শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৫

মাংস খাওয়া জিহ্বার স্বাদ এত সহজে দমে না মমিন

টেলিকম সেক্টরের সাথে সংযুক্ত থাকায় মধ্যপ্রাচ্যের বাংলাদেশী গ্রাহকদের সাথেই আমাদের কাজ করতে হয় বেশি। আজ আমাদের একজন গ্রাহক আমাদের সাপোর্টের মোবাইলের হোয়াটসআপে একটা মেসেজ করেছেন। তার মেসেজটি অক্ষুন্ন রেখে তুলে দিলামঃ

“কক্সবাজার জেলা রামু থানায়, জয়া নামে এক বৌদ্ধর মেয়ে, কোরানের উপর পা দিয়ে ছবি তুলেছে। আমরা tar ফাঁসি চাই, মুসলমান হলে 5 জনকে send করো, কাফের হলে চুপ থাকো, প্রমান BBC”।

সাপোর্টে আমার জুনিয়র কলিগ রিয়াজকে ম্যাসেজটি দেখালাম। জিজ্ঞাসা করলাম তিনি এটা ঠিক করেছেন কিনা? ধর ঘটনাটি সত্য, যদি ঘটনাটি সত্য হয়ে থাকে তবে উপস্থিত কেউ নিশ্চয়ই দেখেছে? যদি উপস্থিত কেউ দেখে থাকে, তোমার কি মনে হয়? সে এবং আশপাশের তোমার ধর্মের লোকজন তাকে এমনি ছেড়ে দেবে? রিয়াজ জবাব দিল- অবশ্যই না। বললাম যদি অবশ্যই না হয় তবে এদের উদ্দেশ্য বা ইচ্ছে কি? রিয়াজ জবাব দিল- এরা আসলে না বুঝে গুয়ের মধ্যে পা দিয়ে দূর্গন্ধ সর্বত্র ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করছে।

এদের উদ্দেশ্য বা ইচ্ছেটা কি আমার বিবেকবান বন্ধু‘রা অবশ্যই তা বুঝবেন। কিন্তু যিনি আমাদের মোবাইলে মেসেজটি করেছেন, তিনি বা তার মতো লোকেরা কি করবে? কিংবা কি বুঝছেন? জানি না তারা কি বুঝেছেন, তবে সত্য হল এই- তারা এ ছড়াবে, ছড়াতে-ছড়াতে উত্তেজনা তৈরী করবে, মোল্লা-মৌলভীরা ছুটাছুটি করবে নেকি হাসিলের আশায় কিংবা রগছটা বিভ্রমে, শুরু হবে ভাঙ্গচুর হত্যাযজ্ঞ, কেউ নিঃস্ব হবে, কেউ মারা পড়বে, সময়ে সংখ্যালঘু নামকদের যাদুঘরে দেখা যাবে।

কিন্তু সত্য কি বলে? এখানেই সব শেষ? সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে, মিথ্যা বিভ্রান্তী ছড়িয়ে নিঃশেষ করা হলেই সব শেষ হয়ে যাবে? না, মোটেই তা নয়। তার জলন্ত উদাহরণ পাকিস্থান, জ্বলন্ত উদাহরণ আফগানিস্থান। সংখ্যালঘুদের মাংস তাদের খাওয়া শেষ হয়েছে বহু আগে, এখন তারা নিজেরা নিজেদের মাংস খাওয়া শুরু করেছে। মাংস খাওয়া জিহ্বার স্বাদ এত সহজে দমে না মমিন, এত সহজে দমে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন