দুনিয়ায় সমস্ত সৌন্দর্য ভীরুতা আর ঢংয়ে পরিপূর্ণ।
দুনিয়া যতবেশি গর্দভে ভরে উঠবে, দুনিয়া ততবেশী হাসি-হুল্লোরে মেতে উঠবে।
বুদ্ধিমান-জ্ঞানীজনের হাতে পৃথিবীটা অনেক বেশি যান্ত্রিক আর অসুখী।
রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
দুনিয়ায় সমস্ত সৌন্দর্য
মঙ্গলবার, ৫ জুন, ২০১৮
অসভ্যতাই দুনিয়ার আসল খেয়াল!
অসভ্যতাই দুনিয়ার আসল খেয়াল!
বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮
গলাবাজরা কোথায় বসে গৌষ্ঠীর পিন্ডি চটকাচ্ছে?
এমন একটা দেশে সারাজীবন অতিবাহিত করতে হবে, যেখানে জীবনের মূল্য সিকি আনা দাবি করাও অযৌক্তিক। আর এমন মূল্যহীন জীবন নিয়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা আর মমত্ববোধ দুটোয় ঘৃণায় পরিবর্তিত হবে না, সে কে বলতে পারে?
বড়-বড় গলা বাজানো মন্ত্রী আর আমলাতন্ত্র যখন পাবলিককে বোকাছোদা বানিয়ে, নিত্য জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে, তখন আমরা অসহায়ত্ব কে বরণ করেও তাদের চৌদ্দগোষ্ঠীর পিন্ডি চটকাতে ব্যর্থ হবার দায়ের মত, দূর্বিসহ জীবন নিয়ে সত্যিকার অর্থেই কি করব?
বলছি, নোয়াখালী থেকে ঢাকা ৪ ঘন্টার পথ, ৬ ঘন্টা পার করে মেঘনায় এসে পরবর্তী ২ ঘন্টায় পাড়ী দিলাম আধা কিলো, বাকী বাসা নাগাদ পৌঁছুতে ৪০ কিলো পথ কত সময়ে পাড়ী দিতে পারব, উপরওয়ালাই তা ভালো জানেন। কিন্তু আমাদের এমন অসহায় জীবন-যাপনে দেশকে উদ্ধার করা গলাবাজরা কোথায় বসে গৌষ্ঠীর পিন্ডি চটকাচ্ছে?
শুক্রবার, ১৬ মার্চ, ২০১৮
আর অবশিষ্ট কি বাকী
শরীর, মন, মগজ তিনটাই মানুষ বিকিয়ে বেড়াচ্ছে, প্রতিনিয়ত বিক্রি করে যাচ্ছে। বলছি তবে আর অবশিষ্ট কি বাকী, যার জন্য মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার হতে পারে?
মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৭
যদি বিশ্বাসই সত্য হয়
যদি বিশ্বাসই সত্য হয় তবে বিবেকের কাজ কি?
রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭
অন্তরে গচ্ছিত ভালোবাসাটুকু
আমাদের ক্ষমা করো
...দেশমাতৃকা আবারও লাজ-লজ্জা হেলে উন্মুক্ত দরবারে উলঙ্গ হল। তাঁর শাসক-নিয়ন্ত্রক যারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল, জীবনের বিনিময়ে হলেও মায়ের সম্মান সমুজ্জল রাখব! তারাও অন্যায়ের কাছে নিজেদের প্রতিজ্ঞা বিকিয়ে, নিজের হাতে দেশমাতৃকাকে উলঙ্গ করে ছাড়ল, তাই তাদের জন্য আবারও-
আমাদের ক্ষমা করো-
হে আমাদের রুগ্ন জন্মধাত্রী
আমরা নষ্ট বীজে অপুষ্ট ভ্রুণ
নেই গ্রহীরে শক্তি...
আমাদের ক্ষমা করো-
ক্ষমাহীন যত অযাচিত শাপ
জন্ম মোদের সংকরিত ফল
প্রভেদে রটে প্রবাদ...
আমরা আপনা নীড় আপনি ভাঙ্গি
নির্বাক প্রতিবাদে
আমাদের জন্মধারায় সংশয় আতুরঘর
কাঁদে ধুকে-ধুকে।
আমাদের ক্ষমা করো-
হে আমাদের রুগ্ন জন্মধাত্রী
কাপুরুষ সন্তান জন্মাতে বয়েছ প্রসব বেদনা
কাপুরুষ সন্তানের ভীড়ে হয়েছ মৃত্যু পথযাত্রী।
শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭
জঙ্গিবাদের উত্থান অনুশীলন কাদের ধ্বংস করবার জন্য?
শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
কাপুরুষ
বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৬
মানুষ শ্রেষ্ঠ নাকি নিকৃষ্ঠ?
না; মানুষকে শ্রেষ্ঠ ভাবতে পারছি না, বরং এদের এমন এক চিজ মনে হয়, যারা-
২) এরা বাঁচাতে ঔষধ বানায়, মারতে অস্ত্র বানায়
৩) কখনও কারও ঘর তুলে দেয়, কারও টা আবার পুড়িয়ে দেয়
৪) সেবায় কখনও অসুস্থকে বাঁচিয়ে তোলে, আবার সুস্থকে খড়গে খুন করে
৫) সময়ে যতটা মমতায় আগলে রাখে, পুরোলে তারচেয়ে বেশী তাড়ায়
৬) স্বার্থ থাকলে শ্রদ্ধা করে, পুরোলে লাথি মারে
৭) কখনও পথ থেকে তুলে নেয়, কখনও আবার ঘর ছাড়া করে
৮) আদর-মমতায় কাউকে পরিপূর্ণ করে তোলে, কারও জীবনকে অবলীলায় বীষময় করে তোলে
৯) ডান হাতে পেট পুরে আর বাম হাতে বিষ্ঠা সাফ করে
১০) আর নিজের বিবেচনায় নিজেকেই শ্রেষ্ঠের দাবিদার করে বসে
না; আমার বিবেচনায় প্রাণিজগতের শ্রেষ্ঠ মানুষ!!! এ কোনভাবেই বিবেচিত হচ্ছে না। শ্রেষ্ঠ‘রা বরাবরই শ্রেষ্ঠ হবে তাদের নিষ্ঠায়-কর্মে-গুণে। তারা মহিমাণ্বীত হবে ক্রমাণ্বয়ে। কিন্তু শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার মানুষদের ঠিক কতজন আজ নিজেকে বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারছে?
সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৬
সংখ্যালঘু
ব্যক্তি আর গোষ্ঠী কখনও এক নয়, এক হতে পারে না
মানুষ জন্মানুযায়ী গোষ্ঠীর পারস্পরিক বিশ্বাসে দাবিত হয়, এ অস্বীকার করার জো নেই। তেমনি ব্যক্তি জীবনবোধ, সামাজিক আচার, রাজনৈতিক অনুলব্ধি, অর্থনৈতিক বৈষর্ম্যতা কিংবা ধমীয় মূল্যবোধ বিবেচনায় একদিন মানুষ একটা নির্দিষ্ট চেতনায় জাগ্রত হয়ে বেড়ে উঠে, প্রত্যেকের নিজস্ব চিন্তাধারায় জন্ম নেয় এক-একটা স্বতন্ত্র স্বত্ত্বা। তাই ব্যক্তি আচারনের জন্য সমস্ত গোষ্ঠীকে সংযুক্ত করা কিংবা সমস্ত গোষ্ঠীর উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া জ্ঞাপন কোনভাবেই সমর্থিত হতে পারে না। যদি তাই হয় তবে- এ কেবল এই সত্যকেই সামনে মেলে ধরে, গোষ্ঠীর প্রতি ক্ষোভের প্রতিফলন ঘটাতে সংগঠিত চক্র তাদের নোংরা কুৎসিত চরিত্রটাকে কেবল সামনে টেনে ধরছে।
এইদেশের আবহাওয়ার আনুকূল্যে আমাদের জন্ম, শৈশব, বেড়ে উঠা। একদিন আচানক এই মাটির বুকেই আমাদের শান্ত ঘুমের আয়োজন। এদেশে ভিন্ন ধর্মালম্বীরা পরস্পরের সৌজন্যে একসাথে একপাতে যেমন খায় তেমনি এক হাতে অন্য হাতের জন্য মেলে দিয়ে পরস্পরের হাত ধরে একই রোলিং ধরে পথ পাড়ি দেয়। তবে চরিত্রগুলো এত দ্রুত বদালাচ্ছে কেন? হাতগুলো পরস্পরকে ঠেলে ফেলে দেবার প্রয়তারা চলছে কেন?
বারবার বলছি, ব্যক্তি কখনও সামষ্টিক নয়, তবে কেন ব্যক্তির উপর ক্রোধ সামষ্টিকের উপর গিয়ে পড়ছে? পৃথিবী জুড়ে এমন কোন দেশ নেই, যেখানে কোন নির্দিষ্ট ধর্মীয় চিন্তা-ধারার মানুষ ভিন্ন চিন্তাধারার কাউকে কটাক্ষ করার চেষ্টা করে নি অথবা তার ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি অন্যের উপর প্রয়োগ করে অন্যকে তার মতাদর্শে দীক্ষিত করতে চেষ্টা চালায় নি। যুগ-যুগ ধরে ধর্মান্তরিত হওয়া লোকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। শুধু ধর্মীয় কেন? আমরা সকলেই ব্যক্তির দূর্বলতাকে নিয়ে কম-বেশী ঘাটা-ছেড়া করি নিয়মিতই। এ জীবনের অনুসঙ্গ ব্যাতীত ভিন্ন কিছু নয়। তবে যে চরিত্রটি মানুষ কখনওই এড়িয়ে যেতে সক্ষম নয়, সেই চরিত্রটির জন্য সমূহ গোষ্ঠীকে আঘাত করার মনোবাসনা কি নির্দেশনা দেয়? আমি আমার বিবেচনায় তা বুঝতে পারিনি, হয়ত পারবও না। যারা বুঝে তারা সে সত্যটিকে তুলে ধরুক। তবে আমি একটা বিশ্বাস চিরদিন মেনে চলি, তা হল- কোন বিষয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করতে নেই, তাতে সত্যটা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়।
মানুষ নামের মুখোশ
প্রশ্ন?
যদি নিজের ভেতরকার সৌন্দর্য্যটাকেই জানা না হয়, তবে অল্প পচনেই দূর্গন্ধ ছড়ানো চামড়ার সৌন্দর্য্য দেখে কি লাভ বলুন তো? আচ্ছা, আপনি চামড়ার সৌন্দর্য্য দেখিয়ে কাউকে প্রভাবিত কিংবা প্রতারিত করার কথা ভাবছেন না তো?
শ্রদ্ধায় রতনতনু স্যার
বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
ধিক্কার
আর উপরের ঘটনায় কাদের প্রতি সিমপ্যাথি দেখাবার কথা? নিশ্চয়ই সে সব অসহায়দের জন্য, যারা পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিদেশ-বিভূইয়ে নৃশংস মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল।
অথচ টাইম-লাইনে ভেসে বেড়ায় সেসব জঙ্গি নেকড়ের বিভৎস ঘৃণ্য ছবি আর তাদের জন্য বিবেক বোধহীন অসংখ্য মানুষের ব্যাকুল রোদন সাথে রুপের স্তব-স্তুতি।
রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬
বেহেস্তকামীদের সমস্যা কি?
আরে ভাই, তোরা বেহেস্তে ৭০ হুর নিয়ে উল্লাস করবি আবার দুনিয়াতেও কাফেরের রক্ত নিয়ে উল্লাস করবি?
আরে- কাফেররা তো এমনিতেই পরকালে দোজগের আগুণে জ্বলতে থাকবে বলে নিশ্চিত হয়েছে, তাদের দুনিয়ার বাতাসটুকু অন্তত শান্তিতে নিতে দে।
নাকি দুনিয়াতে তাদের এইটুকু সুখও সহ্য হচ্ছে না? নাকি পরকালের দোজগের আগুণের ব্যাপারে তোদের সন্দেহ আছে?
তবে বল- দুনিয়াতে কাফেরের এই সামান্য সুখ নিতে পারছিস না, জান্নাতে অন্যের সেই মানের ৭০ হুর দেখে সইতে পারবি তো?
(বি. দ্র- এই পোষ্ট বিশেষ কারও পক্ষ নিয়ে নয়। এই পোষ্ট আক্রান্ত সাধারন অসহায়েদর পক্ষে, এই পোষ্ট ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির ধরুন আমার মত আর যারা কাফের খ্যাতি পায়- তাদের জন্যে।)
যে যেতে চায়
প্রত্যেকের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার আছে, আছে বাসনা পুরণের অধিকারও। অথচ প্রশাসন অকারণ হস্তক্ষেপ চালাচ্ছে।
যে যেতে চায় তাকে যেতে দিতে হয়, তাকে যেতে দেওয়া উচিত। না হলে সে যার যাওয়ার ইচ্ছে নেই, তাকে নিয়ে যাবার সুযোগ খুঁজে।
নিঃখাদ ভালোবাসা্ ও দেশপ্রেম
ভালোবাসা তখনই নিখাদ হয়, যখন তা বিনিময় বিহীন হয়।
মা-বাবা জানে তার কোলের কন্যা সন্তানটি একদিন তাদের ছেড়ে অন্যে ঘরের কেউ হবে, জানে- তাঁদের ছেলেটি একদিন তাঁদের পথে ফেলে দিতেও হয়ত দ্বীধা করবে না। তবুও তাঁরা কন্যাটিকে, তাঁদের ছেলেটিকে নিজের শরীরের হাজার ছোট-জখমের বিনিময়ে কোমল রাখতে উদগ্রীব থাকে।
নিখাদ ভালোবাসা বাসতে পারে একজন কৃষক। সারাদিন মাঠে পড়ে আগুণে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ফসল বুনে। অথচ তিনি জানেন এই ফসলের দশভাগের একভাগও তাঁর উদর নিবৃতের জন্য নয়। তবুও সন্তানের মমতায় আগলে তিনি ফসল বুনেন, ফসল উঠার আগ পর্যন্ত হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসা ঢেলে ফসলের যত্ন করেন।
নিখাদ ভালোবাসা দেখাতে পারেন একজন শ্রমিক- তিনি পরম মমতায় অন্যের জন্য বড়-বড় দালান-কৌঠা, পথ-ঘাট গড়ে তোলেন প্রতিটি রক্তঝরা ঘামের দামে। অথচ এই দালান-কৌঠা, রাস্তা-ঘাট কোনটিই তাঁর থাকবার বা চলবার নয়।
আমরা একটু দানবীর হলেই তাকে শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিকের খেতাম দেই! রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অলংকৃত করে শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিকের আসন প্রদান করি! অথচ জানতে চাই না- দানবীরের অর্জিত সম্পদের খাত, বুঝতে চাই না নেতা-মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর সাচ্চা দেশপ্রেমিক সাজার পেছনে কাক্ষিত থাকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার বাসনা।
আগে অনেকবার লেখেছি- মনের ভেতরে পুড়ে-পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া প্রেমিকের প্রেম খুব কম প্রেমিকাই বুঝতে চেষ্টা করে। অথচ ভালোবাসি-ভালোবাসি বলে মুখে ফেনা তোলা লাফাঙ্গারই প্রতারণা ফলাবার আগ পর্যন্ত প্রেমিকার কাছে শ্রেষ্ঠ প্রেমিক বলে বিবেচ্য হয়!