শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

রূপান্তর

পৃথিবীতে প্রত্যেকে মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করে। জন্মেরপর ধর্ম তাকে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-শিখ প্রভৃতিরূপে পরিণত করে। আবার প্রত্যেকটি স্বাতন্ত্রীক ধর্ম মানুষকে বিভিন্ন গৌত্র বা সম্প্রদায়ে রূপান্তরিত করে। আর এই রূপান্তরিত বিভিন্ন গৌত্র বা সম্প্রদায় নিয়ে গঠিত সমাজ মানুষকে নারী-পুরুষ বা ছেলে-মেয়ে রূপে পরিগণিত করে।

বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

শ, ষ, স তিন‘শ

বাংলা বর্ণমালায় শ, ষ, স এই তিন‘শ অস্তিত্ব বর্তমান হলেও-
জীবনকে উপভোগ করতে প্রয়োজন শ‘ য়ের,
জীবনকে অনর্থক ভাবতে ষ‘য়ের আর
বিলিয়ে দিতে স‘য়ের ব্যবহার স্বভাবসিদ্ধ।

কারণ?
সে একটাই কারণ শ এর শত ব্যবহৃত হয় শতক কল্পে- যেমন শত কোটি টাকা, শত-শত কৌড়ি, শতখানেক চাকর-বাকর।
ষত এর কোন যুক্তযুক্ত অর্থবোধকতা নেই, তাই এর প্রভাব অনর্থক
সত এর অর্থ সৎ বা সততা, যার অর্থ বিলিয়ে দিতে, সব কিছুর উর্দ্ধে নিজেকে ধরে রাখতে।

জীবনের প্রয়োজন অনুসারে মানুষ এই তিন‘শ তে নিজেদের আকড়ে রাখে!!

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

সৃজণ আমায় অন্ধ করে বন্ধ ঘরে

সৃজণ আমায় অন্ধ করে বন্ধ ঘরে
জীবন আমার চলে ঘুরে দ্বারে-দ্বারে
নাইযে আমার কুল কিনারা ভবসংসারে
জীবন আমার চলছে দয়াল আপনা খেয়ালে।

দয়াল দিলেনা যদি ভবের কূল
ব্যাকুল পথে দিশেহারার কর ক্ষম ভূল
কোথায় সে ভবসিন্ধু হাতপাতি আজ সে দুয়ারে
এ সৃজণে জীবন গেল মোহবাসনার করতলে।

বেদনারাও একদিন ক্লান্ত হয়

জান? বেদনারাও একদিন ক্লান্ত হয়। ঐযে শোন নি, সেদিন সরল দুপুরবেলায় পূর্ণত্রীর সাগরসম নয়ন শুকিয়েছিল। অথচ কোন বুঝ দিয়েই তো তাকে এতকাল কেউ থামাতে পারেনি। শুনেছি তার শুকনো সাগরে এখন ধু-ধু বালিচরে ভরে গেছে। স্মৃতিরাও আবছা হয়েগেছে।

নিবারণ সত্যি কি জান? তোমাকে হারালে আমারও এমন হবে। যে বিশ্বাস ঘিরে আমার সবুজ ছায়াবিথীতে রঙ্গিন ফুল ফুটে, যে অধরের গ্রীবায় আলোক উজ্জ্বল হাসে, সে বিবর্ণ হলে আমার স্মৃতিরাও হৃদয় ক্ষরণে জমে-জমে আবছা হবে। চোখের ভ্রুকুটিতে আমার বিষন্ন বেদনার সাজানো অঞ্চল ভিজে একাকার হয়ে যাবে।

প্রচলিত বিদ্যা


প্রচলিত বিদ্যার অনেক বিষয়ে আমার দ্বিমত আছে। আমার মনে হয় জ্ঞানকে তীক্ষ্ণ করতে ভাবনার প্রসারণ ঘটাতে গণিত, বিজ্ঞান, তাত্ত্বিক বিষয়ের ধারণার প্রয়োজন আছে। প্রয়োজন আছে মৌলিক ভাষা চর্চ্চার জন্য ভাষা শিক্ষন শিক্ষার কিংবা ভাষার উৎপত্তি, বিন্যাস, শ্রেনীকরণ জানার। সমাজে বসবাস করতে সামাজিকতা শিক্ষার, যুক্তিযুক্ত আচারণে বিশিষ্ট জনের যুক্তিযুক্তি মতামত প্রকাশ করার।

কিন্তু কেউ কি আমাকে দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন- ঠিক কি কারণে আমাকে শ্রদ্ধাজনদের বাবা, মা, দাদা-দাদী, ভাই-বোনদের নাম মনে রাখতে হবে? ঠিক কি যুক্তিযুক্ত কারণ আছে তাঁদের সব লেখনীর নাম, সৃষ্টির ভিতরকার যেকোন কোন অনুচ্ছেদ, যে কোন আনুষ্ঠানিতকার স্থান, কাল, পাত্র, দিন মুখস্ত রাখায়? কি এমন হেতু থাকতে পারে যাতে আমাকে ঘেটে-ঘেটে চৌদ্দপুরুষের নাম তাদের জ্ঞাতি-গৌত্র খুঁজতে হবে? বুঝতে পারি না আমি, কিছুই বুঝতে পারি না।

বসন্ত বিরাগ


ফাগুণ কৌকিলের কুহু-কুহু
ময়ুরের ডাক কেকা
দোয়েল শিস মুহু-মুহু
কাক ডাকে কা কা।

ফুলরাশি ডালে ডালে
বিহঙ্গ ব্যাকুল
সৌরভে পরাগ মেখে
ভ্রমর ফুটায় হুল।

সামার্থ্য

সামার্থ্য হল তা- যা লোকে দেখেই বুঝতে পারে। কিন্তু লালসাতৃপ্ত ক্ষমতা সবসময় দেখাবার প্রয়োজন পড়ে।

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

নিরপেক্ষতাররুপ

আকুন্ঠ সত্য আর নির্জল মিথ্যার মাঝে নিরপেক্ষতাররুপ সাময়িক প্রলেপ দিতে পারলেও, বাস্তবতাটুকুকে রুখতে পারে না। তাই বলা চলে; নিরেপেক্ষরুপ সারাজীবনের জন্য বয়ে চলা ডায়াবেটিসের ইনস্যুলিন, জীবনভর সীমাবদ্ধ গন্ডির সীমাবদ্ধতাটুকু মানতে বাধ্য না হলে, নির্মম সত্য আর মিথ্যা মুক্তির ব্যাসার্ধে সারাক্ষন ডুবোডুবি খেলতে হয়।
প্রছন্নসুখে বেঁচে থাকার ইচ্ছা বেশীর ভাগ মানুষের কাছেই বড়।

যারা ঘুমরে কেঁদে মরতে পারে

যারা ঘুমরে কেঁদে মরতে পারে, তাদের যাতনায় সহানুভূতি দেখানোর মূল্য কি?
যাদের আবেগ নিজেরদের ধ্বংসের জন্য যেনেও সে আবেগে তাড়িত হয়, তাদের বেঁচে থাকার অধিকার পুষে কাজ কি?
বরং বিচ্ছিন্ন সহমরণে ঝাপ দেই চলো অগ্নিকুপে........

শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

আকুতি

মাগো; স্নেহ আঁচলে রেখ-
সত্য-শপদে না যেন হয় ভয়
এই বাংলা মধুর ভাষার তরে
স্বপ্ন‘রা যেন পায় আশ্রয়।

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

সবকিছু শেষ হয়

সবকিছু শেষ হয়
সময় ব্যবধানে  স্রোতস্বিণী শুকায়
থু-থু জমে আড়ষ্ট হয় রতন বাউলের সুর
থামে দরদমাখা গান।

পৃথিবীর চিত্ত থামবে-থামবে করছে
ক্ষুধার পাষাণে আড়ষ্ট যখন চিত্ত
বিধর্ব নগরে দৈব কত কি কামনা
সদ্য জন্মানো ভূমিতে ফসল সয়লাবে।

পাথর সে ক্ষুদ্ধ অভিশাপে তপ্ত হয়
নগর হতে নাগরিতে জমে স্মৃতিকথণ
প্রবাল প্রহারে দিক-বিদিক ছুটে উত্তপ্ত শোধ
খড়-কুটরে আকড়ে যায় জীবনের সব বোধ।

জগত জানে, আমরাও জেনেছি
ক্ষয় হয় উর্বর সরোবরের, ফসলি জমির
ক্ষয় হয় সকল গল্পের, জন্মভূমির
শুধু হুঁশ বেচে মানুষ ফেরে আলো-আঁধারের দ্বিধা-দ্বন্ধে।

সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

কৌতুক

সময়ের আবর্তে কোনো দৃড় সাবলিল চরিত্র যদি ভেঙ্গে দূর্বল প্রসহণ চরিত্রে রুপ নেয়; তবে সেই প্রহসণ চরিত্রটিই হয় একটা কৌতুক....

রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

লুকিয়ে রাখ

চোখের সামনে থাকলে যদি এত হিংসে হয়
লুকিয়ে রাখ হীয়ার মাঝে, হইয়া সদয়।