রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৫

নিজেকে সংযত রাখাই উত্তম চরিত্র প্রকাশের শ্রেষ্ঠ উপায়

নিজেকে সংযত রাখাই উত্তম চরিত্র প্রকাশের শ্রেষ্ঠ উপায়।

পৃথিবীতে যেহেতু ভোগ-বাসনা আছে তাই তাতে আসক্তি থাকাটাও স্বাভাবিক। কিন্তু আসক্তির ব্যপ্তীতে যে নিজেকে সংযত রাখতে সক্ষম নয়, জ্ঞান কিংবা প্রবৃত্তিতে তার আর পশুতে পার্থক্য নিরুপণ সুকঠিন।

নোংরামির একটা সীমা বা গন্ডী

সরকারের কাছে কোন যুক্তিযুক্ত উত্তর চাই না। শুধু একটাই কথা বলছি বা বলার আছে....
প্রতিটি নোংরামির একটা সীমা বা গন্ডী থাকে। যা উতরে গেলে সে নিয়ে বলতে ঘৃণা ছাড়া কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।

নিয়তির গন্তব্য!

ছোট্ট এ জীবন!
এখানে ফাগুন আসে, ফুল ফোঁটে
পাখি গায়, বাতাস ভাসে, সমূদ্র ডাকে
কারও হাসি কানে বাজে, কারও মুখ চোখে ভাসে
হৃদয় কিছুটা দ্যৌলে, কখনও অবাধ্য উন্মত্ততায় খেলে
চারিদিকের চরিত্রগুলো এক হয়, আবার সময় ব্যবধানে ভেঙ্গে পড়ে
একরাশ স্বপ্নঘেরা সুরকাননের লহরিতে জেগে উঠে জাগতিক মোহাচ্ছন্ন সুখ!

ছোট্ট এ জীবন!
এখানে কি পেয়েছি, কি দিয়েছি
কি হারিয়েছি, কি হারাব, কি হারাবার আছে
দেখেছি শুনেছি ভেবেছি, তবু বলতে গিয়ে সব ভূলে ভরে গেছে
জানার পীড়া ছিল, জানাবারও ইচ্ছে ছিল, তবু জানাতে কোথাও ভূল হয়েছে
মাশুলে সুদ কষে-কষে জীবন অংকের ভূল শিক্ষায় ভূল হয়েছে জাগতিক জ্ঞানের প্রদর্শণ
শুধু বাধ্য-বাধ্যকতার শিক্ষায় অপূর্ণ জীবনের শেকড় চড়ে-উৎরে পৌঁছে গেছে নিয়তির গন্তব্যে!

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৫

না, পারিনি কখনও পারবও না

ফাঁসির দন্ডাদেশের পূর্বে কামরুজ্জামানের শেষ উক্তি ছিল তিনি নির্দোষ! একইভাবে বাংলার সকল যুদ্ধ অপরাধীরা শোরগোল তুলছে তারা নির্দোষ বলে... এত-এত তথ্য প্রমান, ঐতিহাসিক সত্যতা থাকার সত্ত্বেও তারা নিজেদের কি করে নির্দোষ বলে দাবি করছে?

আমার কাছে যে বিষয়টি তাদের নিজের বিবেকের কাছে নির্দোষ ভাবতে সাহার্য্য করছে বলে মনে হয়, তাহল- তারা বিবেকের কাছে নিজেদের দেশপ্রেমিক হিসেবে তুলে ধরছে।

এখন যদি প্রসঙ্গে আসি, তবে বলতে গেলে বলতে হয়- তারা কি তবে দেশপ্রেমিক নয়?
অবশ্যই তাদের মাতৃভূমির বুকে তারা দেশপ্রেমিক ছিল এবং তারা ছিল মাতৃভূমির লড়াকু সৈনিক। তারা তাদের মাতৃভূমির জন্য নিজেদের জীবন দিতেও কার্পণ্য করত না। অতএব মাতৃভূমির জন্য তাদের বলিদানের সদিচ্ছা তাদের দোষী না ভাবাটার কারণ হওয়াটা স্বাভাবিক। আর তাই তারা তাদের অনুসারীদের কাছে এ প্রচার করে এবং বলে চলে আজ যদি বাংলাদেশ না হত তবে তারাই বীর সৈনিক হত!

কিন্তু অতি আশ্চার্য্যের বিষয় তারা এখনও বুঝতে পারছে না, এ এখন আর তাদের দেশ নয়। তাদের বাপ-দাদারা তাদের ত্যাগের বিনিময়টা দিয়েছে; উষ্ঠা দিয়ে বাপ-দাদার বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে। এখন সৃষ্ট দেশটি স্বাধীন সার্বভৌম নতুন দেশ। যেখানে রাষ্ট্রদ্রোহির লেপন নিয়ে অস্ত্রধারীরা বীর, তাঁরা তাঁদের বীরত্বগাঁথায় ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে পেয়েছে নতুন দেশ আর এই দেশে বিরুদ্ধে তাদের লিপ্ততায় তারা হয়ে গেছে রাষ্ট্রদ্রোহি, মাতৃভূমির কালাঙ্গার।

আচ্ছা বলুন ত- যদি আজ বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র তৈরী না হত তবে যারা নতুন দেশের স্বপ্নে বিভোর হয়ে প্রাণ দিতে উৎসুক ছিল, তাদের অবস্থা কি হত? তখন কি মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রদ্রোহি হত না? পাকি রাষ্ট্র রাষ্ট্রদ্রোহির বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিত না? পৃথিবীর রাষ্ট্রদ্রোহিনীতি অনুযায়ী তাদের কি ওপেন ব্রাশফায়ার করা হত না? অথবা আমৃত্যু কারাবাস করতে হত না?

যদি তাই হয়? তবে আজ কাদের এই কুলাঙ্গারদের জন্য কাদের এত মায়া উতলায়? কোন কোন উছিলায় এরা দরদ দেখাতে চায়? যারা কখনো এই বাংলাদেশই চায় নি, চায়নি এখানকার সৃষ্টি-সংযুক্তি-স্মৃতি। শুধু এ নয়, স্বাধীনতার পরও এরা নিজেদের নিলর্জ্জ মুখ ঢেঁকে নীরবে দুনিয়া থেকে যেতে পারে নি। বরং কুলাঙ্গারগুলো বারংবার বুক উঁচিয়ে লক্ষপ্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করে অন্যের হাতে তুলে দিতে অার্বিভূত হয়েছে। এখনও, কুলাঙ্গারের দল মায়ের আঁচলে থেকেও মাকে ভালোবাসতে চায় না। তবে এদের জন্য মায়া হবে কেন? ঠিক কোন অনুভূতি কিংবা যুক্তিতে আমরা এদের ক্ষমা করব?

না, পারিনি কখনও পারবও না। এখনও বলে যাচ্ছি, মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তাই বলে যাব।

জাতিসংঘের কাজ কি?

জাতিসংঘের কাজ কি?

ক) কোনদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ করা
খ) মার্কিনিদের দালালি করা
গ) মানবাধিকারের নাম ভেঙ্গে বিষ্ঠা লেহন করা
ঘ) নাকি উপরের সবগুলো

শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৫

সভ্য পৃথিবীর অসভ্য আচার

সভ্য পৃথিবীর সবচেয়ে অসভ্য আচার এই-

এখানে অসহায় অসমর্থের বিচার হয় অরক্ষিতভাবে। আর সামার্থ্যবান ক্ষমতাশালীর বিচার হয় সন্মান বিবেচনায়।

কলংকমুক্ত দেশ মাতৃকাকে দেখতে চাই

সুশিল বন্ধুদের অনেককে বলতে দেখছি- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া আরও দায়িত্বের সহিত করা উচিত ছিল। এভাবে বিতর্কিক বিচার বিচার ব্যবস্থার উপর দারূন প্রভাব ফেলবে।

সে সকল সুশিল বন্ধুদের কাছে আমার অনুরোধ এসব অজুহাত দেখিয়ে আপনারা আসলে কি বোঝাতে চাচ্ছেন? ৪৩ বছর ধরে নানান প্রচার প্রচারণায় আজ যুদ্ধ অপরাধীদের বেশীরভাগই একটা শক্ত অবস্থান তৈরী করে নিয়েছে। এখনই ১০ জনে ৪ জন সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেছে, তারা সত্যিকারে যুদ্ধ অপরাধী ছিল কিনা তা নিয়ে। কাদের মোল্লার ফাঁসির পরে আমার অনেক বন্ধুদের আক্ষেপ করতে দেখেছি, যে নিরপরাধী মানুষটাকে ফাঁসি দিয়ে দিল? যদিও পাকিস্থানে সংসদে কাদের মোল্লার অবস্থানটি সম্পর্কে পরে সকলে কিছুটা অবহিত হয়। এখনও কামরুজ্জামানের ফাঁসি চূড়ান্ত রায়ে অনেকে বলতে শুনছি সে নাকি রাজনৈতিক আক্রমনের শিকার, যুদ্ধের সময় বয়সে সে দুধের শিশু ছিল! অথচ ইতিহাস সাক্ষী দিচ্ছে তার অপরাধ, তার জন্মসাল ১৯৫২। তার মানে যুদ্ধের সময় সে মোটেই দুধের শিশু ছিল না।

আর আমাদের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে যদি প্রশ্ন উঠে, তবে আমি বলব- আমাদের দেশে বিচার বিভাগ কিংবা বিচার ব্যবস্থা কখনোই সাধারনের মনোঃপুত হয়নি, হবেও না। গত ৫ ই এপ্রিল সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কি বিচার হয়েছিল? অথচ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পর্যন্ত জারি হয়েছিল। আসলে আমাদের জন্য এই সত্য, আইন-সত্য-সততা-বিচার আজ সবই কেবল সাধারনের জন্য, যারা অসহায় তাদের জন্য। ক্ষমতাশালী-শক্তিবান তাদের বিচার প্রক্রিয়া পৃথিবীর শুরু থেকে ভিন্ন প্রক্রিয়ায় হয়ে আসছে, হবেও।

আর মানুষের মন তাদের জন্যই কেবল কাঁদে, যাদের আছে। যাদের নেই, তাদের জন্য মানবতা নেই, মানবাধিকার নেই, রাষ্ট্র নেই, দেশ নেই, প্রশাসন নেই, নেই কোন সত্য দৃষ্টান্ত। তাদের কপালে লেপ্টে থাকে কেবলই প্রহসণ।

সবশেষ আমার একটি কথাই কেবল বলার আছে। যে প্রক্রিয়ায়ই হোক না কেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হবার মাধ্যমে কলংকমুক্ত দেশ মাতৃকাকে দেখতে চাই।

শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৫

শোধ বাকী

মনের ঔদ্ধত্য দেখলে ঐশ্বর্য্যটাকে না...
চিরাচরিত বার্ধক্যে এ কেমন বাসনা ভূবনেশ্বরী ?
সৃষ্টির দানযজ্ঞে এ নয় প্রতারিত প্রবঞ্চণা ?

সাগরে ঢেঁউ উছলায়ে তীরে নুড়ির স্তুপ হয়
নিজের প্রেম, স্বপ্ন, ঘর সব পিছে পড়ে থাকে,
তবুও অন্তঃস্থ গহ্বরে প্রেম জন্মে প্রকারন্তে।

বেঁধেছ বিঁধেছ, বাঁধা পড়েছি আগ্রহে
কোন এক নেশা, এক তাড়না অথবা কোন দায়!
টেনেছে; যতটা না চেয়েছি তারও বেশি

শুধু;
কষ্টিপাথর ভেবে আগলে রাখবে বলে
ধুমকেতু ভেবে সরে পড়লে,
যজ্ঞক্রিয়ায় এটুকুরই কেবল শোধ বাকী।

যার নেই

যার দেখার মতো চোখ নেই, পৃথিবীর সব সৌন্দর্য্য তার অসহ্য ঠেকে।
যার বলার মতো ভাষা নেই, পৃথিবীর সব জানা তার অহেতুক লাগে।
যার শোনার মতো কান নেই, পৃথিবীর সব সত্য সে মিথ্যা শোনে।
যার বোঝার মতো মন নেই, পৃথিবীর সব বুঝ তার দূর্বোধ্য লাগে।

মাংস খাওয়া জিহ্বার স্বাদ এত সহজে দমে না মমিন

টেলিকম সেক্টরের সাথে সংযুক্ত থাকায় মধ্যপ্রাচ্যের বাংলাদেশী গ্রাহকদের সাথেই আমাদের কাজ করতে হয় বেশি। আজ আমাদের একজন গ্রাহক আমাদের সাপোর্টের মোবাইলের হোয়াটসআপে একটা মেসেজ করেছেন। তার মেসেজটি অক্ষুন্ন রেখে তুলে দিলামঃ

“কক্সবাজার জেলা রামু থানায়, জয়া নামে এক বৌদ্ধর মেয়ে, কোরানের উপর পা দিয়ে ছবি তুলেছে। আমরা tar ফাঁসি চাই, মুসলমান হলে 5 জনকে send করো, কাফের হলে চুপ থাকো, প্রমান BBC”।

সাপোর্টে আমার জুনিয়র কলিগ রিয়াজকে ম্যাসেজটি দেখালাম। জিজ্ঞাসা করলাম তিনি এটা ঠিক করেছেন কিনা? ধর ঘটনাটি সত্য, যদি ঘটনাটি সত্য হয়ে থাকে তবে উপস্থিত কেউ নিশ্চয়ই দেখেছে? যদি উপস্থিত কেউ দেখে থাকে, তোমার কি মনে হয়? সে এবং আশপাশের তোমার ধর্মের লোকজন তাকে এমনি ছেড়ে দেবে? রিয়াজ জবাব দিল- অবশ্যই না। বললাম যদি অবশ্যই না হয় তবে এদের উদ্দেশ্য বা ইচ্ছে কি? রিয়াজ জবাব দিল- এরা আসলে না বুঝে গুয়ের মধ্যে পা দিয়ে দূর্গন্ধ সর্বত্র ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করছে।

এদের উদ্দেশ্য বা ইচ্ছেটা কি আমার বিবেকবান বন্ধু‘রা অবশ্যই তা বুঝবেন। কিন্তু যিনি আমাদের মোবাইলে মেসেজটি করেছেন, তিনি বা তার মতো লোকেরা কি করবে? কিংবা কি বুঝছেন? জানি না তারা কি বুঝেছেন, তবে সত্য হল এই- তারা এ ছড়াবে, ছড়াতে-ছড়াতে উত্তেজনা তৈরী করবে, মোল্লা-মৌলভীরা ছুটাছুটি করবে নেকি হাসিলের আশায় কিংবা রগছটা বিভ্রমে, শুরু হবে ভাঙ্গচুর হত্যাযজ্ঞ, কেউ নিঃস্ব হবে, কেউ মারা পড়বে, সময়ে সংখ্যালঘু নামকদের যাদুঘরে দেখা যাবে।

কিন্তু সত্য কি বলে? এখানেই সব শেষ? সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে, মিথ্যা বিভ্রান্তী ছড়িয়ে নিঃশেষ করা হলেই সব শেষ হয়ে যাবে? না, মোটেই তা নয়। তার জলন্ত উদাহরণ পাকিস্থান, জ্বলন্ত উদাহরণ আফগানিস্থান। সংখ্যালঘুদের মাংস তাদের খাওয়া শেষ হয়েছে বহু আগে, এখন তারা নিজেরা নিজেদের মাংস খাওয়া শুরু করেছে। মাংস খাওয়া জিহ্বার স্বাদ এত সহজে দমে না মমিন, এত সহজে দমে না।