযুক্ততা কিংবা অনুপযুক্ততা খোঁজে না, যতটা অতৃপ্ত বাসনার খেয়াল মেটায়।

আমি কি আমার বিষয়ের বাহিরে চলে যাচ্ছি? না মোটেই না। আসলে আমি জানাতে চাইছি, সুদর্শন-সুপুরুষ, সুদর্শনা-গুণবতী নরনারী যদি না হত অথ্যাৎ সবাই দেখতে এক হত, তবে ভিন্নভাবনার প্রাসঙ্গিকতা আসত কোথা থেকে? 

তারমানে, ভিন্ন ভাব-ভাবনা সে প্রকৃতির ইচ্ছেতেই হচ্ছে আর দুনিয়াতে বেঁচে থাকবার এই কেবল অনুসঙ্গ!

অন্য আর একটি প্রসঙ্গে ফিরি- ধরুন আপনার কাছে জানতে চাওয়া হল- আপনি বেঁচে থাকতে চান কেন? আপনি কি জবাব দেবেন? আপনাকে ভাববার সুযোগ দিচ্ছি, দয়া করে ভেবে বলুন। ভাবতে দিলে অনেকে হয়ত উত্তর দেবেন, স্রষ্টার ইচ্ছেতে তাঁকে ডাকতে, তাঁর চরণের সান্নিধ্য পেতে! কিন্তু মুখ থেকে বেরিয়ে পড়া কথাগুলো কোনটাই বিশ্বাসযোগ্য মনে করি না। এগুলো কেবলই বলার জন্য বলা কথা, দু একজন ব্যতীত বাকি সবার বেঁচে থাকবার ইচ্ছে ভিন্ন, যেটা মন ভাবছে কিন্তু মুখ বলছে না। আসলে বেঁচে থাকবার বাসনায় মানুষের ইচ্ছেতে প্রথম স্থান পায় আত্মপ্রসন্নতা। মানে মানুষের জীবনে বেঁচে থাকার ইচ্ছেতে সুখ-স্বাচ্ছন্দ-বিত্ত-বৈভব-আনন্দ-অভিলাষ এগুলোই আগে স্থান পায়। আর পূজা-পার্বন হল একপ্রকারের আনন্দ-অভিলাষ। যা অন্তত একদিনের জন্য জীবনে বেঁচে থাকবার গতি দেয় আর মনের ভিতরকার আকাঙ্খার প্রকাশকে শূন্যে ছুড়ে দেয় ধরার আগ্রহে।

আর মূর্তি?

এটা কেবলই প্রতীক। সনাতন ধর্ম মতানুসারে- নিরাকার ঈশ্বরের আরাধনা কঠিন বলে মানুষ সাকারের পূজায় আকৃষ্ট হয়। এখানে ঐ বিষয়টিই আগে প্রাধান্য পায়, সুদর্শন কিংবা সুদর্শনার রুপালব্ধি সহজ বিধায় অনুপযুক্ত কিংবা আপ্রাসঙ্গিকেই ঘিরেই সকলে অভিলাষ সঁপে বাঁচে।

রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬

বাঙ্গালি থেকে গালি

অনেকে বলে থাকেন- গালিটাও নাকি একপ্রকার আর্ট, যে আর্ট মানুষ মনের অন্তঃগোছরে এঁকে রেখেছে সে আদিমকাল হতে। আমিও তাই মনে করি, জীবনের প্রতিটি আলোক বিচ্ছুরণের বিম্ব কিংবা প্রতিবিম্ব যখন চোখের কোণে ধরা দেয়, তখন সে মনের মাঝেও উজ্জ্বল পটরেখা এঁকে যায়।

আমি গাঁয়ের ছেলে। গাঁয়ে থাকাকালে আমাদের বেশীরভাগ সময়ই ঘুম আসত গালি-গালাজের শব্দে আবার ঘুমও ভাঙ্গত তা শুনেই। জীবনের সাথে এর এতটা অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক এমন ছিল যে, মাঝে-মাঝে মনে হত গালি না শুনলে প্রকৃতিও বোধহয় শূণ্যতা বোধ করত।

আমাদের জাতিসত্তা নিয়ে যদি বিস্তারিত ঘাঁটাঘাটি করা হয় তবে, আমাদের শিকড় থেকেই যে এর অন্তঃপ্রবাহধারা বর্তমান -তা সহজেই অনুমেয় হবে বলে আমার বিশ্বাস। কিন্তু প্রযুক্তির যুগে বসেও সে সব নিয়ে বিস্তর গবেষনা করবার মতো ধৈর্য্য না থাকায় অনুমানভিত্তিক জ্ঞাণকে সত্য বলে স্থাপন করবার যে সাহস দেখাচ্ছি তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

কিন্তু হঠাৎ আজকে গালি নিয়ে লেখালেখির কৌতুহল জন্মাল কেন? আসলে মনের মর্জি-আর্জি দুইই বোঝা দায়! কখনও সে কাকে দাবড়াতে চায়, কখন সে নিজের দাবড়ে পালায়, এ বোঝা বেশ কষ্টসাধ্যই বটে। আজকে একটা বিষয় খেয়ালে নিতেই হঠাৎ মনে হল, গালি নিয়ে একটা ধারাবাহিক শুরু করলে কেমন হয়? এ নিয়ে কিছু অল্প-বিস্তর ভেবে দেখে পেলাম, আসলে ব্যাপারটা একেবারে মন্দ হবে না! যে হারে নিজের বিপরীত মানষিকতার মানুষের দিকে মানুষ ক্রোধের দৃষ্টি রেখে চৌদ্দগোষ্ঠীর শ্রাদ্ধ করছে, গোষ্ঠীর নামে নামে ফুল-তুলসির দিয়ে পিন্ডি চটকাচ্ছে, তাতে গালির ধরনগুলো শেখানোর মতো নিখাদ যুক্তির কার্য্যকারিতা আছে বই কি...

বর্তমানে উদিয়মান ক্ষমতাশালী দেশগুলো মধ্যে চীন, ভারত অন্যতম। তো আমরা বাঙ্গালিরা খুবই ভদ্র-শান্ত-সভ্য (নিজেদের মনে) হওয়ায়, আমরা ভাবি- যদি আমরা কোন দিন উদিয়মান শক্তি হইও, আমাদের মনের মধ্যে ভারতের মতো ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ইচ্ছে বা অভিলাষ হবে না, কেননা আমরা তাদের তুলনায় অনেক ছোট দেশ এবং আমাদের লোকবল কম এবং আমরা আগায়-গোড়ায় সুগন্ধিমাখা ভালো মানুষী এবং ক্ষমতা হলেও দেশীয় ভূখন্ড কিংবা জনগোষ্ঠীর হিসেব-কিতেবে ইসরাইলের সাথে আমাদের দেশিও ইনছানদের তুলনা চলে না। কারণ তারা ইসরাইল, তারা ইহুদী-নাসারা, তারা ক্ষমতার জন্য হিংস্র দানব হয়ে রক্ত খায়।

তো ঠিক আছে, মুল কথায় আসি- যেহেতু আমাদের দেশের উপর ভারতীয়দের প্রভাব বেশী এবং ওরা আমাদের ক্ষমতার জোরে করায়ত্ত করে রাখতে চায়, তাই আজ আমরা ভারতীয় এবং এদেশে অবস্থানরত ভারতীয় দালালদের গালি-গালাজের কৌশল শিখব।

যেকোন গালি-গালাজ শুরুর পূর্বে যেমন কিছু কারণ থাকা চাই, তেমনি থাকা চাই কিছু উপকরণও। তাই ভারতের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করার জন্য যে কারণগুলো আছে সেগুলোতে চোখ বুলিয়ে নেই।

১) ভারত আমাদের চারিদিকে স্থল ও জল দখল করে খাচ্ছে। (শ্রুতিপদঃ অধিকার আদায়ের ক্ষমতাহীন প্রত্যেকে অথর্ব বলে, এরা সবকিছু শুয়ে-বসে পেতে চেয়ে কাঁদে।)

২) ভারত অন্যায় ভাবে সীমানায় বাংলাদেশীদের খুন করছে। (তর্কিত প্রশ্নঃ খুন হবার সাধ বুকে জমিয়ে কারা অবৈধভাবে সীমানা পারাপার হতে চায়? আর কেন পারাপার হতে চায়?)

৩) আমাদের দেশের অসহায় গরু ব্যবসায়ীদের মেরে ফেলছে এবং গরু আনতে দিচ্ছে না। (প্রশ্নঃ গরু ব্যবসায়ীরা অকারণ সেখানে মরতে যাচ্ছে কেন? গরু কি এদেশে উৎপাদন সম্ভব নয়?)

৪) ভারত আমাদের সাথে টিপাই বাঁধ নিয়ে খেলছে, তিস্তা চূক্তি নিয়ে খেলছে। (উত্তরেঃ ভারত যখন টিপাই বাঁধ দিয়েছে, তিস্তা নিয়ে খেলছে, তখন আমরা তাদের সাথে শরীর ঘষাঘষি না করে বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছি না কেন? আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নিতে অসমর্থ্য? তবে অসমর্থ্যে উর্দ্ধস্বর কি মানায়? আমরা না হয় যেদিন সামার্থ্য হবে সেদিন দেখাবার অপেক্ষায় থাকি)

৫) ভারত আমাদের দেশের সমাজ-রাজনীতি আর অর্থনীতি নিয়ে খেলছে। ( আশ্চার্য্যবোধক চিহ্নযুক্ত প্রশ্নঃ খেলার মাঠ আমার দেশের, লোক আমার দেশের, খেলবার দলও ঠিক হল দেশের মধ্যেকার লোকজন নিয়ে। তবে তারা খেলছে কিভাবে? যদি নিজের স্বাধীন ভূখন্ডে অন্যলোক এসে খেলে থাকে, তবে গলা ফাটিয়ে না বলে নিজের অক্ষমতার জন্য সকলের তো উচিত ছিল আত্মহত্যা করা।)

যা হোক- গালি দেবার মতো কারণ তো মিলল- এবার বন্ধুদের সাথে শুরু করুন গালাগালি।

ভারত রেন্ডিয়ার দেশ, শালারা নাপাক, ন...পো, মান্দ..., চু...পো, মা...রি, খা....পো, মা...পো, ন...জাত, বে..., দা... এভাবে চলতে থাকুক।

যেহেতু মেজাজ চাঙ্গা, তো বন্ধুদের গালির সাথে আরও যোগ করুন-

“রেন্ডিয়ার জাকির নায়েক খা.....পো, মওদুদি ন....পো, ভারতের মুসলমানদেরও..... করি, পিসটিভি লোকজনরে......, ডান্ডি রাষ্ট্রে দেওবন্দ রে.....” -আচ্ছা কোটেড লাইন শুরু করার পর বন্ধুরা কেউ-কেউ থেমে গেছে? কারও চোখমুখ লাল হয়ে যাচ্ছে? কারও রক্তচক্ষু আপনার দিকে তেড়ে আসছে? তবে রাগ সামলে থেমে গিয়ে সরে পড়ুন। কারণ গালি আপনি এখনও শিখে উঠতে পারেন নি, উল্টো-পাল্টা গালির জন্য আপনার কাঁধের উপরের ধড়টা হয়ত বন্ধুর রক্তচোখা রাগের উপর হারিয়ে বসতে পারেন।

পরিশেষঃ ভাইলোগ আমার উপ্রে রাগ লইয়েন না। সত্যি কতা কইতে কি- আপনেরা আসলে যে যুক্তিতে আড়ালে আবডালে গালি দিবার পয়তারা করেন, সে যুক্তিরই খাতিরে কয়েকটা কইলে কইছি ভায়ে আপনেরার সইবে না। আর কাঁধে একটু বিদ্যের ভার আছে বিধায় লজ্জায় মুখও খুলবার চাই না। কিন্তু এতে ভাইবে বইসেন না, কিচ্ছু কইবার পারি না, সত্যি কইছি ভাইলোগ- এখানে যে বিদ্যে আপনারা ফলিয়ে যাচ্ছেন তার কয়খান কইলেম পিচ্ছিবেলায়ই মুখস্ত হইয়ে গেছে।

বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

সন্তুষ্টি কি সম্পূর্ণতা আর সম্পূর্ণতাই কি সার্থকতা?

সন্তুষ্টি কি সম্পূর্ণতা আর সম্পূর্ণতাই কি সার্থকতা?

যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করা হয়- আপনি নিজেকে নিয়ে কি সন্তুষ্ট? সন্তুষ্ট কি আপনার পরিবারবর্গ নিয়ে? অথবা প্রতিবেশী-সমাজ-দেশমাতৃকা কিংবা ভূ-গোলার্ধ ভাবনায়?

আসল সত্য- কামনার বেড়াজালে জড়িয়ে থাকা মন হাজারো প্রচেষ্টাতেও সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম নয়। তাই ব্যক্তি সন্তুষ্টি কিংবা স্বার্থকতার আশায় ছুটে চলা পথটা বেশীরভাগ সময়ই বিপথগামীর কিংবা অবৈধ। আর স্বার্থকতার নেশায় ধাবিত লোকজনের বর্তমান চিত্রটাই সবচেয়ে বেশী চোখে পড়বার মতো।

জীবনটাকে উপভোগ করতে গেলে নিজের মনকে নিজের বিবেকলব্ধ সৎ চেতনায় বাঁধতে হয়, নিজের অবস্থান নিয়ে সর্বোচ্চ সুখী হবার চেষ্টা থাকতে হয়, তা না হলে সম্পূর্ণতা কিংবা সার্থকতার নেশায় ঘরে-ঘরে উন্মাদ জঙ্গিতে ভরে উঠবে। অথবা অসভ্য-মাতাল নষ্টদের পদচারণায় পৃথিবী ভরে যাবে। যা থেকে সত্যিকারে নিস্তারের কোন পথ নেই। তাই ভালো মানুষিকতায় সৎ চেতনা জাগ্রতকল্পে এখনই সবার সজাগ হওয়া জরুরী।

উদ্দেশ্য

আইডিবি থেকে কম্পিউটারের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক কোর্সে বৃত্তিসহ বিনামূল্যে করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে শুধুমাত্র মুসলিম ছাত্রদের। ইসলামী ব্যাংকের মতো এখানে কোন হিন্দু বা অন্যকোন ধর্মালম্বিদের আবেদন করার সুযোগ পর্যন্ত নেই। সবচেয়ে মজার ব্যাপার সরকারই এ ব্যাপারে সব সুযোগ করে দিচ্ছে, এমনকি প্রশ্ন পর্যন্ত উঠছে না- এদেশে অন্য ধর্মালম্বিদের যথেষ্ঠ বসবাস থাকার সত্ত্বেও তারা কেন সমসুযোগ পাচ্ছে না?

প্রশ্ন তুলছি, গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় এ ধরনের মানষিকতা প্রদানের সুযোগ দেয়ার কার্য্যত কারন কি? বৃত্তিপ্রদানের মাধ্যমে এভাবে একটি জনগোষ্ঠীকেও সবস্থানে ক্ষমতাশালী করে তোলার উদ্দেশ্যও বা কি? আজকে যারা কম্পিউটারের হ্যাকিং কিংবা স্প্যামিং কিংবা ভার্চূয়াল জগতে হিডেন থেকে বিভিন্ন অসাধু কার্য্যক্রম চালাচ্ছে, তাদের মদদ দাতা আসলে কারা? শুধুমাত্র একটা জনগোষ্ঠীকে নিয়ে গোপন কার্য্যসিদ্ধের উদ্দেশ্য কি?

মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫

শরীরের বীষপোড়া

যখন শরীরে বীষপোড়া উঠে তখন তা সারাদেহ যন্ত্রণায় দহে।
আবার প্রদীপের শীখা বেড়ে পড়া ক্ষুদ্র আলোও রাত্রির অন্ধকারে অনেকটা পথ আলোকিত করে।

প্রোফাইল পিকচারে ফান্সের প্রতি সমবেদনা জানাতে ফান্সের পতাকা দেওয়াতে আমার যেসকল বন্ধুরা আহত হয়েছে, উপরের দুটো কথা তাদের জন্য। আইএসআইএস কে নির্দেশ করেই কথা দুটো। আশা করি আমাকে ভুল না বুঝে আমার কথাটি বন্ধুরা উপলব্ধি করবে।

আর একটি কথা, যারা আজ বলতে চাইছে লম্বা দাঁড়ি আর জুব্বা পড়ে আইএসআইএস নামধারী যারা ইসলামের নাম ভেঙ্গে এসব করছে তারা মূলত ইসলামের শত্রু। তাদের আবার অনেকেই দেখছি আইএস এর সাফল্যে খুশিতে গদগদ হতে। আইএস এর সাফল্যগাঁথা ছবিতে লাইক দিতে। সত্যি বলতে কি- আমার বিশ্বাস আইএসআইএস এর পতন হলে এরা সমভাবেই ব্যথিত হবে।

(অজ্ঞাতে কাউকে আঘাত করলে তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী)

রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৫

কারও জীবনের দহনের মধ্যেই কারও মনের অভিলাষ পূর্ণ হয়

কারও জীবনের দহনের মধ্যেই কারও মনের অভিলাষ পূর্ণ হয়। তাই আধখানা আনন্দ অভিলাষে শিশু বায়না ধরে প্রকৃতির মুগ্ধ রুপে মজে যাওয়া প্রজাপতি কে হাতে নিয়ে খেলা করার বাসনায়, কোন উড়ন্ত ফড়িংয়ের চকচকে ডানার আলো খেলা দেখে তাকে অধিকারে নেওয়ার ইচ্ছেয়।

জগৎ জুড়ে যে করুণ সুরের সুধায় জাগ্রত মন আটকা পড়ে মোহাছন্ন ইন্দ্রজালের জালিকায়, তখনও হয়ত কারও শরীর কেটে-কেটে বিবশ হয়। আর রঙ্গমঞ্চে অভিনয় পারদর্শী কোন মহতি জীবনমঞ্চে অকারণ হেরে বসে।

ভ্রান্ত অভিলাষ নিয়ে কে কাকে কখন কিভাবে ছেড়ে ছুঁড়ে ফেলে দেয় - হিসেবের খাতায় তার যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগের ফলাফল মিলালে যে ফল পাওয়া যায়, চোখ বুজে সে ফলকে শূণ্য বলে ধরেই জীবনের আদ্যপ্রান্ত টানতে হয়।

জ্বি; এটাই জীবনের বাস্তবতা, এটাই কেবল জীবন। আর বাদবাকী সবই ঘোর!

সোমবার, ২২ জুন, ২০১৫

ভালো বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি ভালো ছাত্র-ছাত্রী তৈরীর গর্বিত অংশিদার?

আজকে একটা বিষয় জানতে চাই সকলের কাছে- সে হল ভালো বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালো ছাত্র-ছাত্রী তৈরীর গর্বিত অংশিদার কিনা?
শিশুবেলা থেকেই শুরু করি।

একটি শিশুকে যখন বাবা-মা বিদ্যালয়ে পড়ার উপযুক্ত মনে করে তাকে নিয়ে যায় বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে, তখন আমরা দেখি যে সকল বিদ্যালয়গুলো মানের দিক থেকে ভালো তারা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা যাচাই-বাচাই করে তাদের বিদ্যালয়ে তাদের স্থান করে দেয়। এখন যদি বলি প্রথম দিককার যে শিশুটি তৈরী হয়ে প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছে। সে অবশ্যই অন্য আর আট-দশজন থেকে ভালো বলেই ঐ বিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছে। অন্যদিকে যারা সুযোগ পায়নি, তারা তাদের মান অনুযায়ী অন্যান্য বিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছে। তার মানে কি এই দাঁড়ায় না; ভালো বিদ্যালয়গুলো ভালো ছাত্র-ছাত্রী বের করার প্রয়াসে প্রথম অঙ্কুরটি সুন্দরভাবে তাদের মাঠে লাগাতে সক্ষম হয়েছে? অথচ অঙ্কুরটি তাদের তৈরী নয়, ছিলো অন্যের তৈরী।

এরপর যাচাই-বাচাই করে নেয়া অঙ্কুরগুলোর মধ্যে বছর ধরে প্রতিযোগিতা চলে। প্রতিবছর ভালো বিদ্যালয়ের অঙ্কুরগুলোর বেশীভাগগুলোতেই পচন ধরে। ফলশ্রুতিতে সময়ের ব্যবধানে ছিটকে পড়ে তারা। আর ছিটকে পড়াগুলোকে তারা পরিষ্কার করে জাল বিছায় অন্যান্য বিদ্যালয়ে তৈরী হওয়া মেধাবীদের তাদের বিদ্যালয়ে নেবার। সময়ের ব্যবধানে নিন্ম মানধারী বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, বাবা-মা, শুভাকাক্ষী অথবা শিক্ষার্থীর নিজের প্রচেষ্টায় নিজেকে মেধাবী অবস্থানে দাঁড় করায় এবং ভালো বিদ্যালয়ের কৌশলগত জালে পড়ে খারাপ বিদ্যালয় ত্যাগ করে ভালো বিদ্যালয়ে ছুটে। প্রতি বছর এই কার্য্যক্রম অব্যহত থাকায় নিন্মমানের বিদ্যালয়গুলো ক্রমাগত প্রায় তলানিতে গিয়ে পৌঁছে। দীর্ঘ দশ বছরের ত্যাগ-তীথীক্ষা শেষ হয় বিদ্যালয়গুলোর। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়। মেধাবী বিদ্যালয়গুলো ভালো ফলাফলে আলোড়ন করেছে আর তলানীতে পৌঁছা খারাপ বিদ্যালয়গুলো নিজেদের বিদ্যালয়ের অবস্থান টিকাতে হিমশিম খাচ্ছে। এখানে আবার মজার একটা ঘটনা ঘটে। খারাপ বিদ্যালয়ে থাকাকালে যে মেধাবীটি তৈরী হয়, সে মেধাবীটি ভালো বিদ্যালয়ের মেধাবীদের দলে গিয়ে যে ফলাফল করার কথা থাকে, অনেক সময় তা থেকে বঞ্চিত হয়। অথচ খারাপ বিদ্যালয়ে থাকাকালে তার সে প্রত্যাশাটা মোটামুটি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত ছিলো।

তাহলে মূল বিষয় কি দাঁড়ায়? ভালো বিদ্যালয়গুলো ভালো ছাত্র-ছাত্রী পয়দা করছে? না তাদের শেষ করে দিচ্ছে?

এবার আসি মহাবিদ্যালয়গুলোতে। বাংলাদেশে নটরডেম কলেজ, হলিক্রস বেশ নামকরা মহাবিদ্যালয়। এছাড়া পর্যায়ক্রমিক আরো মহাবিদ্যালয়গুলো আছে যারা প্রতিবছর হাজার-লক্ষ এ+ গ্রেডের ছাত্র-ছাত্রী পয়দা করে। প্রথমে নটরডেমের কথায়ই আছি। এখানে যারা ভর্তি হয়, নিঃসকোচে বলা চলে- বিদ্যালয়ের সেরা মেধাগুলোকে মহাবিদ্যালয়টিতে সুযোগ করে দেয়। এভাবে শুরু করে, পর্যায়ক্রমিকভাবে সব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা সেরা মহাবিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হবার পর নিন্মমানের মহাবিদ্যালয়গুলোর জন্য বিবেচনায় ঝুট-আবর্জনাগুলো থাকে। এভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে শুরু হয় দু‘বছরের যুদ্ধ। যুদ্ধ শেষে ফলাফল কি?

আমার এক মেসো তাঁর সন্তানকে নিয়ে বেশ চিন্তিত। বিষয়টি হল- এত তাঁর গোল্ডেন এ+ গ্রেডের ছেলেটি মেধাবী হবার সত্ত্বেও নটরডেমে সুযোগ না পেয়ে যখন নোয়াখালী কলেজে ভর্তি হয় তখন তাঁর হতাশার মাত্রা আরও বাড়ে। ছেলেকে তিনি প্রতিনিয়ত বুঝাতে থাকেন যেন কোনক্রমেই তার গোল্ডেন এ+ থেকে ছিটকে না পড়ে। ছেলে তাকে ভরসা দেয়, তবু তিনি পান না। তিনি বলেন শুন তোদের মহাবিদ্যালয়ে ১০০ এর অধিক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা মানের দিক থেকে তোর কাছাকাছি। ফলাফল শেষে দেখা যায় নোয়াখালী কলেজের এই ১০০ জনের মধ্যে গোল্ডেন এ+ পাবে ১৫-২০ জন। তারমানে ৮০-৮৫ জনই ছিটকে যাবে। মেসোর কথাটি অযৌক্তিক নয় মোটেই। ফলাফল রসায়ন করলে আমরা তাই দেখছি। যে নটরডেম মহাবিদ্যালয় সব সুপার ট্যালেন্টকে নিচ্ছে তাদের আশ্রয়ে। দু‘বছরের সাধনা শেষে সেই সুপার ট্যালেন্টদের সবাইকে তাদের প্রাপ্য সন্মানটা ধরে রাখার ব্যবস্থা করে দিতে সক্ষম হচ্ছে কি? মোটেই তা নয়। প্রতিবছর মেধাবী তকমাধারী মহাবিদ্যালয়গুলো দিকে স্পষ্টত দৃষ্টি রাখলেই তা সকলের দৃষ্টিগোছর হবে। সে হিসেবে ফলাফল যাই হোক না কেন, সামগ্রিক বিবেচনায় নিন্মমানের মহাবিদ্যালয়গুলোই বেশী ভালো করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলায়ও প্রায় একই প্রক্রিয়া। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবীদের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হলে, অনেকটা টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট কিনতে ছুটে যুদ্ধ করতে-করতে চলা কিছুটা নিন্ম মেধাবীর শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শেষে যদি কর্মক্ষেত্রকে বিবেচণায় আনা হয়, তবে ভর্তি প্রক্রিয়ায় সফল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই দেখা যায় যাদের বলা হয় টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট কিনেছে, তাদের পিছনে।

যদি সবকিছুকে ধারাবাহিকভাবে বিবেচনায় নেয়া হয়। তবে এ একটা সত্য সবাইকে মানতেই হবে। ভালো তকমাধারীরা ভালো ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অনেকটা খামখেয়ালি তামশা খেলা খেলে তাদের মেধাটিকে শেষ করে দিচ্ছে। যদি তাই না হত, তবে পথে-ঘাটে ব্যাঙ্গচির ভাষার মতো এত কোচিং সেন্টারের জন্ম হত না। কোচিং সেন্টারের গায়ে লেখা থাকত না অমুক বিদ্যালয়, অমুক মহাবিদ্যালয়, অমুক বিশ্ববিদ্যালয়ের, অমুক শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীদের দিয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।

বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০১৫

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি বিষয়ক

ধর্ম কাকে বলে?
ধর্ম বিষয়ে সকলের করণীয় কি?
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কাকে বলে?
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কখন হয়?
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কেন হয়?
ধর্ম পালনকারি বলে জানা- ধর্মীয় গুরুরা যখন অন্য ধর্ম নিয়ে বাজে আলোচনা করে, তাকে আমরা প্রতিহত করি?
নাকি অন্যধর্মে কটাক্ষে বা খারাপ আলোচনায় নিজেদের শরীর ওম করি?
নাস্তিকতা শব্দের অর্থ কি?
নাস্তিক কে বা কারা?
আমি হিন্দুধর্মের অনুসারি, ধর্ম বলে বিধর্মীরা নাস্তিক, তার মানে কি আমার ধর্মে আমার বিশ্বাস থাকা শর্তেও আমি নাস্তিক?
- উল্লেখিত প্রশ্নগুলোর উত্তরগুলো ভাবতে চেষ্টা কর, তাহলে কোনটিকেই বাড়াবাড়ি মনে হবে না।

এবার ধর্ম বিষয়ে আমার বিশ্লেষনটা বলি-
আমি মনে করি যা আমার চেতনায় ধারণ সম্পন্ন তাই আমার ধর্ম। আমার জ্ঞাণে আমি যেটিকে যথার্থ ভাবব, সেটাই আমার ধর্ম। হাজার বাধা শর্তেও আমি যে বিশ্বাসে অটল থাকতে পারব, সেটাই আমার ধর্ম। আমি হিন্দু, আমার বিশ্বাসের বদ্ধমুলে- শ্রীমদ্ ভগবত গীতা, বেদ, রামায়ন, মহাভারত, অতএব এগুলো নিয়মনীতির যথার্থ অনুসরণই আমার ধর্ম।

এখন এমন যদি হয় কেউ একজন আমার ধর্ম নিয়ে আমাকে কটাক্ষ করে, আমি তার জবাব অস্ত্রদিয়ে কিংবা গালি দিয়ে দেব না। কেননা; এই দুটোই ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ। মানুষ তখনই ক্রোধিত হয়, যখন কোন বিষয় তার আচারের বিপক্ষে যায় এবং সে বিষয়ে তার দূর্বলতা থাকে। যখনই কারো কটাক্ষের জবাব দেবার মতো আমার যথেষ্ঠ জ্ঞাণ থাকবে না, তখনই বাড়াবাড়ির বিষয়টি আসবে। আর বাড়াবাড়িটা তখনই চরম আকার ধারণ করবে, যখন আমি সদিচ্ছায় আমার ধর্ম বিষয়ে কটাক্ষকারীদের যথার্থ উত্তর প্রদর্শণ করতে না পারব। তাহলে বিষয়টি কি দাঁড়াল-

বিষয়টি দাঁড়াল ধর্ম বিষয়ে আমার অজ্ঞতাই আমার ক্রোধের কারণ, আমার পরিমিত জ্ঞানের জন্য বা আমার না জানা থাকায়, আমি কাউকে নাস্তিক উপাধি দিচ্ছি। অথচ ধর্ম নির্দেশ করছে, ধর্মগ্রন্থে আছে জীবন-ধারণের পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধান।

নাস্তিকরা ধর্ম বিষয়ে ঘেঁটে-ঘেঁটে ধর্মীয় দূর্বল দিক বের করে তা নিয়ে আলোচন করে, কিন্তু আমরা যারা ধর্ম বিশ্বাস করি হৃদয় হতে, আমরা জানি প্রত্যেকটি কারণের প্রাসঙ্গিক কোন ব্যাখ্যা আছে। যখন কেউ ধর্মীয় দূর্বলতা খুঁজে তা নিয়ে আলোচনায় আসবে, বিশ্বাসীদের উচিত সে বিষয়টি যথাযথ অনুসন্ধানের মাধ্যমে জবাব দেয়া।

কিন্তু আমরা কি করছি? যাদের নাস্তিক বলে উপড়ে ফেলার চেষ্টা করছি, তাদের মতও কি আমরা আমাদের নিজেদের ধর্মটাকে খোঁজার চেষ্টা করছি? ধর্মীয় বিষয়ে নিজেদের দূর্বল জ্ঞাণের জন্য আমরা অন্যের জ্ঞাণ বিশ্লেষণকে অস্ত্রতে কেটে ফেলে দেব?
এটা কি উগ্রতা নয়?
ধর্ম কি আমাদের এ শিক্ষাই দেয়?
যদি ধর্ম এই শিক্ষাই দেয়, তবে সে ধর্মের প্রতি বিশ্বাসের অবস্থানটুকু কতটা স্থাপিত হয় বা ভবিষতে হবে?
ধর্মগ্রন্থে কি উল্লেখ নেই, মৃত্যুর আগেও যদি কেউ ধর্ম যথার্থ অনুসারী হয়, তাকে স্রষ্টা ক্ষমা করেন?
তবে- কতটুকু যৌক্তিকতায় আমরা কাউকে খুন করে দিচ্ছি?

ধর্মে স্পষ্টত উল্লেখ আছে, পৃথিবীতে একদিন পাপ-অনাচার বেড়ে যাবে, সময়ে পৃথিবী একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে, তবে নিজেরা ধর্মটাকে সঠিকভাবে ধারণ না করে, অন্যকে ধর্ম পথে ফেরাবার বদলে তাকে খুন করে কি আমরা ধর্মকে রক্ষার মতো নির্বুদ্ধ সাহস দেখাচ্ছি না? নিজেদের অজ্ঞতায় কি আমরা ধর্ম পালন বাদ দিয়ে অধর্ম করছি না?

প্রশ্নগুলোর উত্তর আমি প্রত্যাশা করছি বন্ধু‘রা.....

রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৪

আমরা শ্রদ্ধেয়জনকে শ্রদ্ধা করব আর ঘৃণিতজনকে ঘৃণা

আমরা শ্রদ্ধেয়জনকে শ্রদ্ধা করব আর ঘৃণিতজনকে ঘৃণা। স্বাধীনতার প্রাক্কালে এদেশে অবস্থানরত যেসকল জারজ দেশের বিরূদ্ধাচারণ করার পরও রাষ্ট্র তাদের তোষন করে স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চিত করেছে, সে রাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ এবং জারজদের প্রতি ঘৃণা আমাদের আমৃত্যু জেগে থাকবে। শুধু এই নয়, নয়া উথিত জারজদেরও কোন নিষ্ঠাবান নাগরিক ক্ষমা করবে না কোনদিন। কিন্তু একটা বিষয়ে আমার বলার আছে, তা হল আমাদের এমন কোন আচারণ করা শোভা পায় না, যা কিনা ভন্ডামীতে গিয়ে ঠেকে। হ্যাঁ; আমি বলছি গোলাম আজমের কবর দেয়া প্রসঙ্গে-
এই জারজের প্রতি আমাদের ঘৃণার মাত্রা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, সে আজীবন আমাদের মনে বিশ্বাসঘাতক মীরজাফরের মতো কুলাঙ্গার হয়ে বেঁচে থাকবে। তাই আমরা সচেতন থাকব যাতে এই কুলাঙ্গারকে রাষ্ট্র কোনপ্রকার সন্মানিত করার সুযোগ না দেয়। কিন্তু কবর দেয়ার ব্যাপারে আমাদের কোনপ্রকার হস্তক্ষেপ ঠিক হবে না। আমার মতে- এ কৃলাঙ্গারের অবস্থান যেহেতু বাংলাদেশে, তাই এই কুলাঙ্গারের কবরের ব্যবস্থা বাংলাদেশের বাহিরে করা সম্ভবপর নয়। যেহেতু সম্ভবপর নয়, তাই যতদ্রুত সম্ভব কুলাঙ্গারটিতে কবর দেবার সুযোগ দিয়ে কোনপ্রকার সন্মান প্রদর্শন বন্ধকল্পে আমাদের সক্রিয় অবস্থান জরুরী।

বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

মানুষ বেঁচে থাকবে

[গল্পঃ মাতৃহৃদয়
এই কিছুক্ষন আগেই কাদিরমিয়ার পুকুর থেকে স্নান সেরে ঘরে ফিরলাম কানুর সাথে, শীতকালের এই সময়টাতে আমাদের বাড়ির তিনপাশে তিনটে পুকুর থাকলেও ফসলি জমির সেচ করতে-করতে শীতকালে প্রায় পানিশূণ্য হয়ে পড়ে। তাই এই সময়টাতে আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় মিনিট পাঁচ-সাতেকের পথ হেঁটে কাদির মিয়ার পুকুরে স্নান সারতে হয়। স্নান করতে গেলেই প্রায় প্রতিদিনই আমাদের গল্পের আসর জমে, চারপাশের ফসলি সবুজ জমি তার মাঝখানটায় গাছগাছালি ঘেরা পুকুরটি সাক্ষী হয়ে যায় আমাদের জীবনে পার করে যাওয়া কতশত গল্পের স্মৃতিকথায়। তাছাড়া কাদিরমিয়ার পুকুটির অবস্থান এমনস্থানে যেখানে শীতকালে পুকুরের পানিতে সূর্যের আলোয় কিছুটা তপ্ত থাকে, ফলে আশপাশের অনেকের পুকুর থাকার স্বর্ত্ত্বেও, শীতের ভয় ভেঙ্গে গোসল করতেও ওখানে ছুটে। যাই হোক স্নান সেরে এসে যখনই ঘরে ডুকলাম, ঠিক তখনই শান্তিঠাকুরমার চিৎকার শুনতে পেলাম। আমাদের বাড়ি হতে প্রধান রাস্তায় বের হতে একশ কদম পার হলেই তাদের বাড়িটি। শান্তিঠাকুরমা সম্পর্কে আমাদের রক্তের জ্ঞাতী, মানে আমার দাদার বাবার পক্ষীয় সম্পর্কের রক্ত। আর আমাদের হিন্দু সমাজে আমরা আজও বোধকরি অনেকে ৭ টা বংশধর পার হওয়া পর্যন্ত জ্ঞাতীকে চেনার চেষ্টা করে।

বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আমার চিন্তায় সমাজের পচন ঘাত সৃষ্টির কারণ

চলতে পৃথিবীতে কিছু-কিছু চাহিদার বাস্তবিক প্রয়োগের কোন প্রয়োজন নেই। তবুও কেহ-কেহ তা করে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ চরিতার্থের জন্য, অন্যের পেটে লাথি মেরে নিজের অবস্থান সুস্থির করার জন্য।

প্রত্যেকের জন্য মৌলিক চাহিদাসমূহ যেমন- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বিনোদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী। সাথে বংশবৃদ্ধি কিংবা সমাজ-সংষ্কৃতি রক্ষায় জরুরী সমাজ-সংসারের। অথাৎ একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের চাহিদাগুলো অপরিহার্য। যদি তা হয় তবে এর ব্যতীত আমরা যা কিছু চাই তার প্রয়োজন কতটা? আর এর ব্যতীত অন্যকিছু প্রয়োজন অনুভব কি অস্বাভাবিক জীবন?

আমার মতে মৌলিক চাহিদা কিংবা স্বাভাবিক সংসারজীবন ব্যতীত মানুষের যে কোন চাওয়ার পিছনের যে কারণ তা হল তার মধ্যেকার অস্বাভাবিক আচারণের তাড়না। আর এই অস্বাভাবিক তাড়নাই মানুষের পাশবিক তাড়নাকে প্রগাঢ় করে। এখানে অস্বাভাবিক তাড়না তখনই অতিমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে, যখন মানুষের মৌলিক চাহিদার বাহিরেও সবকিছুর অঢেল মজুত থাকে।

সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

এ কি মনুষ্য জীবন?

প্রত্যেকটি দেশের মানুষ রাজধানী বা বড়-বড় শহরগুলোতে বসবাস করে বাড়তি নাগরিক সুবিধার জন্য। খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা কিংবা জীবনযাপনে একটু আরাম আয়েশের জন্যে। অথচ আমরা আমাদের রাজধানীতে বসবাস করছি একান্ত ঠেকায় পড়ে। রাজধানীতে বসবাস করতে গিয়ে আমাদের নাগরিকবোধ জাগ্রত হবার বধৌলতে দিনকে-দিন আরো থমকে যাচ্ছে। মানুষ পরকালের ভয় দেখায়- বলে ওখানে নাকি বড় যাতনা-যন্ত্রণা নির্মম জায়গা। অথচ রাজধানী জীবনে যে নির্মমতার মুখোমুখি হচ্ছি এরচেয়ে সে যন্ত্রণা আসলে কতটা বেশী এখনও তা বোধগম্য নয়। শুধু এইটুকু বলতে পারি- জীবনটা বড় বেশী দূর্সহ ঠেকছে। না খাওয়ায় শান্তি, না চলায় শান্তি, না বসতে শান্তি, না উঠতে শান্তি, না ঘুমাতে শান্তি, না জাগরণে শান্তি। সবস্থানে শান্তিদের কতটা অসহায় অবস্থান তা বলাই বাহুল্য।

সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৪

মানুষ স্বার্থপর

“ঝিনুকের বুকে মুক্তো থাকে”
আকর্ষিত এই মুক্তোর জন্য ঝিনুকের দেহ ছেদ করতে মানব হৃদয়ে কোন কার্পণ্য নেই।
“সাপের মাথায় মনি থাকে”
অমূল্য এই মণি‘র জন্য সাপের পাগলের মতো ছুটাছুটিতে মানব হৃদয়ে সহমর্মিতা নেই।
বরং ছল্-ছল্ চোখ পরিপূর্ণ হয় মোহ-কামনায়। কেননা মানুষের চোখে যা অমূল্য বা আকর্ষিত, তার জন্য অন্যের জীবন এতটা অর্থপূর্ণ নয়। বরং মানুষের লিপ্সা-স্বাদ-অভিলাষটাই মূখ্য সর্বত্র।

হ্যাঁ; মানুষ কেবল আপনাতে ছুটে, আপনাকে প্রশ্রয় দেয়। শুধু আপনার সুখ-সাচ্ছন্দের নেশায় মগ্ন থাকে। জীবনের বিবিধ প্রয়োজনে সে প্রথমে তার পরিবারকে টানে, আরো প্রয়োজনে নিজ জাতিগোষ্ঠীকে টানে, উপলক্ষ্যে সে সমাজকে টানে, জন্মটানে দেশকে টানে, জ্ঞানের বিশ্লষনে পৃথিবীকে টানে।
কিন্তু সবছাপিয়ে এ সবচেয়ে বড় সত্য হয়ে সামনে দেয়াল তুলে দাঁড়ায়- নিজের লিপ্সা-স্বাদ-অভিলাষ পূর্ণ করতে বেশীরভাগের কাছেই অন্যের জীবনের আপাত কোন গুরুত্ব বহন করে না।

শিক্ষা অর্জনের যর্থার্থতা সম্পর্কে সকলের সম্যক জ্ঞাণ থাকা অতীব জরুরী

মানুষের জীবনকে পরিপূর্ণতায় ভরিয়ে দিতে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু জীবনের জন্য সে শিক্ষা কোন গুরুত্বই বহন করে না, যে শিক্ষা হতে মানুষ সৎ ইচ্ছা বা সদ্ আচারণ রপ্ত করতে ব্যর্থ হয়।

প্রতিটি শিক্ষাই মিথ্যা আচার-ব্যবহার তুলে ধরে, সমগ্রকে জানতে শেখায়, জানতে শেখায় মিথ্যা থেকে পরিত্রাণের উপায়। কিন্তু যে বিদ্বাণ ব্যক্তি বিদ্যাশিক্ষার সব্বোর্চ্চ স্তরে উপণীত হয়েও মিথ্যা আচারণটাই শুধু রপ্ত করতে শেখে অর্থ্যাৎ বিদ্যাশিক্ষার সত্যিকারের উদ্দেশ্য হতে বিচ্যূত হয়, তার শিক্ষার পরিব্যপ্তি কখনোই জনহীতকর কাজে সংযুক্ত হয় না। বরং দিনকে-দিন তার পরিব্যপ্তি সমাজকে কলূষিত করে, দেশকে দূষণ করে, মনুষ্যত্বকে বিলোপ করে। তাই শিক্ষা অর্জনের পূর্বে শিক্ষা অর্জনের যর্থার্থতা সম্পর্কে সকলের সম্যক জ্ঞাণ থাকা অতীব জরুরী।