রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

এই আমার ভেতরের আমি

মানুষের মন বড় বিচিত্র আর অস্থির।
তাই কি?
ঠিক বেঠিক জানি না, তবে আমার মতো করে পৃথিবীকে চিন্তা করি বলে আমার কাছে তাই মনে হয়। তাই এই আমি-

কখন কখন ভাবুক হয়ে যাই। ভেবে চলি- কিছু নিয়ে গবেষনা করে দুনিয়াকে চমকে দেব! আরে না না বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে যাবে সমস্ত বিশ্বব্রক্ষ্মান্ড ঠিক এমন একটা কাজ করে তাক লাগিয়ে দেব!

কখনো আবার রক্তের টান পড়ে, ছুটে যাই সে চিন্তায়। ভাবী কত কর্তব্য পড়ে আছে। আমার নিয়ে যে যা ভাবুক, আমার জন্য কেউ কিছু করুক বা না করুক, সবাইকে টেনে তুলব একে-একে। সবাইকে বুঝাবো এভাবে টান-পৌড়ন, ঝগড়া-ঝাটিতে সুখ নেই। আমাদের দেহে একই রক্ত, তবে কেন বুঝতে পার না আবেগ-অনুভূতি। ফিরে এস!! আমরা সমস্ত বিভেদ ভূলে একটা শৃঙ্খলে আবদ্ধ হই।


মাঝে-মাঝে চিন-চিন করে উঠে বুক। বড় অসহায়-নিঃসঙ্গ ঠেকে নিজেকে। ভাবী যদি কেউ পাশে থাকত, আবেগের আকুলতায় ডাকত- এই শোন্।

কল্পিত ভবিষ্যতও মাঝে-মাঝে এসে হাত ধরে। ফুট-ফুটে সে স্বর্গীয় শিশুর মহিমায় আমি ঢেলে দেই জীবনের সব সুখ। আধো বলা সে শিশুর কচি চোখের ছাহনীতে সুখ জমে অমৃত হয়। জানি এ সুখেই নাড়ী টান ছুটে চলে বংশ পরম্পরা।

কখনো সুপারম্যান হয়ে যাই। হাটতে জানি, তবু তুলোর মতো উড়ি। দেখি সময়ের গন্তব্য-গতি-প্রকৃতি। মা-বাবা-স্বজন সকলে ধরে রাখতে চায় কিন্তু পারে না, আনমনে উড়ে চলে যাই কোথায় আপন খেয়ালে।

কখনো কিছু ভালো লাগে না; সমস্ত কৌলাহল থেকে জীবনের মুক্তি খুঁজি, হারিয়ে যাই কোন সুদূরে, একাকি নির্জন কোনস্থানে। ভেবে পাই প্রকৃতির মাঝেই মিলে যাবে আমার যাবতীয় সুখ।

কখনো আবার সন্ন্যাসী হতে খুব ইচ্ছে করে, পরলোকিক সুখে ভাসি। এই ব্যর্থ দ্বীধাযুক্ত জীবনকে তখন বড় অচেনা ঠেকে। অথচ অচেনা ভবিতব্যে আমার চিরচেনা সুখ জমে।

গান শুনতে গেলে কিংবা যখন একাকী বোধ হয় খুব বেশী, তখন চোখ ভিজে উঠে। কখনো আবার কেন জানি ঢুকরে কাঁদতে ইচ্ছে হয়। মাকে বলি- মা এভাবে আমাকে ছেড়ে নাও যেতে পারতে। দেখ দীর্ঘ আট‘টা বছর হয়ে গেল, অথচ তোমার শূণ্যতা আমার ঘুছছে না কোন মাতৃকোলে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন