বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬

হিংসেটুকু আগলে রাখি কি করে বলুন ত?

আরে এতদ্দিন তো কেবল তেনাদের (পুছকা পোলাপাইনের) কাজ-কারবার দেইখা আমি তাজ্জব হইতেম। এখন তেনাদের মতন আরেকদল পেলুম। তেনাদের রং তামাশাও আমার কাছে বেশ লেগেছে। এইদল কিন্তু তেনাদের মতো কথায়-কথায় কাঁদেন না, তবে খিটখিটে স্বভাবের জন্য তেনাদের সবসময় বেশ সুনাম। হয়, ঠিক ধরেছে- তেনারা বয়সে বড় হলেও আচারণগত দিকে মাঝে-মাঝে পুছকা তেনাদেরও হার মানিয়ে দেন। এই ধরুন আজকের কথাই বলি-

তখন রিকশায় আফিসে আচ্ছিলুম। লুকাস মোড়ে রিকশা ফার্মগেটের দিকে মোড় দিতেই দেকি তেনারা দু‘জন (বয়স অনুমানিক হিসেবে ৭০+) রং-ঢংয়ে মেতেছেন। একজনের হাতে কচকচে ২০ টাকার দুটো নোট, অন্যজন সাথে বসা। নোট হাতে তেনা করলেন কি, উৎসাহ নিয়ে একটু লাফালেন, তারপর একটা কচকচে নোটের উপর মুখ থেকে একটু থু-থু নিয়ে অন্যজনের কপালে আটিয়ে দিলেন। অন্যজনও দেখী এতে বেপুক মজা লুটছেন। তিনি খুশিতে গদগদ হয়ে,হাফুস-হাফুস করা মুখে একগাল হেসে, কপাল থেকে টাকাটা পকেটে পুরে নিলেন। এদেকে হাতে থাকা বাকী আরখানা নোটও থু মেরে এঁটে দিলেন কপালে আর অন্যজন একইভাবে পকেটে পুরলেন। দেখে বেশ বোঝা যাচ্ছিল, দুজনের মধ্যেকার আনন্দঘন সুখটুকু।

দু‘জনের হাস্যোউজ্জল মুখ দেখে সত্যি অনেক সুখবোধ হল। জীবনের এ সময়টায় দাঁড়িয়ে এতটা নিঃসঙ্গতা, এতটা একাকিত্ব ঘুছিয়ে নেবার মতো এতটুকু সুখবোধ খুব কমজনেরই মেলে। আমি ভাবছি, যদি বেঁচে থাকি জীবনের সে ক্রান্তিক্ষনে আমারও কি এমন একজন বন্ধু মিলবে? আমিও কি জীবনটাকে এই ছোট্ট একটা আনন্দে এতটা মশগুল করে নিতে পারব? পাওয়ার শোকটুকু এখনই অনুধাবন করছি। তাই বলি- হিংসেটুকু আগলে রাখি কি করে বলুন ত?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন