বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আমার চিন্তায় সমাজের পচন ঘাত সৃষ্টির কারণ

চলতে পৃথিবীতে কিছু-কিছু চাহিদার বাস্তবিক প্রয়োগের কোন প্রয়োজন নেই। তবুও কেহ-কেহ তা করে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ চরিতার্থের জন্য, অন্যের পেটে লাথি মেরে নিজের অবস্থান সুস্থির করার জন্য।

প্রত্যেকের জন্য মৌলিক চাহিদাসমূহ যেমন- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বিনোদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী। সাথে বংশবৃদ্ধি কিংবা সমাজ-সংষ্কৃতি রক্ষায় জরুরী সমাজ-সংসারের। অথাৎ একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের চাহিদাগুলো অপরিহার্য। যদি তা হয় তবে এর ব্যতীত আমরা যা কিছু চাই তার প্রয়োজন কতটা? আর এর ব্যতীত অন্যকিছু প্রয়োজন অনুভব কি অস্বাভাবিক জীবন?

আমার মতে মৌলিক চাহিদা কিংবা স্বাভাবিক সংসারজীবন ব্যতীত মানুষের যে কোন চাওয়ার পিছনের যে কারণ তা হল তার মধ্যেকার অস্বাভাবিক আচারণের তাড়না। আর এই অস্বাভাবিক তাড়নাই মানুষের পাশবিক তাড়নাকে প্রগাঢ় করে। এখানে অস্বাভাবিক তাড়না তখনই অতিমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে, যখন মানুষের মৌলিক চাহিদার বাহিরেও সবকিছুর অঢেল মজুত থাকে।

বর্তমান পৃথিবীতে সকল মৌলিক চাহিদা পূরণের মাধ্যম হিসেবে অর্থের লেনদেন সর্বজন স্বীকৃত। একজন মানুষের এ লেনদেন তার প্রয়োজন মতো সম্পন্ন করার পরও যদি অতিরিক্ত অর্থ মজুদ থাকে তখন সে অতিরিক্ত মজুদ অর্থ নিয়ে চিন্তায় পড়ে। শুধুমাত্র এই চিন্তার কারণেই একজন মানুষ তার স্বাভাবিক চিন্তা-চেতনা থেকে সরে আসে। সে নিত্য-নতুন চাহিদা সৃষ্টির ব্যপারে সক্রিয় হয়। এতে করে যেখানে সে বন্ধুকে গ্রহণ করবে হৃদয় থেকে, সেখানে বন্ধুর অবস্থান বিবেচনায় তাতে তার বাঁধ সাধে তার সংকোচ সৃষ্টি হয়, যা জন্ম দেয় বৈষম্যনীতির। আর এই বৈষম্যনীতিই মানুষের সবকিছু অস্বাভাবিক করে তোলে। অস্বাভাবিক আচারণ করত যখন সে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তখন সে তার চাহিদাটিকে স্বাভাবিক আচারণ হিসেবে স্থাপন করতে তৎপর হয় এবং সে তার চারপাশের কয়েকজনকে তাতে সংযুক্ত করে। ফলত কেউ-কেউ আকৃষ্ট হয়ে নতুন সৃষ্ট চাহিদাটির রূপটিকে প্রতিস্থাপণ করে। এতেই ধীরে-ধীরে সমাজ-সভ্যতা অস্বাভাবিক আচারণে প্রলুব্ধ হয়ে সমাজে নিয়ে আসে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এবং যা সমাজে পচন ঘাত সৃষ্টি করে।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন