ক্ষোভ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ক্ষোভ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

দুনিয়ায় সমস্ত সৌন্দর্য

দুনিয়ায় সমস্ত সৌন্দর্য ভীরুতা আর ঢংয়ে পরিপূর্ণ।
দুনিয়া যতবেশি গর্দভে ভরে উঠবে, দুনিয়া ততবেশী হাসি-হুল্লোরে মেতে উঠবে।
বুদ্ধিমান-জ্ঞানীজনের হাতে পৃথিবীটা অনেক বেশি যান্ত্রিক আর অসুখী।

মঙ্গলবার, ৫ জুন, ২০১৮

অসভ্যতাই দুনিয়ার আসল খেয়াল!

অসভ্যতাই দুনিয়ার আসল খেয়াল!

শুধু গুটিকয়েকের সভ্য হওয়ার প্রচেষ্টা;
জগতকে হানাহানির দিকে ধাবিত করে।

বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮

গলাবাজরা কোথায় বসে গৌষ্ঠীর পিন্ডি চটকাচ্ছে?

 এমন একটা দেশে সারাজীবন অতিবাহিত করতে হবে, যেখানে জীবনের মূল্য সিকি আনা দাবি করাও অযৌক্তিক। আর এমন মূল্যহীন জীবন নিয়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা আর মমত্ববোধ দুটোয় ঘৃণায় পরিবর্তিত হবে না, সে কে বলতে পারে?
বড়-বড় গলা বাজানো মন্ত্রী আর আমলাতন্ত্র যখন পাবলিককে বোকাছোদা বানিয়ে, নিত্য জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে, তখন আমরা অসহায়ত্ব কে বরণ করেও তাদের চৌদ্দগোষ্ঠীর পিন্ডি চটকাতে ব্যর্থ হবার দায়ের মত, দূর্বিসহ জীবন নিয়ে সত্যিকার অর্থেই কি করব?


বলছি, নোয়াখালী থেকে ঢাকা ৪ ঘন্টার পথ, ৬ ঘন্টা পার করে মেঘনায় এসে পরবর্তী ২ ঘন্টায় পাড়ী দিলাম আধা কিলো, বাকী বাসা নাগাদ পৌঁছুতে ৪০ কিলো পথ কত সময়ে পাড়ী দিতে পারব, উপরওয়ালাই তা ভালো জানেন। কিন্তু আমাদের এমন অসহায় জীবন-যাপনে দেশকে উদ্ধার করা গলাবাজরা কোথায় বসে গৌষ্ঠীর পিন্ডি চটকাচ্ছে?

শুক্রবার, ১৬ মার্চ, ২০১৮

আর অবশিষ্ট কি বাকী

শরীর, মন, মগজ তিনটাই মানুষ বিকিয়ে বেড়াচ্ছে, প্রতিনিয়ত বিক্রি করে যাচ্ছে। বলছি তবে আর অবশিষ্ট কি বাকী, যার জন্য মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার হতে পারে?

মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৭

রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭

অন্তরে গচ্ছিত ভালোবাসাটুকু

সকলে অন্তরে গচ্ছিত ভালোবাসাটুকু চোখের সৌন্দর্যে দেখতে চায় কেন?

আমাদের ক্ষমা করো

রাষ্ট্র যখন অন্যায়ের কাছে মাথা নুড়ে দেয়, অন্যায়কে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, তখন সে রাষ্ট্রের গণমানুষের বেহালদশার গল্পগুলো মুখে জানানোর প্রয়োজন পড়ে না।

...দেশমাতৃকা আবারও লাজ-লজ্জা হেলে উন্মুক্ত দরবারে উলঙ্গ হল। তাঁর শাসক-নিয়ন্ত্রক যারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল, জীবনের বিনিময়ে হলেও মায়ের সম্মান সমুজ্জল রাখব! তারাও অন্যায়ের কাছে নিজেদের প্রতিজ্ঞা বিকিয়ে, নিজের হাতে দেশমাতৃকাকে উলঙ্গ করে ছাড়ল, তাই তাদের জন্য আবারও-

আমাদের ক্ষমা করো-
হে আমাদের রুগ্ন জন্মধাত্রী
আমরা নষ্ট বীজে অপুষ্ট ভ্রুণ
নেই গ্রহীরে শক্তি...

আমাদের ক্ষমা করো-
ক্ষমাহীন যত অযাচিত শাপ
জন্ম মোদের সংকরিত ফল
প্রভেদে রটে প্রবাদ...

আমরা আপনা নীড় আপনি ভাঙ্গি
নির্বাক প্রতিবাদে
আমাদের জন্মধারায় সংশয় আতুরঘর
কাঁদে ধুকে-ধুকে।

আমাদের ক্ষমা করো-
হে আমাদের রুগ্ন জন্মধাত্রী
কাপুরুষ সন্তান জন্মাতে বয়েছ প্রসব বেদনা
কাপুরুষ সন্তানের ভীড়ে হয়েছ মৃত্যু পথযাত্রী।

শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭

জঙ্গিবাদের উত্থান অনুশীলন কাদের ধ্বংস করবার জন্য?

উইকিপিডিয়ার তথ্যনুসারে এদেশে প্রায় ১০% ভিন্ন ধর্মালম্বির মানুষের বসবাস। ৯০% মুসলিমের বসবাসের দেশটিতে প্রায় ৭০% এর বিশ্বাস এ দেশ তাদের, তাদের আচার-আচারন ও প্রভাব খাটাবার মানসিকতাও অনেকটা তদ্রুপ। স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বে যদি ভিন্ন ধর্মালম্বিদের অবদানটুকু অস্বীকার করা যায়, তবে সবকিছুই তাদের মনোভাব মর্জিতে চালানোর প্রচেষ্টা প্রকটই। ব্যাপারটিকে আমি স্বাভাবিক দৃষ্টিতেই দেখার চেষ্টা করছি। এখন আমার প্রশ্ন ৯০% মুসলিমদের এদেশে এত জঙ্গিবাদের উত্থান অনুশীলন কাদের ধ্বংস করবার জন্য? যদি ১০% কে হয়, তবে এত আয়োজনের প্রয়োজন তো দেখছি না। না বলছিলাম ৭টা হাত ১ টা গালে পড়লেই তো সে পড়ি-মরি করে মরবে!

শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

কাপুরুষ

যেকোন দেশের সেনারা সে দেশের গর্ব-অহংকার, কেননা তারা দেশের জন্য নিজের জীবনকে বাজি রেখে সেনা হিসেবে অংশগ্রহন করে আর প্রত্যয় ব্যক্ত করে নিজ জীবনের শেষ নিঃশ্বাস অবধি দেশ ও মানুষের কল্যানে ব্যয় করার। তারা যেকোন অনাকাক্ষিত অনাগত ভয়-বাঁধার দেয়াল ভেঙ্গে দেশ মানুষের ভুলুন্ঠিত সম্মান ফিরিয়ে দেবার কিংবা ধরে রাখার অঙ্গিকারে সদা থাকে প্রস্তুত।

যুদ্ধ হয় সমানে-সমানে! যে যুদ্ধ শুরুর আগেই কারও পরাজয় শতভাগ নিশ্চিত করে রাখে, তাকে যুদ্ধ বলাটা অসম্মানের আর তাতে অংশগ্রহণ করা সেনাদের দেশপ্রেমিক না বলে কাপুরুষ ভুষণে আখ্যা দেয়াটা অধিকতর যুক্তিযুক্ত।

