শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৫

কলংকমুক্ত দেশ মাতৃকাকে দেখতে চাই

সুশিল বন্ধুদের অনেককে বলতে দেখছি- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া আরও দায়িত্বের সহিত করা উচিত ছিল। এভাবে বিতর্কিক বিচার বিচার ব্যবস্থার উপর দারূন প্রভাব ফেলবে।

সে সকল সুশিল বন্ধুদের কাছে আমার অনুরোধ এসব অজুহাত দেখিয়ে আপনারা আসলে কি বোঝাতে চাচ্ছেন? ৪৩ বছর ধরে নানান প্রচার প্রচারণায় আজ যুদ্ধ অপরাধীদের বেশীরভাগই একটা শক্ত অবস্থান তৈরী করে নিয়েছে। এখনই ১০ জনে ৪ জন সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেছে, তারা সত্যিকারে যুদ্ধ অপরাধী ছিল কিনা তা নিয়ে। কাদের মোল্লার ফাঁসির পরে আমার অনেক বন্ধুদের আক্ষেপ করতে দেখেছি, যে নিরপরাধী মানুষটাকে ফাঁসি দিয়ে দিল? যদিও পাকিস্থানে সংসদে কাদের মোল্লার অবস্থানটি সম্পর্কে পরে সকলে কিছুটা অবহিত হয়। এখনও কামরুজ্জামানের ফাঁসি চূড়ান্ত রায়ে অনেকে বলতে শুনছি সে নাকি রাজনৈতিক আক্রমনের শিকার, যুদ্ধের সময় বয়সে সে দুধের শিশু ছিল! অথচ ইতিহাস সাক্ষী দিচ্ছে তার অপরাধ, তার জন্মসাল ১৯৫২। তার মানে যুদ্ধের সময় সে মোটেই দুধের শিশু ছিল না।

আর আমাদের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে যদি প্রশ্ন উঠে, তবে আমি বলব- আমাদের দেশে বিচার বিভাগ কিংবা বিচার ব্যবস্থা কখনোই সাধারনের মনোঃপুত হয়নি, হবেও না। গত ৫ ই এপ্রিল সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কি বিচার হয়েছিল? অথচ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পর্যন্ত জারি হয়েছিল। আসলে আমাদের জন্য এই সত্য, আইন-সত্য-সততা-বিচার আজ সবই কেবল সাধারনের জন্য, যারা অসহায় তাদের জন্য। ক্ষমতাশালী-শক্তিবান তাদের বিচার প্রক্রিয়া পৃথিবীর শুরু থেকে ভিন্ন প্রক্রিয়ায় হয়ে আসছে, হবেও।

আর মানুষের মন তাদের জন্যই কেবল কাঁদে, যাদের আছে। যাদের নেই, তাদের জন্য মানবতা নেই, মানবাধিকার নেই, রাষ্ট্র নেই, দেশ নেই, প্রশাসন নেই, নেই কোন সত্য দৃষ্টান্ত। তাদের কপালে লেপ্টে থাকে কেবলই প্রহসণ।

সবশেষ আমার একটি কথাই কেবল বলার আছে। যে প্রক্রিয়ায়ই হোক না কেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হবার মাধ্যমে কলংকমুক্ত দেশ মাতৃকাকে দেখতে চাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন