শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

কাপুরুষ

যেকোন দেশের সেনারা সে দেশের গর্ব-অহংকার, কেননা তারা দেশের জন্য নিজের জীবনকে বাজি রেখে সেনা হিসেবে অংশগ্রহন করে আর প্রত্যয় ব্যক্ত করে নিজ জীবনের শেষ নিঃশ্বাস অবধি দেশ ও মানুষের কল্যানে ব্যয় করার। তারা যেকোন অনাকাক্ষিত অনাগত ভয়-বাঁধার দেয়াল ভেঙ্গে দেশ মানুষের ভুলুন্ঠিত সম্মান ফিরিয়ে দেবার কিংবা ধরে রাখার অঙ্গিকারে সদা থাকে প্রস্তুত।

যুদ্ধ হয় সমানে-সমানে! যে যুদ্ধ শুরুর আগেই কারও পরাজয় শতভাগ নিশ্চিত করে রাখে, তাকে যুদ্ধ বলাটা অসম্মানের আর তাতে অংশগ্রহণ করা সেনাদের দেশপ্রেমিক না বলে কাপুরুষ ভুষণে আখ্যা দেয়াটা অধিকতর যুক্তিযুক্ত।

আমি রোহিঙ্গা জনগনের পক্ষে, যে যতভাবেই যুক্তি-তর্ক প্রদান করুক না কেন, কয়েকজন হিংস্র উন্মত্ত জানোয়ারের কর্মকান্ডকে কেন্দ্র করে একটা জাতিগোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দেবার পয়তারা করা, ঘটনার সত্যতাকে সন্দিহান করে তোলে। যদি সত্যিকারেই ক্যাম্পে ঢুকে সেনা হত্যাযজ্ঞ হয়ে থাকে, তবে সে ঠেকাতে না পারার কিংবা নিজেদের কর্তব্যের ব্যাপারে সজাগ না হবার ব্যর্থতা তো রাষ্ট্রের। এটা রাষ্ট্রের দূরদর্শিতাকে প্রশ্নযুক্ত করে, প্রশ্নবিদ্ধ করে তাদের ন্যায় কর্তব্য সম্পর্কে, যারা দেশকে পাহারা দেবে বলে নিজেদেরই পাহারা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। আর এই সুযোগটাকে ব্যবহার করছে সুযোগ সন্ধানীদল, যা রাষ্ট্রকে বরাবার অযাচিত ভাবনায় ফেলে দিতে যথেষ্ঠ। অথচ রাষ্ট্র যে কিনা নিজের দূর্বলতা ঢাকতে না পেরে যুগ-যুগ ধরে বসবাসরত জাতিগোষ্ঠীকে অবাঞ্চিত ঘোষনা দিয়ে কাপুষোচিত হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে।

সহস্রাব্দের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখছি এই সহিংস নেক্কারজনক ঘটনাকে বিশ্ব কি করে সহে যাচ্ছে। আজ চোখ মেলে চারিদিকে তাকিয়ে বুঝতে অক্ষম আমি আর আমার বোধ। ভাবছি, এ মানুষের মানবিক আত্মার পচন নাকি অমানুষের যাতনা সইতে না পেরে পলায়ন!

না, কাপুরুষ সেনাদলের এভাবে সারিবদ্ধ দাঁড় করিয়ে মানুষ হত্যা আমি কোনভাবেই মানতে পারছি না, মানতে পারছি না একের অন্যায়ে অন্যকে দূর্বিসহ জীবনে ঠেলে দেয়া, নিষ্কোমল জীবনগুলোতে তীব্র ঘৃণা ছড়িয়ে দিয়ে আরও কতগুলো সহিংস জীবনের উত্থানকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন