রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৩

কবিতাঃ রেখ চরণ তলে


ভক্তিতে বাড়ে বাসনা কৃপাঙ্কুর বলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

অতিভাজন প্রভু আমি ধনমত্তে বলি
লোভ-মদে মত্ত হয়ে নিজস্বার্থে কেবল চলি
এমন প্রয়াস মন থেকে, রেখ প্রভু ধলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

কবিতাঃ স্বপ্নলোকে আমার বাংলা


দিনের ক্লান্তি শেষে ছুঁয়েছি বিশ্রামের বিছানাখানী
আমার দু’নয়নের তন্দ্রাঘুম স্বপ্নে নিল টানি।

ঘুমের প্রথম স্বপ্ন; নিখিলের তরণী
ফুল-ফল-পাখির সাম্রাজ্যে, আমার জননী
আমার মুক্ত নিঃশ্বাস, উচ্ছ্বাসের নীতিমালা
আমার প্রিতী অহংকার এই বাংলা।

কবিতাঃ কোন এক অজানা পরিতাপে


আমি অমানিশায় বাতায়নে বসি
রাত্রির কালো রেখেছি চোখের অঞ্জলিতে
তারারা নির্গুমচোখে ছিলো তাকিয়ে
স্মৃতির ভ্রুকুটিতে….
কোন সে আড়ালে বসে লক্ষীপেঁচা
ডাকছে মনের ভীতি তাড়িয়ে
আমি ভয়ের ম্লানতা ধরে
আছি পথ চেয়ে….

কবিতাঃ ঘৃনা


কাকে ঘৃনা করব আমি?
এই আমার অধ্যুষিত সমাজকে? আমার জাতীসত্ত্বাকে?
চোখ হাতের মুঠোয় আবদ্ধ করে পথচলি
রাস্তার অলিতে-গলিতে বেওয়ারিশ কুকুরের চেটেখাওয়া দেখতে চাইনা আর
ঘৃনা জন্মেগেছে নিজের রক্তের উপর
এই রক্ত বেজন্মা পুরুষের
যৌনক্ষুদা ওরা চেটে-চেটে নিয়েছে ।

কবিতাঃ ভাবনা পরিষ্কার


ছোটমাছ ধুলে বার-বার, বের হয় কাঁদাপানি
মূর্খ্যজনে করলে সেবা, মেলেনা মুখের বানী
অরণ্যে ফলালে ফল, যবে তথাকালে

কবিতাঃ মহত্ত্ব


মহত্ত্ব- সে নয় উন্মেলিত আবেশের সৌহার্দ্য অনুভূতি
মহত্ত্ব- সে নয় বিশাল বিস্তৃতি, আপনার সুকৃতি
মহত্ত্ব- সে হল মহৎ আত্মারধারণ।
নিষ্কোমল পদ্মপত্রে শিশিরকণার ঝরণ,
সে উচ্চাশা নয়,নয় আপনার বিস্তরণ
এ’শুধু অপরের হীতকল্যানে আপনার হৃদয় দহণ।

কবিতাঃ প্রাপ্তী

জীবনটা অর্ধনিমগ্ন….
গোধুলি আকাশে হা-হা-কার সুর
বিষন্নতায় মন আহত পাখির ন্যায়
সায়রের গর্জনে দিক-বিদিক হারা।

তবুও;
ঐ পশ্চাৎ’এর ধারস্ত নয় কেহ
সকলেরই সন্মুখে এগিয়ে যাবার প্রচেষ্টা

কবিতাঃ সম্ভবনা


ঐ উঁচুতে শব্দশৃঙ্খলে এক মহেন্দ্রতীথি
খালি হস্তে নীরব সায়রে দাঁড়ায়ে অতিথি
দিকভ্রান্ত নয় সে, নয়তো উদভ্রান্ত মাতাল
দিগন্ত শেষে নীলসীমান্ত; আছে সে তাল
ভ্রূকুটি তার বিষ তলোয়ারে
নির্মুক্ত মেঘের টানে
ছুটিতেছে পিছে তার গগনবেধীর রণে।

কবিতাঃ বিনিময়ে

দিবা পরে রাত্রি ঝরে নীলঘন আকাশে
সুন্দর-সুবলীল কন্ঠে মাদল বাজিয়ে, ছড়ায় বাতাসে
কোন কিছুই প্রয়োজন নেই, কোন কিছুর আ্যাখ্যান নেই
তবু; এই ঘটনা ঘটিতেছে প্রতিনিয়ত
পৃথিবীকে করছে সুষম-মন্ডিত।
এর অবদানে !
দিবা ভুমি রাত্রি ঘুমায়ে,  আমরা করছি কি?
সবাইকে আছি ভুলে,নিয়ে স্ত্রী-পুত্র-ঝি।

কবিতাঃ দুনিয়া

দুনিয়াটা খড়ের ঘর!
কখনো হেলেধুলে পড়ে, কখনো করে মর্মর
কখনোবা একদিক থেকে ভেঙ্গে পড়ে, কখনো হতাশায় ঝরঝর
কখন জানী ভেঙ্গে পড়ে ঘর….
দুনিয়াটা খড়ের ঘর।

কবিতাঃ আপনার দহন সুখ


আকাশটাকে যায়না ছৌঁয়া, যদিনা মাটি চায়
ক্ষুদ্রপ্রয়াস না ত্যাগিলে বৃহৎ যায় বৃথায়
তীর চলে অগ্রপথে ধ্বাক্কায়ে পিছপথ
নানানজনে নানানভাবে দিতেছে অভিমত
সব মতই ঠিক জানী তবু; বিবেচনা আপনার
যে পথ আপনার ভাব যাও সে দ্বার।

কবিতাঃ বড় ইচ্ছে করে

বড় ইচ্ছে করে........
মনটাকে উড়িয়ে দেই পবনের পুলকিত পরশে
সাগরের উত্তাল ঢেঁউ খেলায়, দিগন্ত ছৌঁয়া নীল গগনের প্রত্যাশে।


মনে ইচ্ছে করে........
শয়নপাতি ঐ বটের ছায়ায়, যেথায় শান্ত আশ্রম আছে
আমি শুঁয়ে-শুঁয়ে ভাবব, ঐ বটের পাতায়-ডালে পাখিরা কেন নাচে?


