বুধবার, ৫ জুন, ২০১৩

খোলা কলামঃ আর পারছি না

সত্যি বলছি আর পারছি না। আমার ভাষা আমি হারাচ্ছি, না কিছুই লিখতে পারছি না। সব আমার গোলমেলে হয়ে যাচ্ছে
আমরা কি? নিজেদের আজ খুব বেশী ছোট লাগছে। যে পতাকার জন্য ৭১ ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হলো .৫০ লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম হারালো। রক্তের প্রবাহমান স্রোতে ভেসে গেল বাংলার জমিন। যে পতাকা আমাদের হাতের শক্ত বাহুতে রেখে শান্তিতে নিদ্রার আশ্রয় খুঁজতে চেয়েছে লক্ষ শহীদ, সেই পতাকা আবারও ছিহ্ন-হিহ্ন হলো বাংলার মাটিতে, এই বাংলার সন্তানদের হাতে?

আমরা কি বেঁচে আছি? যদি বেঁচে থেকে থাকি তবে, যে ভালোবাসায় মমতায় আমরাজয় বাংলাধ্বনিটাকে আগলে রেখেছি, যে ভালোবাসা মমতায় বাংলা মাকে কথা দিয়েছিলাম মাগো নিজের সমস্ত সামার্থ্য দিয়ে তোমার মমতার অবদান আমরা ধরে রাখব। যে আঁচলের স্নেহ আবদারে আমরা বলেছিলাম মাগো; তুমি আমাদের অহংকার, আমার তোমার বীর সন্তান! আজ সে বাংলায় ধ্বনিত হয়জয় পাকিস্থান”, তাও এই বাংলার মাটিতে, বাংলার সন্তানদের মুখে?
আমরা কিভাবে বুঝব আমরা বেঁচে আছি? যখন দেখী এই বাংলায় নিজেদের স্বাধীনদেশের সন্তান দাবী করেও এই স্বাধীনতাটাকে ভালো না বেসে আর দায়-দায়িত্ব সমুন্নত না রেখে, যারা জীবন দিয়ে স্বাধীনতাটাকে স্থাপিত করেছে তাঁদের সম্মানার্থে নির্মিত শহীদ মিনার ভেঙ্গে ছারখার হয় এই বাংলার মাটিতে। তখন সত্যি ভাবতে পারি না এই দেশে আমরা বেঁচে আছি। এই দেশমাতৃকার মমতার দাম আমাদের কাছে মূর্খ্য হচ্ছে। আমাদের অঙ্গিকার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার
তুমি বিভ্রান্ত হলে মাএই তোমার আলো-বাতাস-স্নেহ দিয়ে তুমি যাদের লালন করছ মা তারা তোমার সন্তান নয় মা। এরা এক-একটা কুলাঙ্গার। যারা তোমার শরীরের বস্ত্র জাতীয় পতাকাকে তোমার শরীর থেকে বিবস্ত্র করে তোমাকে নিয়ে নোংরা খেলায় মাতে, যারা দেখেও বোবা দর্শকের মতো বসে থাকে, যাদের কাছে মায়ের সম্ভ্রমের চেয়ে নিজের জীবনের মূল্য বেশী থাকেএদের তোমার বীর সন্তান না ভেবে কুলাঙ্গার ভাবো। তোমার বীর সন্তানরা এই বাংলায় অনেক আগেই শয়ন পেতেছে
শুধু দায়মুক্তির অভিশাপে নিজেকে নিয়ে আজ বড় দুঃখ হয়, দেশমাতৃকার এই করূণ সময়ে নিজের প্রতি অবজ্ঞা ভরে ঘৃণা ছড়িয়ে পড়ছে, মায়ের কুলাঙ্গার সন্তান হয়ে আজীবন অনুশোচনা দগ্ধ হতে হবে যতদিন এই নিঃশ্বাসের পরিসমাপ্তী না ঘটে….

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন