রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৫

বন্ধুত্ব বন্ধন অটুট থাকুক আজীবন

তখন পা দুটো এঁকেবেঁকে চলে- দাঁড়াতে পড়ি, চলতে দৌড়ি আর দৌড়ে পড়বার আগে ধরবার আশ্রয় খুঁজি। ঠিক তখন কেউ এসে কচি দু‘হাত এগিয়ে নেয় একপা- দোপা করে সামনের পথে। আর কচি মুখের কুয়ারাতে ঝুকতে-ঝুকতে বুঝি কেউ আছে।

এখন দাঁড়াতে শিখেছি, ছুটতেও বেশ পারি, দূরন্ত বালকের সে ছুটে চলায় কেউ পাশে ছুটতে-ছুটতে আসে, বুঝি কেউ পাশে আছে।

জীবনে প্রথমবারের মত নতুন গন্ডিতে পা দিলাম, দেখী আরও অনেকে সেখানে, তখন ভয়-বিষ্ময়ে হৃদয় কুপোকাত। কয়দিন যেতেই দেখি সবাই সবাইকে বলে আছি। এভাবেই নিত্য-নতুন গন্ডিতে জীবন বয়ে যায় প্রতিদিনকার।

কিশোর বয়স, দূরন্ত মন, অনুসন্ধিচ্ছু মন বারবার ছুটে যেতে চায় দূর্গম পথ বেয়ে। তখন বারবার হোঁছট খাওয়া হাতে হাত বাড়িয়ে কেউ বলে উঠে আছি।

সময়টাই এমন যে; মন অকারণ ব্যাকুল হয়ে পড়ে, কোন শূণ্যতা কোন বাসনায় বারবার মন ছুটে যেতে চায় কারও সংস্পর্শে, একান্ত ভালোলাগায়। আর তখন ভালোলাগার অভিব্যাক্তিটাকে বুঝে কেউ বলে উঠে পাশেই আছি।

হঠাৎ কি হল? সময়ের সাথে টিকে উঠতে খেই হারিয়ে ফেলছি বারবার, সবকিছু ঠিকঠাক চলবার কথা ছিল, ঠিকমতো কাজ-খাওয়া-দাওয়া-ঘুম কিন্তু না কোনটাই ঠিক করে হচ্ছে না। ঠিক তখন জীবন বলে- একান্তভাবে নিজের কথা বলার সাথে কেউ থাকা চাই। সময়ের বদৌলতে- ঠিক কেউ এসে বলে, আছি তো সাথে আজীবন থাকবার বাসনায়।

এরপর সময় গড়িয়ে যায়, সংসার বাড়ে সংশয় বাড়ে সাথে কমে জীবনের উদ্দ্যমতা। আর তখন উত্তরাউত্তর কেউ বলে উঠে, নিশ্চিত থাকো তো আমি আছি।

এভাবেই সময়ের আবর্তে কারও ভরশার আশ্রয় করেই জীবন এগিয়ে চলে...
আর ভরশার জায়গারগুলো হয় একান্ত হৃদ্য কোন হাত। আর সেই হৃদ্য হাতগুলোই হয় বন্ধু কিংবা একান্ত প্রিয় কেউ।

---বন্ধুত্ব বন্ধন অটুট থাকুক আজীবন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন