শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৩

কবিতাঃ দেহ আঙ্গিয়া ভুমিতে লুটিবে


ঐ রক্তচক্ষু কর নিচু, ভেবনা দূর্বল এমনতর
আমাদের রক্তে স্বাধীন শোর বড়
দূর্বলভাবে আছি বলে দূর্বল এত ভেবনা
আমরা শান্তির কপোত গগণে উড়িয়ে হয়েছি শান্তমনা।


আমাদের দুরন্তরূপ দেখিতে চাও নাকি?
চেওনা, বলি চেওনা,ঐ আকাশ পড়বে ভেঙ্গে বন্ধ হবে আঁখি।
কেন সৌহার্দ্য তোমরা বোঝনা?
কেন স্নেহ-ভালোবাসায় ভাব দূর্বলমনা?
দেখ না, আধা শুকলেই কি শুকোয় তার ঝালখানা
আমরা শীতলছায়া প্রদায়িনী শান্ত কলাগাছ
গোঁড়াকাঁট, আঁগাকাঁট করব ঠিক আপন প্রকাশ।
কেন চন্দন কাষ্ঠের সুবাসে মেতে ভাব এতটা জড়সড়?
জান নাকি, চন্দনবৃক্ষ সর্প পাহারায় জড়ো?
সরলতা মানে দূর্বলতা! না কর মনে;
জিজ্ঞাসিও জনে, সরল মানুষ কি করে রণে।
বিষাদ বড় কষ্টের অভিসারে
বিশ্বাস করে নিও বুকে বিশ্বাসিনীরে
নতুবা আহত বাস্তবতায় ভাঙ্গবে সকল দম্ভ
হারাবে আত্নসন্মান, হারাবে নীতিস্তম্ভ।
হে মনুষ্যবোধ-ধারী জন, মনুষ্যবোধে কর আরোহন
নতুবা কালগাত্রের যাবে ফাঁদে পড়ে
দেহ আঙ্গিয়া ভুমিতে লুটিবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন