রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭

নানারে (বন্ধু করিম) নিয়া বহুত মছিবতে আছি!!

নানারে (বন্ধু করিম) নিয়া বহুত মছিবতে আছি!!

নানা কইল তার পরিচিত কলেজ-ভার্সিটির চেনা-জানা বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে আমাকে সংসারী বানিয়ে ফেলবে, শুনে মনে-মনে বেজায় খুশি হলাম, যাক একটা হিল্লে হল বলে, উদাসিন যাযাবর স্থায়ী আবাস পাবে বলে। এরপর নানা আমার পছন্দের ব্যাপারে জানতে চেয়ে বলে- তোদের তো টাইটেল-টুইটেল কি সব বাছ-বিচার আছে, তোর এধরনের সমস্যা নাই তো? কইলাম নানা বিয়েটা পারিবারিক হলে জামেলা এখনও আছে, যদি প্রেম-টেমের ব্যবস্থা করবার পারছ তো তার লগে লুকাইয়া সংসার পাইতা লমু!! নানা কয় আমার মতো বুইরার নাকি বেইল নাই, এখন ডাইরেক্ট পারিবারিক বিয়েতে যাওন লাগব। কইলাম তয়লে টাইটেল বিছরান লাগব। যা হোক নানা কইল সে ব্যবস্থাই লইব, শুইনা আমিও নানার ভরসায় পথ চাইয়া থাকলাম।

পরদিন নানা সুখবর লইয়া আসল, কইল দাদা তোর একটা ব্যবস্থা করে ফেললাম!! শুনেই আমি মনে-মনে খুশি, নানা একদিনে ব্যবস্থা করে ফেলল? যাযাবরের ঘর হতে চলল...?

এরপর নানা যা কইল, তাতে যাযাবরের ঘরের আশা কি, ছুটেই কুল পায়না...

নানা কয় সে নাকি ফার্মগেইট কোন দোকানে খেতে গিয়ে এক মহিলার শাখা-সিঁদুর দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করে জেনেছে, তিনি আমার টাইটেলের। নানা তার সাথে কথা বলেছে, আর ঐ মহিলাও বলেছে আমার লাগি তিনি নাকি স্বামী-সংসার ছেড়ে চলে আসতে দুই পায়ে খাড়া!!! কইলাম নানা কইলি কলেজ-ভার্সিটির কথা, তবে বিবাহিত মহিলার কাছে গেলি কেন? নানা কয়- সে নাকি খোঁজ করে কাউরে পাচ্ছে না, তাই.... :o

পরদিন অফিস করে বাসায় আসলাম, দেখি নানা ফুরফুরে মেজাজে। জিগাইলাম নানা ঘটনা কি, বহুত মাস্তিতে আছিস মনে হয়?

নানা কয় দাদা আজকে তোর ব্যবস্থা করেই ফেলেছি, কনে আমাদের বাসাও দেখে গেছে, তোর সবকিছু শোনার পর সে রাজি হয়েছে। আমি বললাম তাই নাকি? আজকে আবার কে রাজি হল? নানা কয়- আজকে বাসার সামনে এক মহিলা বলতেছে- ছাই, এই ছাই লইবেন ছাই? হঠাৎ দেখি মহিলার হাতে শাখা-সিঁদুর... নানাকে থামিয়ে বললাম, তোকে মহিলার দিকে তাকাতে কে বলেছে? আর ছাইওয়ালা মহিলার সাথে তোর কথার দরকার পড়ল কেন? নানা কয় আরে শুন না, তোর জন্য না পাত্রী খুঁজছি, ভেবে দেখলাম মহিলা হিন্দু মানুষ, তার উপর হেঁটে-হেঁটে বিভিন্ন বাসায় ছাই বিক্রি করে...তার মাধ্যমে তোর একটা ব্যবস্থা করা গেলে মন্দ কি? তাই তাকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনার নাম কি? মহিলা কয় সীতা রানি দেবনাথ। একথা শুনেই ভাবলাম, মহিলার মেয়ে বা আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে তো কেউ অবশ্যই আছে, তোর ব্যবস্থা হবেই, কিন্তু মহিলা কয় তার পরিচিত বিবাহযোগ্য কোন পাত্রী নাই। তবে মহিলা নিজে রাজী হয়েছে, বলেগেছে তুই রাজি হলে সারাজীবন ছাই বিক্রি করে তোরে বসাইয়া-বসাইয়া খাওয়াইব... দাদা তুই রাজি হইয়া যায়, এ সুযোগ আর জীবনেও পাইবি না...

ভাই-বন্ধু-মুরুব্বি-শ্রদ্ধেয় জন, নানার মছিবত থেকে বাঁচার একটা উপায় বাতলায়ে দেন, নইলে তেজগাঁও রেললাইনের পাশের কচুগাছ দেখাইতাছে নানা...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন