বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬

প্রেম ও বিশ্বাস

প্রেম-ভালোবাসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে মূখ্য এবং জরুরী “বিশ্বাস”। এখানে বিশ্বাস যত দৃঢ়, ব্যক্তি মধ্যকার প্রেম তত প্রগাঢ় ও সুদৃঢ়। সময়-পরিস্থিতি বিবেচনা বোধে না নিয়ে শুধুমাত্র আবেগের বশবতী হয়ে, অথবা হারাবার ভয়ে যখন কোন পরিণয় বা সমাপ্তী আসে, তখন সেই প্রেম বা সম্পর্ক নিয়ে মুখোমুখি দাঁড়ায় জীবনের সবচেয়ে বড় প্রশ্নবোধক শব্দটি....

তারা কি পরস্পরকে সত্যি বিশ্বাস করে??????

(প্রেম সময়কে যেমন হারাতে জানে, তেমনি হারাতে জানে সমাজ-সংসার-সংশয় কে। অতটুকু না থাকলে প্রেমের প্রাধান্য কিসে?)

প্রেমের ক্ষেত্রে আর একটি গুরুত্ববহ বিষয় সন্দেহ, যেটা দূর্বল বিশ্বাসের কারনে ব্যক্তিমনে জন্ম নেয়। যখন ব্যক্তিমনে সন্দেহ প্রবল হতে শুরু করে, তখন পরস্পরের মধ্যেকার বিশ্বাসও কমতে থাকে। সন্দেহ বাতিক যুক্ত যুগল সত্যিকারের প্রেমটাকে জানে না। তাদের কাছে প্রেমটা যতটা না স্বর্গীয়, তারচেয়ে বেশী দেহ ও মনের খোরাক কিংবা প্রাপ্তীর। এ‘ধরনের প্রেম অভিলাষী! যেটা পরিণয় পেলেও পরিণতিটা স্বপ্নের মতো আগলে রাখবার স্থান করে দিতে পারে না।

(বিঃ দ্রঃ - এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত কিংবা দর্শন। যেহেতু আমার ব্যক্তি জীবনে কাউকে নিয়ে তেমন করে স্বপ্ন দেখা কিংবা কারও হাত ধরে এক-দু‘ক্রোশ পথচলা সম্ভব হয়ে উঠেনি, তাই চিন্তা কিংবা চেতনার ভ্রান্তী থাকতে পারে। তবে নিজের জানার গন্ডি এবং সমাজের প্রতিবিম্ব থেকে যতটুকু আলোর বিচ্ছুরণে ঠিকরে নিতে পেরেছি, তাতে নিজের উপলব্ধিটাকে একেবারে মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিতেও আমার কার্পণ্যতা আছে।)

জানা

উর্বর-অনুর্বর প্রাণগুলো ভেঙ্গে-চুরে বুনে যায় কবিতা-গল্প-উপন্যাস
আর রক্ত-মাংস-হাড় মাটিতে মিশে যেতে-যেতে রেখে যায় ইতিহাস।

জিজ্ঞাসা

যতটা কাছে আছি তারও কাছাকাছি রয়ে
যদি নীরবতার নীরবটুকু না শোন্
যতটা আড়ালে আছি তারও আরও বেশী গিয়ে
লাভ কি যদি এ মনটাকে জান?

প্রেম ও পরিণতি

শুরুটা ভালো লাগার, স্পর্শের কিংবা মনের সাথে লুকোচুরির
কিন্তু বিশ্বাসের ত্রয়োদশ বিন্দুরেখা পেরিয়ে পরিণতি সহজ নয়
কতকটা দ্যোদুলমান মন, কিছুটা মৌণস্তব্ধতা অথবা হারাবার কিছুপথ
আতঙ্কগুলো ভূত হয়ে পথ আগলিয়ে সমাপ্তিকে ইন্দ্রজালে আটকালে
আর চেয়ে নেবার মতো বাকী থাকে কেবল এক
যেখানে পরিবার-স্বজন, স্নেহ-সম্মান-দম্ভ-আধিখ্যাতা
জড়িয়ে পড়ে লক্ষ্যহীন ছায়াজালে, নাট্যমঞ্চের বিষাদে

ভালোবাসা হেয়ালীপনার মাত্রা যেমন বোঝে না
তেমনি বোঝে না এগিয়ে যাওয়া পথের সীমাবদ্ধতাটুকুও
শুধু মেঘধারার উপকূল ধরে ফেরবার আশার নৌকোটি
কূলে ভিড়বে বলেও ভেড়ে না
এখানে ভয়টা হারাবার, বিচ্ছেদের
তাই দিগন্তকে ছড়িয়ে যাবার নেশায় ঢেঁউগুলো যখন আরও অপ্রতিরোধ্য
তখন ঝরে পড়ে বেড়ে উঠা সীমানায় নিখাঁদ ভালোবাসার পালকগুলো।

অনুযোগ কেন?

যেমনটি ভেবেছ আমায় তেমনটি কখনও ছিলেম না, আজও নেই
সুদর্শণ পুরুষ তুমি কেন আর সকলেরই বাসনায়, অবিশ্বাস সেই?
না; তোমাকে দেখার মতো আমার কেবল দুটো আঁখিই সদা জেগে রয়
অনুযোগ কেন? আবেগ হেলে শিশিরেরও টলমল ছলছল রোদে পরিনয়।

বাসনা

যদি আগলে রাখার কৌশল জানতে প্রিয়তম;
আমিও পারতাম হতে অন্যসকল প্রেমিকসম

মূল্য

দীর্ঘ তিন বছর যন্ত্রণা সহ্য করেছি, দৈনিক গড়ে ৪-৫ ঘন্টা রাস্তায় কাটিয়েছি ২০ মিনিটের বাসের রাস্তায়। সব সহ্য করেও ভেবেছি সরকার ফ্লাইওভার বানাচ্ছে সে তো আমাদের মতো জনসাধারনের জন্যেই। কাজটা শেষ হলে আমরাই উল্লাসে এই রাস্তায় পথ পাড়ি দেব। ফলে ফ্লাইওভারের উল্লাসে বিভোর আমরা যখন রাস্তার বড়-বড় গর্ত পার হই, তখন তাতে আমাদের চিত্ত আহত হয় না বরং আমরা হাওয়াই মিঠে খেয়ে হাওয়ায় উড়ছি ভেবে নেই।

তিনবছরের মতো সময় পার হয়। যে ফ্লাইওভার দুই বছরের মধ্যে শেষ হবার চুক্তি হয়, তিনবছর পর তার অর্ধেক শেষ করেই প্রধানমন্ত্রী উৎসাহ নিয়ে উদ্ভোধন করেন। আহা! এ দেখার মধ্যেও সুখ, কৈফিয়ত ছাড়া ঢাক-ঢোল-বাজনা বাজিয়ে উদ্ভোধন! যা হোক অর্ধেক ত হয়েছে, মনে আনন্দ জাগে। আপাতত অর্ধেকে না হয় পেট ফুরবো। হ্যাঁ; মাসখানেক আধেকে বেশ ভালোই কাটছিল। ২০ মিনিটের রাস্তায় আমরা উড়োজাহাজে উড়ে ১০ মিনিটে পার হয়ে গেছি। বাসার সবাইকে তাই কয়দিন কৈফিয়ত দিতে হয়, কি করে আমি এত তাড়াতাড়ি বাসায় পৌঁছি! কৌতুক করে বড় এক ভাই বলেন; কি খবর বিপ্লবভাই? অফিস ফাঁকি দিচ্ছেন নাকি? তখন গর্ব করেই বলে উঠি, আমরা এখন ফ্লাইওভারে উড়ি ভাইয়া। আপনি উড়ে চলার মজা না পেলে বুঝবেন না।

বাবার মৃত্যু বার্ষিকী পালনের জন্য বাড়ি গেছি। ফিরে আবার যখন নিয়মিত অফিস করবার জন্য ৩০ মিনিট আগে বাসে উঠলাম, লক্ষ্য ১০ মিনিটে অফিসের কাছে পৌঁছব, তারপর হাতে ২০ মিনিটে নাস্তা খেয়ে একটু রিলাক্স হয়ে অফিসে ঢুকব। কিন্তু; একি? গাড়ি ফ্লাইওভারে উঠল না, ড্রাইভারের সাথে কেওয়াজ লাগালাম- মামা তোমাগো এত যাত্রীতে পেট পুরে না? অফিস টাইমে মজা করছ? কিছুক্ষন বাক-বিতন্ডা শেষে বাসের স্টাফের কথায় বুঝলাম, বেইলি রোড ভিআইপিদের রোড! আম-জনতা ভিআইপি রোড দিয়ে চলবে? তাই মন্ত্রণালয় থেকে সাধারন যাত্রীসেবা বাসের রোড পার্মিট তুলে দেয়া হয়েছে। সেদিন অফিসে ১ ঘন্টা পর নাস্তা না খেয়েই ডুকলাম। বুঝলাম, এদেশে আম-জনতার মূল্য শাসে, তাই আমের (আমজনতার) শাসটাই সকলের চাওয়ার, ঐটুকু শেষ হলে আঁটি হতে নতুন চারা গজে যতদিন না নতুন শাসের আম পাওয়া যায়, ততদিন পর্যন্ত তা মূল্যহীনই পড়ে থাকে।

আশার বাণী

শ্রমিক-মজুরের পিঠে হাত বুলিয়ে অনেকে বলেছে-
দেশ যেদিন উন্নত হবে সেদিন আমরা তোমরা.....
দেশ একটু-একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে
পিঠে হাত বুলিয়ে অনেকে আকাশ ছুঁয়েছে
অথচ আশার বাণী আকড়ে ধরা শ্রমিক-মজুরের দল
তাঁরা চাপড়ানো পিঠে কুঁজ নিয়ে এখন বিছানায়, নির্বাক

রিফিউজি

এদেশে হিন্দুধর্মালম্ভী‘রা রিফিউজি নয় বরং সংখ্যাগুরুদের চেয়েও এদেশে তাদের বাপ-দাদার ভিটে অধিকার অনেক বেশী, অনেক প্রাচীন। সামাজিক, রাজনৈতিক কিংবা সংষ্কৃতিক যে অবকাঠামোর উপর এদেশটা আজও দাঁড়িয়ে আছে, তারও বীজ বপন এদের হাতেই হয়েছে। ১৯৪০ থেকে ১৯৬০ সালের ভূমি রেকর্ড কিংবা তফসিল ঘাটাঘাটি করলে এখনও স্বচ্ছ কাঁচের মতো স্পষ্ট দেখা যায়, এইদেশের সব ভূমি-সম্পত্তি প্রকৃত মালিক ছিল তারাই। অথচ অবাক হয়ে দেখতে হয় আজকের সময়টাকে!

তাদের বর্তমান অবস্থান দেখলে খুব সহজেই অপরিচিত কেউ ভেবে নেবে, এদেশটাতে তারা রিফিউজিই ছিল। তাদের পাঞ্জাবী রেখে ধুতির কোচ খুলে পালানো দেখলে খুব সহজে বলে দেয়া যায়, নিজস্বার্থের জন্য এরা নিজের পরিবার-পরিজনকে নেংটা করার দক্ষতা অর্জন করলেও, নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য মৃত্যু অবধি লড়তে প্রস্তুত নয়। এদের শক্তি মনে নয় দেহে, তাই মনের ভয়ে শরীরের শক্তি নিয়ে এরা যতটা পালিয়ে ছুটতে সক্ষম, ঠিক ততটা শক্তি দিয়ে অন্যায়কারীকে ধরাশায়ী করতে সক্ষম নয়। এভাবে ছুটতে-ছুটতে কত কম সময়ের মধ্যে তারা এইদেশের অবাঞ্চিত রিফিউজি হয়ে গেছে, হাত কচলিয়ে আজও হয়ত অনেকে ভেবে ফেরে!

সইবে তো?

কৃষক-মজৃরের পিঠের চামড়া তুলে তা দিয়ে দেশটাকে ঢেঁকে যদি সোনালি রঙ্গের তুলিতে আঁচড় কেটে বলা হয়, এই দেখ আমরা দেশটা চকচকে সোনায় মুড়িয়ে দিয়েছি। তাতে কি সারা পৃথিবী মেনে নেবে আমার দেশটা সোনায়-সোনায় ভরে উঠেছে? আপনারা কি খোঁজ করে জেনেছেন সারা পৃথিবী ঢুলছে তালে-তালে, মাতালে?

দেশসেনানী‘রা আর একটু ভাবুন, মনে হয় আর একটু ভেবে নেবার প্রয়োজন খুব বেশী। মাতাল ঘোর থাকা পর্যন্ত রঙ্গিন দুনিয়ার সুখ খুঁজে, প্রলাপ বকে।কিন্তু ঘোরহীন সত্যের মুখোমুখি দাঁড়ালে, প্রতিটা কদমে এত-এত আর্তনাদ-আহাজারী-আক্রোশ সইবে তো?

ট্যাক্স

৫৬ হাজার কোটিপতি ট্যাক্সের টাকায় ফূর্তি করবে, অভুক্ত কৃষক দেশ চালাতে ট্যাক্স দেবে। আর প্রজাতন্ত্রের সেনানায়ক‘রা গাঞ্জা খেয়ে দেশটাকে উদ্ধার করবে।

কার !

টগবগে তরুন তুখোড় কবি
বুকে প্রেমের পাথার, চোখে রঙ্গিন ছবি
কার ! প্রেমিকার?
এ বোঝা দায়!!

কবি কোন বিভোরে থাকে, কখন ইশারায় ডাকে
রুপকথার জগত পেরিয়ে ভ্রান্তী কাটলে, সকলে বুঝে
সে শুধুই প্রেমিক ছিল !
সুন্দরের, কবিতার...

হিংসেটুকু আগলে রাখি কি করে বলুন ত?

আরে এতদ্দিন তো কেবল তেনাদের (পুছকা পোলাপাইনের) কাজ-কারবার দেইখা আমি তাজ্জব হইতেম। এখন তেনাদের মতন আরেকদল পেলুম। তেনাদের রং তামাশাও আমার কাছে বেশ লেগেছে। এইদল কিন্তু তেনাদের মতো কথায়-কথায় কাঁদেন না, তবে খিটখিটে স্বভাবের জন্য তেনাদের সবসময় বেশ সুনাম। হয়, ঠিক ধরেছে- তেনারা বয়সে বড় হলেও আচারণগত দিকে মাঝে-মাঝে পুছকা তেনাদেরও হার মানিয়ে দেন। এই ধরুন আজকের কথাই বলি-

তখন রিকশায় আফিসে আচ্ছিলুম। লুকাস মোড়ে রিকশা ফার্মগেটের দিকে মোড় দিতেই দেকি তেনারা দু‘জন (বয়স অনুমানিক হিসেবে ৭০+) রং-ঢংয়ে মেতেছেন। একজনের হাতে কচকচে ২০ টাকার দুটো নোট, অন্যজন সাথে বসা। নোট হাতে তেনা করলেন কি, উৎসাহ নিয়ে একটু লাফালেন, তারপর একটা কচকচে নোটের উপর মুখ থেকে একটু থু-থু নিয়ে অন্যজনের কপালে আটিয়ে দিলেন। অন্যজনও দেখী এতে বেপুক মজা লুটছেন। তিনি খুশিতে গদগদ হয়ে,হাফুস-হাফুস করা মুখে একগাল হেসে, কপাল থেকে টাকাটা পকেটে পুরে নিলেন। এদেকে হাতে থাকা বাকী আরখানা নোটও থু মেরে এঁটে দিলেন কপালে আর অন্যজন একইভাবে পকেটে পুরলেন। দেখে বেশ বোঝা যাচ্ছিল, দুজনের মধ্যেকার আনন্দঘন সুখটুকু।

দু‘জনের হাস্যোউজ্জল মুখ দেখে সত্যি অনেক সুখবোধ হল। জীবনের এ সময়টায় দাঁড়িয়ে এতটা নিঃসঙ্গতা, এতটা একাকিত্ব ঘুছিয়ে নেবার মতো এতটুকু সুখবোধ খুব কমজনেরই মেলে। আমি ভাবছি, যদি বেঁচে থাকি জীবনের সে ক্রান্তিক্ষনে আমারও কি এমন একজন বন্ধু মিলবে? আমিও কি জীবনটাকে এই ছোট্ট একটা আনন্দে এতটা মশগুল করে নিতে পারব? পাওয়ার শোকটুকু এখনই অনুধাবন করছি। তাই বলি- হিংসেটুকু আগলে রাখি কি করে বলুন ত?

শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

যেদিন মন বিষে যায়

যেদিন মন বিষে যায়, সেদিন থেকে ছায়াটাকে মাড়ায়ে পিষছি প্রতিদিন
এ‘মাটির মায়ায় যত নুড়েছি মানুষের ঘৃণার দহানলে হৃদয় ততটা লীন।

আকৃষ্ট

ভালোবাসাটা ভিতরকার বস্তু. একে বুঝতেও তেমন মন থাকা লাগে।
অথচ বেশীরভাগই অবদমনে জড়িয়ে মুখের প্রলাপযুক্ত ভালোবাসাতে বেশী আকৃষ্ট হয়। 

কেউ আবার দেখানো ভালোবাসা না পেলে ভেতরকার অন্তর্দহ ক্ষতে আরক্ত হয়।

দাসত্ব জীবন কাটিতে হইবে?



দুঃখ কারে কহি বাপু, হগলের বন্ধু থায়ে, কয়ে বন্ধু-বান্ধব বিপদ-আপদের সঙ্গী।

আর শালার আমি এমন বন্ধু-বান্ধব পায়াছি, যারা কয়- “বন্ধু-বান্ধব নাকি চাকর-বাকরের সমান”।।

বলি এমন বন্ধু-বান্ধব লয়ে কি মোকে সারাজীবন দাসত্ব জীবন কাটিতে হইবে?

সহনশীল মানুষ

সহনশীল মানুষ বোধযুক্ত বটে, তবে দায়িত্বের ব্যাপারে সতর্ক নয়।

নিদহীন কে গো

বিদূর রাতে বৈরাগীমন ডুকরে কাঁদে উজান-ভাটির মেঘমালায়
অঝর ধারায় প্রিয় বিনে নিদহীন কে গো শিউলি তলায়

ভয়

যে নিজের জীবন নিয়ে খেলতে প্রস্তুত, তার আবার হারাবার ভয় কিসে?

একই

একই গৃহ, একই বোধ, একই চিত্ত, একই মূল আর সে একই স্বজাতি ভাবনা----

তবে নষ্ট বিলে ফোঁটা ফুলে মন্দের ভালোটাই তো কেবল কাম্য; তাই নয় কি?

না; বলছি এই বঙ্গে ক্ষমতাসিনদের মধ্যে আমাদেরতো কেবল মন্দের ভালোটাই চাওয়া, অন্য কারও ভিন্ন ভাবনা থাকলে, পসরা সাজিয়ে তার কাছেই বরং যান।

ধ্রুব দূর্লভ নেশায়

ধ্রুব দূর্লভ নেশায় ঝাউবনের জোনাক গিলেছে টিকটিকি
এখন কুঞ্চিত কৃচ্ছের আলয়ে, নিয়ন আলোর পসরা মেলে

সে দেখারই প্রতিক্ষায়

না বলার ভাষা কোনদিন ছিল না, এখনও নেই। শুধু পেট গুলিয়ে বমি পাচ্ছে আর বমির ভাব ঘুছাতে চারদিকে কেবল থু-থু টাকে ছিটানোরই কেবল প্রয়াস পাচ্ছি।

সময় বলছে আমরা বোধহয় নিজেদের হারিয়ে পেলছি শীঘ্রই, হারিয়ে ফেলছি সম্মান-সঞ্চয়-বিবেকবোধ, তবে আর রইলই বা কি?

যারা শ্রদ্ধা-সম্মান ভূলছে তার এই বোধ দিয়ে ধর্মটাকে লালন করবে? তবে চেয়ে আছি সে দেখারই প্রতিক্ষায়...

অব্যক্ত প্রশ্ন

আজ একজন তার বন্ধুশ্রেনীর একজনের কাছে গল্প করার সময়ে বলে উঠলেন, মাওলানা মওদুদীর “শান্তিপথ” বইটি পড়লে নাকি তার রক্ত টকবগিয়ে উঠে। তিনি জানালেন বইটি তিনি বেশ কয়েকবার পড়েছেন এবং প্রতিবারেই কাফেরদের বেদাতি কাজ দেখে ক্ষুদিত হচ্ছেন তাদের শেষ করার ব্যাপারে।

লোকটির কথা প্রতিবাদ করার সাহস আর সুযোগ না থাকলেও হাসছি আর ভাবছি মানুষকে খুন করার উদ্ভুদ্ধ করা বইয়ের নামও তাহলে ”শান্তিপথ” হয়?