রবিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৫

আবেগের কারণে মানুষ তার কতটা সীমানা অতিক্রম করতে পারে?

গত কয়েকদিন ধরে চোখে পড়ার মত বেশ কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য করেছি, যা অপ্রত্যাশিত সত্য। এদেশের বেশিরভাগ মানুষ কি পরিমান ভ্রষ্ট মানষিকতার, কতটা হীনমন্য প্রকৃতির, এরা কতটা বাপ-দাদার পরিচয়হীন তা আবার স্পষ্ট দেখা গেল।

বাংলাদেশের ভারতের সাথে হেরে যাওয়াটা অনাকাঙ্গিত ছিল। আম্পায়ারদের নষ্ট মানষিকতার ফলশ্রুতিতে হোক, কিংবা হোক জুড়ায়ি কিংবা আইসিসির ইশারায়। এই নিয়ে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে অন্য আর সকলের মত আমিও বেশ আপসেট ছিলাম। সত্যিকারে বলতে গেলে এমন প্রহসণ মেনে নেয়া সকলের জন্যই বেশ কষ্টসাধ্য। কিন্তু এদেশের চোখে পড়ার মত বেজন্মাদলের মনোভাব দেখে আমার কাছে প্রহসণের ভারত জয়ের বেদনার চেয়ে এদেশে এই বেজন্মাদের সাথে এখনো ঠিক থাকাকেই বেশী অনাকাঙ্খিত মনে হচ্ছে এবং পীড়িত করছে।

খেলায় আইসিসি জোচ্চুরি করেছে, এ অস্বীকারের উপায় নেই। কিন্তু এর মানে কি হিন্দু‘রা দোষী হয়ে গেছে? বাড়িতে-পথে-ঘাটে হিন্দুদের মানষিক কিংবা শারীরীক আঘাত কিংবা অপদস্ত করা জায়েজ হয়েছে? হিন্দুরা কি খেলায় বাংলাদেশের পক্ষে ছিল না? বাংলাদেশ দলে হিন্দুরা খেলছে না? কোন দেশে বসবাস করে সে দেশের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া কাদের এবং কয়জনের পক্ষে সম্ভব? ভারতে কি কেবল হিন্দুদের বসবাস? খেলায় হার হিসেবে ভারতীয় খেলোয়ার‘রা কি দোষী? একটা খেলাই কি অন্যকে শত্রু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রধান কারণ হবে? ভারত আমাদের কে পাকিস্থানের মতো তাদের অধিনস্থ করে অত্যাচার করছে? খেলার কারণে পাকিস্থান আর ভারতের অবস্থান কি এক কাতারে চলে আসবে? আজ পাকিস্থানের মত ভারতকেও আমাদের জাত শত্রু ভাবতে হবে?

আমি মানষিকভাবে আহত হওয়ায় হয়ত বুঝতেছিনা- আবেগের কারণে মানুষ তার কতটা সীমানা অতিক্রম করতে পারে, তাই বন্ধু হিসেবে আপনাদের সিদ্ধান্ত জানতে চাইছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন