স্যাটোয়ার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
স্যাটোয়ার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭

নানারে (বন্ধু করিম) নিয়া বহুত মছিবতে আছি!!

নানারে (বন্ধু করিম) নিয়া বহুত মছিবতে আছি!!

নানা কইল তার পরিচিত কলেজ-ভার্সিটির চেনা-জানা বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে আমাকে সংসারী বানিয়ে ফেলবে, শুনে মনে-মনে বেজায় খুশি হলাম, যাক একটা হিল্লে হল বলে, উদাসিন যাযাবর স্থায়ী আবাস পাবে বলে। এরপর নানা আমার পছন্দের ব্যাপারে জানতে চেয়ে বলে- তোদের তো টাইটেল-টুইটেল কি সব বাছ-বিচার আছে, তোর এধরনের সমস্যা নাই তো? কইলাম নানা বিয়েটা পারিবারিক হলে জামেলা এখনও আছে, যদি প্রেম-টেমের ব্যবস্থা করবার পারছ তো তার লগে লুকাইয়া সংসার পাইতা লমু!! নানা কয় আমার মতো বুইরার নাকি বেইল নাই, এখন ডাইরেক্ট পারিবারিক বিয়েতে যাওন লাগব। কইলাম তয়লে টাইটেল বিছরান লাগব। যা হোক নানা কইল সে ব্যবস্থাই লইব, শুইনা আমিও নানার ভরসায় পথ চাইয়া থাকলাম।

পরদিন নানা সুখবর লইয়া আসল, কইল দাদা তোর একটা ব্যবস্থা করে ফেললাম!! শুনেই আমি মনে-মনে খুশি, নানা একদিনে ব্যবস্থা করে ফেলল? যাযাবরের ঘর হতে চলল...?

এরপর নানা যা কইল, তাতে যাযাবরের ঘরের আশা কি, ছুটেই কুল পায়না...

নানা কয় সে নাকি ফার্মগেইট কোন দোকানে খেতে গিয়ে এক মহিলার শাখা-সিঁদুর দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করে জেনেছে, তিনি আমার টাইটেলের। নানা তার সাথে কথা বলেছে, আর ঐ মহিলাও বলেছে আমার লাগি তিনি নাকি স্বামী-সংসার ছেড়ে চলে আসতে দুই পায়ে খাড়া!!! কইলাম নানা কইলি কলেজ-ভার্সিটির কথা, তবে বিবাহিত মহিলার কাছে গেলি কেন? নানা কয়- সে নাকি খোঁজ করে কাউরে পাচ্ছে না, তাই.... :o

পরদিন অফিস করে বাসায় আসলাম, দেখি নানা ফুরফুরে মেজাজে। জিগাইলাম নানা ঘটনা কি, বহুত মাস্তিতে আছিস মনে হয়?

নানা কয় দাদা আজকে তোর ব্যবস্থা করেই ফেলেছি, কনে আমাদের বাসাও দেখে গেছে, তোর সবকিছু শোনার পর সে রাজি হয়েছে। আমি বললাম তাই নাকি? আজকে আবার কে রাজি হল? নানা কয়- আজকে বাসার সামনে এক মহিলা বলতেছে- ছাই, এই ছাই লইবেন ছাই? হঠাৎ দেখি মহিলার হাতে শাখা-সিঁদুর... নানাকে থামিয়ে বললাম, তোকে মহিলার দিকে তাকাতে কে বলেছে? আর ছাইওয়ালা মহিলার সাথে তোর কথার দরকার পড়ল কেন? নানা কয় আরে শুন না, তোর জন্য না পাত্রী খুঁজছি, ভেবে দেখলাম মহিলা হিন্দু মানুষ, তার উপর হেঁটে-হেঁটে বিভিন্ন বাসায় ছাই বিক্রি করে...তার মাধ্যমে তোর একটা ব্যবস্থা করা গেলে মন্দ কি? তাই তাকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনার নাম কি? মহিলা কয় সীতা রানি দেবনাথ। একথা শুনেই ভাবলাম, মহিলার মেয়ে বা আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে তো কেউ অবশ্যই আছে, তোর ব্যবস্থা হবেই, কিন্তু মহিলা কয় তার পরিচিত বিবাহযোগ্য কোন পাত্রী নাই। তবে মহিলা নিজে রাজী হয়েছে, বলেগেছে তুই রাজি হলে সারাজীবন ছাই বিক্রি করে তোরে বসাইয়া-বসাইয়া খাওয়াইব... দাদা তুই রাজি হইয়া যায়, এ সুযোগ আর জীবনেও পাইবি না...

ভাই-বন্ধু-মুরুব্বি-শ্রদ্ধেয় জন, নানার মছিবত থেকে বাঁচার একটা উপায় বাতলায়ে দেন, নইলে তেজগাঁও রেললাইনের পাশের কচুগাছ দেখাইতাছে নানা...

শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বন্যার আর আমি?

জানতাম ঝড়গা ছাড়া প্রেম জমে না, কিন্তু তাই বলে এতটা? দিনে-দুপুরে ঘরে-বাহিরে এতটা নিলর্জ্জতায়? বন্যার উপর খুব রাগ হচ্ছিল, কষ্টও। উপরওয়ালাকে মনে-প্রানে ডাকছি, যেন এই লজ্জা হতে মুক্তি মেলে। কিন্তু বন্যার নিলর্জ্জ গা বেড়ে ঢলে পড়া, শরীরটাকে জড়িয়ে ধরে যেখানে-সেখানে টেনে নিয়ে যাওয়া, কিছুতেই রুখতে পারছিলাম না।

আজ সত্যি হতভম্ব আমি! আদি খোলস চুকিয়ে নিতে চায় সমস্ত সম্পর্কের বেড়ী বিন্যাস। অথচ কয়দিন আগেও কত আত্মদম্ভ সম্মান অহং সমুজ্জল ছিল। যৌবনের তেজদীপ্ত উচ্ছ্বাসে কত ছল্ - ছটাকে ছুটেছিলাম দিক-বিদিক। অথচ আজ অনন্তযৌবন ছৌঁয়া উদ্দীপনা মিটে দিচ্ছে প্রণয়বৃন্তের মন্ত্রণায়। আজ দন্ডায়মান পরিস্থিতি লোক সরোবরে নিস্তেজ করে দিচ্ছে উজ্জ্বল আলোকশিখার প্রেম পরিব্রাজক সূর্য্যটাকে।

বড় বিরহিত এই অনুলব্ধ বিন্যাস। সান-সৈকত আর আত্মগরিমার জমিয়ে রাখা অনুসঙ্গকে আজ বিদীর্ন করে তুলছে প্রতিটি খরস্রোতা ঢেঁউয়ের লয়। জীবনের সমস্ত লেনা-দেনা মিটে যাচ্ছে প্রাপ্তী-অপ্রাপ্তীর হিসেব-নিকেশে। পাবার সৌন্দর্য্যও আজ বিমুখ, বিভূষণে রঙ্গিন করে দেবার মতো সমস্ত চাকচিক্য আর অন্তরের গচ্ছিত সমস্ত স্বপ্নের আদিলেখা মুছে যাচ্ছে খাবি খাওয়া চুমুর রহস্যে। ভালোবাসার চিত্রপটে তাই এ এক দুর্বিসহ যন্ত্রণা।

প্রেম সমস্তই বিসর্জনের, প্রেম সমস্তই লেনদেনের। তাই সমস্ত হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে বন্যার গ্রাসে সলিল একটি পরিযায়ী পাখির নীড়ের, একটি পরম যতনে আগলে রাখা মধুর স্বপ্নের।

[লেখা পড়ে কেউ না আবার খারাপ কিছু ভেবে বসে তাই নিচে বি. দ্রঃ দিয়ে দিলাম]
[বি. দ্রঃ- আজ বাহারাইনের এক কাষ্টমার কল দিয়ে বলল- বিপ্লব ভাই, আমাদের এখানে তো বন্যায় সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমাকেও মনে হয় ভাসতে হবে। তাকে মজা করে বললাম- ভাইয়া, বন্যার সাথে আপনার কাজ কারবার কি? তারই প্রেক্ষিত ধরে, বন্যা আর আমি।]

সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৬

অগ্রগতি

“দেশকে ডাস্টবিনে রাখুন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন!”

রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬

বিটিভি দেখুন আর পজিটিভ ভাবনা ভাবতে শিখুন

ভিসেন্ট সাহেব, কার্নেগী সাহেব, জনাব শিব খেরাসহ প্রত্যেকটি লেখকের যুক্তি ছিল, সব-সময় পজিটিভ চিন্তার ব্যাপারে। পারলে জীবন থেকে “পাপ” “মিথ্যা” এবং “না” এই শব্দগুলো মুছে দিতে। “আমি পারছিনা” এই কথাটি এভাবে না বলে বলতে হবে- “আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু মনে হয় কোথাও ভূল হচ্ছে!”

এরপর থেকে আমি টুকিটাকি পজিটিভ চিন্তা-ধারার চেষ্টা করে চলছি। কিন্তু মিডিয়ার অগ্রাসনে আর বিজ্ঞানের অগ্রধারায়, চারদিকে ইচ্ছে না থাকলেও “পাপ” “মিথ্যা” কিংবা “না” এই শব্দগুলো থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভবপর হয়ে উঠছে না।

এজন্য... ঠিক এজন্যই... আমি সিদ্ধান্ত নেবার চেষ্টা করছি, সব মিডিয়া জগত বন্ধ করে দিয়ে শুধু বিটিভি‘র ভক্ত হয়ে যাব। সত্যি বলতে কি, জ্ঞাণ হবার পর থেকে এই একটা মিডিয়ার চ্যানেল পেয়েছি, যেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পজিটিভ খবর, উন্নয়ন আর উন্নয়ন সাথে দেশ শাসকদের শীনা উঁচু করে বলবার মতো চরিত্র!!!

তাই সকলে আসুন, বিটিভি দেখুন আর পজিটিভ ভাবনা ভাবতে শিখুন।

বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

পুলিশ নিক পাকায়ে

আমাদের মতো গবীবের মেসে এসেও পুলিশ ধরনা দিয়ে যাচ্ছে কয়েকবার। বলি-

ওগো প্রিয়তমা-
তুমি থাক আড়ালে লুকিয়ে
আমায় পুলিশ নিক পাকায়ে...

প্রবাসী বাঙ্গালির গল্প



মেদু মিয়া প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরলে বাড়িতে আনন্দের জোয়ার উঠে। কৌতুহলী ময়-মুরুব্বি‘রা ঘিরে ধরে তার প্রবাস জীবনের গল্প শুনতে- আর মেদু মিয়াও আগ্রহ নিয়ে গল্প শুরু করে-

আরে ভাই বলবেন না, সে দেশ আর আমাদের দেশ? সবকিছুতে আকাশ-পাতাল ব্যবধান।আমাদের এখানে তো কেবল খুনোখুনি-ঝড়গা-ফ্যাসাদ আর তারা যারা-যার মতো করে সে চলছে, কেউ কারও দিকে তাকাবার পর্যন্ত সময় নেই। সবচেয়ে আশ্চর্য্য কি- আমাদের দেশের মানুষের শরীরে মলে কি বাজে দূর্গন্ধ, কিন্তু কি কমু ভাই বিদেশে তারা যেমন ভালো-ভালো সুগন্ধি গায়ে মাখে তেমনি সুগন্ধিযুক্ত খাবার খায় আর তাদের মলগুলোও বেশ সুগন্ধযুক্ত। আর সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার কি- তাদের মল পড়ার সাথে-সাথেই মাটি হয়ে যায়। আর মাটিও বেলে মাটির মত চকচকে দেখায়। আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা হলে তো এই মাটি দিয়েই ভাত-তরকারী খেলত। আমারও মাঝে-মাঝে ছোটবেলাকার ভাত-তরকারী খেলার কথা মনে পড়ত, তখন আমি বালতিতে করে টাংকিতে জমে যাওয়া বেলে মাটি দূরে সরিয়ে টাংকি খালির কাজ করতাম।

[বি. দ্রঃ- এই স্যাটোয়ারটি যারা ইংল্যান্ড, জার্মানি, আমেরিকা, রাশিয়া, সৌদিআরব কিংবা দুবাইয়ের মতো দেশগুলো নিয়ে খুশিতে ফেটে পড়ে তাদের উদ্দেশ্যে লেখা। ভাইলোগ তারা নিজের দেশে কিংবা দেশের মানুষের সাথে যত ভালো ব্যবহারই করুন না কেন, কিংবা যত ভালো মানুষির পরিচয় তুলে নিজেদের সভ্য প্রচারের চেষ্টা করুক না কেন, জানুন বিশ্বব্যাপী সাধারন মানুষের জীবন-যাপন দিনকে-দিন কঠিন হয়ে পড়ছে তাদের বহমান কূট-কলাকৌশলের কারণেই। তাদের ভালো মানুষিরুপটা সত্যিকারের হলে- দুনিয়াব্যাপী খড়গ হাতে কারোই হয়ত রক্ত নেশায় ছুটতে হত না।]

শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

দাসত্ব জীবন কাটিতে হইবে?



দুঃখ কারে কহি বাপু, হগলের বন্ধু থায়ে, কয়ে বন্ধু-বান্ধব বিপদ-আপদের সঙ্গী।

আর শালার আমি এমন বন্ধু-বান্ধব পায়াছি, যারা কয়- “বন্ধু-বান্ধব নাকি চাকর-বাকরের সমান”।।

বলি এমন বন্ধু-বান্ধব লয়ে কি মোকে সারাজীবন দাসত্ব জীবন কাটিতে হইবে?

রবিবার, ১ মে, ২০১৬

সমকামিতা

না; কথাগুলোকে এভাবে বলবেন না। বলি কি আপনারা আদর আর কাম এই দুইয়ের ব্যবধানটুকু তো একটু বুঝতে চেষ্টা করুন। হুজুরা ছোট-ছোট বাচ্চাদের সাথে গোপন অভিসারে যা করছেন এটাকে আপনারা কিছুতেই কামের আওতায় ফেলতে পারেন না, এটা স্রেফ আদর। আর অন্য যারা তা করছে তা কিন্তু সমকামিতা!!!

তাই যারা সমকামিতার পক্ষে বলে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গলার সাথে গলা মিলিয়ে গলাবাজি করুন- এটা উচিতই ছিল...সহকামিতা না জায়েজ। তবে হুজুদের কিন্তু আদর করার পক্ষেও সাপোর্ট দিতে হবে কচ্ছি...tongue emoticon

আপনারা মশাই কেবল আবেগে ভূল জায়গায় পড়ে যাচ্ছেন

ছাত্র-ছাত্রী আর সাধারণ জনতা বেশী আবেগী। আরে বাবা, তনু নামের কেউ নেই। gasp emoticon সরকার প্রশাসন তাই বলতে চাইছে আর আপনারা অকারণ অনর্থ বকে যাচ্ছেন- তাকে ধর্ষন করে মারা হয়েছে?

দেখুন সরকার প্রশাসন তাদের জায়গায় সঠিক!!! সমস্যা হল গিয়ে- সময়ের পরিবর্তন আপনাদের খেয়াল নেই...

সরকার প্রশাসন পিছনে পড়ে থাকতে চায় না বলে তারা অনেক এগিয়ে গেছে আর আপনারা উল্টো আগের সময়ে ফিরে গিয়ে অকাট্য যুক্তি দেখাচ্ছেন।

সময়ের হিসেব কষে দেখুন আপনারা মশাই কেবল আবেগে ভূল জায়গায় পড়ে যাচ্ছেন। সরকার প্রশাসন অনেক এগিয়ে জীবিত তনু আর তার গোষ্টির পিন্ডি চটকাচ্ছে...

(কুমিল্লার ক্যান্টনম্যান্ট এলাকায় সাদিয়া জাহান তনুকে ধারনা করা হয় প্রশাসনিক লোকজন ধর্ষন করে মেরে ফেলে। কিন্তু সব বুঝেও যখন প্রশাসন চেপে গিয়ে তার পরিবার পরিজনের উপর চাপ প্রয়োগ করে তখন আমাদের মতো সাধারনের আর্তচিৎকারটাই সারমর্ম হয়। এই প্রসঙ্গে এই স্যাটোয়ার।)

ভাবীর কথামতো নিলেন নাকি?

অফিসের কলিগের দুটো বাচ্চা, দুজনেই ছেলে। তাই বেচারার একটি মেয়ের শখ। ভাবীর কাছে আবদার নিয়ে গেলে, ভাবী সাফ জানিয়ে দিলেন দু‘বাচ্চার যন্ত্রণাই তিনি টিকছেন না, আবার মেয়ে?

এরপরও পুনঃ আবদার হলে- ভাবী জানায় বাচ্চা নিজের পেটে নিতে। tongue emoticon

আজ কলিগ বলছে- তার মাথা ঘুরছে, বমি-বমি লাগছে। বললাম, কি ব্যাপার বলেন তো? ভাবীর কথামতো নিলেন নাকি? gasp emoticon

বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৬

নির্বাচন সুস্থ-নির্দলীয়-নিরপেক্ষ হয়েছে!!!

নির্বাচন সুস্থ-নির্দলীয়-নিরপেক্ষ হয়েছে এটা বলার অপেক্ষা নেই...

শুধু গোপন একটা কথা ছিল ভাই।

আমি পাগলা কামাইল্লা। তয় ভাই আপনারা আমারে চিনেন আর না চিনেন, যদি আমি নির্বাচনে দাঁড়াতাম আর দলীয় মনোনয়নে আমার মার্কা ঠান্ডা জলে ভাসার একখান নৌকো হত। তয় আমারও দেশ-দশের সেবা কইরা দেশটারে উল্টাইয়া-পাল্টাইয়া ঝকঝকা করে বাড়িখানা টাওয়ার বানানোর ব্যবস্থা হইত। লগে পাগলা পদবী কাইটা জনাব হইত।

আহা! একখানা সুযোগ আপনাদের আমার সেবা পাওয়া থেকে কতটাই না বঞ্চিত করল।

বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

মেয়ের পেছনেও কিন্তু ঘুরে

বন্ধুশ্রেণীর একজন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল- ভাইরে দুনিয়ার সবাই স্বার্থের পিছনে ঘুরে।
আমি তার দীর্ঘশ্বাসকে হালকা করে দিয়ে বললাম- মেয়ের পেছনেও কিন্তু ঘুরে..

বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫

আমার এ মনের দুঃখ কেমনে যাবে?

আমার এ মনের দুঃখ কেমনে যাবে?

হল কি- একদিন একটা পিচ্ছি কাঁদছিল- আমি বলল, এই পিচ্ছি না বুঝি কাঁদছ কা।
এম্মা, একটুখানি পিচ্ছি কান্না থামায়ে আমারে কয়- ধাতি দিমু।
আমি চোখ রাঙ্গায়ে ভারী গলায় বললাম- এরই....
পিচ্ছি আমার কোন বিষয় আমলে না নিয়ে বলল-ওপ, ধাতি দিমু।
এদিকে আমার ত মান-সুলোমান টিকানো দায়, তাই আমি গলা আগের চেয়ে আরও একটু ভারী করে বললাম, বোপ।
একথা বলতেই পিচ্ছি বাড়ি-ঘর কাঁপায়ে কান্না জুড়িয়ে দিল,
আমি উপায়ান্তু না দেখে পিচ্ছির নিকটজন কেউ আসার আগেই কেটে পড়লাম।

বলি এই জীবনে পিচ্ছিদের কাছেও আমার দাম নাইক্ক...

রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৫

শ্বশুরকুলটা পালাল কোথায়

আমার আজকের রাশিফলে লিখেছে- “শ্বশুরকুল থেকে অর্থসম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ”।
বলি এমন একটা সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু শ্বশুরকুলটা পালাল কোথায়?

শনিবার, ২ মে, ২০১৫

ভাবছি...

ভাবছি এ জীবন আর রাখব না......
 

আরে কি কমু ভাই? এ জীবনে কারো কাছে এতটুকু দাম পেলাম না। বড়রা তো দাম দেয় না, পিচ্ছি‘রাও দেয় না।

এই ত সেদিনের কতা, ফার্মেসীতে গেছি বন্ধুর সাথে ওর ঔষধ কিনতে। ফার্মেসীতে ঢুকে দেখী একটা পিচ্ছি ফার্মেসীর টেবিলের উপর পা মেলে বসে। পাশেই পিচ্ছির বাবা আর ফার্মেসীর ডাক্তার কি বিষয়ে আলাপে মগ্ন। আমি সুযোগ পেয়ে পিচ্ছিকে শুধু অল্প একটু ভেংচি কাটলাম.......

এ মা, এরপর দেখী পিচ্ছি আমারে পাইছে নাকি পাবে যাচ্ছে তাই অবস্থা। হাত-পা-চোখ-মুখ উল্টিয়ে পিচ্ছি আমাকে ইচ্ছে মতো জব্দ করল।

শেষতক আমি না পেরে যেই না জিহ্বা বের করে ভেংচি মারব অমনি পিচ্ছির বাবা আমার ভেংচি মারা দেখে ফেলেছে। অতঃপর মনের দুঃখ-কষ্ট-লজ্জা নিয়ে বেরিয়ে এলাম।

এখন আপনারাই বলেন, এ জীবন রাখার কোন মূল্য আছে? যাকে এখনও কেউ মানে না, তাকে কবেতক সবাই মানবে?

পিচ্ছি পোলাপাইনরে থামানোর সাধ্যি...

পিচ্ছি পোলাপাইনরে থামানোর সাধ্যি বোধকরি আমার বাপের জন্মেও হবে না....

বলছিলাম পাশের ফ্ল্যাটের পিচ্ছিটার কথা, অফিস থেকে বাসায় ফিরলাম মাথা গরম, পিচ্ছি ওয়া ওয়া কান্না করেই চলছে, কোনরকমে থামাবার জো নেই....
হাক ডেকে বললাম, ওই পিচ্ছি একটু বুঝে কান্না কর না, পিচ্ছি দেখি শুনেও শুনে না। এমন করলে মাথা ঠিক থাকে কি না আপনারাই বলুন....

বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০১৪

কৌণার বাড়ি

বেশ কয়েক বছর আগেকার কথা। তখন প্রতিটি গ্রামের পরিবেশ বেশ মনোরম। মানে তখন গ্রামে বাড়ি-ঘরের এতটা ঘেঁষাঘেষি ছিল না, সবুজে চোখ জুড়ানো ক্ষেতে সকলের ভোর নামত আর সেখানে বসবাসরত লোকে‘রা বুর্জোয়া রাজনীতির “র” না জেনে সবুজ-সরল গাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকত। পরম স্নেহ মমতা কিংবা ভালোবাসার সৌহার্দ্রে বেঁধে রাখা জীবনের গচ্ছিত গল্পগুলো তাদের ছড়িয়ে থাকত পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষগুলোর সাথে। হেঁটে-হেঁটে তারা চষে বেড়াত চারপাশের সৌন্দর্য্য; সৌকত। তারা একে অন্যের বন্ধনে, আনন্দ শীহরণে, উৎসবে কিংবা পার্বণে ছিল পরমবন্ধু।

সে সময়ে গ্রামের বাড়িগুলোর নাম নির্দেশিত হত দিক, ক্ষমতা, শিক্ষা কিংবা শ্রর্দ্ধাজন ব্যক্তির নামে। তবে আশপাশের লোকেরা বলার ক্ষেত্রে দিকের উপরই বেশি নির্ভর করত। এই যেমন- বাড়ি পূর্বদিকে অবস্থিত হলে পূবের বাড়ি, পশ্চিমে হলে হইশমের বাড়ি উত্তরে অবস্থিত বাড়ি উত্তুরের বাড়ি আর দক্ষিণের বাড়ি দইনের বাড়ি। আমি এখন যে বাড়িটিকে ঘিরে ঘটনাটি বলব, সে বাড়িটিকে সকলে কৌণার বাড়ি নামে চেনে।

সোমবার, ৩ মার্চ, ২০১৪

চেতনার হাল-বর্তমান


মামা দেখ কি সব আজে-বাজে মিনিংলেস বিতিকিচ্ছা-

কোনটা মামা?

এই যে কবি লিখলেন-
”এমন জীবনের তুমি করিবে গঠণ
মরিতে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবণ।”
-এটা একটা কথা হল?

কি কও মামা আমার তো মনে হয় ঠিকই আছে। একটা মানুষের মহৎ জীবনের অনুভব মানুষের মাঝে সব সময় বিরাজ করবে।