আমি রোহিঙ্গা জনগনের পক্ষে, যে যতভাবেই যুক্তি-তর্ক প্রদান করুক না কেন, কয়েকজন হিংস্র উন্মত্ত জানোয়ারের কর্মকান্ডকে কেন্দ্র করে একটা জাতিগোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দেবার পয়তারা করা, ঘটনার সত্যতাকে সন্দিহান করে তোলে। যদি সত্যিকারেই ক্যাম্পে ঢুকে সেনা হত্যাযজ্ঞ হয়ে থাকে, তবে সে ঠেকাতে না পারার কিংবা নিজেদের কর্তব্যের ব্যাপারে সজাগ না হবার ব্যর্থতা তো রাষ্ট্রের। এটা রাষ্ট্রের দূরদর্শিতাকে প্রশ্নযুক্ত করে, প্রশ্নবিদ্ধ করে তাদের ন্যায় কর্তব্য সম্পর্কে, যারা দেশকে পাহারা দেবে বলে নিজেদেরই পাহারা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। আর এই সুযোগটাকে ব্যবহার করছে সুযোগ সন্ধানীদল, যা রাষ্ট্রকে বরাবার অযাচিত ভাবনায় ফেলে দিতে যথেষ্ঠ। অথচ রাষ্ট্র যে কিনা নিজের দূর্বলতা ঢাকতে না পেরে যুগ-যুগ ধরে বসবাসরত জাতিগোষ্ঠীকে অবাঞ্চিত ঘোষনা দিয়ে কাপুষোচিত হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে।

সহস্রাব্দের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখছি এই সহিংস নেক্কারজনক ঘটনাকে বিশ্ব কি করে সহে যাচ্ছে। আজ চোখ মেলে চারিদিকে তাকিয়ে বুঝতে অক্ষম আমি আর আমার বোধ। ভাবছি, এ মানুষের মানবিক আত্মার পচন নাকি অমানুষের যাতনা সইতে না পেরে পলায়ন!

না, কাপুরুষ সেনাদলের এভাবে সারিবদ্ধ দাঁড় করিয়ে মানুষ হত্যা আমি কোনভাবেই মানতে পারছি না, মানতে পারছি না একের অন্যায়ে অন্যকে দূর্বিসহ জীবনে ঠেলে দেয়া, নিষ্কোমল জীবনগুলোতে তীব্র ঘৃণা ছড়িয়ে দিয়ে আরও কতগুলো সহিংস জীবনের উত্থানকে।

বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৬

মানুষ শ্রেষ্ঠ নাকি নিকৃষ্ঠ?

সব মানুষকে বিবেচনায় নিলে মানুষকে শ্রেষ্ঠ বলতে দ্বীধা জন্মে। কিছু মানুষ আছে যাদের গুয়োপোকা বলাই বেশী সমীচিন, ওদের জন্মস্থান পরিচয় নির্ধারন করে। যুক্তির খাতিরেই বলি- শুধু কি জ্ঞান বিবেচনায় মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার হতে পারে?

না; মানুষকে শ্রেষ্ঠ ভাবতে পারছি না, বরং এদের এমন এক চিজ মনে হয়, যারা-
১) নিজেদের ধর্মে বিভক্ত করে, কর্মে বিভক্ত করে, জাতে বিভক্ত করে
২) এরা বাঁচাতে ঔষধ বানায়, মারতে অস্ত্র বানায়
৩) কখনও কারও ঘর তুলে দেয়, কারও টা আবার পুড়িয়ে দেয়
৪) সেবায় কখনও অসুস্থকে বাঁচিয়ে তোলে, আবার সুস্থকে খড়গে খুন করে
৫) সময়ে যতটা মমতায় আগলে রাখে, পুরোলে তারচেয়ে বেশী তাড়ায়
৬) স্বার্থ থাকলে শ্রদ্ধা করে, পুরোলে লাথি মারে
৭) কখনও পথ থেকে তুলে নেয়, কখনও আবার ঘর ছাড়া করে
৮) আদর-মমতায় কাউকে পরিপূর্ণ করে তোলে, কারও জীবনকে অবলীলায় বীষময় করে তোলে
৯) ডান হাতে পেট পুরে আর বাম হাতে বিষ্ঠা সাফ করে
১০) আর নিজের বিবেচনায় নিজেকেই শ্রেষ্ঠের দাবিদার করে বসে

না; আমার বিবেচনায় প্রাণিজগতের শ্রেষ্ঠ মানুষ!!! এ কোনভাবেই বিবেচিত হচ্ছে না। শ্রেষ্ঠ‘রা বরাবরই শ্রেষ্ঠ হবে তাদের নিষ্ঠায়-কর্মে-গুণে। তারা মহিমাণ্বীত হবে ক্রমাণ্বয়ে। কিন্তু শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার মানুষদের ঠিক কতজন আজ নিজেকে বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারছে?

সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৬

সংখ্যালঘু

আমাদের পাশের গ্রাম বিনোদপুরের একটা প্রচারিত ঘটনা ছিল এমন-

প্রতিদিন গ্রামে কোন না কোন ঘরে কিংবা মাঠ-বাগানের ফল-ফসল চুরি হয়ে যাচ্ছিল, কোনভাবেই এই সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছিল না। এলাকার লোকজন জানত কার ইশারায় চুরি হচ্ছিল, কিন্তু উপযুক্ত প্রমান আর খর্বিত ক্ষমতার ধরুন প্রভাবশালী মদদ দাতাকে কেউ স্পর্শও করতে পারছিল না। তো নির্বাচন প্রাক্কালে সে মদদ দাতাও মেম্বার পদপ্রার্থী পদের জন্য দাঁড়ায়। এলাকার লোকজন মনে-মনে তার উপর চড়াও থাকায় সে বুঝতে পারে নির্বাচনে তার পরাজয় শতভাগ নিশ্চিত। তাই তিনি নির্বাচন প্রচারে এ‘কথা প্রচার করতে থাকেন যে, যদি তিনি নির্বাচিত হন, এলাকার লোকজন দরজা খুলে ঘুমোতে পারবে, কোন চুরি হবে না। যাই হোক- প্রতিদিন পাহারা দিতে থাকা অতিষ্ঠ লোকজন এর সমাধান চাইছিল খুব করে, তাই এই নিয়ে মুরুব্বিশ্রেনীর কয়েকজন বসল। বসে তারা সবাই দেখল মদদ দাতা মেম্বারের বিপরীতে যিনি দাঁড়িয়েছেন, তিনি চুরির মদদ দাতা থেকে কিছুটা ভালো হলেও তাকে দিয়ে এই সমস্যা আদৌ সমাধান সম্ভব নয়। তাই সকলের সম্মতিক্রমে চুরির মদদ দাতাকে নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং তিনি নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পরেরদিন থেকে এলাকায় সত্যিকারে চুরি বন্ধ হয় এবং এলাকার মানুষের স্বস্তি ফেলবার সুযোগ হয়।

উপরের গল্পটি এইদেশের সংখ্যালঘুদের জানার উদ্দেশ্যে দেয়া, এদেশে সংখ্যালঘুদের নিঃশেষ করার জন্য যারা উঠে-পড়ে লেগেছে, সংখ্যালঘু‘রা ভয়ে-আতঙ্গে তাদের কাছ থেকে দূরে সরে থাকবার চেষ্টা করছে। ফলশ্রুতিতে প্রতিনিয়ত তাদের ভাগ্যে নেমে আসছে নির্মম প্রহসন। একদিকে যারা তাদের নিঃশেষ করতে চাচ্ছে, তারা নির্বাচিত না হয়ে সংখ্যালঘুদের কারন হিসেবে দেখে ক্ষোভ-প্রতিক্রিয়া জ্ঞাপন করছে আর অন্যদিকে ডর-ভয়ে আতঙ্কগ্রস্থ সংখ্যালঘু‘রা বাঁচতে গিয়ে যাদের আকড়ে ধরতে চাইছে তারা স্বার্থ উদ্ধার শেষে নিজেদের আখের গুছাতে এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় আহরণের আশায় নিজেদের ভাই-বন্ধু খুঁজে তোষামোদিতে সংযুক্ত হচ্ছে। যার খেসারত ১৯৪৭ থেকে ২০১৬ সংখ্যলঘুর সংখ্যা ৩০% থেকে নেমে ৮%।

পরিশেষ একটা কথা- আমার মেছের ছোটভাই শরীফ একদিন হেসে উঠে আমার বন্ধু মিথুনকে উদ্দেশ্য করে বলছে, মিথুন ভাই দাদা আপনাকে আর করিম ভাইকে যে পরিমান নির্যাতন করছে (প্রেক্ষিত- আমার স্বভাব বন্ধুদের অসম্ভব বিরক্ত করে নিজের এবং তাদের মন ভালো রাখার চেষ্টা করা) তাতে কে বলবে এদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হয়! দাদা (আমাকে উদ্দেশ্য করে), কানু দাদা (ছোটভাই কানু) আর আমার বন্ধু সুব্রত (ছোটভাই) তো প্রতিদিন সংখ্যলঘু নির্যাতনের খবর পায়। যাই হোক, শরিফের সে কথা শুনে মনে-মনে হাসলাম আর বললাম- ভাইয়া, দোষ করেছে একজন আর তার খেসারত দিয়েছে ৩০০টি পরিবার। না এরবেশি বলার ইচ্ছে নেই, শুধু একটা কথাই ভাবছি ৬৯ বছরে সংখ্যলঘুদের ১০০% এর প্রায় ৭০% শেষ আর বাকীটা শেষ হতে বছর হিসেবে সময় নেবে ২৫ বছর। তারপর কি হবে? কি হবে না হবে সেটা বরং আফগানিস্তান আর পাকিস্তানের দিকেই চোখ রেখে আমরা দেখি। যদি এখনও সকলের মনে বদ্ধমূল ধারনা থাকে মুসলিম-মুসলিম ভাই-ভাই, তবে বলি- ক্ষমতার লোভ আর রক্তের নেশা এই দুই পেয়ে বসলে শেষ ধ্বংস পর্যন্ত সে কাউকে নিস্তার দেয় না, উত্তর প্রজন্ম সে পথেই দ্রুত এগিয়ে চলছে।

ব্যক্তি আর গোষ্ঠী কখনও এক নয়, এক হতে পারে না

ব্যক্তি আর গোষ্ঠী কখনও এক নয়, এক হতে পারে না। প্রত্যেকের মধ্যেকার পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধও কখনও এক হবে না, এক হতে পারে না। যদি তাই হত, তবে সৃষ্টির সৌন্দর্য্য থাকত না। ব্যক্তির স্বাতন্ত্রীক স্বত্ত্বা বলে কিছু বেঁচে থাকত না, জন বিশেষে দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হত না, ভিন্ন মতাদর্শের সৃষ্টি হত না, কারও প্রতি কেউ বিরূপ হত না অথবা কারও প্রতি কারও সম্মানও বলবৎ হত না আর ভিন্ন গোষ্ঠী, শ্রেণী, জাতি কিংবা ভিন্ন-ভিন্ন ধর্মবিশ্বাসেরও জন্ম হত না।

মানুষ জন্মানুযায়ী গোষ্ঠীর পারস্পরিক বিশ্বাসে দাবিত হয়, এ অস্বীকার করার জো নেই। তেমনি ব্যক্তি জীবনবোধ, সামাজিক আচার, রাজনৈতিক অনুলব্ধি, অর্থনৈতিক বৈষর্ম্যতা কিংবা ধমীয় মূল্যবোধ বিবেচনায় একদিন মানুষ একটা নির্দিষ্ট চেতনায় জাগ্রত হয়ে বেড়ে উঠে, প্রত্যেকের নিজস্ব চিন্তাধারায় জন্ম নেয় এক-একটা স্বতন্ত্র স্বত্ত্বা। তাই ব্যক্তি আচারনের জন্য সমস্ত গোষ্ঠীকে সংযুক্ত করা কিংবা সমস্ত গোষ্ঠীর উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া জ্ঞাপন কোনভাবেই সমর্থিত হতে পারে না। যদি তাই হয় তবে- এ কেবল এই সত্যকেই সামনে মেলে ধরে, গোষ্ঠীর প্রতি ক্ষোভের প্রতিফলন ঘটাতে সংগঠিত চক্র তাদের নোংরা কুৎসিত চরিত্রটাকে কেবল সামনে টেনে ধরছে।

এইদেশের আবহাওয়ার আনুকূল্যে আমাদের জন্ম, শৈশব, বেড়ে উঠা। একদিন আচানক এই মাটির বুকেই আমাদের শান্ত ঘুমের আয়োজন। এদেশে ভিন্ন ধর্মালম্বীরা পরস্পরের সৌজন্যে একসাথে একপাতে যেমন খায় তেমনি এক হাতে অন্য হাতের জন্য মেলে দিয়ে পরস্পরের হাত ধরে একই রোলিং ধরে পথ পাড়ি দেয়। তবে চরিত্রগুলো এত দ্রুত বদালাচ্ছে কেন? হাতগুলো পরস্পরকে ঠেলে ফেলে দেবার প্রয়তারা চলছে কেন?

বারবার বলছি, ব্যক্তি কখনও সামষ্টিক নয়, তবে কেন ব্যক্তির উপর ক্রোধ সামষ্টিকের উপর গিয়ে পড়ছে? পৃথিবী জুড়ে এমন কোন দেশ নেই, যেখানে কোন নির্দিষ্ট ধর্মীয় চিন্তা-ধারার মানুষ ভিন্ন চিন্তাধারার কাউকে কটাক্ষ করার চেষ্টা করে নি অথবা তার ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি অন্যের উপর প্রয়োগ করে অন্যকে তার মতাদর্শে দীক্ষিত করতে চেষ্টা চালায় নি। যুগ-যুগ ধরে ধর্মান্তরিত হওয়া লোকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। শুধু ধর্মীয় কেন? আমরা সকলেই ব্যক্তির দূর্বলতাকে নিয়ে কম-বেশী ঘাটা-ছেড়া করি নিয়মিতই। এ জীবনের অনুসঙ্গ ব্যাতীত ভিন্ন কিছু নয়। তবে যে চরিত্রটি মানুষ কখনওই এড়িয়ে যেতে সক্ষম নয়, সেই চরিত্রটির জন্য সমূহ গোষ্ঠীকে আঘাত করার মনোবাসনা কি নির্দেশনা দেয়? আমি আমার বিবেচনায় তা বুঝতে পারিনি, হয়ত পারবও না। যারা বুঝে তারা সে সত্যটিকে তুলে ধরুক। তবে আমি একটা বিশ্বাস চিরদিন মেনে চলি, তা হল- কোন বিষয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করতে নেই, তাতে সত্যটা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়।

মানুষ নামের মুখোশ

পৃথিবীতে এমন কোন দেশ কি আছে যেখানে মানুষ হয়ে অন্য মানুষের রক্ত নিয়ে বিভৎস খেলায় মেতে উঠা কল্পনাতীত, নাকি হিংস্র নেশা আবডাল করতেই মানুষ পৃথিবীতে এসে মানুষ নামের মুখোশ পড়ে?

প্রশ্ন?

যে সৌন্দর্য্য দেখবার আশায় আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ান, সে আয়না আপনার বাহিরের কিংবা ভেতরকার প্রকৃত সৌন্দর্য্যকে কখনওই জানে না, জানাতেও চায় না।

যদি নিজের ভেতরকার সৌন্দর্য্যটাকেই জানা না হয়, তবে অল্প পচনেই দূর্গন্ধ ছড়ানো চামড়ার সৌন্দর্য্য দেখে কি লাভ বলুন তো? আচ্ছা, আপনি চামড়ার সৌন্দর্য্য দেখিয়ে কাউকে প্রভাবিত কিংবা প্রতারিত করার কথা ভাবছেন না তো?

শ্রদ্ধায় রতনতনু স্যার



ছোটভাইয়ের সাথে সম্পর্কের কারনে চার-পাঁচবার আমাদের বাসায় শ্রদ্ধেয় রতন তনু স্যারের পদার্পন হয়ে ছিল এবং স্যারকে একেবারে কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। ভালো মানুষের সংজ্ঞা আগে খুঁজলেও এখন খুঁজি না, কিন্তু মানুষটাকে যারা কাছ থেকে দেখেছেন তারা জানেন কতটা নিখাদ ভদ্রলোক ছিলেন তিনি। সন্তান-সন্ততিহীন যে পিতা নিজের লেখাকে সন্তান বানিয়ে বেঁচে ছিলেন, সমস্ত মন-প্রাণ ঢেলে যিনি সন্তানগুলোকে পরম মমতায় আগলে বড় করে তুলেছেন, সে সন্তানগুলোর কয়েকজনকে আগলে রাখার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলা একাডেমি তাঁকে বিশিষ্ট জন নিরুপন করতে পারে নি, এ সত্যি আমাদের জন্য হতাশাজনক বাতা! ৫২ বছরের পরিসমাপ্ত জীবনের যাঁর ৭০ খানা বই প্রকাশিত হয়েছে, যাঁর বই বাংলা একাডেমি কর্তৃক সংরক্ষিত হয়েছে, যিনি বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য, যাঁর লেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত অনেকস্থানে পঠিত হয়েছে, যার বইয়ের সূত্র ধরে অনেকে থিসিস কিংবা গবেষণাপত্র, ক্রোড়পত্র লিখছে, তিনি নাকি বাংলা একাডেমির চোখে বিশিষ্টজন নন। আর তাই তাঁর মরদেহ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শ্রর্দ্ধাঞ্জলির সুযোগ মেলে নি।

অনেক ভেবে দেখেছি, তেলমর্দনে তেলাক্ত করতে পারলে কে কি লিখেছে সে বড় হয়ে উঠে না, বরং জন বিশিষ্টজনে পরিনত হয়। আর তার পরিনতির মুখোমুখি হতেই আমাদের পথও দ্রুত এগিয়ে চলছে।পরিনতি যখন নিশ্চিত, তখন মর্দনের তেল উৎপাদন ব্যবস্থা না থাকলে, একদিন হয়ত খুনোখুনিই লেগে যাবে। যাক যা হবার তা হয়ে গেছে, অন্তরের আহত ক্ষতগুলোকে জমিয়ে রেখেই স্যারের জন্য স্রষ্টার কাছে প্রার্থণা জানাই, তিনি যেন তাঁকে স্বর্গবাসী করেন।

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ধিক্কার

ইচ্ছে না থাকলেও একবার ভাবুন- মানুষ কতটা হিংস্র জানোয়ার হলে ঠান্ডা মাথায় ২0 জন নিরীহ মানুষকে গুলি করার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে-কেটে প্রতিটি মৃত্যু শতভাগ নিশ্চিত করতে পারে? শুধু তাই নয়- কতটা নিকৃষ্ট জানোয়ার হলে, মৃত্যুর মিছিলে বসে হাতের-শরীরের রক্ত মুছে শেফকে দিয়ে নিজেদের পছন্দের খাবার বানিয়ে নির্বিকার মনে বসে পেট পুরে খেতে পারে? এদের বাঁচবার অধিকার আছে?

আর উপরের ঘটনায় কাদের প্রতি সিমপ্যাথি দেখাবার কথা? নিশ্চয়ই সে সব অসহায়দের জন্য, যারা পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিদেশ-বিভূইয়ে নৃশংস মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল।

অথচ টাইম-লাইনে ভেসে বেড়ায় সেসব জঙ্গি নেকড়ের বিভৎস ঘৃণ্য ছবি আর তাদের জন্য বিবেক বোধহীন অসংখ্য মানুষের ব্যাকুল রোদন সাথে রুপের স্তব-স্তুতি।

রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬

বেহেস্তকামীদের সমস্যা কি?

বেহেস্তকামীদের সমস্যা কি?

আরে ভাই, তোরা বেহেস্তে ৭০ হুর নিয়ে উল্লাস করবি আবার দুনিয়াতেও কাফেরের রক্ত নিয়ে উল্লাস করবি?

আরে- কাফের‌রা তো এমনিতেই পরকালে দোজগের আগুণে জ্বলতে থাকবে বলে নিশ্চিত হয়েছে, তাদের দুনিয়ার বাতাসটুকু অন্তত শান্তিতে নিতে দে।

নাকি দুনিয়াতে তাদের এইটুকু সুখও সহ্য হচ্ছে না? নাকি পরকালের দোজগের আগুণের ব্যাপারে তোদের সন্দেহ আছে?

তবে বল- দুনিয়াতে কাফেরের এই সামান্য সুখ নিতে পারছিস না, জান্নাতে অন্যের সেই মানের ৭০ হুর দেখে সইতে পারবি তো?

(বি. দ্র- এই পোষ্ট বিশেষ কারও পক্ষ নিয়ে নয়। এই পোষ্ট আক্রান্ত সাধারন অসহায়েদর পক্ষে, এই পোষ্ট ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির ধরুন আমার মত আর যারা কাফের খ্যাতি পায়- তাদের জন্যে।)

যে যেতে চায়

পুলিশের আইজিপি (এ কে এম শহীদুল হক) বলেছেন, আটক জঙ্গিরা বলে, ‘আমাকে মেরে ফেলেন। আমি জান্নাতে যাব।’

প্রত্যেকের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার আছে, আছে বাসনা পুরণের অধিকারও। অথচ প্রশাসন অকারণ হস্তক্ষেপ চালাচ্ছে।

যে যেতে চায় তাকে যেতে দিতে হয়, তাকে যেতে দেওয়া উচিত। না হলে সে যার যাওয়ার ইচ্ছে নেই, তাকে নিয়ে যাবার সুযোগ খুঁজে।

নিঃখাদ ভালোবাসা্ ও দেশপ্রেম

নিঃখাদ ভালোবাসা কাকে বলে? সত্যিকারের দেশপ্রেমিক কারা?

ভালোবাসা তখনই নিখাদ হয়, যখন তা বিনিময় বিহীন হয়।
মা-বাবা জানে তার কোলের কন্যা সন্তানটি একদিন তাদের ছেড়ে অন্যে ঘরের কেউ হবে, জানে- তাঁদের ছেলেটি একদিন তাঁদের পথে ফেলে দিতেও হয়ত দ্বীধা করবে না। তবুও তাঁরা কন্যাটিকে, তাঁদের ছেলেটিকে নিজের শরীরের হাজার ছোট-জখমের বিনিময়ে কোমল রাখতে উদগ্রীব থাকে।

নিখাদ ভালোবাসা বাসতে পারে একজন কৃষক। সারাদিন মাঠে পড়ে আগুণে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ফসল বুনে। অথচ তিনি জানেন এই ফসলের দশভাগের একভাগও তাঁর উদর নিবৃতের জন্য নয়। তবুও সন্তানের মমতায় আগলে তিনি ফসল বুনেন, ফসল উঠার আগ পর্যন্ত হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসা ঢেলে ফসলের যত্ন করেন।

নিখাদ ভালোবাসা দেখাতে পারেন একজন শ্রমিক- তিনি পরম মমতায় অন্যের জন্য বড়-বড় দালান-কৌঠা, পথ-ঘাট গড়ে তোলেন প্রতিটি রক্তঝরা ঘামের দামে। অথচ এই দালান-কৌঠা, রাস্তা-ঘাট কোনটিই তাঁর থাকবার বা চলবার নয়।

আমরা একটু দানবীর হলেই তাকে শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিকের খেতাম দেই! রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অলংকৃত করে শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিকের আসন প্রদান করি! অথচ জানতে চাই না- দানবীরের অর্জিত সম্পদের খাত, বুঝতে চাই না নেতা-মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর সাচ্চা দেশপ্রেমিক সাজার পেছনে কাক্ষিত থাকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার বাসনা।

আগে অনেকবার লেখেছি- মনের ভেতরে পুড়ে-পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া প্রেমিকের প্রেম খুব কম প্রেমিকাই বুঝতে চেষ্টা করে। অথচ ভালোবাসি-ভালোবাসি বলে মুখে ফেনা তোলা লাফাঙ্গারই প্রতারণা ফলাবার আগ পর্যন্ত প্রেমিকার কাছে শ্রেষ্ঠ প্রেমিক বলে বিবেচ্য হয়!

ব্যাচেলরদের বাড়ী ভাড়া

বাড়িওয়ালাদের যদি ব্যাচেলরদের বাড়ী ভাড়া দেবার ইচ্ছে না হয়, তবে তারা কন্যার পিতা হয়ে ব্যাচেলরদের আত্মীয় কইরে নিবার পারে। এতে কারও থাকার ঘরও হয়, পাশে থাকার বউও হয়..