অন্যান্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অন্যান্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭

তেনারা *

তেনাদের মাথা গরম করা প্রশ্ন শুনলে ইচ্ছে করে তুলতুলে গাল টেনে কাঁদিয়ে দেই। আজ তেনাদের একজন বাবার কাঁধে নিজের স্কুলের ব্যাগ তুলে দিয়ে হেলেদুলে হেঁটে চলছেন আর বাবাকে প্রশ্ন করছেন- "বাবা বাবা ডাব কি প্রথমে ছোট্ট থেকে তাপ্পর বড় হয়?"
বলেন তো এটা কোন প্রশ্ন হল? বলি আমার মতো সবাইতো এ ছোট্টবেলা থেইকা জানি, তেনা তবে কেন...
আমি এ কারনে তেনাদের কাঁদানোর পক্ষে

শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭

আমি কি ধান্ধার কিছু কইলাম?

বন্ধু করিম (নানা ডাকি) কইল- জিমে টাকা দেয় কারনে জিমে যাবার গরজ থাকে। এর আগে কয়েকবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যয়াম করার কথা থাকলেও গরজে করা হয়নি।

আমি কইলাম নানা তয়লে তুই প্রতিমাসে আমারে ২০০০টাকা দিয়ে প্রতিদিন ফজরের পর থেইকা খালি দৌড়াবি। মাসে ২০০০টাকা চলে যাচ্ছে, এ টেনশানে দেখবি তোর দৌড়ানি থামে না...

নানা কয়, দাদা তুই ধান্ধাবাজ। জিগাইলাম কেমনে? কয় আমি নাকি ভুলাইয়া ভালাইয়া টাকা নেবার দান্ধা করতাছি।

এহন আপনেরা কন, আমি কি ধান্ধার কিছু কইলাম? আমার তো কেবল নানার গরজ বাড়ানোর চিন্তা আছিল!!

সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০১৭

ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা

আমি কেবল ভালোবাসার সুক্ষতাটুকুই খুঁজতে চেষ্টা করি। কিন্তু ভালোবাসার রুপবোধ রং রস বোধকরি আমার থেকে ছোটরাও ভালো বোঝে। নির্লিপ্তবোধের এই জীবনে তাই প্রতিটি দিনের মতো আসে বসন্তের রং, প্রতিটি ক্ষনের মতোই ভালোবাসার ঢং!

ভালোবাসার ডালা সকলের হাতে শোভা পায় না, সকলের সাজাবার মতো মনের ভিতরকার কারুকার্য্যও সমান নয়, তাই কোন অর্ঘ্য গ্রহনের মতো মনোভাব এতটা ক্রিয়া সংযুক্ত নয়, যতটায় বোধটুকু বাঁচে।

সময়ে প্রতিটি ভালোবাসার বিশেষণ কিংবা বিশ্লেষণ দুইই ভিন্ন থাকে। ফলতঃ ভালোবাসার বোধ রসও জনবিশেষে ভিন্ন হয়। আর এই ভিন্ন পরস্পরতার ধরুন- কেউ জনকে ভালোবাসে, কেউ পরিবার কে, কেউ সমাজকে, কেউ রাষ্ট্রকে অথবা কেউ জীবনকে। তবে ভালোবাসার সকল ধরনকে চাপিয়ে যখন ব্যাক্তিগত আবেগের প্রবাহটাই বেশী গতি পায়, তখন সে ভালোবাসায় ভয় জন্মে। কেননা বসন্ত শেষে ফুলের পাপড়ি ঝরতে থাকে, ভ্রমরের গুঞ্জণ কমতে থাকে আর সাথে বাড়তে থাকে অনাকাঙ্খিত সঙ্কা।

তবুও ভালোবাসার তোরণ মিশে যাক দূর নীলনীলিমায় আপন মহিমায় আর আন্দোলিত চিত্তকে ঢেলে দিক অন্তর নিড়ানো উদ্ভেল শুভেচ্ছায়, সে কামনায় সকলকে ভালোবাসা দিবসের রং মাতানো শিমুলের শুভেচ্ছা।

সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৬

জিজ্ঞাসা

বেঁচে থাকার জন্য মানুষের ঠিক কতটা চাই? ঠিক কতটা হলে একজন মানুষ মন থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলতে সক্ষম, অনেক হয়েছে আর চাই না?

না, মানুষের কাছে কিংবা মানুষের বিবেকের কাছে এ প্রশ্ন রাখা নিতান্তই অমূলক। যেহেতু মানুষের চোখ বা মগজ হাঁটুর নিচে তাকাবার চেষ্টাকে হেয়ালে চলে, তাই মানুষের বাসনা কিংবা ব্যাকুলতা সে কেবল উপরের সিঁড়িতে পা রাখার। আর এই উপরের সিঁড়িতে ক্রমাগত পা তুলতে গিয়ে সে রপ্ত করতে শেখে- অন্যকে অধিকার বঞ্চিত কিংবা প্রতারিত করার নীতিকৌশল।

বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

ভয় ও বোধ

তাদের কাছে অস্ত্র আছে, প্রশিক্ষন আছে, সর্বসাধারনের প্রতি ঘৃণা (কারন- তারা সাধারন মানুষকে মারছে) আছে, ধর্ম রক্ষার নৈতিক দায়িত্বের (যদিও কর্র্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ) তাগিদ (যদিও মুখোশধারী হিংস্র জানোয়ার) আছে, বেহেস্তের বাসনা আছে,৭২ হুরের লোভ আছে আর আত্মহত্যার প্রবণতা আছে- তবে এমন কাউকে যেকোন পরিস্থিতিতে মোকাবেলার সুযোগ কোথায়?

বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬

প্রেম ও বিশ্বাস

প্রেম-ভালোবাসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে মূখ্য এবং জরুরী “বিশ্বাস”। এখানে বিশ্বাস যত দৃঢ়, ব্যক্তি মধ্যকার প্রেম তত প্রগাঢ় ও সুদৃঢ়। সময়-পরিস্থিতি বিবেচনা বোধে না নিয়ে শুধুমাত্র আবেগের বশবতী হয়ে, অথবা হারাবার ভয়ে যখন কোন পরিণয় বা সমাপ্তী আসে, তখন সেই প্রেম বা সম্পর্ক নিয়ে মুখোমুখি দাঁড়ায় জীবনের সবচেয়ে বড় প্রশ্নবোধক শব্দটি....

তারা কি পরস্পরকে সত্যি বিশ্বাস করে??????

(প্রেম সময়কে যেমন হারাতে জানে, তেমনি হারাতে জানে সমাজ-সংসার-সংশয় কে। অতটুকু না থাকলে প্রেমের প্রাধান্য কিসে?)

প্রেমের ক্ষেত্রে আর একটি গুরুত্ববহ বিষয় সন্দেহ, যেটা দূর্বল বিশ্বাসের কারনে ব্যক্তিমনে জন্ম নেয়। যখন ব্যক্তিমনে সন্দেহ প্রবল হতে শুরু করে, তখন পরস্পরের মধ্যেকার বিশ্বাসও কমতে থাকে। সন্দেহ বাতিক যুক্ত যুগল সত্যিকারের প্রেমটাকে জানে না। তাদের কাছে প্রেমটা যতটা না স্বর্গীয়, তারচেয়ে বেশী দেহ ও মনের খোরাক কিংবা প্রাপ্তীর। এ‘ধরনের প্রেম অভিলাষী! যেটা পরিণয় পেলেও পরিণতিটা স্বপ্নের মতো আগলে রাখবার স্থান করে দিতে পারে না।

(বিঃ দ্রঃ - এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত কিংবা দর্শন। যেহেতু আমার ব্যক্তি জীবনে কাউকে নিয়ে তেমন করে স্বপ্ন দেখা কিংবা কারও হাত ধরে এক-দু‘ক্রোশ পথচলা সম্ভব হয়ে উঠেনি, তাই চিন্তা কিংবা চেতনার ভ্রান্তী থাকতে পারে। তবে নিজের জানার গন্ডি এবং সমাজের প্রতিবিম্ব থেকে যতটুকু আলোর বিচ্ছুরণে ঠিকরে নিতে পেরেছি, তাতে নিজের উপলব্ধিটাকে একেবারে মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিতেও আমার কার্পণ্যতা আছে।)

হিংসেটুকু আগলে রাখি কি করে বলুন ত?

আরে এতদ্দিন তো কেবল তেনাদের (পুছকা পোলাপাইনের) কাজ-কারবার দেইখা আমি তাজ্জব হইতেম। এখন তেনাদের মতন আরেকদল পেলুম। তেনাদের রং তামাশাও আমার কাছে বেশ লেগেছে। এইদল কিন্তু তেনাদের মতো কথায়-কথায় কাঁদেন না, তবে খিটখিটে স্বভাবের জন্য তেনাদের সবসময় বেশ সুনাম। হয়, ঠিক ধরেছে- তেনারা বয়সে বড় হলেও আচারণগত দিকে মাঝে-মাঝে পুছকা তেনাদেরও হার মানিয়ে দেন। এই ধরুন আজকের কথাই বলি-

তখন রিকশায় আফিসে আচ্ছিলুম। লুকাস মোড়ে রিকশা ফার্মগেটের দিকে মোড় দিতেই দেকি তেনারা দু‘জন (বয়স অনুমানিক হিসেবে ৭০+) রং-ঢংয়ে মেতেছেন। একজনের হাতে কচকচে ২০ টাকার দুটো নোট, অন্যজন সাথে বসা। নোট হাতে তেনা করলেন কি, উৎসাহ নিয়ে একটু লাফালেন, তারপর একটা কচকচে নোটের উপর মুখ থেকে একটু থু-থু নিয়ে অন্যজনের কপালে আটিয়ে দিলেন। অন্যজনও দেখী এতে বেপুক মজা লুটছেন। তিনি খুশিতে গদগদ হয়ে,হাফুস-হাফুস করা মুখে একগাল হেসে, কপাল থেকে টাকাটা পকেটে পুরে নিলেন। এদেকে হাতে থাকা বাকী আরখানা নোটও থু মেরে এঁটে দিলেন কপালে আর অন্যজন একইভাবে পকেটে পুরলেন। দেখে বেশ বোঝা যাচ্ছিল, দুজনের মধ্যেকার আনন্দঘন সুখটুকু।

দু‘জনের হাস্যোউজ্জল মুখ দেখে সত্যি অনেক সুখবোধ হল। জীবনের এ সময়টায় দাঁড়িয়ে এতটা নিঃসঙ্গতা, এতটা একাকিত্ব ঘুছিয়ে নেবার মতো এতটুকু সুখবোধ খুব কমজনেরই মেলে। আমি ভাবছি, যদি বেঁচে থাকি জীবনের সে ক্রান্তিক্ষনে আমারও কি এমন একজন বন্ধু মিলবে? আমিও কি জীবনটাকে এই ছোট্ট একটা আনন্দে এতটা মশগুল করে নিতে পারব? পাওয়ার শোকটুকু এখনই অনুধাবন করছি। তাই বলি- হিংসেটুকু আগলে রাখি কি করে বলুন ত?

রবিবার, ১ মে, ২০১৬

শুভ নববর্ষ-১৪২৩

সময়ের পাতা বদল! 

জীবনের ভাবনাকে সঙ্গিন করে চলতে-চলতে ফিরে গেল পুরনো বছর
আর দেহভরা ক্লান্তিতে একটু বিশ্রামের সুখ-সন্তোষ আর স্বপ্নের আশ্রয় করে
ফিরে এল আরও একটি নতুন বছর।

অতীতের জরাজিহ্নতা আর তপ্তখরা কেটে সবাই যেন বালুবেলার সৈকতে
স্বপ্নটাকে হাতে ধরে বেড়াতে পারে, সে শুভকামনা সতত সবার জন্য।

শুভ নববর্ষ-১৪২৩।

প্রতিক্রিয়াশীল মানুষ

যারা চিন্তা আর প্রতিক্রিয়াশীল মানুষ, ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের দুনিয়া তাদের চিন্তা ধারাক্রমকে অনেক সময়ই দমবন্ধ করার পর্যায়ে নিয়ে ফেলে।

প্রতিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে সারা পৃথিবীর মানুষ। সময়-পরিবেশ-পরিস্থিতিতে প্রতিটি মানুষের চিন্তা-ভাবনায় কম-বেশী পার্থক্য থাকে। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমগুলোতে যখন প্রতিটি মানুষের চিন্তা-ভাবনার স্তরগুলোর পার্থক্য ক্রমাগত আসতে থাকে, তখন চিন্তা ভাবনায় তাড়িত মানুষগুলো অনেকবেশী ভাবাবিষ্ট হয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে তার ভাবনা জগতটার পরিসর বাড়লেও হঠাৎ সম্ভাব্য ভাবনার অধিক ভাবনায় পড়ে অনেকের তাল কেটে পড়ে। ফলতঃ অনেকেই খেই হারিয়ে পদচ্যূত হয় নিজের স্বাভাবিক ভাবনা থেকেও।

মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

পরিশ্রমী চোখগুলো

পরিশ্রমী চোখগুলো বরাবর উদাসীন দেখায়। ক্লান্ত শরীরগুলো ঘাম ঝরিয়ে শরীর হালকা করার সাথে দেমাগটাকেও বীষিয়ে দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫

গীবন জ্বইলে-পুইরে ধুয়া-ধুয়া, পুড়া-পুড়া হইয়া যাইব

বিয়ের আগেই কত্ত অভিজ্ঞতা জ্ঞান ভান্ডারে জমা হইতেছে, আমি ত জ্ঞাণীর জ্ঞাণী মহাজ্ঞাণী হয়ে যাচ্ছি হে...

আইজকে এক কলিগ কইল- প্রাইভেট চাকুরীজীবীদের বউকে বাড়িতে রেখে দূরে চাকুরী করতে হলে বউরে আদরে আর গাজরে রাখত হইব। নইলে মোবাইল ফুনে প্যানাপ্যানানি আর চাকুরীতে বসের গ্যানগ্যানানী দুই‘ই মিলে গীবন জ্বইলে-পুইরে ধুয়া-ধুয়া, পুড়া-পুড়া হইয়া যাইব।

জীবন কেমনে চলে জানতে চান?

জীবন কেমনে চলে জানতে চান?

তবে বলি-

ধরুন; কোথাও টাকা দিয়ে একমুঠো সুখের সুযোগ বিক্রি হচ্ছে। সুখের কথা শুনেই মুহূর্তে অনেক প্রার্থী এসে জুটে সুযোগ পেতে। অনেক প্রার্থী দেখে বিক্রেতা ফন্দি করে লটারির মাধ্যমে যার ভাগ্যে জুটবে তাকে সুযোগ দিতে আর বেশী লাভের আশায় শর্ত জুড়িয়ে দেয়- সুযোগের পূর্বে অর্থ প্রদান করতে হবে এবং তা অফেরতযোগ্য। অফেরতযোগ্য অর্থের কথা শুনে উচ্চবিত্ত বাবা-মায়ের সন্তানগুলো সুযোগ পেতে নির্ধিদ্বায় টাকা দেয় এবং বিকল্প সুযোগ খুঁজে। উচ্চমধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানগুলো প্রতিযোগিতায় মধ্যবিত্ত কিংবা নিন্মবিত্তদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেখে হিংসুটে মনে ওদের ঠেকাতে অংশ নেয়। মধ্যবিত্ত ঘরের উগ্র সন্তানগুলো যারা প্রত্যহ জীবন-যাপন নিয়ে অসন্তুষ্ট, তারা পরিবার পরিশেষে ক্ষোভ পোষন করে টাকা দেয়। মধ্যবিত্তঘরের ভদ্র হবার চেষ্টা করে ফেরা সন্তানগুলো বাবা-মা কষ্ট পাবে বলে দিতে চেয়েও সরে যায়। নিন্ম মধ্যবিত্তঘরের সন্তানগুলোর তীব্র আকাঙ্খা দেখিয়ে আশপাশ করতে থাকল কেউ যদি তাকে সুযোগ করে দেয়, তারা নিজেরাও কিছুটা ম্যানেজ করতে চেষ্টা চালায়। আর দরিদ্রঘরের সন্তানগুলো উৎসুক মনে বোকার মত সবার কার্য্য দেখে হতবাক চেয়ে থাকে।

(বিঃ দ্রঃ - সমসুযোগ বলতে জীবনে কিছু নেই, থাকে না।)

লটারি হয়ে গেছে, এখন ফলাফল ঘোষনার পালা। পাওয়া কিংবা হারাবার ভয়ে সবার মনে কিছুটা ধুরু-ধুরু। কি হবে? আর কে হবে সৌভাগ্যবান?

কি হবে তা নিয়ে একটু অগ্রীম ভাবি-

যদি উচ্চবিত্তদের কেউ সুযোগ পায়। তাহলে কি হবে?

# উচ্চবিত্তেরদল উচ্ছ্বসিত হবে।
# উচ্চমধ্যবিত্ত না পাওয়ার আকাঙ্খায় অনুভব করলেও আহত হবে না।
# মধ্যবিত্তের ক্ষুদ্ধদল পরিবার সমাজের কাছে আরও বেপারোয়া হিসেবে পরিচিত হবে।
# মধ্যবিত্তঘরের ভদ্র সন্তানগুলো চারপাশ মিলিয়ে নিজেকে শান্তনায় ভুলাবে কিন্তু হীণমন্যতায় ভুগবে।
# নিন্মমধ্যবিত্ত অংশগ্রহণের সুযোগ না পাওয়ার যন্ত্রণায় ভুগবে।
# দরিদ্রের দল হাততালি দিয়ে পেটের ক্ষুধা দমিয়ে নেবে।

যদি উচ্চমধ্যবিত্তদের কেউ সুযোগ পায়। তাহলে কি হবে?

# উচ্চবিত্তেরদল থোরাই-কেয়ারে চলে যাবে।
# উচ্চমধ্যবিত্ত পাওয়ার আনন্দে মধ্যবিত্ত কিংবা নিন্মমধ্যবিত্তদের বাক্যবানে জর্জরিত করতে চাইবে।
# মধ্যবিত্তের ক্ষুদ্ধদল পরিবার সমাজের কাছে আরও বেপারোয়া হিসেবে পরিচিত হবে।
# মধ্যবিত্তঘরের ভদ্র সন্তানগুলো চারপাশ মিলিয়ে নিজেকে শান্তনায় ভুলাবে কিন্তু হীণমন্যতায় ভুগবে।
# নিন্মমধ্যবিত্ত অংশগ্রহণের সুযোগ না পাওয়ার যন্ত্রণায় ভুগবে।
# দরিদ্রের দল হাততালি দিয়ে পেটের ক্ষুধা দমিয়ে নেবে।

যদি মধ্যবিত্তঘরের উগ্র কেউ সুযোগ পায়। তাহলে কি হবে?

# উচ্চবিত্তেরদল মনে-মনে আপসোস বোধ করে চলে যাবে।
# উচ্চমধ্যবিত্ত আহত হয়ে ভৎসনা করবে।
# মধ্যবিত্তের ক্ষুদ্ধদল আত্মভিমানী হয়ে সময়ে উচ্চমধ্যবিত্তকে চপটেঘাত করতে চাইবে আর নিজের অবস্থানের সকলকে কটাক্ষ করার প্রয়াস করবে।
# মধ্যবিত্তঘরের ভদ্র সন্তানগুলো আপসোস বাড়বে কিন্তু নিজেদের মধ্যেকার কেউ পাওয়ায় মনে-মনে আহ্লাদিত হবে।
# নিন্মমধ্যবিত্তদের যন্ত্রণা তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।
# দরিদ্রের দল কিছু পাবার আশায় হাত বাড়াতে চাইবে।

[বিঃ দ্রঃ - উদযাপনটা বৃত্তাকারে বিত্তভেদে হয়]

ব্যাপারগুলো এখানে সীমাবদ্ধ নয়।

চলতে চলতে চক্রাকার জুয়া খেলার এই জীবনে কেউ বারংবার হেরে হয় জুয়াড়ি-সন্ত্রাসী কিংবা লুটররাজ,
কেউ নেয় ফকির-দরবেশ কিংবা বাউল সাজ।
কেউ যাপনে চির দুঃখী হয়ে কলহে করে নিত্য চিৎকার,
কারও দিনব্যাপী সুখী দিনে ভালোবাসারা মিলেমিশে হয়ে যায় একাকার।

আর একবার দেখুক পৃথিবী

সাকা চৌধুরীর মতো গলা মিলিয়ে বলতে চাই না- “ফাঁসি যখন নিশ্চিত তখন তা উপভোগই শ্রেয়!”

বরং বলতে চাই, আর একবার দেখুক পৃথিবী- “অপরাধীর ক্ষমা নেই, সে যত ক্ষমতাশালী কিংবা দাম্ভিক হোক না কেন।”

মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫

নিজেকে স্তব্ধ করতে গিয়ে...

শুভাকাক্ষি প্রিয় মানুষগুলো বারংবার নিষেধ করছে কোন প্রকারের প্রতিবাদমূলক লেখা পোষ্ট করার ব্যাপারে। তাদের বারংবার নিষেধে কিছু লিখতে গেলেই একটা বাঁধার বলয় সামনে এগিয়ে আসে। বারবার মনে হয়- এ নিষেধ অমাণ্যতে তারা কষ্ট পাবে। কিন্তু বিচলিত মনকেও স্থির রাখতে পারি না।

মৃত্যু নিয়ে হাসপাস করা কিংবা মৃত্যুতে ভীত তত্রস্থ হয়ে পড়া সে এখন আমাকে এতটা আবেগী করে না। কিন্তু শুভাকাক্ষি মনগুলোর ভালোবাসা ডিঙ্গিয়ে মনের রক্তখরণগুলো বারবার মুছে নিতেও কষ্ট হচ্ছে খুব। কোন কিছুই ঠিক বুঝতে পারি না, শুধু ভাবনা আসে এভাবে নিজেকে স্তব্ধ করতে গিয়ে নিজের ভিতকার শক্তিটাকেই না স্তব্ধ করে দেই।

মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ভাষাহীন রোদন

আমি মনের ভাষাগুলো গুলিয়ে ফেলি বার-বার
শব্দরা বারবার বেরুতে চেয়েও স্তব্ধ হয়ে পড়ে,
ঘৃণাগুলোকে উগলে দিতে পারলে স্থির হতে পারতাম
অথবা উন্মাদ হয়ে মাসুদ নামক হিংস্র হায়েনাগুলোর
রক্ত নিয়ে হোলি খেলায় মাততে পারলে-
না; মাসুদ হায়েনাদের এমন করে ষষ্ঠশ্রেনীর
হরিণ শাবকটাকে খুবলে খাওয়ার দৃশ্য-

এ আমি ভাবতে পারি না,
এমন অবলীলায় অমানবিক হিংস্র জানোয়ারের পীড়ায়
জন্মদাতা-দাত্রীর ভাষাহীন রোদন এ আর সহ্য হয় না।

ও বিধাতা

এমনি করে জন্ম-মৃত্যু গুনে-গুনে
ক্ষীন সম্ভাবী জীবনও থেমে পড়ে,

হাসপাতালের বিছানায় ছড়িয়ে থাকা বেদনার্ত জীবনের আর্তনাদ
মৌণমুহূর্ততায় দুই-চারটা থেমে যাওয়া শরীর দেখে অভিভূত হই,
বলি ও বিধাতা; এই সহে-সহে ক্ষয়ে যাওয়া দেহে
কেন তবে এত বাসনারা ডুবে মরে?

বাংলার প্রবাদ পুরুষ, ন্যায় নিষ্ঠতার প্রতীক

বাংলার প্রবাদ পুরুষ, ন্যায় নিষ্ঠতার প্রতীক শুধু একজনই। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এমনই একজন বলিষ্ঠ নেতা যার নাম উচ্চারিত হতেই পাকি ঘরনার লোকদের চুলকানী আর গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়। শুধু তাই নয়- এই চুলকানী আর গাত্রদাহ তাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বহে বেড়ায়। যখন চুলকানী কিংবা গাত্রদাহ খুব বেড়ে যায়, তখন তারা গেয়ে উঠে-

“জাতির পিতা মুজিব পিতা স্বপ্নে দেইখা কয়

দেশটা তো আমার একা, অন্য কারও নয়”

চরম চুলকানীর এই রোগে ভুগতে থাকা তারা ভুলে যায়- যে স্বপ্ন দেখে, দেখায় এবং স্বপ্নকে সার্থক করে, সে সত্যিকার অর্থেই সেই স্বপ্নের দাবীদার। অথচ তারা বঙ্গবন্ধুর বিদ্রুপ করতে গিয়েও তাঁর স্বীকৃত কর্মকে স্বীকৃতি দিয়ে ফেলে নিজেদের অজান্তেই।

আজ ১৫ই আগষ্ট। বাঙ্গালী জাতির চির শোকের দিন। এই দিনে পাকিসমমনা ক্ষমতালিপ্সুদের হাতে জাতি হারায় একজন সত্যিকারের অভিভাবক, একজন রুপকার কিংবা একজন মহান সেনা নায়ককে। আজ এমন একটি শোকার্ত সন্ধিক্ষনে দাঁড়িয়ে শুধু এইটাই বলবার আছে-

“ওহে মহান সেনা, সত্যিকারের বলে বলিয়ান

আজ এই দীনহীনের লহও প্রণাম।”

রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৫

বন্ধুত্ব বন্ধন অটুট থাকুক আজীবন

তখন পা দুটো এঁকেবেঁকে চলে- দাঁড়াতে পড়ি, চলতে দৌড়ি আর দৌড়ে পড়বার আগে ধরবার আশ্রয় খুঁজি। ঠিক তখন কেউ এসে কচি দু‘হাত এগিয়ে নেয় একপা- দোপা করে সামনের পথে। আর কচি মুখের কুয়ারাতে ঝুকতে-ঝুকতে বুঝি কেউ আছে।

এখন দাঁড়াতে শিখেছি, ছুটতেও বেশ পারি, দূরন্ত বালকের সে ছুটে চলায় কেউ পাশে ছুটতে-ছুটতে আসে, বুঝি কেউ পাশে আছে।

জীবনে প্রথমবারের মত নতুন গন্ডিতে পা দিলাম, দেখী আরও অনেকে সেখানে, তখন ভয়-বিষ্ময়ে হৃদয় কুপোকাত। কয়দিন যেতেই দেখি সবাই সবাইকে বলে আছি। এভাবেই নিত্য-নতুন গন্ডিতে জীবন বয়ে যায় প্রতিদিনকার।

কিশোর বয়স, দূরন্ত মন, অনুসন্ধিচ্ছু মন বারবার ছুটে যেতে চায় দূর্গম পথ বেয়ে। তখন বারবার হোঁছট খাওয়া হাতে হাত বাড়িয়ে কেউ বলে উঠে আছি।

সময়টাই এমন যে; মন অকারণ ব্যাকুল হয়ে পড়ে, কোন শূণ্যতা কোন বাসনায় বারবার মন ছুটে যেতে চায় কারও সংস্পর্শে, একান্ত ভালোলাগায়। আর তখন ভালোলাগার অভিব্যাক্তিটাকে বুঝে কেউ বলে উঠে পাশেই আছি।

হঠাৎ কি হল? সময়ের সাথে টিকে উঠতে খেই হারিয়ে ফেলছি বারবার, সবকিছু ঠিকঠাক চলবার কথা ছিল, ঠিকমতো কাজ-খাওয়া-দাওয়া-ঘুম কিন্তু না কোনটাই ঠিক করে হচ্ছে না। ঠিক তখন জীবন বলে- একান্তভাবে নিজের কথা বলার সাথে কেউ থাকা চাই। সময়ের বদৌলতে- ঠিক কেউ এসে বলে, আছি তো সাথে আজীবন থাকবার বাসনায়।

এরপর সময় গড়িয়ে যায়, সংসার বাড়ে সংশয় বাড়ে সাথে কমে জীবনের উদ্দ্যমতা। আর তখন উত্তরাউত্তর কেউ বলে উঠে, নিশ্চিত থাকো তো আমি আছি।

এভাবেই সময়ের আবর্তে কারও ভরশার আশ্রয় করেই জীবন এগিয়ে চলে...
আর ভরশার জায়গারগুলো হয় একান্ত হৃদ্য কোন হাত। আর সেই হৃদ্য হাতগুলোই হয় বন্ধু কিংবা একান্ত প্রিয় কেউ।

---বন্ধুত্ব বন্ধন অটুট থাকুক আজীবন।

বৃষ্টিবিলাস

বৃষ্টির উপর আজ খুব অভিমান হল, ইচ্ছে ছিল আজই সব সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলি। তবু শুধুমাত্র অভিমানের রেশটুকু সঙ্গে করে অফিসে পৌঁছলাম।

আমার কাছে প্রেম-ভালোবাসা আবদ্ধ বলয়ে লালন করবার বিষয়, অন্যরা বুঝবে আমাদের মধ্যে সম্পর্ক আছে, তবে কেউই নিশ্চিত সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। সারাক্ষনই দুজনা দুজনার জন্য অস্থির থাকব, তবু কেউ এগিয়ে এসে জানতে পারবে না দুজনার মধ্যেকার প্রেমের বাহুল্যতা ঠিক কতটুকু! অথচ ওর কাছে প্রেম-ভালোবাসাটাই সব, ভালোবাসি বলতে গেলেই যেন তার তাড়িত বাহুবন্ধনীতে আমাকে জড়িয়ে থাকতে হবে। অথচ সারাক্ষন ভালোবাসি বলে ফিরে চলার মত ঘ্যান-ঘ্যানানি, প্যান-প্যানানি আমার অসহ্য ঠেকে, বাড়াবাড়ি লাগে। বলি যদি মনটাকে না বোঝা হয় তবে ভালোবাসা এভাবে কদ্দিন টেনে নেয়া যায়?

বৃষ্টিকে আজ সাফ জানিয়ে দিলাম- এ আমার সহ্য নয়! জানি তার সময়ে সে তার মতোই অটল থাকবে। তবু এমন প্রেম-ভালোবাসার লাগাম আমাকে বাঁধুক সে আমি চাই না। সত্যিকারে বলতে গেলে কি- প্রেমের যে লাগামে এদিক-ওদিক ছুটবে পারব না, যে লাগামে কাজকর্ম ঠিকমতো হবে না, যে লাগামে মিষ্টি-মধুর আকুতিগুলো আতঙ্কেরুপ নেবে, সে লাগামের অভিমানগুলো ক্ষোভে সমর্পিত হবে, সে লাগামে আবদ্ধ হবার বাসনা আমি ছাড়বই।

অনেক কাঁদছিল সে, তার চোখের অবিরত বর্ষন আমার ছাতার ফাঁক গলে ভিজিয়ে দিয়েছে আমার শরীরের আদ্যপ্রান্ত। আচারণে বুঝলাম ক্ষোভের রেশ কোনক্রমেই কাটটে পারছে না অথবা ক্ষোভ প্রকাশের কোন ভালো মাধ্যম ও খুঁজে পাচ্ছে না, তাই এক নাগাড়ে এমন অঝোর ধারায় কাঁদছে। আমি সব ফেলে জীবন ভাবনায়ই কেবল ছুটলাম। গন্তব্যে পৌঁছে যখন তার অশ্রুতে ভেজা শরীরের শিহরণ দেখলাম, তখন মনটা ব্যাকুল হয়ে ভাবছে- এ শিহরণটুকুই বোধকরি ভালোবাসা জাগায়, ভাবতে শিখায়, ভাসতে শেখায় অথবা আনমনা ভাবুক কবিকে ঘোরের মাঝে ফেলে নিয়ে যায় বাদল দিনের গানে-

পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে
পাগল আমার মন জেগে ওঠে॥
চেনাশোনার কোন্‌ বাইরে
যেখানে পথ নাই নাই রে
সেখানে অকারণে যায় ছুটে॥
ঘরের মুখে আর কি রে
কোনো দিন সে যাবে ফিরে।
যাবে না, যাবে না--
দেয়াল যত সব গেল টুটে॥
বৃষ্টি-নেশা-ভরা সন্ধ্যাবেলা
কোন্‌ বলরামের আমি চেলা,
আমার স্বপ্ন ঘিরে নাচে মাতাল জুটে--
যত মাতাল জুটে।
যা না চাইবার তাই আজি চাই গো,
যা না পাইবার তাই কোথা পাই গো।
পাব না, পাব না--
মরি অসম্ভবের পায়ে মাথা কুটে॥

বুধবার, ২২ জুলাই, ২০১৫

ঈদ শুভেচ্ছা

বাঁধভাঙ্গা জোয়ারে এল প্রান উচ্ছল দিন
গলায় গলায় বুকে বুকে দিন হল রঙ্গিন
ধনী-দরিদ্র জাত-গোত্র ভেদ নাইকো কারও মনে
রমজানের ঐ রোজার শেষে আজকে খুশির দিনে

ঈদ মোবারক
সবাইকে রইল ঈদের প্রানঢালা শুভেচ্ছা...