কবিতাঃ ভাগ্যের তিরোধান

শূন্যকড়াই উনুনে বসিয়ে
আমি আজ ভাগ্যের তিরোধান করছি
এসে দেখে যাও তার আয়োজন যজ্ঞ।
আমার মৃত্তিকা শাপ, অন্নপাপ,সূর্যের দহন অনুতাপ
জ্ঞাতিদোষ, সমাজ আক্রোশ, রাষ্ট্রদ্রোহ
সব থরে-থরে সাজিয়েছি
আজ সব এক-এক করে আগুনে আহুতি দেব।


কবিতাঃ প্রানহীন অচলদেহ হারালে তার অবস্থান


তার চোখে চোখ পড়িতেই গুলালো আমার দিক-তাল
হলাম আমি মাতাল।
আমার মাতলামি নয়তো পেয়ালার পরশ পানে
একচুমুকে মাতাল হওয়া, ঘোর কাটিলে আবার চাওয়া
দিক-বিদিক চলা বর্ণিল মনে।

কবিতাঃ ব্যর্থতা


মানুষের বিশ্বাসী রক্তে মিশেছি আজ
দিন-রাত আরাধ্য দেবতার দুয়ারে হাত পেতেছি
যেন দু'মুঠি ভরাতে পারি অশ্রু আর্শিবাদে।
তার নিদ্রিত জীবন জাগ্রত করার প্রচেষ্টায় কত রাত ঘুমাই নি
জীবন অনিদ্রার বন্ধু হয়ে গেছে

কবিতাঃ সত্যি আমার যে তোমাকে রক্ষা করার কোন উপায় জানা নেই


তুমি স্থিরতা চাও?
তবে কেন এই অস্থির লোককে ডাকলে?
যে অন্ধকারের তলায় হাতায়ে চলছে
যার হাতে, মনে কালি জমে-জমে অন্তরকে নিষ্প্রভ করে দিয়েছে
কেন তাকে আগলে ধরলে?

কবিতাঃ এই হল ছুটি বুঝি মমতার দিন


ক্ষুদ্র গ্রহ-গ্রহান্তরে, নক্ষত্র-নক্ষত্রে রণ,
এক বিভব সহন মায়া
পুঞ্জিভূত স্বপ্নে দাহ, বিড়ি পোড়া যৌবন।
সুখ অন্তঃসহন কাল
গর্ভে গোত্রহীন, জাতী-জ্ঞাতীহীন গর্ব অবস্থান

কবিতাঃ ভালোবাসার অনুভব


জীবনের এ’এক কঠিন সময়
ভালোবাসার অনুভব ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত শীরায়, উপশীরায়
বৃষ্টির মত তার ছুঁয়ে যাওয়া, তাকে ছুঁয়ে দেখার ব্যাকুলতায়
এক শিহরণের ঝড় বয়ে যায় প্রাণে।

কবিতাঃ আমি তোমাকে অনুভব করি আজো


প্রিয়,
আমি তোমাকে অনুভব করি আজো
এই বুকের পীঞ্জরে অদৃশ্য মায়ার টানে।
চাইলেই এই টান তুমি চোখ মেলে দেখতে পারতে
পারতে আমার বুকে হাতদিয়ে স্পন্দন থেকে ঠিকরে নিতে
কারন; এ যে, উত্তারাত্তরকালের সূর্যের আলোর মত
প্রকৃতির মায়ায় সে চোখমেলে তাকিয়ে ছিল,
কিন্তু; তুমি তা করলেনা.....

শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৩

কবিতাঃ প্রতিত্তুরে আমি দিব্যনেশায় হারাব নাকি?


প্রতিত্তুরে আমি দিব্যনেশায় হারাব নাকি?
তুমি কি ভুলে গেছ?
ঐ পাহাড়ের বুকচিরে আমি কেমন করে তোমাকে কাছে টেনেছি।
ঐ সাগরের ঢেঁউ যখন তোমাকে তার গহ্বরে লুকাতে চেয়েছে
তখন ঐ গহ্বরকে স্থল করেছি,

কবিতাঃ দেহ আঙ্গিয়া ভুমিতে লুটিবে


ঐ রক্তচক্ষু কর নিচু, ভেবনা দূর্বল এমনতর
আমাদের রক্তে স্বাধীন শোর বড়
দূর্বলভাবে আছি বলে দূর্বল এত ভেবনা
আমরা শান্তির কপোত গগণে উড়িয়ে হয়েছি শান্তমনা।

কবিতাঃ নারী পদবিলাস-১


যদি মনটাকে জান, যদি পৃথিবীটাকে চেন
চেয়ে দেখ তোমার চারিদিক, আকাশ-বাতাস আলোক
সবখানে টানিছে পুরুষ, মুগ্ধধ্যানে নারীলোক।

যদি কাননে তোল ফুল, যদি উল্লাসে যাও সাগরকূল
আবেশের মনকে জিজ্ঞাসা কর, কিসের বিচরণ?
সে‘যে, অন্তরেরপীড়া নারীর আর্তদহণ।

যদি ব্যথায় মন ভাঙ্গায়, যদি বোধ কিছুতে না পায়
দ্বীধাবিভক্ত কৌলাহলে মনটাকে টান…..
দেখবে নারীর সুদর্শনীয় উল্লাস, আশা ব্যঞ্জণ।

এমনি পরতে-পরতে ছড়িয়ে আছে, নারীর পদবিলাস
তাইতো; নারী কখনো মা, কখনো বোন, কখনো বা প্রিয় অভিলাষ।

কবিতাঃ জীবনের হিসেব


অতৃপ্তির আকাঙ্খায় ডুবে মরে যাই…
জীবনে বড় আশা ছিল
সন্তানদের মানুষ করে থাকব বড় সুখে
সুখ আমার ডুবে গেল অস্তঃরবির ফাঁকে।
জীবন আমার আজ সম্পূর্ন ব্যর্থ
ক্ষুদে যে পিপাসা ছিল,

কবিতাঃ ভালোবাসা


ভালোবাসা- শীরোনামহীন পথে, একরাশ কাঁশফুল
ভালোবাসা- অশান্ত হৃদয়ে অচেনা পথিকের ভুল
ভালোবাসা- ছন্দ ছৌঁয়া, রাগিনীর কিছু রাগ
ভালোবাসা- শেষ বিকেলের প্রজাপতির পরাগ

কবিতাঃ নারী পদবিলাস


নারী মানে; আছে স্বামী, আছে বন্ধু-ভাই
নারী মানে; সীমানার অধ্যাদেশ কর্মতৎপরতায়।
নারী মানে; বসুমতির মত সহ্য সন্তানের যন্ত্রণা
নারী মানে; স্বপ্ন চোখে বোনা, সন্তান করে বাসনা।
নারী মানে; এক গৃহিণী, শৃঙ্খলিত এক ঘর

কবিতাঃ সন্তানের সুখ


সবার অন্তরের দুঃখ               ললাটে বিস্মৃতির রুক্ষ
           ঘুচিবে তখন, মা আসবে যখন
কান্না হাসি হবে              বাবা আসিলে তবে
           তিনি করেন মোদের ভরণ-পোষণ

কবিতাঃ বিসর্জন


ভাগ্য পরাহত !
অজন্মা পাপের পরিক্রমায় বিচরণ
কখনো যেন এই শৃঙ্খল ভাঙ্গার নয়
বৃহৎ’এর পদতলে পৃষ্ঠমান ক্ষুদ্রপ্রাণ ।
কিসের ধৈর্য্যধারন ? নিরন্তন প্রদাহ যেখানে অবিরত !

কবিতাঃ উদাস মনের কথন


কে হে অলক্ষ্যরাগী, ডাকিছ আনমনে উদাসে?
সবুজ-শ্যামলাঘেরা মাঠে, ডাকিছ নীলঘন আকাশে
প্রকাশে প্রাপ্তি আমার আনমনা ছাহনি
অলক্ষ্য কোন যমুনায় বাহিব তরণী ।
কুহু পুস্পবনে, বসন্তেরই বার্তা আনে

কবিতাঃ খুকির শান্তনা


ছোট খুকিকে কোলে নিয়ে মা
চুমু খায় গালে
কাঁদেনা মা কতো ভালো
হেঁটে-হেঁটে বলে
ঐযে দেখ মা, কত্তো সুন্দর
উঠেছে আকাশে চাঁদ

কবিতাঃ সৃষ্টি আর সৃজন সুখের উল্লাসে


গানের পাখি, গেয়ে যাও আজ আকাশে-বাতাসে
সৃষ্টি আর সৃজন সুখের উল্লাসে।
মানবতা আজ যেথায় বন্দিতের বঞ্চণা
শিকলে জড়ানো পা,  কষ্টের মন্ত্রণা
সে শিকল যাক ভেঙ্গে, জয়-জয়-জয়াকারে

কবিতাঃ আলোকের মহিমার আঁশে


যখন শান্ত হৃদয়ে অশান্ত করে খেলা
অস্থিরতায় গড়িয়ে যায় বেলা
তখন আমি অর্ধনিমগ্ন ছায়াপথে
ক্রান্তির লগণে পড়ছি ভূমিতে লুটে।
আকাশবেশী গগণ তাঁরা ছৌঁয়
আমি বসে নীরব ধাঁধাঁর ফাঁদে
স্তম্ভিকতা নেই যে, নিজের আর
নেশা মেটে একপেয়ালা মদে।

কবিতাঃ স্বপ্নলোকের রাজকুমারীর স্বর্ণপুরী


এ আমার অজান্ত ভাবাবোধে জড়ানো অভিশপ্ত বাসনা নয়
বন্ধু; হারিয়েছি তোমায় শিহরিত সে বর্ষায়।
উপকূলে নোনাফেনায় নোনা ক্ষরস্রোত তুলে যেদিন
অসম প্রতিকূলে দিল দরিয়ায় দিয়েছিলে হানা
ভ্রান্ত-ভাবনায়, নিমগ্ন অন্ধকারাচ্ছন্ন প্রতিরোধে তাই
সহস্র-যোজন পথে বিবাগীর বিসর্জন?

কবিতাঃ সুখলতা


সুখলতা; তুমি চঁন্দ্রবাসরে দ্বীপ্তচোখে
তারার জোয়ার দেখেছ?
সবুজ মাঠে ধেণু চারণে
অবুঝ সুখে ভেসেছ?
তুমি নীল গগণে বসন্ত ধাঁধাঁনো
ফুলের সৌরভ ছুঁয়েছ?
তুমি নিজের মাঝে লজ্জাবতীর
লাজুক আবরণ পেয়েছ?

কবিতাঃ আজ রক্ত নেচেছে হোলিখেলায়


আজ রক্ত নেচেছে হোলিখেলায়, রক্ত নেশা
অন্ধকারের নাই দিশা আজ, শুধু তৃষা।
ক্ষুরধারার ক্ষুদার্ত তরবারি চলছে বেশ, অহনীশি
চারিদিক ধ্বনিত কুরুক্ষেত্র ভয়, সর্বনাশী।

কবিতাঃ বাজা তোর প্রলয় বিষাণ


কতটা শৃঙ্খল জীবন আমাদের !
বাংলার চলিত রাষ্ট্রযন্ত্রে আমরা কতটা পরাধীন
৪০ বছরের স্বাধীনতা অন্তরে লালন করেও
আমরা আজ ৫ বছরের পক্ষাঘাত রোগে কতটা অসহায়,
জীবন-জীবিকা আর আসক্ত ক্ষুদার যন্ত্রনায়, আমরা কত নিরুপায়।

কবিতাঃ আমাদের পরিচয়


শ্রমিকরা কি তবে মানুষ নয়?
হ্যাঁ; ঠিক তাই,
তারা সকলে সহনশীল গাধা
তাদের কাঁধ-মাথা বইবার জন্য ভাই।

কবিতাঃ বলদ মরুক শোকে


পেট ফুলেছে, পেট বেড়েছে
হয়েছে মোটা চাম,
খা শালার সোনার ছেলেরা
বলদের কি আর দাম?
হুজুগে বাঙ্গালী, থাকতে কাঙ্গালী
স্বপ্ন ভরা চোখ

কবিতাঃ আমি অন্ধকারের মানুষ


আমি অন্ধকারের মানুষ
অন্ধকার আমার বড় বেশী আপন
তাই মাতৃগর্ভ ছিল আমার সবচাইতে সুখের স্থান।

যেদিন আমি প্রথম পৃথিবীর আলো দেখী
সেদিন ভয়ে আমি আত্কে উঠেছিলাম
একি! এত ঝলসানো আলো কেন এখানে ?
ভয়ে চিৎকারে আমার নয়ন অশ্রুসজল হয়েছিল।

কবিতাঃ অশ্রুহীন দৃঢ়তা

কেন এত হারানোর ভয় হয় আমার?
কি আছে এত যা ক্রমন্নয়ে আমাকে দাওয়া করে
ভয় দেখায় এই হারাবে বলে?

জীবন থেকে বড় চাওয়া, সে আমার মা
তিনি হারিয়ে গেছেন, ঐ ওখানে, ঠিক ওখানে

কবিতাঃ পৃথিবীর পাপ প্রায়শ্চিত্ত


আশ্রিত আমরা নরলোকে!
নোংরা নখ চিবুই,
বিশেষনে মিলাই ডানা
পালক পবন ভিবুই।

গদ্যশৈলীর শৃঙ্খল ভাঙ্গে
কাব্য কর্কশ প্রহসনে,
ঘন-সবুজ পল্লববিহার
পাংশু মেঘের আবরণে।

কবিতাঃ মা তোমার মমতার দাম কত?


[মাতৃবন্দনাঃ
মস্তক আজ নত মাগো তোমার শ্রীচরণে
তোমার মতো এমন মমতা কে দিয়েছে কোনখানে,
সহস্রযোজন স্বপ্নবিলাষ আমি সঁপিবো ভাবী চরণে
তবু কি কাটিবে ঋণ, মোহিত অজ্ঞজনে!
এইযে, আমার চরম অজ্ঞরূপ

কবিতাঃ ব্রতী


থাকতে পারে তব মনের মাঝে
ব্রত বাসনা
এই সমাজে ব্রতী হওয়া তবু
সহজ কথা না।
হিংসা, দ্বেষ আর ত্রাস
এই সমাজে বাস

কবিতাঃ বাসনার দু‘জোড়া চক্ষু

বর্ধিত পৃথিবীর সব চক্ষু স্বচ্ছতা হারিয়েছে
কাকচক্ষুর মতো স্বচ্ছ অক্ষিগোলকের
কৃষ্ণকালো কিংবা বিড়ালসবুজ মনি
অক্ষিগোলকের ধুম্র আচ্ছ্বাদনে মলিন হচ্ছে,
তাকিয়ে থাকা সজল চোখের আশায়
হৃদয় যেখানে দ্বীপ্তমান…
সে হৃদয় হয়তো ধূসর রঙ্গে, নতুবা টকটকে লালে
অক্ষিগোলকে উদীয়মান।

সহস্র-লক্ষ বছর ধরে আমি আকাঙ্খার ব্রত করে যাচ্ছি
দু’জোড়া সজল চক্ষু আমার খুব বেশী প্রয়োজন,
একজোড়া চক্ষু আমার নিকট বন্ধুর আর
অন্যজোড়া অন্তরঙ্গ প্রিয়ার,
তাদের প্রীতিময় আগ্রসন আমায় সইতে পারবে
পারবে আন্তরালে লুকিয়ে থাকা আমার ব্যথার ভার বুঝতে।

অনেক পথ হেঁটে চলছি আমি………
হয়তো স্বপ্নে, নয়তো অজানা ভাবাবেশে
তখন অজানা পথের পাড়ে ছুঁয়ে থাকা সৌন্দর্য্য দেখে
আমি বুক বেঁধেছি বহুবার
ভেবেছি; এই বুঝি দু‘জোড়া সজল চক্ষু আমার সামনে এসে দাঁড়ালো
আমি উচ্ছ্বাসে উন্মাদ হয়ে পড়লাম,
কিন্তু সে দু‘জোড়া চক্ষু
আমায় ভালোবাসার বাহুপাশে বেঁধে স্থির করল।

স্বপ্নের শৈল্পিক সৃষ্টি মনে যেমন, নীলেও তেমন
হঠাৎ কালোমেঘের ধুম্র আচ্ছাদনে ঢেকে পড়া
আবার উজ্জ্বল রোদ্রশিখায় হিরণ্যবর্ণে ছুঁয়ে দেয়া।
গোপনে নিয়ত আত্মদহন যখন প্রতিকুলতাকে ছেড়ে
অদূর বন্দরে ছুটে চলে
তখন মনে হয়…..
এই কালোমেঘ আর হিরণ্য আলোর দ্রুতিময় ব্যাপ্তীতে
আমি আশাহত হই
হারিয়ে যায় আমার মনের মাঝে এঁটে থাকা অস্পষ্ট বাসনার
সেই দু‘জোড়া চক্ষু,
অস্থির আর নেশাসক্ত চক্ষুগুলোতে তাই
আমি বিভাজনে বিভাজিত।

অধীর সমক্ষেপনে চলতে গিয়ে যখন ভাবনারাও ক্লান্ত হয়
তখন আভাস পাই, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ যন্ত্রনার
যা হঠাৎ বজ্রাঘাত হওয়া নতশীরে অস্পষ্ট দেখাটাকেও আরো কালো করে গভীরে
বলে চলে, বহুযুগব্যাপি তোমার অন্তরের জমানো ভাবাবেশ বিনষ্ট হল আজ
তুমি শুধু অতৃপ্ত বাসনায় সেই দু‘জোড়া চক্ষুর আশায়ই জীবন খোয়ালে।

কবিতাঃ কবিতায় আর কি লিখব?

কবিতায় আর কি লিখব?
যখন শতসহস্র শতাব্দীর আঘাতের ক্ষত হৃদয়ে নিয়ে আর্তচিৎকারে বলতে পারিনি
ঐ ক্ষমতাশালী হিংস্রজানোয়ারের দল, তোরা আমাদের অধিকার লুটে নিয়েছিস,
আমাদের ঠেলে দিয়েছিস অন্ধকারের অতল গহ্বরে
আমাদের হৃদয় ঘুনো পোকায় খাইয়ে করেছিস ক্ষত-বিক্ষত।

নিয়তিকে আমরা মেনেছি, সব আমাদের নিয়তি! হাঃ হাঃ হাঃ, সব আমাদের নিয়তি!
আমরা নিয়তি মানি, নিয়তির পদতলে উষ্ঠা খাওয়া যন্ত্রণার স্বরূপ মানি
ভাবী; আমরা সহায় সম্বলহীনরা প্রতিবাদে যাব? আমরা প্রতিবাদ করব গলা ফাটিয়ে?
দেখ; পাগল কুকুর বলে আমাদের ক্ষেপিয়ে সামনের দিকে তাড়িয়ে দৌড়াচ্ছে।
আমরা নাকি পাগল হয়ে গেছি, সবাই হাত উঁচু করে আঙ্গুল তুলে বলে যাচ্ছে,
অবিবেচকরা পাগল হয়ে গেছে! অবিবেচকরা পাগল।
সবার কথায় আমরা আজ বুঝেছি, সময়ের খরস্রোতে আমরা পাগলের প্রলাপ বকছি।

কেউ আমাদের বুঝলনা! কেউ আমাদের ভাষা বুঝেনা!
আমরা শুধু গলা ফাটিয়ে আমাদের অধিকার চাইছি, অথচ সবাই আমাদের পাগল ভাবছে।
আমরা শান্তনা নিতে ঘুরছি না? কারণ আমরা আজ জেনে গেছি শান্তনা আমাদের বার-বার স্তব্ধ করছে
শান্তনা আমাদের রক্তঝরা ঘামে সুবিধাভোগীদের জিহ্বা হতে লালসাতৃপ্ত স্বাদক্ষরণ করেছে
ওরা আমাদের সবকিছু চেটে খেয়েছে, আমাদের করেছে নিঃস্ব পদদলিত।

ওহে নির্বাক জাতি, তুমি আজ অবাক! আমরা হতবাক!
পথে-পথে অবিবেচকরা হুন্নি হয়ে ঘুরবে অধিকার স্থাপনে?
বল অধিকার কি তারা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে অজ্ঞতার প্রহসণে?

কিছুই হবেনা, হিংস্রনখরের থাবায় রক্তকনা ঝরে-ঝরে চারদিকে ছিটাবে
পথ-ঘাট রঞ্জিত হবে লালরঙ্গে, প্রাপ্যতা হবে লালরঙ্গে রঞ্জিত সিক্ত ভেজা মাটি।
শুধু একটা আশাই পুষি নীরব যতনে আমরা, যদি এই মাটি কখনো কথা বলে,
তবে বেঁচে থাকবে অবিবেচকরা, বেঁচে থাকবে অবিবেচকদের স্বপ্ন কবিতা
সে প্রত্যাশায় কবিতা লিখি নরদানবদের হাত থেকে অধিকার অর্জনের রক্তশিহরণে।

কবিতাঃ আগুন জ্বলবে ঘরে-ঘরে

ধর্ম পুড়ছে, ধর্ম পুড়বে কিছূ হবে না
মানবধর্ম উঠেছে যখন, ঘুছবে ধর্মের সাধনা?
বৌদ্ধমন্দির জ্বলেছে কাল, মসজিদও একদিন জ্বলবে
মন্দিরে যখন লেগেছে আগুন, প্যাগোডাও পুড়বে।
হাঃ হাঃ হাঃ, সব উপসনালয় পুড়বে
ধর্মসাধনা সব গুলবে……

কবিতাঃ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রূপরেখা!

মুখে একদলা থু-থু ছাড়া এই আমাদের
ঘৃণা করার আর কোন ভাষা অবশিষ্ট নেই
বিশ্বব্যাপী মানবতা নিধনযজ্ঞে
যে ক্ষোভ কিংবা উৎসাহের জোয়ার ধারা
স্পষ্ট হচ্ছে দিনকে-দিন
তা প্রকাশে অশ্রুহীন অসহায় মনদগ্ধ হৃদয়
থু-থু ছিটানো ছাড়া কি বা আর করতে পারে?

কবিতাঃ প্রার্থনা- ওহে; প্রাণত্রাতা

সতত পুরাণের বানী,
কোরানের বানীতে জ্ঞাণী
লঙ্ঘিত যদি হয় মানবতার গান,
ওহে; প্রাণত্রাতা,
তুলে নাও মোর ত্রাণ, এই প্রাণ।


কবিতাঃ আমি এখন রাস্তায় পচে যাওয়া শেয়াল-শকুনের খাবার


শরীরের মাংস আমার পচেছে
কাকভক্ষকের নেশা ধরানো দূর্গন্ধে
মাতাম হয়েছে মাটি-আকাশ-বাতাস
এখনি কি তবে হানা দেবে শেয়াল-শকুনের দল?
আমার কোন ণীতি নেই, ছিল না
পতনের যাতনা যাকে নর্দমায় ছেড়ে গেছে
অম্লান বদনে তার নিঃশ্বাসও বড় কঠিন,

কবিতাঃ পূর্বপ্রজন্মের ইতিহাসের ভগ্নস্বপ্ন উন্মোচণের ইতিকথা

এ মাটি এর আগে কখনো ভালোবাসিনি এত
এই আমাকে যেমন, আমার মাকে যেমন,
আমার পরিবার-পরিজনকে যেমন…


স্নিগ্ধতার বিথীকারতলে যেদিন মা আমার নিরবে শুয়ে রইল
সেদিন হতে এ মাটির তত্ত্ববেদনটুকু যেন
আমার ক্ষুদ্রপ্রাণের আজীবনের লালনের সুখ
যা মিছিলে-মিছিলে সায়ে তিনহাত মাটির সুখ খুঁজে বেড়ায়
১ লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার প্রান্ত ছুঁয়ে……


কবিতাঃ ভালোবাসার সামনের দেয়ালটাই সত্য, স্মৃতিমন্থনে

তবুও আজ নিষিদ্ধ প্রান্তরে চোরাকাঁটায় হেঁটে যাব-দ্বিধাহীন
পিছনে সীমান্ত লঙ্ঘনে ছুটে আসুক আক্রোশ; বিক্ষত হোক দু‘পা বীষকাঁটায়
রাখব না তবু আশা জড়ানো স্বপ্ন, করব না কভু নবসুখে অন্তর রঙ্গিন ।
গীরিখাতে সুখ নেই, অদম্যতায় পীড়ণে জড়াই নিরবধি
দৃষ্টির সীমানা ভ্রুকুটি লঙ্ঘন করে নীলপ্রান্ত ছৌঁয় ঐ অদূর স্বপ্নলোকে
যেখানে পৌঁছে যায় ফিরিয়ে দেয়া অব্যর্থ ঘৃণার অন্তঃ; আদি।


কবিতাঃ জন্মান্তরের দায়


আমি শয়নে সঁপেছি দেহ-মন আমার
তোমার উষ্ণ ক্রোধে,
তুমি লবিলে সুখ তৃষিত বুকে
প্রগাঢ় নিঃশ্বাসে বেঁধে।
সেই বাঁধনের বাঁধভাঙ্গা জোয়ারে
ভেঙ্গে গেছে অদূর তার

কবিতাঃ কে বলে ঠাঁই নাই তার?

নীড়হারা পাখি;
ভেবনা খুঁজে যাবে ফিরে
নীড়ে!
যাও উড়ে দূরে
ঐ‘দূর; বহুদূরে……
যাও পথভূলে ছড়িয়ে সীমানা
আছে কেউ ঐ‘পথে ভেব না।

কবিতাঃ ভালোবাসার কথা

নীশিতে নিমগ্নচিত্তে করি
কাহারে লালন?
কি লাজে মুখ রাঙ্গে, বুক ভাঙ্গে?
ডুরিয়া বুকে হয় গোপন।


কিসে বেষ্টিত মুখ তার?
এত-এত চাহিয়া ফিরি
গোপনে ফুলবাসরে
এত-এত যতন করি।


কবিতাঃ কার নামে আলোকধারা


মানুষ, কেন তোমার চোখে-মুখে, এত-এত ভয়; বিষ্ময়?
তাকিয়ে দেখ চারিধার; বিশ্বময়, কোথাও কিছু স্থির নয়।
এই দাঙ্গা-হাঙ্গামা-ঝঞ্ঝাট, ঐ প্রকৃতির বিভৎস-কদাকার
সবকিছু ডিঙ্গিয়ে যেতে হবে পথ ধরে, অর্জিতে আপন অধিকার।
তুমি নিরালায় চাও বাঁচিবার, তাই হয় এত ভয় তোমার
ভয়-কাতুরে মন ভূলে তুমি, আলোর ভূমে চাও
দেখ রনাঙ্গণে বাঁচিবার জীবন, স্বাদ অন্তরে লও।

কবিতাঃ পেটের দুখ


আমি কি ঘরে কি বাহিরে
সব জায়গায় সমান অনাহারি
ভিক্ষাহীন ক্ষুদার অনুযোগে
হয়েছি নৈশ প্রহরী।

কবিতাঃ নিজভূমে পরবাস

আমি রক্তস্নাত স্নান চাই না
চাই না কারো রক্তাক্ত লাশ
কাটছে আমার দিনগুলো তাই,
নিজভূমে থেকে পরবাস!


আমি বন্ধুত্ব চাই
হাত রাখি তাই বন্ধুর হাতে
আমি ভালোবাসা চাই

কবিতাঃ পথে পড়ি মারা


পথ আমার পারাবারে, চোখে দিল ধূল
আমি চোখবুঁজে পথের মাঝেই, হারিয়েছি পথের কূল
যাব কোন পথ, আঁধারে সব সারা
মিলায়ে দেহ ধূলি মাঝে, পথে পড়ি মারা।

কবিতাঃ নাজমুল


আমার ভার্সিটির বন্ধু নাজমুল। আমি লেখালেখি করি, সে জানে। তাই একদিন আমাকে সে অনুরোধ করল আমি যেন তাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখি। ইংরেজী ২০০৮ সাল, আমাদের ভার্সিটির লেখাপড়াও প্রায় শেষ হবার পথে। ঠিক ওই সময় একদিন নাজমুলকে নিয়ে লেখলাম আমার অগোছালো মনের দু‘একটা কথা।

কবিতাঃ ভালোবাসার সুখ


আমি চলতে চাই দুনিয়ায়
মাথা তুলিয়া, বক্ষ খুলিয়া
আত্ম-সম্মান নিয়ে চলব, সেই ভাবিয়া
আমি চলি সরল হইয়া।
গরল আমি নইতো মনে
সরল হয়ে বাঁচতে চাই,

কবিতাঃ স্বপ্নভাঙ্গার যন্ত্রনায়


আশা মরে গেছে- নগ্নবেশে মন জড়ায়ে।
ঝরে পড়া শুকনো পাতা মাড়ানো পায়ে
পশম তোলা রক্ত জমাট উদাম গায়ে!
পালকবিহীন দেখে আমায় হাসছ কেহ?
আমি খুশী মনে দেইনি আমার এলিয়ে দেহ
ক্ষমতার ঐ শক্তবাহুতে দিলো ছেটে—–

কবিতাঃ প্রলয়ের পথে


প্রলয়ের পথে মৃত পথিক
শকুন মাংস খায় চারপাশ চেয়ে
এ এক দূর্ভিক্ষ অভিশাপে,
সব ধ্বংস পারমানবিক তান্ডবতায়
জানোয়ার ঐ ছুটছে ক্ষমতার তোড়ে
জীবন বোধহীন তেজস্ক্রিয় পরিতাপে।

ক্ষুধার দুখ

জন্মাবধী ডুলির গলুইয়ে
উড়ি সুতো হতে,
অন্তর-দেহ কলংক করে
পেটের দায়ে নটে!

তৃষায় বাসনা নয়
বাসনায় জাগে তৃষা,
ঠোকরে ক্ষয় অর্ধযৌবণ
মুঠোখানি অন্নের আশা!

কবিতাঃ এমন বন্ধুত্ব চাই

জীবনের বেলাভূমির অন্তঃসমীকরণে বসি
হিসেব মিলাই পিথ্যাগোরাসের সূত্র ধরে
কিংবা নিউটনের মহাকর্ষের সূত্র নিয়ে
ভাষ্করাচার্য্যের জ্যোতিবিদ্যার সূত্রও রেখেছি
সব তত্ত্বধারায় রাসায়নিক সমীক্ষা টানি, পেয়েছি এক অন্তঃমিলন শিক্ষা
যে শিক্ষার ভাববস্তু হল টান।

কবিতাঃ আমরা সবাই মিলে স্বপ্ন সাজাতে চাই

আজ স্বপ্নকুঠিরে সবাই মিলে স্বপ্ন সাজাতে চাই
মানবতার স্বপ্ন-সৌহার্দ্যে কে কে আসবে হাত বাড়াই
আমরা তাদের নিয়ে স্বপ্ন গড়াই, আমরা তাদের নিয়ে স্বপ্ন গড়তে চাই।
আমরা আজ স্বপ্ন গড়ব তৃণসনে, স্বপ্ন গড়ব দীনজনে
অবক্ষয়রোধে, মনুষ্যত্ববোধে আমরা মন জড়াই
আমরা সবার জন্য একটা স্বপ্ন চাই, আমরা সবাই মিলে স্বপ্ন সাজাতে চাই।।

আমরা চাইনা নিরক্ষরতার শাপ কিংবা অন্নপাপ
আমরা চাইনা বেকারত্ব কিংবা দরিদ্রতার রূদ্ধতাপ
সবাই আমরা বন্ধু-স্বজন থাকব সবাই মিশে
সে স্বপ্নে হতে আগুয়ান, জাগি প্রভাত প্রত্যূষে
আমরা জীবন-যাপনে সাম্যের বাণী প্রাণেতে সবার জাগাই।
আমরা সবার জন্য একটা স্বপ্ন চাই, আমরা সবাই মিলে স্বপ্ন সাজাতে চাই।।

তারা’তো আমাদেরই বোন-ভাই, যারা আজ নিরক্ষরতার অভিশাপে
এরা’তো আমাদেরই স্বজন, যারা ধুকছে ক্ষুধার তাপে
ওরা’তো আমাদেরই মতো স্বপ্ন দেখতে চায়, যারা অন্ধ-সামর্থ্যহীন
তাদের’ওতো আমাদেরই মতো বাঁচতে সাধ জাগে, যারা পথভুলে হয়েছে শৃঙ্খলহীন
পথে-পথে বেকার হয়ে ঠুকছে মাথা, সেও তো বন্ধুজন
আমরা কাকে হেলে পথে কাকে ধরে করব, নিজেদের স্বপ্ন সাধন?

আমরা এমন স্বপ্ন চাই, থাকি যেন আমরা সবে আনন্দ উচ্ছ্বলতায়
দুঃখ যদি ভাসাবে মোদের ভাসব একসনে, একাত্মাপ্রাণ মোদের; জড়াব প্রাণে-প্রাণে
যদি আজো হয়নি পূরণ স্বাধীনতার পূর্ণস্বাদ, তবু মোরা স্বপ্ন দেখী শুভ্র সেই প্রভাত
আমরা প্রভাত ফেরিতে আজ, মানবতার গান গাই
আমরা সবার জন্য একটা স্বপ্ন চাই, আমরা সবাই মিলে স্বপ্ন সাজাতে চাই।।

কবিতাঃ ভালোবাসার বৃষ্টিতে ভেজা


বৃষ্টি নেমেছে আকাশ ভেঙ্গে, হাঁটছি আমি মেঠো পথে
অজান্তে ভেবে যাই যাকে; সেও কি ভাবছে আমাকে?
হেঁটে চলছি একা, নেই পাশে সে
বৃষ্টি কি ভেজাবে; শুধু আমাকেই?
অচেনা পথে চলি, কিংবা অজানায়

কবিতাঃ আহত মূর্ছনা

গোধূলি আকাশে ছড়াচ্ছে কালো রং
চাতক-চাতকির তৃষ্ণার্ত চিৎকারে ভাঙ্গছে নৈসর্গিক মৌনতা
হুতুমপেঁচা গাছের আড়াল হতে চেয়ে আছে
দূর-দিগন্তে পাখিদের ঘরে ফেরা থেমে গেছে
পথে-পথে বর্ষার ব্যাঙ্ ঘ্যাঁঙ্গর-ঘ্যাঁঙ্গ শব্দে মাতাচ্ছে

কবিতাঃ পরশি কন্যা


হাজার নদীর তীর ভেঙ্গে ঢেঁউ, ডাঙ্গায় উছলায়
নদীর তরঙ্গে মৌনতা ভেঙ্গে, কোমল মন খেলায়।
কে হে, পরশি কন্যা; সবুজ ঘাস মাড়ায়ে পায়ে
ছিটায়ে জল অবুঝ প্রানে, বার বেলায় এলে গাঁয়ে!

কবিতাঃ আজব মানুষ


আজব মানুষ, আজব কাজে ব্যস্ত
সবদোষ তার ভাগ্যে ন্যস্ত
তা ধারণে সে অভ্যস্ত
তার জীবন সূর্য্য পশ্চিম আকাশে অস্তঃ।
কোথায় কি গেল? কি ধরাধরি হল?
খোঁজ নেবে তুমি আজব মানুষ!
অন্তরের অন্তরীক্ষে তোল সেই হুঁশ।

কবিতাঃ মায়াহীন ভুবন কাঁদে ডুরিয়া


মা কিংবা জননী    এই নাম দামী জানি
       নাই তুলনা কারো সনে
দিবস-রজনী       সব মধুর জানি
       রইলে মাগো নয়নে।
ভুবন আঁধার হায়   মাগো তুমি পাশে নাই
       ছাড়িলে মায়া সন্তানে
বড় অথর্ব এ জীবন   সব বৃথা আয়োজন
       বাঁচিয়া মরি দহণে।

কবিতাঃ ছাত্রনীতির জয়

স্ট্যাটাস দেখাতে!
বেনসন খাই,
এয়ারফোন কানে
ঘন্টার ভাব জমাই।
মেয়ে নিয়ে- ঐ রিক্সা
চলো যাই পার্কে,

কবিতাঃ ঠোঁটকাঁটা

হঠাৎ! চোখ পড়ে গেল দরজার খিলানের দিকে,
তারা দু’জন দু’জনার দিকে তাকিয়ে
নির্বাক চোখে কত কি ভাবনায়
হয়তো হারিয়ে যাওয়া কোন দূরালোক সীমানায় ।
এ মানবসরণীর বাহুল্যবর্জিত স্থান নয়, নয়তো চাকচিক্য স্মৃতিকুঞ্জ
তারা দু’জন মাটির আদলে গড়া মৃত্তিকাকুঞ্জে

বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৩

গানঃ আমি চাইনা হতে যাবার কালে


আমি চাইনা হতে যাবার কালে
বন্ধু তোমার প্রাণের দাবী
এত অনাদরে……..
মনের স্রোতে মন ডুবে যাক
ফুটুক কলি পদ্ম হয়ে বানের জলে।

অশ্রুজলে ঝরা শিমুল ভাসুক
জুড়াক প্রাণে মনভোলা সুখ
অবুঝ ছলে

গানঃ আমায় ধরিয়া তোল বিসখে

আমায় ধরিয়া তোল বিসখে, নিদ না আসে দু’চোখে
হারায়ে শ্যাম কালাচাঁন
ওরে মজে তাহার প্রেম ফাগুনে, হীয়া পুড়িল দহনে
বাঁচে না, বাঁচে না আর প্রাণ
ও বিসখে; হারায়ে শ্যাম কালাচাঁন।
আমি আনন্দে মেতেছিলাম, সোনার রঙ্গে দিনকাটালাম
যবে না ধরা দিল শ্যাম

গানঃ যাব তোমার গাঁয়

বাদলা দিনে মেঘের সনে বৃষ্টি খেলে যায়
এমন দিনে তুমি এলে যাব তোমার গাঁয়।
সেকি জান কি? সে জান কি?
এমন দিনে তোমার জন্যে, মনযে উতলায়।
ধুত্তুরি ঐ দাদাবুড়ো কত তামশায়

গানঃ রঙ্গিলা তুমি রঙ্গিন ভূষণে সাজিলা কত রঙ্গে

রঙ্গিলা তুমি রঙ্গিন ভূষণে সাজিলা কত রঙ্গে
আমি প্রেম রঙ্গে মজিলাম রাঙ্গি, তোমার প্রেমের ঢঙ্গে।
আষাঢ় মাসে কাঁদা খেলায়, এলে কাঁদা নিয়ে
নয়নে চেয়ে দিলে হাসি, নিলে ভুলিয়ে

গানঃ ফুল ফুটতে দাও

ফুল ফুটতে দাও, ঝরতে করো নাকো মানা
প্রেম আসুক জীবনে, ভাঙ্গনে বাঁধা দিও না।
জীবনটাতো রঙ্গের খেলা, রঙ্গে থাকো মেতে
ভাঙ্গা-গড়ার এই খেলায়, যেওনাতো চটে
বারিষন আসলে জীবনে, নয়নধারে ঝরাও না।

গানঃ তোমার পোকার মত দম

অনলে দগ্ধিলে জীবন বুদ্ধি তোমার কম
তোমার পোকার মত দম।
অনল হরে পোকার জ্ঞান হরিছে তোমার তাই
বোকার মত করলে সমর্পণ জ্ঞানের হীনতায়
তুমি বিবেকহারা উদাসনিশি তাইতো দেখী সম।
সংসার মানে টিকে থাকা আপন জ্ঞানে

গানঃ আমার নদীর মত মন

আমার নদীর মত মন, জোয়ার বাঁধ মানে না
ওরে একুল ওকুল যাবে ভেঙ্গে, যাবে ভেঙ্গে দুনিয়া।
অমবস্যা কালে উত্তাল এই নদীর বুক
ক্ষরস্রোতে করালগ্রাসে ভেঙ্গে যাবে সুখ
ওরে নিত্য ঘুমে অসার জীবন, জাগিলে উঠবে হায়-হায়।

গানঃ প্রেম শুধু ভাবুকের ভাবনা

পৃথিবীটা মায়া কিনা জানি না
শুধু জানি প্রেম বলে কিছু নেই, আছে শুধু ছলনা ।
পৃথিবীতে সহানুভূতি কেউ করে না
যেটুকু তার নামে, সবটুকুই করুণা ।।
ফুল ফুটে গাছের শাখে, মায়া জড়ায়ে হাতে থাকে

গানঃ প্রভু তোমার লীলাবিলাস বোঝা, সাধ্যি কি মোর আছে

প্রভু তোমার লীলাবিলাস বোঝা, সাধ্যি কি মোর আছে
তুমি পঞ্চমহাভূতে অষ্ট জড়ধারায়, গড়িছ মোহিনী রসে।
ছয়রূপে দেহ হয় পরিবর্তন, ত্রিতাপ ক্লেশে ভরে নয়ন
প্রকৃতির ত্রি’গুণ ধারা, দু’মায়া গড়া রোষে।

গানঃ আমি রাই প্রেমে বিবাগী

আমি রাই প্রেমে বিবাগী হয়ে, ঘুরব দেশে-দেশে
মজাইয়া প্রেমে আমারে রাই, নদীর ঘাটে না আসে।
আসবে বলে মধুমাসে, আছি আমি বসে
আসলো না, আসলো নাগো রাই, নয়ন জলে পথ ভাসে
মুরলীতে সুর ধরি, গাহি রাই নাম

গানঃ বধুয়া বলো

বধুয়াগো বলো তোমার মনে কি লয়
এমন শায়ন তুমি দিলে ঢেঁকে
এমন শায়ন তুমি দিলে ঢেঁকে
তোমার এই তনুমন, আমার এই অনুক্ষণ
শিহরন বাঁধে আবেশে, বধুয়া; শিহরন বাঁধে আবেশে
তোমার রচিতে হিয়া, আমার মন গিয়া

সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০১৩

প্রশ্ন ও প্রসঙ্গ

তুমি কি নিজেকে আস্তিক মনে কর? তবে তোমার মহান রাব্বুল আলামিনের নামে কসম করে বলতো- তুমি তার সবকিছু বিশ্বাস কর, তার সব অনুশাসন তুমি মেনে চল, তিনি সর্বঅধিশ্বর তা নিয়ে তুমি একটা মুহূর্তেও সন্ধিহান হও না। শপদ করে বলতো দেখি তুমি মানুষকে মানুষ ভাবতে পার, উঁচু-নিচু প্রবেধ তুমি কর না, তুমি ধৈর্য্যচূত নও। বল তুমি কখনো মিথ্যাকে অগ্রাসন দাও না, তোমার কন্ঠে সত্য চিরভাষ্কর। যদি পার আমি তোমাকে অকপটে আস্তিক মেনে নেব। আর যদি না পার তবে তুমি যে প্রকারের আস্তিক এ প্রকারের আস্তিক সবসময় ধান্ধাবাজ হয় (যেমন- সাঈদী, গোলাম আজম, কামরুজ্জামান...) এরা নিজের স্বার্থের জন্য যেমন নিজের জন্মপরিচয় অস্বীকার করতে পারে, তেমনি নিজের কলংককে ঢাঁকতে বর্বর হত্যাযজ্ঞও সৃষ্টি করতে পারে। তোমার আমার কথায় অবিশ্বাসে আমার কিছু আসবে যাবে না, শুধু অনুরোধ করি নিজের হৃদয়কে সত্য জিজ্ঞাসা থেকে বিরত রেখ না।