শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৩

মনোলি


রাতের প্রদ্বীপটাকে জ্বালিয়ে রাখতে পারিনি
পারিনি শরীর কিংবা মনকে আশ্রয়ে রাখতে
বাতাসের অস্ফালন বেয়ে যখন জ্বালাবার ভরশাও শেষ হয়
তখন উন্মত্ত আঁধারে ঢলে পড়া উগ্রঝড়ে বড় দিশেহারা হই
তোর কষ্টতুর ঐ সাগরের ফেণিলের গর্জনের মতো নিঃশ্বাসে,
আমি আজ বড় অসহায় হয়ে যাই; সুশান্ত।

সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৩

বাবা


বাবা আমার প্রতি তোমার এই এতটুকু বিশ্বাসই
আমার সারাটি জীবনের আশ্রয়
যে বিশ্বাসটি আরো একদিন আমার জন্মেছিল
তোমার কোলের খোপে মমতার আশ্রয়ে আশ্রয় পেয়ে।

সোমবার, ১০ জুন, ২০১৩

পথিক এই একটাই বাঁশের বাঁশি আমার


পথিক এই একটাই বাঁশের বাঁশি আমার
এর মাঝেই তুমি শুনেছিলে-মাতাল হরা সে গান
যে গান বাতাসে মিশে; পাখির কলতানে, মাতায় ভাবুক প্রাণ।

কি করে বাজে সে সুর?

পথিক; তুমি কি কখনো যামিনীদের দেখ নি!!!

বুধবার, ৫ জুন, ২০১৩

স্মৃতিচারণঃ ননুদাদু

()
বসন্ত কাল, শীতের তীব্রতা শেষে গরমের ভাফসা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সারাদিন মাঠে কাজ শেষে তাই সকলের শরীর চুইয়ে ঘাম ঝরছে। মাঠের ক্লান্তি শেষে সবাই ফিরছে ঘরে একে-একে। রমনীরা ধুপ জ্বেলে, উলুধ্বনি করে, কাসি বাজিয়ে, শঙ্খের ধ্বনি তুলে সন্ধ্যা আরতি সম্পন্ন করছে পরমপ্রভুর শ্রীচরণতলে। মসজিদে আযানের ধ্বনি বাজছে, আর জানান দিচ্ছে- এস শান্তির জন্য, নত চিত্তে এই শান্তির আশ্রয়স্থলে।

খোলা কলামঃ আর পারছি না

সত্যি বলছি আর পারছি না। আমার ভাষা আমি হারাচ্ছি, না কিছুই লিখতে পারছি না। সব আমার গোলমেলে হয়ে যাচ্ছে
আমরা কি? নিজেদের আজ খুব বেশী ছোট লাগছে। যে পতাকার জন্য ৭১ ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হলো .৫০ লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম হারালো। রক্তের প্রবাহমান স্রোতে ভেসে গেল বাংলার জমিন। যে পতাকা আমাদের হাতের শক্ত বাহুতে রেখে শান্তিতে নিদ্রার আশ্রয় খুঁজতে চেয়েছে লক্ষ শহীদ, সেই পতাকা আবারও ছিহ্ন-হিহ্ন হলো বাংলার মাটিতে, এই বাংলার সন্তানদের হাতে?

মানবতাঃ আসুন কিছু মানবিক কাজে সাড়া দেই

ছোট্ট ছেলে। বয়স আট কি নয় হবে। মায়ের কাছ থেকে খাওয়ার জন্য দশ টাকা পেয়ে খেতে বেরিয়ে আসল দোকানে। এসে দেখে দোকানের পাশে একটা লোক মুরগির বাচ্চা বিক্রি করছে। খাঁচার মধ্যে কতগুলো মুরগির বাচ্চা খেলছে দেখে কোমল মন আনন্দে নেচে উঠল। মুরগির বিক্রেতার কাছে তাই তার জিঞ্জাসা মুরগির বাচ্চার দাম কত? লোকটি জানাল প্রতি বাচ্চার দাম পনের টাকা। ছেলেটি বলল-দশ টাকা দেবেন? আমার কাছে দশ টাকা আছে।

স্মৃতিচারণঃ একদিনের কল্পবিলাস পার্বণের আমন্ত্রনে


জীবন থেকে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে চলে যাবে, কেননা জীবন যে বড়ই সঙ্গীন। ভালোবাসা জনে-জনে ভিন্ন হয় দিনে-দিনে গাঢ় হয়। কিন্তু একি? গাঢ় ভালোবাসার যে এখন গলনাংক কমে যাচ্ছে আর দিনকে-দিন তা শূণ্যের কৌঠায় পৌঁছে যাচ্ছে। আচ্ছা ভালোবাসার গলনাংক যখন শূণ্যে গিয়ে দাঁড়াবে তখন কি মানুষ ভালোবাসায় এঁটে যাবে? মানে- সবকিছু একত্রে জড়ো হয়ে যাবে?

খোলা কলামঃ দাসত্ব মানষিকতা


গরীবের দায়ভারটা শুধুই পেটের, তাই পেটের জন্য শয্যা পাততে যেমন তাদের দ্বীধা নেই, রাত-দিন মল ছাটতেও তাঁদের ঘৃণা নেই। শত্রুর একটুখানী স্বার্থণ্বেষী সহানুভূতিও তাদের আবেগ কেড়ে নেয়।
বাঙ্গালি জাতি আজীবন গরীব, গরীব জীবন-যাপনে, গরীব কার্য্যকরনে; মণণে। নিজের বলা এই কথাগুলোয় আমি নিজেই লজ্জায় ডুবে মরি, তবু সত্যটাকে অস্বীকার করতে পারি না বলে, অকপটে তা বলতে পিছ‘পা হই না।

সোমবার, ৩ জুন, ২০১৩

লুকানো

খোলস বদলানো যায়, কিন্তু খোলসের অন্তরালে লুকিয়ে রাখা পশুপ্রবৃত্তি বেশীদিন লুকিয়ে রাখা যায় না।

শনিবার, ১ জুন, ২০১৩

জাগরণ


অথচ নারীর বুকে জেগে উঠা ঐ মাংসপিন্ডটুকুই নাকি
নিসাড়-নির্জীব পুরুষকেও সজিব করে তোলে
যারা সমাজের কথা বলে; রাষ্ট্রের কথা বলে; বলে সম-অধিকারের কথা
অথচ বুকের উপর পোথিত ঐ মাংসপিন্ডটুকুর মোহতায়
তারা কামনার ঢেঁকুরে অস্থির হয়ে পড়ে
চিৎকার তুলে আহা; এ‘যে কাপড় তুলে সব উন্মুক্ত করে দিলে
বাতাসের ঘুর্ণি‘যে ঐ ছুটছে, দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যাও হে...