শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৩

মনোলি


রাতের প্রদ্বীপটাকে জ্বালিয়ে রাখতে পারিনি
পারিনি শরীর কিংবা মনকে আশ্রয়ে রাখতে
বাতাসের অস্ফালন বেয়ে যখন জ্বালাবার ভরশাও শেষ হয়
তখন উন্মত্ত আঁধারে ঢলে পড়া উগ্রঝড়ে বড় দিশেহারা হই
তোর কষ্টতুর ঐ সাগরের ফেণিলের গর্জনের মতো নিঃশ্বাসে,
আমি আজ বড় অসহায় হয়ে যাই; সুশান্ত।



অধিক কিছু তো চাওয়ার ছিলনা
তোর পায়ে সঁপে দেওয়া জীবন-যৌবনের কাব্যিক গল্প
একটু মুক্তবাতাস, আবেগের একটু ছৌঁয়া
কিংবা সংসার সাগরের ছুটে চলা; এছাড়া আর কি চেয়েছি!
অথচ জীবনের বহিঃরশ্মি চোখের সামনে পর্দাটেনে খেলে গেল
তোর আর আমার মুখোমুখি আবেগী নিংশ্বাসটাকে
কখনোই হেমালকের বীষ ছাড়া কিছুই দিল না।

কখনো কার্পণ্য ছিল না মনের টানে;
অযুত বৎসর আমরা একসাথে থাকব
আলোয় ঘর ভরাব কিংবা জোস্নার সাথে সখ্যতা হবে...
অথচ জীবনের রক্ষা কবচ আমাকে ফাঁকি দিতে চাচ্ছে
তোর শরীর কাঁপা প্রশ্বাস আমাকে বার-বার স্তব্ধ করে দিচ্ছে।

নারে; সব আজ হারিয়ে বসলাম
মনেরগীটে যখন বল পাই না; শরীর অতটুকুতে তখন কি হয়?
গীরিখাতগুলো বড় বেশী গভীর, এই একটু ঢুলব কি টলব
গহ্বরে ম্লান হয়ে যাবে সব অপ্রকাশিত কথা বা স্বপ্নমালা‘রা
আঁধারে তোর পাণে চেয়ে এ থরো-থরো অশ্রুধারাও বুঝি
আর তুই শান্তনায় ভূলাবি না
বড় নিষ্ঠুর পাষানে আজ তুই বুক বেঁধে নিয়েছিস।

না সুশান্ত; এভাবে আমায় ছেড়ে যাসনে,
তোর পায়ে জীবন ঠুকে-ঠুকে মরতে এসে; এ মনোলি
আঁধারে ঠুকে-ঠুকে হৃদয়টাকে ছেদ করবে,
ভালোবাসার এই একটুখানী দোহাই; তুই তা পারিস না
তুই ছাড়া যে এ আমার দেহবর্ণে আজীবনের সংকুলান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন