রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

চাওয়া

জানতে আমার ভূল কোথায় জানি না
তবু জানতে আমার মন কভূ চাহে না।

শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

নিরূপণের ইচ্ছে

আকাঙ্খাগুলোকে যদি গলাটিপে মেরে ফেলা যেত তবে বোধহয় এতটা ভাবান্তর হতে হত না আমাকে, শূণ্যহাতে এসে শূণ্য হাতেই যদি ফিরি তবে আলো-আঁধারের পার্থক্য নিরূপণের ইচ্ছে কোথায়?

ভাবাচ্ছন্ন মোহ

জীবন উৎপত্তি সমাপ্তির জন্যই।
তবুও; রাজপ্রসাদে কিংবা কুড়োঘরে, সম্রাট কিংবা চোর, জীবনের তাগিদে কিংবা মোহসুখে প্রশ্রয় দেয় বাসনায়।

যখন ছাতিফাটা চৈত্র কিংবা যৌবনাৎসায়ী বসন্ত মিশে একাকার হয় তখন মানবতা কিংবা ভালোবাসা বাঁচে নিষ্কন্টতায়।
কমলালেবুর মত গোল পৃথিবীতে আলো-আঁধারির খেলা নিমিত্তিক বলেই বলি, মানুষের ভিতরকার চিত্রপট নিঃস্বার্থ ভাবে ভাবা মুশকিল। বরং জীবনভূমে সেই বড় সত্য, স্বার্থের তাগিদে মানুষের চলাচলই জীবনভূমে অতী বাস্তব।

ভাবাচ্ছন্ন মোহনায় মোহে আবদ্ধ ব্যক্তিত্ব আমাদের কাছে মিথ্যে করে দেয়, জন্ম-মৃত্যুর মত ধ্রুব সত্যকেও!

বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

সুতো


চেনা সুতো
বাঁধে তোমাকে-আমাকে-তাকে
দূর বিজনে; নির্জনে,

এই সংসার মোহতলে
দুঃখ-সুখ ভাগাভাগি করে
মমতার বানে।

ভালোবাসার চেনা রূপ

অন্তরে লালন করা ভালোবাসা, সে কারো জন্যে না। কেহ জানে না সে ভালোবাসার মর্মার্থ, কেউ বুঝে না সে ভালোবাসার পীড়ন।

অন্তরে তাকে চাইলে, মন-প্রাণ দিয়ে চাইলে, পাশে গেলে, সঙ্গী হলে, তোমার ভালোবাসার হাতছানী সে উত্তাল বাতাসের কানে কান পেতে জানবে না। তাকে তুমি ফুলের উপমায় উপমিত করলে না, তার হাত ছুঁলে না, টোল পড়া গালে হাতের চিমটি কাটলে না, দু‘হাত উর্দ্ধে তুলে চিৎকার করে বলতে পারলে না, তুমি তাকে ভালোবাস। পাখিদের কাকলিতে আমোদে আহ্লাদিত হয়ে আবেগি কথা বললে না, সাগরের গর্জনে, সমূদ্র বিহারে কিংবা পাহাড়ের সবুজ সমারোহে তুমি তাকে দিলে না যুতসই কোন আবেগী আহ্লাদ। তবে সে বুঝবে? সে খুঁজবে তোমার কায়া, জোৎস্নার ছায়ায় পূর্ণিমার রাতে?

ব্যর্থ জীবনের মাতালময় অনুচ্ছেদ-


ব্যর্থ আমি!
তাকে ভালোবাসতে পারিনি বলে!
নিজেকে চিনতে পারিনি বলে!

আগ্রহ আমার নিকোটিনের ধৌঁয়াময় চারিদার
সূরার ঢোকে মাতালময় অনুচ্ছেদ-
যেখানে সৃজন নেই; প্রতিষ্ঠা নেই
অতঃপর জেগে থেকে-
মরার মত পড়ে থাকা দুনিয়ায়
অনাচার, অবজ্ঞা সবের চিহ্নিত ব্যবচ্ছেদ।

বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

দূরবর্তী

আকাশের মত দূরবর্তী থাকাই ভালো। কারণ; এতে ছুঁতে ইচ্ছে হয়, ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছে হয়; কিন্তু স্বাদ মেটাতে ক্ষমতা দেখাবার প্রয়োজন পড়ে না।

বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

জেনো

যখন পড়বে খসে সুখতারা‘টাও আকাশ হতে
জেনো তখন তুমি-আমি মাটির ঘরে, পড়ে আছি শূণ্যমনে
গভীর নিকষ অন্ধরাতে।

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

বাসনা

কর দেহের প্রতিটি অঙ্গচ্ছেদ,
যতটায় স্বাদ মিটে, মিটে বাসনা তোমার
আমি আবেগ রূধিতে না পেরে
করি না হয় একটু চিৎকার


সে চিৎকারে তোমার সুখ, আমার দুখে 

অশ্রুজলায়; রক্তধারায় একাকার।

যদি

মাকড়সার জালের মত- অন্তর্জালের আবর্তে গড়া জালের এক সূতিকা ঘরেই যদি জীবন থমকে দাঁড়ায়, তবে এক জীবন কিভাবে অন্য জীবনকে উপলব্ধি করবে? মানবতার জন্য হাহা-কারে ঢুকরে কাঁদবে?

রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

গৃহহীণ

স্বপ্নকাতুরেরা দিনশেষে গৃহহীণ!

সত্য

মিথ্যের বেসাতি দিয়ে সত্যকে যতই আবডাল করা হোক না কেন, মিথ্যার রং ছং এ সাজিয়ে যত সুন্দর প্রাসাদ‘ই গড়ে তোলা হোক না কেন, সত্যের একটুখানি সু-বাতাস তাকে খড়কুটোর ন্যায় উড়িয়ে নেবে, সত্যের একটুখানি অগ্নিদাহ তাকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে অঙ্গার করে দেবে।

শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

বাস্তবতা বড় কঠিন

যে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়, অর্ধেকের বেশী হিন্দুদের ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে, আজ সে দেশ ইসলামী দেশ। সে দেশে হিন্দু‘রা সংখ্যালঘু, তাদের এদেশে বসবাসের অধিকার নেই। সত্যি বাস্তবতা বড়ই কঠিন..........

নিজের বুঝ

যত সত্য-সংযত তথ্য দিয়েই বুঝানো হোন না কেন, প্রত্যেকে নিজের বুঝকে আকড়ে ধরে থাকার আপ্রাণ চেষ্টায় থাকে।

শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

পার্থক্য

বিশ্বস্ততা আর সততার মাঝে বিরাট পার্থক্য আছে, একজন বিশ্বস্ত লোক অসৎ হতে পারে। কিন্তু একজন সৎ লোককে অবিশ্বাসী প্রমাণ করতে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া লাগে.......

বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩

অঘোরের ঘোরে ঘুরছে প্রকৃতি


বুক চিরে দেখ; এ প্রহসণ হৃদয়টাকে কুড়ে-কুড়ে খায়
দায় আমার ৪২ বছরের জমানো ক্ষরণের,
নিশ্চুপে কত বিলাপ, কত আহাজারী সে শূণ্য মিলিয়ে গেছে
অন্তর‘টাকে খুলে এনে যদি দেখাতে পারতাম
তবে হয়ত দেখতে এ প্রহসণে সে কতটা চিহ্ন-ভিন্ন।

মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৩

যদি এ‘হয় মানবাধিকার!!!

শালাল মানবাধিকার, মানবাধিকার, মানবাধিকার। মুতি মানবাধিকারের মুখে।
দৈনিক হিংস্রাত্নক আচরণে সাধারণ জনগন মেরে ফেলার পরও মাণবাধিকারের প্রশ্ন উঠে না,
সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা‘কে জিম্মি করে বারংবার কোনঠাসা করতে গেলেও মানবাধিকারের প্রশ্ন উঠে না,
ক্ষমতায় তৃয়াস মেটাতে অস্রধারীর অস্র রক্তে রঞ্জিত হলেও মানবাধিকারের প্রশ্ন আসেন,
একাত্তরে হানাদারের ঘৃণ্য কু-কর্মের জন্য মানবাধিকারের প্রশ্ন উঠে না।

আর যেই না কাদের মোল্লা, সাঈদী, সাকা, নিজামীসহ একাত্তরের হিংস্র জানোয়ারদের বিচার কার্য্য হচ্ছে, তখনই মানবাধিকার ছটপট করা শুরু করেছে?
জানতে ইচ্ছে করে মানবাধিকার কি বিশষস্থান থেকে বেড়ে পড়া রস যা মানবাধিকার বলে চিৎকার করা সুশিলদের স্বাদ মেটায়?
যদি এ‘হয় মানবাধিকার, তবে এমন মানবাধিকার চাই না, শুধু চাই একাত্তরের হিংস্র হানাদারদের ফাঁসি।

অরক্তিম ভালোবাসা আর সম্মান রইল মহান নেলসন ম্যান্ডেলার প্রতি

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। অথচ শ্রেষ্ঠত্বের এই রূপটাই বারংবার পাংশুটে বিবর্ণ রূপ ধারণ করে স্বার্থসিদ্ধ; মনুষ্যত্ব বিবর্জিত আচারণের কারণে। হ্যাঁ; শুধু এ একটা কারণেই মানুষেররূপটা হিংস্রপশুররূপে ধরা পড়ে, কঠিণ হয়ে পড়ে চিহ্নিত করতে জীবজগতের এই শ্রেষ্ঠ জীবটিকে।
জীবজগতের অন্য জীবদের তুলনায় মানুষ দৈহিক, বাহ্যিক আর চিন্তাধারায় উন্নত হলেও তারা সবসময় নিজেকে নিজের আসনে ধরে রাখতে পারে নি। ক্ষমতার অন্ধমোহ, শারীরীক গঠণ, জৈবিক আকর্ষণ, ধর্মীয় গোড়ামী কিংবা আপনার মধ্যেকার অজ্ঞতাপ্রসূত দাম্ভিকতায় মানুষ বারংবার নিজেদের মধ্যে জড়িয়ে নিয়েছে লড়াইয়ে। লড়াই শেষে রক্তাক্ত প্রহসন মানুষের মধ্যেকার মানুষটিকে কিছুটা নাড়া দিলেও ক্ষোভ কিংবা আপনার চরিতার্থ রচনায় তারা কখনো পিছু হটে নি। ফলে সর্বত্র দেখা মেলে যুদ্ধ, বিগ্রহ, হিংসা, দ্রোহ, নৈরাজ্য কিংবা বর্ণবাদের মহোৎসব। আর এই মহোৎসবের উন্মাদনায় যখনই দেশ, জাতি কিংবা বিশ্ব পথভ্রষ্ট হয়, তখনই জীবনবাজি রেখে আলোকবর্তিকা হাতে ধরে সাম্যের গানে-গানে আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে চলে অবিসংবাদিত কোন মহান নেতা। নেলসন ম্যান্ডেলা তেমনি একজন। সমগ্র দক্ষিন আফ্রিকায় যখন বর্ণবাদের ছড়াছড়ি, শ্বেতাঙ্গদের কাছে যখন কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি নির্মম অত্যাচার চলছে, ঠিক তখনি কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য নিজের জীবনবাজী রেখে আলোক হাতে এগিয়ে চলেন তিনি। জীবনের দীর্ঘ ২৭ বছর কারাভোগ, শারীরীর, মানুষিক অত্যাচার সহ্য করেও তিনি লড়ে গেছেন বর্ণবাদ আর শ্রেণী শোষনের বিরূদ্ধে। আর তারই ফলশ্রুতিতে পেয়েছেন মানুষের নিষ্কণ্টক ভালোবাসা, দক্ষিন আফ্রিকার জনকের শ্রেষ্ঠত্ব সম্মান। এই শ্রেষ্ঠ মানুষটি গত বৃহঃস্পতিবার আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। অরক্তিম ভালোবাসা আর সম্মান জানাই এই মহাণ মানুষটিকে।

একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি

আজ বিপ্লবি নেতা ক্ষুধিরাম বসুর জন্মদিন। ১৮৮৯ সালের এ দিনে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত মেদিনীপুরে এ সূর্যসন্তানের জন্ম। যিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরূদ্ধে লড়তে গিয়ে মাত্র ১৮ বছর ৭ মাস ১১ দিন বয়সে হাসি মুখে ফাঁসির মঞ্চে আরোহণ করেন। বরণ করে নেন মাতৃভুমির জন্য গৌরব উজ্জ্বল মৃত্যু যাতনা।
স্যালুট জানাই সময়ের এই বীর সূর্যসন্তানকে, যে অকুতোভয় প্রাণ নিয়ে এগিয়ে গিয়েছে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলণে আমার স্বপ্নের রূপকার হয়ে।
আর তাঁর মৃত্যুতে আহত মনে কেঁদে উঠে বলি- “একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি”।

নির্ভরশীলতা

স্বপ্ন দেখে যাও, স্বপ্ন দেখিয়ে যাও
স্বপ্ন দেখার পথগুলোকে যদি আস্থায় দৃঢ়শীল করতে পার, তবে সে স্বপ্ন পূরণ হবেই।
তবে স্বপ্ন দেখার ক্ষেত্রে কোন নির্ভরশীলতা আশা কর না, কারণ একটা নির্ভরশীলতা স্বপ্ন ভেঙ্গে দেবার ক্ষেত্রে হাজারটা বন্ধকতা তৈরী করে।

শুভ জন্মদিন

নিসঙ্গ পথচারী, সুদূর পথে
হেঁটে যায় একাকী অকারণ
চলে যাওয়া সে পথে
ভালোবাসা বাঁধে তারে আমরণ।

সে ভালোবাসা ভূলে, পথে ফেলে যে
পাষন্ড চিত্ত তার,
পথে-পথে ঝরা ফুলে
পদদোষে চিত্তবিষে একাকার,

অজানা সত্য

বোধের বিচারে নির্বোধ হয়েছি আমি,
যাতনা পুষেছি অন্তরে;
জেনেছি, সেই অজানা সত্য,
ক্ষোভের প্রায়চিত্তে মানুষ হয় সাধু কিংবা চোর
পুষে রাখা স্বপ্নের মন্তরে।

সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

সুযোগ

দৃষ্টিকটু বাক্যে শুরু হওয়া নিষ্কন্টক সত্যও গুরুগম্ভীর মিথ্যা। কারণ; তা বিতর্ক সৃষ্টিতে সুযোগ দেয়।

জানা

মরতে যাকে চেনা হয়, সে আমার যম
সংসার তরণী পাড়ি দিতে, লাগে বড় দম!!

মমতার আশ্রয়ে আমাদের স্বপ্ন‘রা যে বড় নিঃস্ব

জীবন আর জীবিকার পথে পুড়ে ছাই কত স্বপনের সোনালী কুড়োঘর। তবু স্বপনের খুনশুটি ভূলে ছুটি এই আমরা, বাঁচার তাগিদ যে আমাদের বড়, মমতার আশ্রয়ে আমাদের স্বপ্ন‘রা যে বড় নিঃস্ব।

মূঢ়, অলস

রাত-দিন আমরা আমাদের ব্যর্থতাগুলোকে আবেগে পরিনত করি আর অন্যের পানে চেয়ে থাকি তার কৃপা-অনুগ্রহতসূচক শান্তনা বানীতে । কিন্তু ব্যর্থটাকে সফল কার্য্যে পরিনত করতে আমরা বরাবরই মূঢ়, অলস।

রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

হাত রাখা হাতে

অচলা!!! নিবিড় অরণ্যে
থমকে থাকা বেলায়
শালিকের ঝাঁকে
শুনেছ কি!

শুনেছ কি;
গভীর অরণ্যও ঢালে
সমকালের পায়ে-পায়ে
খেয়ালি মাখা চুমো
উচ্ছ্বাসে!

তিতে

উচিত কথার বাক্য দিলে
তাতে দেখি তিতে মিলে।

আপন-পর

যখন মৃত্যু‘টাই সত্য পাগল,
ভুলাবি আপনায় কোনসে্ ভুলে
মায়ায় ভোলা এ জগতে
আপন-পর হেতু অন্তঃমূলে।

সফলতা

মানুষের জানার বা জ্ঞাণের পরিধি বিশাল হলেও জানার ইচ্ছার পরিধি সংকীর্ণ। খুব কমজনই অকারণে নিজ আগ্রহে অজানাকে জানতে চায় বা জানে। তাই কারো চলন-বলন বা কথাবার্তা দিয়ে তার জানার পরিধি বিবেচনা করা ঠিক নয়। সময়, সুযোগ পরিস্থিতিও অনেককে অনেক বেশী সফল করে তোলে।

শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

শোনা যায়

যুগ গেছে চলে, মিশে গেছে অনন্তলোকের আঁধার সীমানায়
তবু; তাঁর পদধ্বনি শোনা যায়, বাতাসের সুর মুর্চ্ছনায়।

স্বপ্নবাঁচুক

হোক এ‘ঘর কুঁড়োঘর
প্রকৃতির শিক্ষায় স্বপ্নবাঁচুক জীবনভর।

বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

নিরূপণ

যিনি সৎ থাকতে চেয়েও সত্য-মিথ্যা নিরূপণে ব্যর্থ, তিনি প্রকৃত অর্থে অসৎ এবং তার স্বরূপও বিপদজ্জনক।

মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

পাবে, নেবে

আমাতে কি আছে বল তুমি পাবে?
কি এমন পাবার আছে তুমি নেবে?

দুঃখিত

দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বাবা কিংবা স্বামীর আর্শিবাদপুষ্ট নেত্রী, বেশ্যাবৃত্তি কিংবা লেয়াজুবৃত্তি করা নেতা, মহাজোটভুক্ত পা‘ছাটা পন্থিদল কাহাকে সমর্থন করতে চাই না। চাই উদার মনোবৃত্তি আত্মদৃড়কল্পসম্পন্ন সত্যিকারের একজন দেশদরদি পরাবিক্রমশীল নেতা, তার পদাচারণে মূখরিত হবে আকাশ-বাতাস আলোক। যতদিন সে আশা পূর্ণ না হচ্ছে, ততদিন দেশের নাগরিক হিসেবে দেশকে ঘৃণাছাড়া অন্যকিছু দিতে পারছি না বলে দেশমাতৃকার কাছে অকৃতজ্ঞ সন্তান মনে ক্ষমা চাই।

সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৩

ক্ষমতা

বেশ্যার একটা ধর্ম থাকে, সে যা সবসময় সেরকম আচারণ দেখায়। কিন্তু বুদ্ধি বেশ্যাদের কোন ধর্ম নেই, এরা গা বাঁচাতে কতক্ষন এদিক চাটে তো কতক্ষন ঐদিক চাটে। আর রাজনৈতিক লেবাসধারী বেশ্যারা তো ক্ষমতা আকড়ে ধরতে সবধরনের বিষ্টা চেটে খায়।

রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৩

ওহে দয়াল কর মোরে পার

জন্মিয়া পৃথিবীতে, ক্ষুধা কিংবা ভয়ে কেঁদেছি বহুবার
স্মরণ নেই কিছুই তার,
সময়ে-অসময়ে দুঃখরাশি করেছে রাশভার।

চলেছি গগণে ঠেকিতে-ঠেকিতে জীবন
দেখেছি পদে-পদে কত ভূমিলোকের ক্রন্দন
ঠেকিতে-ঠেকিতে জমেছে পা, হয়েছে জীবন অসার
সারে সার, বলি মহিমা তোমার ওহে দয়াল
কর, কর মোরে পার।

প্রয়োজন

শরীর নুড়ে পড়ছে, চোখ ভেঙ্গে আসছে; তবু ঘুমানো যাবে না পেটের টানে, জীবনের প্রয়োজনে।

পড়ন্ত বিকেলের আভায়

জীবনটাকে অর্ধেক করে এগিয়ে গেলাম; সূর্যের আলোয় জোৎস্না দেখব না এই সময়ে। ভালোবাসাগুলোকে আঁকব আপন করে নীলপাড়ের ঐ সাগরের নীলপানিতে। জীবনের স্তবক বৃন্তে থাক বা না`থাক কার্পণ্যগুলোকে আবডালে আমি লুকাবো।
চূড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা কল্পকন্যার জন্য বাকী অর্ধেক জীবনকে খোঁড়াতে আজ পথে দাঁড়িয়েছি। তার ভালোবাসার বিবর্ণরূপ কি আমায় কদার্য্য করতে পারবে এই পড়ন্ত বিকেলের আভায়?

শূণ্যতা

আলো আর অন্ধকার এই দুইয়ের মাঝে একধরণের শূণ্যতা থাকে, সকলের পক্ষে তা দেখা বা অনুভব করা সম্ভব নয়।

নিরুদ্দেশে যাত্রা

শব্দহীন পথে আমি পা বাড়াতে চাই
তবুও জনকৌলাহল মেতে রাখে আমায়
জানিনা কে কি বলতে চায় উৎসাহে
তবু নিরুদ্দেশে যাত্রা হোক, মনের আগ্রহে।

পথের বেলা

সবতো দেখী রঙ্গলীলা,
বাঁধন ছাড়া এই আমাদের কি আছে গো
থাকবার বাকী কি রঙ্গশালায়
হেসে কাটি আপদভোলা
এই আমাদের দিনগুলোসব যত্নে তোলা
পথের বেলা।

আমার জীবনটাই রক্তাক্ত প্রহারের প্রহরী

জীবনের দেয়ালে মাথা ঠুকে-ঠুকে বার-বার রক্তাক্ত হয়েও যখন দেখী জীবনকে আমি আগের মতোই স্নেহ-মমতায় বাড়তে দিচ্ছি, তখন ভাবার আর কোন কারণ থাকে যে; আমার জীবনটাই রক্তাক্ত প্রহারের প্রহরী?

আমি বিভ্রান্ত নই

মানুষ হিসেবে আমার মাঝে বিভ্রাট থাকতে পারে, কিন্তু আমি বিভ্রান্ত নই। আমার চোখের সামনে দিয়ে তোমাদের নিয়ত লুকোচুরি খেলা দেখেও আমার চুপ থাকা দেখে ভেব না, বোঝার ক্ষমতা আমার কমে গেছে। আমিও শুধু অপেক্ষা করছি তোমার খেলার শেষধান‘টা দেখতে। জয়-পরাজয় সেতো খেলার শেষে নির্ণয় হয়; নাকি.......?