মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪

ও আমার রঙ্গিন ঘুড়িগো

ও আমার রঙ্গিন ঘুড়িগো
কে নিয়ে যায়
আমি নাটাই-সুতো নিয়ে বসে আছি ও সাঁই
তোমার দরগায়।


সাঁইগো তোমার পদধুলি
হবে আমার রঙ্গিন ঘুড়ি
আমি সে ঘুড়ি উড়োতে যাব
বেহেস্তের দরজায়।


সময় গেলে রস-রঙ্গে
কার সঙ্গ হবে নবরঙ্গে
রং ঢেলে আপন অঙ্গে
না যাই গুরুর ঠিকানায়।


এখন যখন হুঁশ হল
রঙ্গিন ঘুড়ি সুতো কেটে গেল
ধর বাঁধ সাঁই রঙ্গিন ঘুড়ি (ও গুরু...)
ধরে দাও আমার রঙ্গিন ঘুড়ি
তোমায় বিনে পড়ি অসহায়।

এসেছিলে রেনুকা

এসেছিলে রেনুকা;
তাই কদম্ববনে বংশির ধ্বনি
ছায়াবনের মায়া হরিণী
তব নয়নে দেয় ধরা।


জান কি? সে কিগো কেবল মনের আপন
যে ময়ুরী নেচে যায়, যে রাগিণী ছুঁয়ে যায়
তারে ভাবিতে ভাসিতে কেনগো তবে এত গোপন।
মধুর তরী বয়ে রাগে চিত্রকুঠিরে কুহুকিনী গেয়ে যায়।


এসেছিলে রেনুকা;
হায় এসেছিলে-
নেচেছিলে নিক্বনে হীজল বনে কাহার সনে
বিরহ রাগিণী সঁপে তাহারে, নয়ন কেনগো এত ভেসে যায়।

নারীর মন স্বয়ং বিধাতাও.....

অনেকেই বলে থাকেন- “নারীর মন স্বয়ং বিধাতাও নির্ণয় করতে পারেন না”। এ কথার প্রেক্ষিতে আমার একটা কথাই জানার আছে সকলের কাছে- যদি বিধাতা নারীর মন নির্ণয়ে ব্যর্থ হন তবে তিনি কি করে পুরুষের মন নির্ণয় করেন?

যে সভ্যপুরুষ নারীকে অসতী তকমা দিয়ে সমাজের চোখে কোনঠাসা করে সুযোগে রাতে তার সাথে শয্যা রচনা করে, সে পুরুষের মন নির্ণয় বিধাতার কাছে কি করে সহজ হয়?

নির্ণয় সুকঠিন

ভাবনার বাহিরের যে জীবন, তার অবস্থান আবেগ দিয়ে নির্ণয় সুকঠিন।

মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

আমার মন দরিয়ার অকূল পাথার পাড়ি দেবে কে?

আমার মন দরিয়ার অকূল পাথার পাড়ি দেবে কে?
(ওরে) কূলহীন আমি অকূল পথে পড়ে আছি রে....

নবরঙ্গ অষ্টফাঁদে গেলাম আমি পড়ি
কোথায় আছে সোনার সংসার, কোথায় টাকা কড়ি (আমার)
নয় দ্বারে যায় পরান যায়, পথের পথিক কে?

মায়া-মায়া-মায়া করে ভ্রমিলাম সংসার (আমি)
ভ্রমিলাম দেশ-বৈদেশ শখে, করে যৌবন অঙ্গার (আমার)
বাঁশের ভেলা যায় ভেসে যায়, মাটির বাসরে....

কোথায় থেকে কোথায় এলাম করলাম আমি কি
পথের ভক্তি-শক্তি আমার, পথে হারিয়েছি (ও প্রভু)
পথহারা পথে কর কর পার, অবিবেচক অবোধরে....

শিহরিত মোদের প্রাণ

মাটির বুকে ভাসুক কথা, বাজুক মুক্তির গান
রক্ত দিয়ে কেনা এ মাটি, শিহরিত মোদের প্রাণ।

জানিব তব জন্ম কোথায়

কত রক্ত দিয়ে, কেনা এ‘মাটি
ভাষায় বোঝাতে না রি
কত হা-হা-কার, কত অনাচার
এ মাটি নিয়াছে সহি

সে কি বুঝিবে কথা, মনের মর্ম ব্যাথা
যে হয়নি পীড়িত জন
হৃদয়ের কত ক্ষত, নয়নজলে সাগর কত
জমা কত তায় আত্মপীড়ণ

আজ বল ভাই, ভূল যেন যাই
অতীত না কি ধরে পা‘য়
তোমাদের কাছে বলার, এ কেবল আছে
জানিব তব জন্ম কোথায়?

ধ্যাণপূর্ণ রক্তে ভেজা যে মাটি

ধ্যাণপূর্ণ রক্তে ভেজা যে মাটি
তার এক কদমও বৃথা যাবে না
কসম মা, তোমার মাটির একদানাও
কেউ নিংগাঢ়ে যেতে পারবে না
যতদিন বেঁচে তোমার ছায়াতলে
শতদল বীর মুক্তিসেনা....

দরিদ্রতা

দরিদ্রতা অসুস্থতাকে করে না ক্ষমা
বুঝেনা উন্মত্ত যৌবনের বেহাল অনুনয় কিসে আসক্ত।

কি ব্যাথা দেহ সহে-সহে যায়
কি ব্যাকুলতায় আকুতি‘রা হারায়
বুঝতে চায় না ষোড়শি বিকেলে কি তার আদি বৃত্তান্ত....

একদিন তাদের সঙ্গ নেব

ভাবছি উন্মাসিক মগ্নতা মেপে নেব
ধীরে-ধীরে ভূলণ্ঠিত কৃতজ্ঞতা
পাথরের অগ্নিস্নান ক্ষয়ে দেয় দেহ রক্ষার কবচ -

পথে পড়েছি
দেখছি কবেকার নবান্ন ছুটে আসে উৎসুকে
দিনে-দিনে যে স্বপ্ন চুপি-চুপি পথ হারায়
একদিন তাদের সঙ্গ নেব।

প্রয়োজনে বিনষ্ট হোক চোখ

প্রয়োজনে বিনষ্ট হোক চোখ
দেখা যদি না হয় হোক, তবুও কথা হোক।
আবেগের বিবাগী ক্ষন, কেন এত কেঁদে মরে
মরে যাবার আগে কেন তোমার স্বরই মনে পড়ে।

শিক্ষা জীবনের জন্য, সাচ্ছন্দের জন্য নয়

শিক্ষা জীবনের জন্য, সাচ্ছন্দের জন্য নয়। শিক্ষার মূল উপাদানগুলো শুধুই জীবনের প্রয়োজনে প্রয়োগের জন্য। তাই যারা শিক্ষাকে সাচ্ছন্দের উপকরণ হিসেবে খুঁজে, তাদের জীবনে শিক্ষা কেবল একটা স্বপ্ন মাত্র। যা স্বপ্নের ন্যায় যখন-তখন ধূলির্সাৎ হয়ে যেতে পারে।

মুখোশধারী

এই তোদের মতো সভ্যতার মুখোশধারী নাক সিটকানো মানুষগুলোকে দেখলেই আমার ঘেন্না লাগে। শালা সুগন্ধীযুক্ত খাবার খেয়ে হজম করতে না পেরে দূর্গন্ধ মল ত্যাগ করিস, সে মলে নোংরা কীট জন্মে। সযত্নে রাখা তোদের সোনার দেহ পঁচেও দূর্গন্ধ ছড়ায়, নোংরা কীট জন্মে। অথচ অহংকার তোদের ধমে না। না অতটা ক্ষ্যাপিস না, বলি এই জীবনের সাথে মিশে দেখ...জীবনের প্রতি যত অভিমান আছে সব কেটে যাবে, জীবনকে উপভোগ করতে পারবি।

মুখোমুখি

মুখোমুখি আমি আমার ছায়া একাকী
বলতে চাইনা কিছু , শুধু কি বলে দেখী

হৃদয়ভাঙ্গানো উর্বশী

চোখে আলো পড়ে তখন ঝলসে উঠে চোখ
অলস দুপুর পড়ে-পড়ে যাচ্ছে করে ক্ষোভ
তখন তুমি নৃত্যচলে হৃদয়ভাঙ্গানো উর্বশী এক।

যে ধারণ করে সে বহনের চেষ্টা করে

যে ধারণ করে সে বহনের চেষ্টা করে। কিন্তু যার মধ্যে ধারণ করার কোন প্রয়াসই নেই তার বহন করার অভিলাষ থাকে না বরং সে ধারণকারীর বহনে অযাচিত হস্তক্ষেপ চালায় এবং বহন করার প্রয়াস নস্যাৎ করে।

আমিতো....

সময় সময়কে দিক নির্দেশনা দিচ্ছে, আমিতো কেবল সময়ের দিশারী।

বাঙ্গালী জাতি

খড়গ হস্তে ধরে, পত্রে ছাড়ি
এ আমাদের নীতি
আমরা ভূল মগজে, কর্ম ভুলে
হয়েছি বাঙ্গালী জাতি।

প্রকৃত বীর

কৌশলী হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা খুবই সহজ, শুধু নিজের ভাব-প্রকাশ-অভিলাষ লুকিয়ে রেখে সৌহার্দ্যপূর্ণ বাণী প্রচার করতে পারলেই চলে। কিন্তু প্রকৃত বীর তাঁর কর্মে-আচারে বীরত্ব প্রকাশ করে।

সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

শর্ষ্যের ভেতর ভূত

কত শর্ষ্যের ভেতর ভূত
কত ভূতের ভেতর শর্ষ্য
আমি ছড়াতে পারিনি কিছু, আমি মেনেছি সবের বশ্য
আমি সব নিয়েছি মেনে
আমি যাচ্ছি দিন গুনে-গুনে
যাকনা জীবন দেখিয়ে তার বিভ্রম রহস্য।।

রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৪

আমরা শ্রদ্ধেয়জনকে শ্রদ্ধা করব আর ঘৃণিতজনকে ঘৃণা

আমরা শ্রদ্ধেয়জনকে শ্রদ্ধা করব আর ঘৃণিতজনকে ঘৃণা। স্বাধীনতার প্রাক্কালে এদেশে অবস্থানরত যেসকল জারজ দেশের বিরূদ্ধাচারণ করার পরও রাষ্ট্র তাদের তোষন করে স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চিত করেছে, সে রাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ এবং জারজদের প্রতি ঘৃণা আমাদের আমৃত্যু জেগে থাকবে। শুধু এই নয়, নয়া উথিত জারজদেরও কোন নিষ্ঠাবান নাগরিক ক্ষমা করবে না কোনদিন। কিন্তু একটা বিষয়ে আমার বলার আছে, তা হল আমাদের এমন কোন আচারণ করা শোভা পায় না, যা কিনা ভন্ডামীতে গিয়ে ঠেকে। হ্যাঁ; আমি বলছি গোলাম আজমের কবর দেয়া প্রসঙ্গে-
এই জারজের প্রতি আমাদের ঘৃণার মাত্রা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, সে আজীবন আমাদের মনে বিশ্বাসঘাতক মীরজাফরের মতো কুলাঙ্গার হয়ে বেঁচে থাকবে। তাই আমরা সচেতন থাকব যাতে এই কুলাঙ্গারকে রাষ্ট্র কোনপ্রকার সন্মানিত করার সুযোগ না দেয়। কিন্তু কবর দেয়ার ব্যাপারে আমাদের কোনপ্রকার হস্তক্ষেপ ঠিক হবে না। আমার মতে- এ কৃলাঙ্গারের অবস্থান যেহেতু বাংলাদেশে, তাই এই কুলাঙ্গারের কবরের ব্যবস্থা বাংলাদেশের বাহিরে করা সম্ভবপর নয়। যেহেতু সম্ভবপর নয়, তাই যতদ্রুত সম্ভব কুলাঙ্গারটিতে কবর দেবার সুযোগ দিয়ে কোনপ্রকার সন্মান প্রদর্শন বন্ধকল্পে আমাদের সক্রিয় অবস্থান জরুরী।

আহত আমি

প্রায় এক বছর ধরে আমার বাবা বেশ অসুস্থতায় ভূগছে। নিজের সামার্থ্য অনুসারে যতটুকু সম্ভব তাকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। বাবার মূল সমস্যা ডায়াবেটিস, কিডনীর সমস্যা আর খাদ্যনালীতে পাথর। বাবার চিকিৎসা হচ্ছে মূলত ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হসপিটাল (বারডেম) ‘এ। কিন্তু সময় অসময়ে নোয়াখালীতেও ডাক্তার দেখাচ্ছি। খাদ্যনালীতে পাথর অপারেশনের ব্যাপারে বারডেমে কথা বললাম। কিন্তু তারা বলছে বাবার যেখানে পাথার সেখানের পাথর অপারেশন করে মূলত কোন লাভ হবে না, তাছাড়া অপারেশনের মতো বাবার শারীরীক উপযুক্ততাও নেই।
ইদানিং বাবার যে সমস্যা বেশী হচ্ছে তা হল- একটু হাঁটাহাঁটি করলেই বাবার পা বেশ ফুঁলে যাচ্ছে আর পা ফোলা সহজে কমছে না। কিন্তু হাঁটা-হাঁটি না করেও উপায় নাই। কারণ আমি ঢাকায় থাকায় বাড়িতে বাজারসহ সাংসারিক কাজ করার মত কেউ না থাকায় বাবাকেই তা করতে হচ্ছে।

অবস্থান নির্ণয়

নিজের অবস্থানে দাঁড়িয়ে অন্যের অবস্থান নির্ণয় করতে শিখতে হয়, না হলে নিজের পক্ষে স্বাভাবিক জীবন-যাপন যেমন কঠিন তেমনি অন্যের স্বাভাবিক জীবন-যাপনেও আপনি বাঁধা।
স্বাভাবিক ভাবনাই কেবল আপনাকে মানষিক প্রশান্তি দিতে পারে। যে দোষী তাকে তার দোষের ভার বহন করতে দিতে হবে, অস্বাভাবিক ভাবনায় হিসেব-নিকেশ করে যারা স্বাভাবিক ভাবনাকে অস্বাভাবিক করে তোলে, সমাজ-সংসার দূষণে তাদের অবস্থানই মূখ্য। যতটা সম্ভব এদের পাশ কাটিয়ে চলুন, এরা নিজে সুখ না পেয়ে অন্যের সুখ কেড়ে নেয়।

মুক্তি ও বাঁধা

যার দায়বদ্ধতা আছে সে দায়মুক্তির চেষ্টা করবে, কিন্তু দায়বদ্ধহীন লোক সজ্ঞানেই দায়বদ্ধলোকের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করবে।

ভূল

ভূল মানুষকে ভালোবাসতে নেই, এতে আপনার ঘরে আগুন লাগিয়ে ভূল মানুষ সমেত আপনাকেই পুড়ে মরতে হয়।

বিশুদ্ধ নারী খোঁজ

আমার এক কলিগ পাত্রী পছন্দের জন্য গতপরশু গিয়ে আজ ফিরে এলেন। জিজ্ঞাসা করলাম- কি অবস্থা? পাত্রী পছন্দ হয়েছে? আমার প্রশ্নের উত্তর না দেয়ায়, আরোক কলিগ উত্তর দিলেন- তার পাত্রী পছন্দ হবে কি করে? তিনি ত বিশুদ্ধ পাত্রী খুঁজতেছেন। আর এখন কি বিশুদ্ধ পাত্রী আছে?
আমি রসিকতার সুরে বললাম এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া, আপনার আমার মতো পুরুষ‘রা নারীকে জোর করে ধর্ষণ করতে না পারলেও চোখ দিয়ে প্রতিনিয়ত যে পরিমান ধর্ষণ করে চলছি তাতে বিশুদ্ধ নারী খুঁজে পাওয়া সত্যি দুষ্কর!!!

সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৪

লুকিয়ে রাখাতেই সুখ

জীবনের সামনে অনেক বিষয় উত্থাপিত হয়। এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলো বড় বেশি বিষাদের। তবুও কিছু-কিছু ব্যাপার সময়ে লুকিয়ে রাখাতেই সুখ থাকে।

জানানো

জানি আমার পাওয়ায় না পাওয়ায় দেশ-জাতি-সমাজের সহানুভূতি ছাড়া এতটা ক্লেশ বা ক্ষোভ জন্মাবে না, কারণ সবারই আমার মত ত্রাহি-ত্রাহি অবস্থা। তবুও নিজের ক্ষোভ চাপা রাখতে না পেরে প্রতিনিয়ত জানান দিচ্ছি নিজের আকুতিগুলোকে, নিজের অনুভূতিগুলোকে। বিশ্বাস, যদি সেখানটায় আগুনের দাবানল ধরাতে পারি, যদি সেখানকার দাবানলের আগুনে জ্বালিয়ে দিতে পারি মুখোশধারী কপট স্বার্থাণ্বেষীদের। যারা ক্ষমতার দাপটে আমি বা আমাদের মেধা, শ্রম সর্বস্ব লুটে নিয়ে আমাদের বিকলাঙ্গ করে ছাড়ছে।

সংঘবদ্ধ

হাজার মতাদর্শ লালিত যে বাঙ্গালী জাতি, তাদের চাইলেই একত্রীভূত করা সম্ভবপর নয়। চাইলেই তাদের কাছে সঠিক মতাদর্শকেও সঠিক বলে প্রমান করা সম্ভব নয়। তাই বাঙ্গালী জাতিকে সামষ্টিকভাবে একত্রীভূত করতে হলে তাদের প্রয়োজনগুলো চিহ্নিত করে তাতেই তাদের প্রলুব্ধ করতে হবে। কারণ- অনৈক্য সংঘ কেবলমাত্র প্রয়োজনের খাতিরেই সংঘবদ্ধ হয়।

প্রস্তুতি

যেকোন বিষয়ে ঝাপিয়ে পড়ার আগে বিষয়টি সম্পর্কে আপনার শারিরিক এবং মানষিক প্রস্তুতি সম্পর্কে সজাগ থাকা জরুরী। একটা বিষয় সবসময়ই মনে রাখা প্রয়োজন পড়ে- প্রস্তুতি ব্যতীত হাতের জ্বলন্ত কাঠি হাতেই পুড়ে নিঃশেষ হয়, তা দিয়ে দাবানল তৈরী সম্ভবপর হয় না।

সত্য প্রতিষ্ঠা

আপনি যদি সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য লড়তে উন্মুখ থাকেন তবে সকল প্রকার শত্রু-মিত্রদের নিয়ে সাথে কাজ করুন। ছোট-ছোট শত্রুদের সাথে লড়ে টিকে থাকতে পারলেই কেবল আপনি বড় শত্রুদের মোকাবেলা করতে সমর্থ হবেন।

সেনানায়ক

যুদ্ধ করতে গেলে সেনানায়কের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশী। সব সেনাই আগুন জ্বালাতে পারে, বারুদ ধরাতে পারে। কিন্তু কোথায় যে বারুদের আগুণ ছুঁড়তে হবে সে জানে না।

পৌঁছা

গন্তব্যে সবাই পৌঁছতে পারে, পার্থক্য- কেউ বুদ্ধি-অভিজ্ঞতা-কৌশল খাটিয়ে সরল পথ নির্মাণ করে পৌঁছে, কেউ ভাগ্য জোরে সহজ পথ পেয়ে পৌঁছে আর কেউ ঘুরে-ঘুরে শ্রান্ত দেহের ক্লান্তি নিয়ে পৌঁছে।

বাড়ন্ত

ভূল পথে গন্তব্যের পথ বাড়ে।

সমর্থ্য

যেহেতু সমাজ-সংসারে মায়া-মমতা ও সৌন্দর্য্যের আঁচড় আছে, সুতরাং উপলব্ধ ব্যক্তি কখনওই সমাজ-সংসারের পিছুটান হতে মুক্ত নন। কিন্তু কেবলমাত্র একজন সত্যিকারের জ্ঞাতা `ই সমাজ-সংসারের সমস্ত পিছুটানকে উপড়ে ফেলতে সমর্থ্য হন প্রয়োজনের তাগিদে।

মৃতসদৃশ এই স্বপ্নগুলো

মানুষের জীবনে অনেক স্বপ্ন থাকে, সাধ থাকে। স্বপ্নগুলো রাত-দিনের আলোয় নিজেদের প্রকট-প্রচ্ছন্ন করে। সময়ের ধারায় স্বপ্নের ধারাও পরিবর্তিত হয়। কিন্তু একটা বিষয় নিয়ত ঘুরে-ফিরে দেখি, তা হল- প্রায় প্রতিদিন এক-একটা স্বপ্ন মারা পড়ে, মারা যাওয়া স্বপ্নের প্রকোষ্ঠে আবার নতুন স্বপ্ন ধরা পড়ে। তবুও কিছু-কিছু স্বপ্ন আছে যারা ক্ষয়ে যেতে-যেতে শেষধাপে এসেও হৃদয়ের গহ্বরে আঠার মতো লেগে জানান দেয় তার অস্তিত্ব। আর তার এই শেষধাপে এসে নিজের অস্তিত্ব জানান দেয়ার মাঝেই মাথা ছাড়া দেয় স্বপ্নগুলোকে বাঁচাতে না পারার হতাশা। হতাশাগুলো দিন-দিন সমস্ত অর্জনকে ধীরে-ধীরে নিঃশেষ করে। কিন্তু আশ্চার্য ব্যাপার হল- চাইলেই মৃতসদৃশ এই স্বপ্নগুলোকে ছেটেও দেয়া যায় না, কারণ এই স্বপ্নগুলো সম্পূর্ণ মরে গেলে বেঁচে থাকার সব সাধ-বাসনাই মরে যায়, মানে পুরো মানুষের অস্তিত্বটাই মুহূর্তে বিলীন হয়ে পড়ে।

আজ-কাল যেকোন সুশিলদের দেখলেই আমার হাসি পায়

আজ-কাল যেকোন সুশিলদের দেখলেই আমার হাসি পায়, তেনারা বেশ চমকপ্রদ পোষ্ট প্রসব করেন কিন্তু যখন প্রসব করা পোষ্টটি নিয়ে কঠোর সমালোচনা হয় তখন তেনারা নিজেদের চেপে রাখেন। সেখানে প্রয়োজনীয় অতী গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থাকলে এবং সেসবের উত্তর দেয়া অভিসম্ভাবী হয়ে উঠলেও তেনারা সেখানে কোন মন্তব্য করেন না।
কিন্তু কেন? তবে তেনাদের পোষ্টের উদ্দেশ্য কিংবা রহস্য কি? তেনারা কি চান যে তেনাদের পোষ্ট লাইক কমেন্টে ভরে উঠুক আর দ্বিধা-দ্বন্দে পড়ে আমজনতা বিভ্রান্ত হোক? তেনাদের আজ-কালকের সুশিলতা দেখে একটা কথাই শুধু মনে ভাসে- অসৎ সন্তানের বাবা-মা‘রা সন্তানকে মানুষ করতে চেষ্টা করে যখন ব্যর্থ হয় তখন তারা তাকে কেবল তার অধিক উপার্জনের পারঙ্গমতা দেখে ভালোবাসে। আমাদের সুশিলদের অবস্থাও কি তাহলে দিন-দিন সেখানে গিয়ে ঠেকছে?

জায়েজ করা যায় কি না?

নিত্য-নিমিত্তিক যা চোখে ভাসে, তাকে আমরা সাধারণ বলি
কারণ আমাদের চোখ মুষলধারের বৃষ্টির মত যখন-তখন ভিজে,
সচেতন সমাজ দেশ-জাতি-জনগন সবার ভাবনা মাথায় রাখে
শ্রেণীসংগ্রাম-জোচ্চুরি-মিথ্যা-পুঁজিবাদ তারাই আমাদের শিখিয়েছে।

একটু-আধটু শিক্ষায় আমরা আজ নিজেদের নিয়ে যখন ভাবতে শুরু করেছি
যখন আমদের রক্ত টগবগে করে উঠার অপেক্ষায়, তখন; ঠিক তখন দেখি

পুঁজিবাদের লাগাম টানতে যে সচেতন সমাজ চিৎকারে গলা শুকিয়েছে
তারাও মিথ্যা ছড়ায় নিজের স্বার্থহাসিলে, চোখ খুলে যাওয়ায় এ দেখে ফেলেছি
তাই ভাবছি চারদিকে যখন টানা-হেঁছড়ার দ্যৌলা-খেলা চলে সুচতুর কৌশলে
সেখানে তাদের একটু-আধটু মিথ্যা জায়েজ করা যায় কি না?

শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৪

অসন্তোষ

প্রত্যেকের উচিত নিজের দায়িত্ব কর্তব্য ঠিক করে যথাসাধ্যের সহিত তা সম্পন্ন করা। যে নিজের দায়িত্ব কর্তব্যের প্রতি সজাগ নয়, যে ঠিক করতে পারে না কোনটি নিজের দায়িত্ব কোনটি অন্যের- অসন্তোষ সৃষ্টিতে তার ভূমিকাই প্রধান। কারণ হিসেবে নিচের গল্পটির ভাবার্থটিকে নিতে পারেন।

অনুগল্পঃ অসন্তোষ
===========
একলোকের স্ত্রী একটি ছেলে সন্তান প্রসব করলে সন্তান প্রসবের পরবর্তী সময় প্রসূতি আর আগত সন্তানের দেখাশুনার জন্য একজন স্ত্রীলোকের সান্নিধ্য খুবই জরুরী হয়ে পড়ে। কিন্তু কিছুটা সহজ-সরলতার আর একরোখা স্বভাবের ধরুন কারও সাথে ভালো সদ্ভাব বজায় না থাকায় সে নিজের কর্তব্য সমন্ধে কোনভাবে সজাগ হতে পারছেনা।

মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৪

শতকে দুই একজনই কেবল মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকে

জন্মের পরপরই আমাদের একচোখ কানা করে দেয়া হয় আর বাড়ন্তবেলায় কানা হয় বাকী চোখ। যদি বাকী চোখটিকে কানা করা সম্ভব না হয় তবে ব্যথায় কুকরানো অভিনয়ে হলেও তা কানা বলে চালিয়ে নিতে হয়। এতে নিজের অজ্ঞতাকে খুব সহজে ঢেঁকে রাখা সম্ভব হয়, পাশাপাশি দৈণ্যতার জন্যও কারও মুখোমুখি হতে হয় না।
জন্মে যে চোখ কানা হয়, শতকে দুই একজনই কেবল প্রাণপণ চেষ্টায় নিজের কানা চোখটিকে সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয়। আর এই দুই একজনের সামান্য রটনাও সবচেয়ে বেশী ছড়ায়। তবে সব থেকে বড় যে সত্যিটি সামনে দাঁড়ায়, শতকে দুই একজনই কেবল মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকে।

জিজ্ঞাসা

মৃত্যুর কাছাকাছি জন্মের ঘুমে
বিষবৃক্ষ নীলঘুম দিয়েছিল চুমে
জরায়ু ভ্রুণে লেগে জমে যে বিষ
জন্মিতে জন্ম স্বাদ নিঃশ্বাসে নিস
বেদ-কোরানে বিভেদ যেমন জন্মে গ্রন্থবাদী
চক্ষুবিষ দমে লুকায়ে আসছে সকল মানবাদী
লোকচক্ষুর যা অন্তরাল, পায় না কেউ টের
সাম্প্রদায়িক মুখের বুলি আড়ালে তীর ফের
এমনি করে জগত জীবন যাচ্ছে টেনে-টেনে
মানুষ আমরা মানুষ কি রই, সত্য প্রহসণে?

মতভেদ

চোর চুরি করে আর চুরি মহাপাপ। কিন্তু এই চুরি করাটার অর্থ জন বিশেষে ভিন্ন। যেমন কেউ বলে সে পেটের দায়ে চুরি করেছে, কেউ বলে বাধ্য হয়ে চুরি করেছে, কেউ বলে শালা হারামির বদ-স্বভাব বশে চুরি করেছে, তাই বিতর্কের বিষয়টিও জনবিশেষে ভিন্ন হবে।

সাহিত্য

সাহিত্যিক যত্ন করে রুপালী কাগজ আর সোনালী কলমের
দুই‘য়ে মিলে জড়ো করে বিবেকি বিন্যাসের কর্মকান্ড আর স্পন্দন
সোনালী কলম ফালি-ফালি করে কাটে রুপালী কাগজের নাড়ী-নক্ষত্র
জমাট বাঁধা কালো-কালো ছোপে তাতে অক্ষর হয় কিছু অশ্রু বিসর্জণ।

জীবনযুদ্ধ

যুদ্ধের ঢংঙ্গা পেছনে বেজে যাচ্ছে অবিরত। এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই এতে, কেননা এ‘যে জীবনযুদ্ধ। নাকের ডগায় যতক্ষন শ্বাস থাকে ততক্ষন লড়ে যেতে হয়, না হলে ভীরুর ন্যায় অন্ধকারে পালিয়ে বাঁচতে হয়। না অন্ধকারের পালাতে চাই না, নিজের সামার্থ্যক্রমে লড়ে যেতে চাই। কারণ লড়াকু পরাজিত বীরের গৌরব থাকে, কিন্তু কাপুরুষ জঞ্জালরুপে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হয়।

সম্পর্ক

জন্মের পর সম্পর্কগুলো ধীরে-ধীরে পূর্ণ হয়
মৃত্যুর আগে সম্পর্কগুলো ক্ষয়ে-ক্ষয়ে নিঃশেষ হয়।

চেনা

উদারমনা আর উদ্ভ্রান্ত এ দুই শ্রেণীরলোক নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে পারে শত সংকোচ কেটে। কিন্তু যে নিজের দেহ অলংকরণের জন্য খুঁতখুঁতে হয়, দ্বীধাহীনভাবে বলা যায়- সে স্বার্থপর। কোনপ্রকার কার্য্যসিদ্ধি ব্যতীত তার কাছে কিছু আশা করা বৃথা।

সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৪

বলিদান

চাপাতির নিচে ঢলে পড়ে জীবন হয় বলিদান
পথ-ঘাট ভেসে যায় রক্তস্রোতে, নিয়তির কর্মধারায়
ভাঙ্গাকাঁচের জানালায় ভেসে আসে কাঁচামাংসের গন্ধ!

সকলে কেবল বাহিরেরটাই দেখে

স্বাদ-ইচ্ছে যাই থাক না কেন, সকলে কেবল বাহিরেরটাই দেখে। বাহিরের অভিব্যক্তিকে কেবল সত্য হিসেবে ভাবতে চায়।
আপনি আপনার প্রেমিকাকে মিথ্যে আশ্বাসে বারংবার বলছেন ভালোবাসি, সে তাই মানবে। সে বুঝবে আপনার মত তাকে কেউ কোনদিন ভালোবাসে নি, বাসবেনা। সে আপনার জন্যই কেবল ব্যকুল হবে।
আপনজনের অসুস্থতায় আপনি শুধু আবেগগুলো প্রকাশ করেন মুখ দিয়ে, তবেই হবে। তারা বুঝে নেবে, আপনার মত কেউ সতর্ক যত্ন নেয় নি, নেবে না।
কিন্তু কেউ এতটুকু বুঝেও বুঝতে চায় না কিংবা কাউকে এতটুকু বোঝানো সম্ভবপর হয় না, ভালোবাসা সবার মাঝেই থাকে, সবসময়ই থাকে আর সকলেই ভালোবাসার অনলে পুড়ে। পার্থক্য কেউ বাহির পৌঁড়ায় আর কেউ অন্তর। বোধে নিলে এ সত্যই কেবল ধরা পড়বে।

স্বার্থ

অনেক ভেবে দেখেছি, এখনও ভাবছি। উত্তর একটাই মিলল, কেউই ছাড় দিতে রাজি নয়, কেউ ছাড় দিতে চায় না। না বাবা, না ভাই-বোন, না পাড়া-পড়শি-বন্ধু-বান্ধব। স্বার্থসুখেই সকলে মুখে কবুল বলে, আবার স্বার্থ পুরোলেই তালাক দিয়ে পিছু হটে। মুখের কিংবা সুখের স্বাধীনতা নামক স্তবকটিও ভাব না বুঝে নিরুদ্দেশে চলে যায়। সময় মুখোমুখি দাঁড়ালে মতের বিমতে দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তির হাতেও খড়গ চলে আসে।

সজাগ



জীবনযুদ্ধে নিজেকে একা লড়ে যেতে হয়, কিন্তু বাঁচতে গেলে সবাইকে নিয়েই বাঁচতে হয়।
তাই যাদের নিয়ে আপনাকে বাঁচতে হবে তাদেরকে ছাড় দেয়ার মানষিকতা সম্পর্কে বারংবার সজাগ করুন। না হলে আপনার নিজের বেঁচে থাকাটাই দূরহ হয়ে পড়বে।

আলোর বিশোধনে

দিন-রাতগুলোকে আগের মত আলাদা করতে পারি না
আলাদা করতে পারি না হৃদয়ের আধকৌণে জমা স্মৃতিভার।

বুক পকেটে খোলা খামে চিরকুটটি সাক্ষী হয়ে যায়
শুধু সিঁথিতে সিঁধুর লেগে কারও বাসর রচিত হয়,
আর মেনে নিতে না পারা কারও আঁচল ভিজে যায়।

জীবনের বেলাভূমে সবকিছু বড় বর্ণিল!
অথচ আলোর প্রকাশে কত স্বরূপের ব্যত্তি ঘটে
কুয়াশাঘেরা পৃথিবীরও ঘোর কাটে আলোর বিশোধনে।

ছল্

ঘর বেঁধেছি-
সুখকে নিয়ে নয় বরং তোমাকে নিয়ে
স্বপ্ন সাজিয়েছি-
কাউকে দিয়ে নয় বরং তোমাকে দিয়ে
অথচ সাজানো নাট্যশালার রঙ্গচিত্রে-
আমাকে করতে হল প্রতারক পাঠে অভিনয়?

শ্মশানঘাট

পড়ন্তবেলা স্মৃতিকথার হানা দেয়া শেষ হলে
মেঘদল কাঁশফুলে শরতের আকাশ ছুঁয়ে যায়
হঠাৎ অবধারিত বারিধারা নামে,
সমাপ্তীরগল্প পুকুর পাড়ে রচনা করে শ্মশানঘাট।

স্বীকৃতি

যদি আপনি এক ঘন্টা পরে ঘুমান, যদি আপনি এক ঘন্টা আগে উঠেন
তবে পৃথিবীতে কেউ স্বীকার করুক বা না করুক, আপনি অন্য কারও থেকে বেশি কিছু করেছেন।
জানি আপনার কর্মে আপনার কোন লাভ হয়ত হবে না, হয়ত আপনাকে কেউ আপনার যোগ্য সম্মানে অবহেলা করবে, কিন্তু আপনার ভিতরকার শক্তিতে আপনি দৃড় হবেন, আপনি তাতেই এগিয়ে যাবেন। আর এই এগিয়ে যাওয়াই আপনাকে বাঁচিয়ে দেবে, আপনার কর্মের গুণকৃর্তিতে।
------শ্রদ্ধেয় রেজা স্যারের কথা কে কিছুটা বিস্তৃত করে সাজিয়ে লেখা। ( এটা আমার সিনিয়র কলিগ সবুজ ভাইয়ের মাধ্যমে জানা।)

শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৪

মানুষ বাঁচে

মানুষ বেঁচে থাকে নিজের কৃর্তিগাঁথা স্থাপনের আশায়
নতুবা অকারণ অস্পষ্ট বেদনা পুষে রাখার আশায়!

বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০১৪

বেওয়ারিশের আত্মকথণ

পঁচা-গলা আবর্জ্জনার আঁশ দেহে লেপ্টে মলিন হয়েছে খুব
বুভূক্ষু আমি ক্ষুধায় রাস্তায় নামি, ডাস্টবিনে খাবার পাই
পঁচা খাবারে পেট ফুঁলে, মল ঝরে, পথে পড়ি-পড়ি করি
অদেখা অন্তহীন পথে তবু আমি মানুষ হয়ে বেঁচে আছি!


অতীতেও আমি মানুষ হয়ে ছিলাম, বর্তমানেও আমি মানুষ
ভবিষ্যতেও আমি মানুষ হব, ঈশ্বরের নাকি প্রতিজ্ঞা তাই
জন্মের পর জন্ম হবার আক্ষেপ ঘুছে যায় সলর্জ্জ অভিমানে
দূর অধরায় বসে ঈশ্বর খুশিতে ভ্রুকুটি কাটে ভাবোউল্লাসে!

রাগ

আগের মত রাগছি না
তোমার সাথেও থাকছি না
হয় যদি হোক-
সব কিছুর আজ অবসান,
দিন পড়ছে বলে চলি
পথের সাথে কথা বলি
পথ ভূলে হোক-
চোখ ইন্ধনের আহ্বান।

রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

ঘুছবে সকল প্রণয় বাসনা

আমার দেহ তোমার দেহে জড়িয়ে ধর
প্রাণের ব্যাকুল তৃষা মিটিয়ে আদর কর
দেব আমার যা কিছু তা উজাড় করে
দিও তোমার যা কিছু তা তোমার করে।
সুখেরস্রোতে যখন মোদের স্বপ্ন হবে
সে স্বপ্নে নতুন একটা পৃথিবী পাবে
যে পৃথিবীতে জ্যোৎস্না দেবে চাঁদনী কন্যা
রবির আলোয় ঘুছবে সকল প্রণয় বাসনা।।

মা তোমাকে আমি খুব মিস করছি

ছোটবেলা থেকে দেখা স্বর্গালোকপ্রাপ্তীর আগ পর্যন্ত আমার মায়ের যে জীবনযুদ্ধ করে টিকে থাকা, এখনো জ্বলজ্যন্ত হয়ে জ্বলছে আমার দু‘চোখে। এখনকার সকলকে এমনকি আমার বোনদের দিকেও তাকিয়ে আমি নির্ধিদ্বায় বলে দিতে পারি, তার এক কিঞ্চিৎ গ্রহণ করার মতো শক্তিও তারা নিজেদের মধ্যে ধারণ করতে পারছেনা। হতে পারে সময় ব্যবধানই তার প্রধান কারণ।
আমার জীবনের যতটুকু শিক্ষা আজ বর্তমান তার ৭০শতাংশই আমার মায়ের কাছ থেকে আমি পেয়েছি।
আমার লেখালেখির যাবতীর ইচ্ছে বা আগ্রহ, তার সমস্তই আমার মায়ের কাছ থেকে নেয়া। মায়ের মুখ থেকে শোনা দু‘একটা লাইন যেগুলো আমার মনে ধরত, সেগুলো দিয়েই আমার প্রথম দিকের লেখার হাতে খড়ি। যেমনঃ
মা একদিন বললেন- ছোট‘রা কাঁচামাটির চুলোর মতো, এদেরকে ছোটবেলা থেকে যেভাবে গড়ে তোলা যাবে, এরা সে`মতই হবে।

শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

কার্পণ্য

৭৫‘ পরবর্তি সময়ে বঙ্গজননী নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক সন্তান পয়দা করতে না পারলেও মুখোশধারী কপট সন্তান পয়দা করতে কার্পণ্য করে নি।

ভাবনা

যে নিজের বিশ্বাস কে চেনে, বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করতে জানে, সে তার শ্রদ্ধা-বিশ্বাসে নিজের প্রত্যয়কে জানে। কিন্তু অবিশ্বাসী লোকদের কাছে সকলে স্বার্থপর ঠেকে।

প্রবচনঃ সংগ্রহ ননুদাদু থেকে

লেই রাখছি কলাহাত্রে, হুন মারাও গৈ হাত্রে হাত্রে।
( সংগ্রহঃ ননুদাদুর কাছ থেকে)
 

উপরের প্রবচনটি নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় রচিত, যেটা আমি শুধুমাত্র আমার শ্রদ্ধেয় ননুদাদুর কাছ থেকেই শুনতাম। এখানে ব্যবহৃত আঞ্চলিক ভাষাসমূহ- লেই=লিখে, কলাহাত্রে= কলারপাত্রে, হুন= মানব দেহের পশ্চাৎদেশ, মারা= মার খাওয়া/দেওয়া, হাত্রে- জমিনে/ক্ষেতে।
এই প্রবচনটি তিনি তখনই কেবল ব্যবহার করতে, যখন তিনি কাউকে কোন ভালো বিষয়য়ে বুঝাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে রেগে পড়তেন।

বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

রহস্যময় পৃথিবী

পৃথিবীতে মানুষের বিশ্বাসের বাহিরেও অনেক কিছু ঘটে, মেনে নিতে না চাইলেও অনেক কিছু মানতে হয়। এমন কিছু না চাইলেও হঠাৎ মেলে আবার নিশ্চিত প্রাপ্য কাঙ্খিত বস্তুটি অদৃশ্য হয়ে যায়।

পৃথিবী রহস্যময় !!! তাই রহস্যভেদ করার ইচ্ছেও মানুষের মাঝে প্রকট। যদি পৃথিবী রহস্যহীন হত? তবে বেঁচে থাকার এতটা ব্যকুলতা কেহই বোধহয় এতটা বোধ করত না।

মানুষ বেঁচে থাকবে

[গল্পঃ মাতৃহৃদয়
এই কিছুক্ষন আগেই কাদিরমিয়ার পুকুর থেকে স্নান সেরে ঘরে ফিরলাম কানুর সাথে, শীতকালের এই সময়টাতে আমাদের বাড়ির তিনপাশে তিনটে পুকুর থাকলেও ফসলি জমির সেচ করতে-করতে শীতকালে প্রায় পানিশূণ্য হয়ে পড়ে। তাই এই সময়টাতে আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় মিনিট পাঁচ-সাতেকের পথ হেঁটে কাদির মিয়ার পুকুরে স্নান সারতে হয়। স্নান করতে গেলেই প্রায় প্রতিদিনই আমাদের গল্পের আসর জমে, চারপাশের ফসলি সবুজ জমি তার মাঝখানটায় গাছগাছালি ঘেরা পুকুরটি সাক্ষী হয়ে যায় আমাদের জীবনে পার করে যাওয়া কতশত গল্পের স্মৃতিকথায়। তাছাড়া কাদিরমিয়ার পুকুটির অবস্থান এমনস্থানে যেখানে শীতকালে পুকুরের পানিতে সূর্যের আলোয় কিছুটা তপ্ত থাকে, ফলে আশপাশের অনেকের পুকুর থাকার স্বর্ত্ত্বেও, শীতের ভয় ভেঙ্গে গোসল করতেও ওখানে ছুটে। যাই হোক স্নান সেরে এসে যখনই ঘরে ডুকলাম, ঠিক তখনই শান্তিঠাকুরমার চিৎকার শুনতে পেলাম। আমাদের বাড়ি হতে প্রধান রাস্তায় বের হতে একশ কদম পার হলেই তাদের বাড়িটি। শান্তিঠাকুরমা সম্পর্কে আমাদের রক্তের জ্ঞাতী, মানে আমার দাদার বাবার পক্ষীয় সম্পর্কের রক্ত। আর আমাদের হিন্দু সমাজে আমরা আজও বোধকরি অনেকে ৭ টা বংশধর পার হওয়া পর্যন্ত জ্ঞাতীকে চেনার চেষ্টা করে।

মাতৃহৃদয়

এই কিছুক্ষন আগেই কাদিরমিয়ার পুকুর থেকে স্নান সেরে ঘরে ফিরলাম কানুর সাথে, শীতকালের এই সময়টাতে আমাদের বাড়ির তিনপাশে তিনটে পুকুর থাকলেও ফসলি জমির সেচ করতে-করতে শীতকালে প্রায় পানিশূণ্য হয়ে পড়ে। তাই এই সময়টাতে আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় মিনিট পাঁচ-সাতেকের পথ হেঁটে কাদির মিয়ার পুকুরে স্নান সারতে হয়। স্নান করতে গেলেই প্রায় প্রতিদিনই আমাদের গল্পের আসর জমে, চারপাশের ফসলি সবুজ জমি তার মাঝখানটায় গাছগাছালি ঘেরা পুকুরটি সাক্ষী হয়ে যায় আমাদের জীবনে পার করে যাওয়া কতশত গল্পের স্মৃতিকথায়। তাছাড়া কাদিরমিয়ার পুকুটির অবস্থান এমনস্থানে যেখানে শীতকালে পুকুরের পানিতে সূর্যের আলোয় কিছুটা তপ্ত থাকে, ফলে আশপাশের অনেকের পুকুর থাকার স্বর্ত্ত্বেও, শীতের ভয় ভেঙ্গে গোসল করতেও ওখানে ছুটে। যাই হোক স্নান সেরে এসে যখনই ঘরে ডুকলাম, ঠিক তখনই শান্তিঠাকুরমার চিৎকার শুনতে পেলাম। আমাদের বাড়ি হতে প্রধান রাস্তায় বের হতে একশ কদম পার হলেই তাদের বাড়িটি। শান্তিঠাকুরমা সম্পর্কে আমাদের রক্তের জ্ঞাতী, মানে আমার দাদার বাবার পক্ষীয় সম্পর্কের রক্ত। আর আমাদের হিন্দু সমাজে আমরা আজও বোধকরি অনেকে ৭ টা বংশধর পার হওয়া পর্যন্ত জ্ঞাতীকে চেনার চেষ্টা করে।

সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

হুঁশ ও ত্যাগ

একজন জীবন্ত ক্রুশ আর জাগতিক যত হুঁশ
ছড়িয়ে পড়ে সমাজে সংসারে
একজন জীবন্ত ত্যাগী আর সংসারে যত ভোগী
ছাড়ে সংসার যোগীরূপ ধরে!

রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

ক্ষমতা আর জীবন

চোখ রগাড়াতে-রগাড়াতে টকটকে লাল হয়ে গেছে, অনিয়মিত খাওয়া আর অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে চেহারার জলুস ভাঙ্গা শরীরের শীরদাঁড়াগুলো স্পষ্ট চোখে লাগছে। তবুও পেটের দায়ে আজ পথে নেমেছে ৬০ উর্দ্ধ বিনয় দত্ত। সারাদিন এধার-ওধার খুঁজে হয়নি তার আহারের ব্যবস্থা। চলার সামার্থ্য নেই তবু পরিবারের দায় বয়ে সংকোচে-সৌহার্দ্রে ফিরতে পারছে না। ঘরে যে পড়ে আছে তার জন্মান্তরের বন্ধিনী স্ত্রী মানষী, অকালে যৌবন খুইয়ে মরা ৩০ উর্দ্ধা একমাত্র কন্যা নীরা।

লজ্জায়; শারীরীক দূর্বলতায় পথ চলে না তার, তবু সংকুলান বুঝে না মনের শক্তি। বিকেল ঘনিয়ে এলে শ্রান্ত দেহ তার এলিয়ে পড়ে পথের কদম গাছতলায়। চোখ ভেঙ্গে আসে কিন্তু ঘুম আসে না, দিনভর কোন ভয়, হতাশা, বিষন্নতা তাড়িয়ে বেড়ায়। ঠিক তখনই দু‘চোখ ভিজে যায় অতীত স্মৃতির মূর্চ্ছনায়। বিনয় দত্তের মনে আসে সে দিনগুলোর কথা। দেশান্তরি হবার আগের দিনগুলোর কথা।

নষ্ট চেতনা

এ দংশন হতে নিস্তার মিলবে কিসে?
যদি দংশনে নতজানু হয় বিবেকের দায়,
মুক্ত হবার দায়ভার হতে মুক্তির মুহূর্তে?

ভাবতে গেলে অবাক হই!
মানুষ যদি মানুষই হয়, তবে এ দায় হবে কেন?
যে জন্মদাতা-জন্মদাত্রী রক্তধারায় পুষে, তাদের নিষ্ঠুর পরিণয়

চতুরতা

খেলাঘরে চতুর খেলোয়ার এলে- খেলার ধরন পাল্টায়, রুপ পাল্টায়
বলে এভাবে খেললে নাকি খেলা আরও নব্যতা পায়।
আমরা প্রতিদিনকার খেলার রুপ বদলায়ে খেলি। নতুনরুপের খেলায় মজি,
কিন্তু; দিনশেষে আমাদের রুগ্নরুপের খেলাই প্রিয় হয়।

খোঁজ

ধীর! আরও ধীর হয় চলার পথ
একলা চলতে পিচ্ছিল পথে শীতল হাওয়ায় জমে যাই
তবু উষ্ণতার আশায়, দেহ কেটে-কেটে শিরা খুঁজি
যেখানে জমেছে সে উষ্ণ রক্তটুকু...

দিনপড়েছে

চেতনার জীবন খর্ব হলে, ব্যবচ্ছেদের পর জীবন পাই
ভাবি এ জীবন কি জরায়ুর উৎপাদনের মতোই ক্রিয়াশীল?
দিনপড়েছে বলে প্রতিবাদী স্বর ঝিমিয়ে পড়ে নিরাশ্রয়ে।

খোলা চিঠি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী;
আমরা লজ্জিত, আমরা খুবই লজ্জিত আর দুঃখিত। দুঃখ ভারাক্রান্তচিত্তে বলছি- আপনার দল আওয়ামীলিগ কিছু শিখুক আর না শিখুক রাজনীতি করতে শিখেছে, তাই তাদের কাছে সবধরনের চলন-বলন-ধরন ‘ই রাজনীতির চালে চালিত করতে উৎসাহ দেয়। এখানে আমাদের আম-জনতার চাওয়া-পাওয়া তাদের কাছে বড় কিছু নয়, আমাদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসে ইতোমধ্যে আপনারা তা আমাদের দেখিয়েও দিয়েছেন।

দেখছি

চেয়ে-চেয়ে দেখছি
কি করে মানুষ মানুষ হয়
অমানুষ জাতে যায়....

আমি আমার নিজেকে আকড়ে পড়ে থাকতে চাই

না আর ইতিহাস শুনতে চাই না,
ইতিহাস মিথ্যে বলে, ইতিহাস প্রতারণা করে
ইতিহাস আমায় কটাক্ষ করে, আমার চেতনা নিয়ে ব্যবসা করে
না, আমি আর ইতিহাসের দারস্থ হতে চাই না, সব প্রতারক, সব প্রতারনা। সবাই সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করে, ইতিহাসকে মিথ্যে বানিয়ে দেয়। আমার বাঁচার দুয়ার রূদ্ধ করে ফেলে। আমি আর কোনদিন এই ইতিহাস আকড়ে ধরে থাকতে চাই না। আমি কেবল নিজের গোলার্ধকে আকড়ে রেখে বাঁচতে চাই।

দয়া করে বেঁচে থাকা বাকী চেতনাটুকু কেউ কিনতে আসবেন না, আমি আমার নিজেকে আকড়ে পড়ে থাকতে চাই।

আওয়ামীলিগের প্রতি-

চেতনার বীজ রোপণ করে,
আমাদের আবাদক্ষেত্র করলে
চারাগাছ গজালে এই আবাদে,
যত্ন করতে অন্যে দিলে?

ফল গজালে এই আবাদে,
ভাগ-ভাগি করে নিলে
আমাদের এই আবাদক্ষেত্র
বিরাণ করে দিয়ে গেলে?

এই আমার ভেতরের আমি

মানুষের মন বড় বিচিত্র আর অস্থির।
তাই কি?
ঠিক বেঠিক জানি না, তবে আমার মতো করে পৃথিবীকে চিন্তা করি বলে আমার কাছে তাই মনে হয়। তাই এই আমি-

কখন কখন ভাবুক হয়ে যাই। ভেবে চলি- কিছু নিয়ে গবেষনা করে দুনিয়াকে চমকে দেব! আরে না না বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে যাবে সমস্ত বিশ্বব্রক্ষ্মান্ড ঠিক এমন একটা কাজ করে তাক লাগিয়ে দেব!

কখনো আবার রক্তের টান পড়ে, ছুটে যাই সে চিন্তায়। ভাবী কত কর্তব্য পড়ে আছে। আমার নিয়ে যে যা ভাবুক, আমার জন্য কেউ কিছু করুক বা না করুক, সবাইকে টেনে তুলব একে-একে। সবাইকে বুঝাবো এভাবে টান-পৌড়ন, ঝগড়া-ঝাটিতে সুখ নেই। আমাদের দেহে একই রক্ত, তবে কেন বুঝতে পার না আবেগ-অনুভূতি। ফিরে এস!! আমরা সমস্ত বিভেদ ভূলে একটা শৃঙ্খলে আবদ্ধ হই।

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

নিষ্কৃতি ও জিজ্ঞাসা

বর্ণচোরা; যতবার হাত বাড়িয়েছে
ততবারই করে গেছে এ দেহে কারবার
আমি ধরতে পারি, বরাবরই ধরতে পারি
কিন্তু ততক্ষনে সে নেই।
আমারও অবস্থা নেই
আগের মতো পথে দাঁড়াবার!
বটতলার সন্ন্যাসী
সে সাঁঝ হলে কোথায় ফিরে যায়
পথের ভিখারী

দোহাই

দেবার মতো নেই যে কিছু, 
শূণ্য আমি ধরা তলে
বাসনা তোমার পূর্ণ চাঁদ, 
নেমেছ সুখে অতল জলে।

আমার নাই যে কিছু নাই, 
আমার ভেতর তোমার ছায়া আঁধারে লুকাই
তোমার পথ জ্যোৎস্নার আলোয়, 
যাও সে পথে দেই দোহাই।

বুঝ

ছেড়ে দেবার মত শূণ্য এ‘ঘর, নির্ঘুম আঁধার
আকাশ-বাতাস-রাত মর্ত্ত হয় মাদকতায় 
অনন্ত যৌবণ ঘিরে কেবল শূণ্য হাহাকার।

ওপাড়ের ষোড়সী বালিকা, সেও বুঝে উঠে না,
সাত-সকালে ফুল তুলতে তারও মনে আসে
কার আশায় ফুল তোলা? কার আশায় গাঁথা মালা?
অথবা কার তরে হৃদয় জড়িয়ে পড়ে ফাঁসে।

বাবা দেখা দে, নইলে টাকা দে

এলাকায় একপরিচিত- তাকে আমরা কাকা বলেই সম্মোদন করি।
কাকা সিদ্ধপুরুষ শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারীর ভক্ত। 
তো হয়েছে কি, একদিন লোকনাথ মন্দিরে শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারীর আর্বিভাব তীথি কিংবা তীরোধান তীথির অনুষ্ঠান চলছে (স্পষ্ট মনে নেই)।
হঠাৎ কাকা শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারীর মন্দিরের সামনে ষষ্টাঙ্গ প্রণাম করে আবেগকাতুর হয়ে পড়লেন। আবেগঘন কন্ঠে তিনি বলতে লাগলেন- বাবা দেখা দে, নইলে টাকা দে। দে বাবা, দে..... 

বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আমার চিন্তায় সমাজের পচন ঘাত সৃষ্টির কারণ

চলতে পৃথিবীতে কিছু-কিছু চাহিদার বাস্তবিক প্রয়োগের কোন প্রয়োজন নেই। তবুও কেহ-কেহ তা করে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ চরিতার্থের জন্য, অন্যের পেটে লাথি মেরে নিজের অবস্থান সুস্থির করার জন্য।

প্রত্যেকের জন্য মৌলিক চাহিদাসমূহ যেমন- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বিনোদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী। সাথে বংশবৃদ্ধি কিংবা সমাজ-সংষ্কৃতি রক্ষায় জরুরী সমাজ-সংসারের। অথাৎ একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের চাহিদাগুলো অপরিহার্য। যদি তা হয় তবে এর ব্যতীত আমরা যা কিছু চাই তার প্রয়োজন কতটা? আর এর ব্যতীত অন্যকিছু প্রয়োজন অনুভব কি অস্বাভাবিক জীবন?

আমার মতে মৌলিক চাহিদা কিংবা স্বাভাবিক সংসারজীবন ব্যতীত মানুষের যে কোন চাওয়ার পিছনের যে কারণ তা হল তার মধ্যেকার অস্বাভাবিক আচারণের তাড়না। আর এই অস্বাভাবিক তাড়নাই মানুষের পাশবিক তাড়নাকে প্রগাঢ় করে। এখানে অস্বাভাবিক তাড়না তখনই অতিমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে, যখন মানুষের মৌলিক চাহিদার বাহিরেও সবকিছুর অঢেল মজুত থাকে।

শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

মানুষের মুখের ভাষা আর মনের ভাষা যদি এক হত

মানুষের মুখের ভাষা আর মনের ভাষা যদি এক হত, তবে পৃথিবীর প্রতিটি পদক্ষেপ দূষ্কর ঠেকত।

জীবনের কিছু-কিছু মুহূর্ত জীবনকে এতটাই বিষিয়ে তোলে যে, প্রিয়জনদের ঘিরে অনেক অপ্রিয় গরল অনিচ্ছায় বেরিয়ে পড়ে কিন্তু গরল উগঢে গিয়ে মন যখন স্থির হয়, তখন মমতার বন্ধনে আবদ্ধ হৃদয়ে জমে থাকা আকুতিগুলো আরও ব্যকুল হয়। অনুশোচনাবোধে ক্ষমাযোগ্য হৃদয়ের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়।

জীবনের প্রতিটি ধাপে বোঝাপড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, না হলে চলার পিচ্ছিল পথে পড়ে দেহের প্রতিটা পাঁজর ভেঙ্গে চূর্ণ হতে পারে। তাই দ্বিধা-দ্বন্দ যাই থাকুক না কেন- প্রিয়জনদের মনকে বুঝতে সচেষ্ট হওয়া খুব প্রয়োজন, নচেৎ সামান্য হোঁচটও জীবনের জন্য কঠিন সময় বেঁধে দিতে পারে।

স্বার্থের পৃথিবীতে

ঠিক কিছুই বোধে আসে না;
কি করে চিবুক এত জমে
কি করে জীবন যায় থেমে!

লিখেছি ছায়াপথে হেঁটে চলার গল্প
নিষ্কৃতি মেলে নি
মঞ্চে করেছি জীবননাট্যের মঞ্চস্থ
স্বীকৃতি আসে নি।

শুধু ভাবি; কোথায় উদরে রাখা পিতা! 
কোথায় হারিয়েছে মমতাময়ী মাতা?
ছায়াপথে একে-একে হারায় পাড়া-পড়শি,
জীবনের গল্পে সবাই থাকে, তবু সারাক্ষন নিঃসঙ্গ উদাসী

স্বার্থের পৃথিবীতে রক্তের টানও ছিড়ে ছুটে বার-বার অধরায়।

সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

অভিমান

চলে যাব;
শৈশব গেছে, কৈশর গেছে, ধীরে-ধীবরে যৌবণও সে যায়
অথচ খড়-কুটেতে আটকে থাকা শরীর চিতলে শীতল হয়!
তাই বলে ভেবো না- চিতলে দাঁড়কাক দাঁড়াবে বিনা অনাদরে।

লক্ষ তাঁরারা ডুবে যায় মাঘের পূর্ণিমার জ্যোৎস্না স্নানে এসে
গোপণ শশীকিরণ পৌঁছে কাঁধ-জোড়াল বয়ে যুবকের ধমনীতে
ডুবে মর্ত্ত হওয়া প্রেমের পালে হাওয়া ধরা তেরটি প্রেমের আখ্যান
অথচ সলিল গল্পে জমে থাকে কত-কত ভুতূড়ে সমীক্ষা।

এ কি মনুষ্য জীবন?

প্রত্যেকটি দেশের মানুষ রাজধানী বা বড়-বড় শহরগুলোতে বসবাস করে বাড়তি নাগরিক সুবিধার জন্য। খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা কিংবা জীবনযাপনে একটু আরাম আয়েশের জন্যে। অথচ আমরা আমাদের রাজধানীতে বসবাস করছি একান্ত ঠেকায় পড়ে। রাজধানীতে বসবাস করতে গিয়ে আমাদের নাগরিকবোধ জাগ্রত হবার বধৌলতে দিনকে-দিন আরো থমকে যাচ্ছে। মানুষ পরকালের ভয় দেখায়- বলে ওখানে নাকি বড় যাতনা-যন্ত্রণা নির্মম জায়গা। অথচ রাজধানী জীবনে যে নির্মমতার মুখোমুখি হচ্ছি এরচেয়ে সে যন্ত্রণা আসলে কতটা বেশী এখনও তা বোধগম্য নয়। শুধু এইটুকু বলতে পারি- জীবনটা বড় বেশী দূর্সহ ঠেকছে। না খাওয়ায় শান্তি, না চলায় শান্তি, না বসতে শান্তি, না উঠতে শান্তি, না ঘুমাতে শান্তি, না জাগরণে শান্তি। সবস্থানে শান্তিদের কতটা অসহায় অবস্থান তা বলাই বাহুল্য।

সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৪

মানুষ স্বার্থপর

“ঝিনুকের বুকে মুক্তো থাকে”
আকর্ষিত এই মুক্তোর জন্য ঝিনুকের দেহ ছেদ করতে মানব হৃদয়ে কোন কার্পণ্য নেই।
“সাপের মাথায় মনি থাকে”
অমূল্য এই মণি‘র জন্য সাপের পাগলের মতো ছুটাছুটিতে মানব হৃদয়ে সহমর্মিতা নেই।
বরং ছল্-ছল্ চোখ পরিপূর্ণ হয় মোহ-কামনায়। কেননা মানুষের চোখে যা অমূল্য বা আকর্ষিত, তার জন্য অন্যের জীবন এতটা অর্থপূর্ণ নয়। বরং মানুষের লিপ্সা-স্বাদ-অভিলাষটাই মূখ্য সর্বত্র।

হ্যাঁ; মানুষ কেবল আপনাতে ছুটে, আপনাকে প্রশ্রয় দেয়। শুধু আপনার সুখ-সাচ্ছন্দের নেশায় মগ্ন থাকে। জীবনের বিবিধ প্রয়োজনে সে প্রথমে তার পরিবারকে টানে, আরো প্রয়োজনে নিজ জাতিগোষ্ঠীকে টানে, উপলক্ষ্যে সে সমাজকে টানে, জন্মটানে দেশকে টানে, জ্ঞানের বিশ্লষনে পৃথিবীকে টানে।
কিন্তু সবছাপিয়ে এ সবচেয়ে বড় সত্য হয়ে সামনে দেয়াল তুলে দাঁড়ায়- নিজের লিপ্সা-স্বাদ-অভিলাষ পূর্ণ করতে বেশীরভাগের কাছেই অন্যের জীবনের আপাত কোন গুরুত্ব বহন করে না।

প্রয়োজন পড়ে ত ঘায়েল কর

প্রয়োজন পড়ে ত ঘায়েল কর পাছে!
এই ত বেলা পড়ে এল-
আগে ভোরগুলোতে সাগরপাড় ঘুরে শঙ্খ মিলত
এখন তারা ক্লান্তির হাত ধরে চলে যায়।

বোধ আমার হল না- হলে পড়ন্তবেলায়
এতটুকু পদছায়ায় বেহাল হত না সুরের সতীন বেহালা
নাট্যশালায় মূর্চ্ছা যেত না ধ্রুপদী কাব্যধারা
অথবা অসময়ে অঙ্কুর বাঁধত না খরচে বেলার লুপ্তবোধ।

মানুষের মানুষিকতা

মানুষের মানুষিকতাই মানুষকে যেকোন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করা। কিন্তু বেশিরভাগই তার মানষিকতাতে ঔদ্ধত্য থাকে। সকলে নিজেই নিজের মনকে নিয়ে বিশ্লেষন করে, কিন্তু মুখোমুখি হতে গেলে তাতে আর তার সুখ থাকে না।

আমি আমার জীবনের অভিজ্ঞতা হতে দেখেছি- পৃথিবীর ১০ শতাংশ বাহুবলে কিংবা ক্রোধ বলে কখনোই প্রকৃতির সাথে খাপ খায় না (এরা সমাজের আবর্জনা, সমাজ সংসার এদের জন্য দূষিত হয়। অবশ্য একটা দিক থেকে এদের প্রয়োজন, দিকটা হল- জীবনের বোধদয়। এদের জীবনকে বিশ্লেষন করেই সকলে সত্য আশ্রয়ে প্রস্তুত হয়।), ৪০ শতাংশ লোককে জোর করে বাস্তবতার মুখোমুখি করাতে হয়, ৩০ শতাংশ লোক দায়ে পড়ে শেখে, ১০ শতাংশ লোক বুঝেশুনে বাস্তবতার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত হয় আর ১০ শতাংশ লোক স্বয়ংক্রিয় প্রকৃতিক সাথে সংযুক্ত থাকে।

ছিঃ থু, থু, থু.....

কেউই হিংসা-দ্বেষ কিংবা ক্রোধ বিবর্জিত নয়, ক্ষমতার তরণী সৎ উদ্দেশ্যে পালন অতি শক্ত। না‘হলে ধর্মের বাহানায় প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হয়ে মানুষের শীরচ্ছেদ কি করে সম্ভব?

ধীক্কার জানাই ধর্মের নামে ভন্ডামী করা সে #সুন্নীজংগীগোষ্টী কে, যারা মুরতাদ বলে প্রকাশ্য দিবালোকে মনুষ্যত্বকে বলি করে। অসহায় ক্ষমতাহীন আধিবাসীদের শীরচ্ছেদ করে।

ছিঃ থু, থু, থু.....

শিক্ষা অর্জনের যর্থার্থতা সম্পর্কে সকলের সম্যক জ্ঞাণ থাকা অতীব জরুরী

মানুষের জীবনকে পরিপূর্ণতায় ভরিয়ে দিতে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু জীবনের জন্য সে শিক্ষা কোন গুরুত্বই বহন করে না, যে শিক্ষা হতে মানুষ সৎ ইচ্ছা বা সদ্ আচারণ রপ্ত করতে ব্যর্থ হয়।

প্রতিটি শিক্ষাই মিথ্যা আচার-ব্যবহার তুলে ধরে, সমগ্রকে জানতে শেখায়, জানতে শেখায় মিথ্যা থেকে পরিত্রাণের উপায়। কিন্তু যে বিদ্বাণ ব্যক্তি বিদ্যাশিক্ষার সব্বোর্চ্চ স্তরে উপণীত হয়েও মিথ্যা আচারণটাই শুধু রপ্ত করতে শেখে অর্থ্যাৎ বিদ্যাশিক্ষার সত্যিকারের উদ্দেশ্য হতে বিচ্যূত হয়, তার শিক্ষার পরিব্যপ্তি কখনোই জনহীতকর কাজে সংযুক্ত হয় না। বরং দিনকে-দিন তার পরিব্যপ্তি সমাজকে কলূষিত করে, দেশকে দূষণ করে, মনুষ্যত্বকে বিলোপ করে। তাই শিক্ষা অর্জনের পূর্বে শিক্ষা অর্জনের যর্থার্থতা সম্পর্কে সকলের সম্যক জ্ঞাণ থাকা অতীব জরুরী।

মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৪

পাখি উড়ে যাও পথ

পাখি উড়ে যাও পথ
ধর আপন সীমানা
ভূল পথে যেও না
পড়বে বেধীর নিশানা।

সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৪

শেষ হয়

প্রদ্বীপশিখা কেরোসিনের যন্ত্রণায় জ্বলে শেষ হয়
আর আমার শেষ হয়, কষ্ট মন্ত্রণার দাহে।

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৪

সন্মুখে

সানন্দা তখনও দেখে নি আমায়
নিবারন ভট্টাচার্য্যের হৃদয়ের কুড়োঘর
সানন্দার চোখের আড়াল হয়েছে বহু আগে-
মুখোমুখি বিবশ শরীরে যখন সন্মুখে দাড়াই
তখন সানন্দা আকস্মাৎ চমকে উঠে। বলে-
তুমি কখন এলে? চেনাই তো যায় না!
বুকের ভেতরকার উষ্ণ নিঃশ্বাস বয়ে চলে
বলি- চিনতে কি চেয়েছিলে কখনো?

ঈদের শুভেচ্ছা

জীবনের পথে চলতে-চলতে যখন বোধ আসে- এ বোধহয় আমি থেমে গেছি, ঠিক সে সময়ের একটা উপলক্ষ্য একটা অনুভূতি জীবনকে নতুন করে চালকের আসনে বসিয়ে দেয়। নতুন করে বাঁচতে শেখায়, স্বপ্ন দেখতে শেখায়, নতুন করে ভালোবাসতে শেখায়। গম্ভীর আড়ষ্ট জীবনের গতানুগতির ধারাকে পরিবর্তনের যে সমূহ স্বীকৃত সুখ, আরাধ্য অনুভূতি তাহাই খুশি।
প্রতিটি খুশিই এক-একটা পীড়ার মহাঔষধ, জীবনকে চেনার নতুন এক আয়োজনযজ্ঞ। ভালোবাসায়, মমতায়, স্নেহ কিংবা সোহার্দ্যের অটুট বন্ধন গঠনে সজ্জিবনী শক্তি। যে শক্তি আত্মাকে বিশুদ্ধ করে, শেখায় ভাগ করে রাখা ভালোবাসার সংযোজন।
স্নেহ-সান্নিধ্য-ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক সকলের প্রাণ নতুন উৎসাহ আর উজ্জিবিত শক্তিতে, সে কামনায়- সকলকে ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা।
শুভ ঈদ মোবারাক।

আদায়


রিপন সম্পর্কে কাকা, প্রায় সমবয়েসি কাকা-মামা-ভাই-ভাতিজা সবাই বন্ধু বনে যায় একসময়। তাই কাকার অংশটা বাদ গিয়ে রিপনও বন্ধু হয়ে গেছে। কিন্তু বন্ধু হলে কি হবে, কাকাবন্ধু কিন্তু বন্ধুত্ব রক্ষার্থে কিছুটা কার্পণ্য করে। মানে বন্ধুমহলে বন্ধুত্ব গাঢ় করতে গেলে মারা-মারি, খেলাধুলা, খাওয়া-দাওয়া সব হতে হয়। কিন্তু কাকাবন্ধু সবকিছুর বেলায় থাকলেও খাওয়ানোর বেলায় কিছুটা কার্পণ্য করে। তাই সকলে মিলে নানান প্রচেষ্টা চালাচ্ছি কাকাবন্ধুকে একটু সাইজে ফেলতে। তো একদিন-দুইদিন কাকাবন্ধু সিষ্টেম করে পালিয়ে বাঁচে, কোনভাবেই তাকে সাইজে পাচ্ছে না কেউ। একদিন সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল আজ তাকে ধরতেই হবে। তাই রাস্তায় আড্ডা দেওয়ার ফাঁকে সবাই মিলে কাকাবন্ধুকে ধরে ফেললাম, সকলের মুখে এক‘রো কাকা আইজকা খাওয়াতেই হবে। কাকা নানান অজুহাত শুরু করল, শেষ বলল তার হাতে টাকা নেই। কিন্তু আমরা জানি তার কাছে টাকা আছে, কিন্তু সে খাওয়াবে না।

সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০১৪

সম্মান

খাদ্য দেহকে সচল করে, দৈহিককর্ম মনকে সচল করে
কিন্তু; জীবনের সচলতা সম্মান ব্যতীত টিকে না।
(বি.দ্রঃ সম্মান নির্ভর করে ব্যক্তির চিন্তা-চেতনার উপর)

ক্ষোভ

কোন বিষয়ে জন্মানো ক্ষোভই মানুষকে হিংষার আগুনে পুড়ে দগ্ধ করে।

রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৪

অনুসন্ধান

প্রত্যেকে প্রিয়জনের সুখী হবার সঠিক কারণ অনুসন্ধান না করেই তাকে খুশি করার জোর প্রত্যয় চালায়..

শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৪

অক্ষমের ভালোবাসা

বসন্তের পাপড়িতে জাগে অক্ষমের ভালোবাসা
বৃন্তের বুকে মধু, কৌঠরে বীজের আশা।

শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০১৪

যতন করে রেখ

দেহখুটে কষ্টগুলো গেঁথে দিলাম ঝিনুকমালায়
গলায় না দাও ওহে বৈষ্ণবী,
যতন করে রেখ তোমার ঝুড়ির তলায়।

বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০১৪

যাচা

যেচে খোঁজ নেওয়ার মানষিকতা খুব কম মানুষের মাঝেই থাকে। খুব কম জনই জানতে চায় অন্যের দুঃসহ পরিণতিটিকে, দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়টিকে, পীড়িত সময়টাকে, হাতপেতে থাকা করূণ চাহনীটাকে। বেশিরভাগই এড়িয়ে যেতে চায় বিবেকলব্ধ জ্ঞাণকে, প্রয়োজনীয় বিষয়কে, চোখে সামনে পড়ে থাকা অনেক সত্যকে।

সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০১৪

একরত্তি স্বপ্ন

দাম দিয়ে মুক্তির স্বাদ মেলে না
অথচ অর্হনিশ বিনেপয়সার নোনাব্যথারা কত সহজে চোখ ভিজিয়ে যায়।
ধ্যাৎ!! জীবনটা মস্তবড় ফাপরের জায়গা, কতকিছু বিনে পয়সায় মিলে
অথচ হাজারো চেষ্টাতেও একরত্তি স্বপ্নকে আগলে রাখা কত কঠিণ।

জীবনের জন্য

তুমি নারী হয়েছে আমার জন্য
আমি নর হয়েছি তোমার জন্য
জীবন যখন বাহু বন্ধনে বাঁধে
সৃষ্টি সুখ জন্মে জীবনের জন্য।

সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০১৪

গ্রহণযোগ্য কারণ

চিরকাল শত্রু হবার মাঝেও সুখ মেলে, যদি সে শত্রুতার গ্রহণযোগ্য কারণ জানা যায়।

রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৪

গন্তব্য

চলার পথটুকু হতে পারে বন্ধুত্বের কিংবা বাসনার
চলতেও একসাথেই শুরু করতে পারি,
কিন্তু; গন্তব্য যে আমাদের সকলের বিভিন্ন।।

স্তনবৃন্তে

স্তনবৃন্তে শুধুমাত্র জন্মশিশুর তৃষ্ণা মেটে না
লাজুক ময়ুরীও সাজে, মধুর সুখও ঘুছে।

শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৪

অজ্ঞতার দূর্বলতা

সময়ক্ষেপনে জীবনের প্রতি যে রূদ্ধদ্বারের ভয় কার্য্যকর হবার কথা তাও খানিকবাদে সমাপ্ত হয়।
তবে সংষ্কার বিষয়ে সৃষ্ট উৎপীড়নটুকু দায়িত্বেরসহিত শোধরানোর পূর্বেই মানুষের অজ্ঞতার দূর্বলতা নিয়ে এত নাড়াছাড়া কি ঠিক?

শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০১৪

তুমি আমায় না...

নির্গুম চোখে রাত কেটে যায়, কেটে যায় দিনের আলো
তুমি আমায় না বাসিতে পার, আমি বেসেছি ভালো
ছোট-ছোট স্বপ্ন, মনের অনুভব, আবেগী হৃদয়ে রেখে
তুমি আমায় না ডাক কভু, আমি যাব তোমায় ডেকে।

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৪

প্রসঙ্গ: গাজা

জাতিসংঘ পুরোটাই আবালি সংগঠন। যাদের মগজের প্রকোষ্ঠে লেগে আছে পুঁজিবাদের শোষনের দিক-নির্দেশনা। যারা ক্ষমতাসীনদের পা‘ছাটা দালাল, যারা সত্যের নাম করে ভন্ডামী করে, ভালোর মুখোশে সৎ-সাহসিদের সাথে প্রপঞ্চনা করে, বিভ্রান্ত করে। এরা নিকৃষ্ট পশুরদল, এদের মগজ শোষণের, নিপীড়নের বিরূদ্ধে এরা নিঃশব্দ পা ফেলে, সবলের শক্তির উন্মোচিত করতে এরা জাগ্রত হয়, এরা মিথ্যা আশ্বাসে মানুষের বিশ্বাস‘কে নিয়ে খেলে। তাই গাজার এমন নির্মম মানবতার বিরূদ্ধে এরা নিস্তব্ধ, নিরব। বিশ্ববাসীর সকলের উচিত এই দালাল সংঘকে প্রত্যাখ্যান করে মাণবতার পক্ষে এগিয়ে আসা। যে নির্মমতায় সুন্দর ফুলগুলো ঝরে যাচ্ছে, সে নির্মমতার বিরূদ্ধে সকলের স্বোচ্ছার হওয়া।

প্রসঙ্গঃ যৌনকর্মীদের উচ্ছেদ

যৌন বিষয়ক লেখা লিখতে বিবেকে বাঁধে, কেননা আমার ফেবু ফ্রেন্ডলিষ্টে আমার অনেক ছোটভাই-বন্ধু আছে, আছে আমার থেকেও অনেক বয়োজ্যোষ্ঠ শ্রদ্ধেয়, তারপরও না লিখে পারছিনা। কারণ- নির্মম সত্যকে মিথ্যার প্রশ্রয়ে ঢেঁকে রাখা সম্ভব নয় বলে।

নারায়নগঞ্জের ন্যায় টাঙ্গাইলেও যৌনকর্মীদের উচ্ছেদ অভিযান চলছে। কিন্তু কি উদ্দেশ্যে? কাদের স্বার্থচরিতার্থ করার আশায় কোনপ্রকার পূর্ণবাসন ছাড়া যখন এভাবে উচ্ছেদ অভিযান চলে? আর এর উদ্দেশ্য কি দাঁড়ায়? আমি বলছি- এ‘যৌনকর্মীদের উচ্ছেদ করার পর এরা কি যৌন ব্যবসা ছেড়ে দেবে? যদি ছেড়ে না দেয়, তবে তাদের জীবন-যাপনের ব্যবস্থা কি? ঠিক কোন প্রকারে তাদের জীবন চলবে? সরকার, সরকারী প্রসাশন কিংবা ক্ষমতালিপ্সু নেতা‘রা কি এ‘ব্যপারে কোন পদক্ষেপ নিয়েছে? যদি না নিয়ে থাকে, তবে এর সুদূরপ্রসারী ক্ষতিটার হিসেব কি কেউ করছে?

করব জীবন অঙ্গার

বেদনারা লেগে আছে বীষের শরীরে-
দেহখুটে জাগাতে এলে, বলি তুমি কি জেগেছ বন্ধু?

মরা মরূর দেশে, অনাগ্রহে নিরুদ্দেশে...
বল-জেগেছ কি একবার, করে হাহাকার
যখন বোমার স্পিল্টারে গাজায় ফুলগুলো খসে
যখন জীবন-জীবনের বিধ্বংস দেখে লজ্জায় হাসে!
যখন রোহিঙ্গারা ছুটে আপন বসত ফেলে, করে হাহাকার
যখন ইহুদী‘রা বাঁচাতে অস্তিত্বসংকট, করে সব বনাচার!

সোমবার, ২১ জুলাই, ২০১৪

অভাব

অভাব কি? অভাব কি সত্যিকারে মানুষের জীবনে আসে?
নাকি মানুষের আবেগ তাড়িত শূন্যতাই অভাব।
নিষ্ঠুর বড়ই অকৃপণ-
এ হাত সে ছাড়তে চায় না.....
অথচ অভাবের অনুযোগ এলই দেখী আপনজনের মুঠি বন্ধ হয়ে যায়।

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০১৪

অসমক্রিয়া

খোপছাড়া কপোতজীবন বড়ই অশান্ত-শৃঙ্খলহীন
মৃগয়া কালে সমূদ্রতরঙ্গের মত ছুটে সে লক্ষ্যভেদ নিশানায়
অস্থির এই সাঙ্গভূমির রঙ্গখেলায় কতজন ভুবে গেছে অসমক্রিয়ায়
অথচ হিল্লোলে বটপত্রী বীজ বিঘোর প্রকাশে ছুটে চলে ব্যাপ্তীর শৃঙ্খলায়।

রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৪

ব্যকুল

সে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে, যে বন্ধু আর শত্রু দুইই মানে
কিন্তু সে মুখ ফিরিয়ে ব্যকুল হয়, যে বন্ধনে আগলে রাখে।

শনিবার, ১২ জুলাই, ২০১৪

কারণ

ঠিক যে কারণে মানুষ মরতে চায়, ঠিক একই কারণে মানুষ বাঁচতে প্রাণপণে চেষ্টা চালায়.....

মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০১৪

জিজ্ঞাসা...

মানুষের জীবনে বাস্তবিকই কিছু সময় আসে যা কালবৈশাখীর মতো সব পাল্টে দেয়, যা উল্কার মতো খসে পড়ে চর্তুমাত্রিক আকর্ষন হতে; আপনার ছায়াপথ হতে, যা পূর্ণিমার আলোকে গ্রহণের দাহতে ধাতস্থ করে, যা একাকিত্বকে সম্ভল করে চেতনাকে বিহ্বল করে, যা অন্ধকার বা মৃত্যুকে আহ্বান করে, হিংস্রতায় সবকিছুকে নিঃশেষ করে দিতে চায়, সবভূলিয়ে পাপকার্যে অগ্রসর করার প্রয়াস সৃষ্টি করে, তদুপরি যা মেনে নেয়া অতিশয় দুষ্কর বা দুঃসাধ্য তাকে মানাবার চেষ্টা করে।

এমন দিনগুলোতে স্থির থাকার উপায় কি? নিজেকে সংযত করার সহজ পন্থা কি? নিজের নিঃস্ব‘তাকে মেনে নিজেকে দৃড়তায় পরিপূর্ণ করার সুযোগ কিসে?

শনিবার, ৫ জুলাই, ২০১৪

প্রয়োজন

চক্রবেধীর কালবেলায়, রাহূদোষে অবেলায়
দাঁড়ায়ে যোগী যদি যজ্ঞে স্বাদ মেটে!
অস্তঃকুড়ে ফেলা ধন, জানি তাতে ভরে না মন
তবু, তমসাকালে তাহাই যোগী লুটে?

বুঝবে

আমি হাসতে জানি, বাসতে জানি
বুঝবে যেদিন আসবে কাছে
আমি কাঁদতে জানি, বেদন জানি
বুঝবে যেদিন থাকবে পাশে।

বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০১৪

কৌণার বাড়ি

বেশ কয়েক বছর আগেকার কথা। তখন প্রতিটি গ্রামের পরিবেশ বেশ মনোরম। মানে তখন গ্রামে বাড়ি-ঘরের এতটা ঘেঁষাঘেষি ছিল না, সবুজে চোখ জুড়ানো ক্ষেতে সকলের ভোর নামত আর সেখানে বসবাসরত লোকে‘রা বুর্জোয়া রাজনীতির “র” না জেনে সবুজ-সরল গাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকত। পরম স্নেহ মমতা কিংবা ভালোবাসার সৌহার্দ্রে বেঁধে রাখা জীবনের গচ্ছিত গল্পগুলো তাদের ছড়িয়ে থাকত পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষগুলোর সাথে। হেঁটে-হেঁটে তারা চষে বেড়াত চারপাশের সৌন্দর্য্য; সৌকত। তারা একে অন্যের বন্ধনে, আনন্দ শীহরণে, উৎসবে কিংবা পার্বণে ছিল পরমবন্ধু।

সে সময়ে গ্রামের বাড়িগুলোর নাম নির্দেশিত হত দিক, ক্ষমতা, শিক্ষা কিংবা শ্রর্দ্ধাজন ব্যক্তির নামে। তবে আশপাশের লোকেরা বলার ক্ষেত্রে দিকের উপরই বেশি নির্ভর করত। এই যেমন- বাড়ি পূর্বদিকে অবস্থিত হলে পূবের বাড়ি, পশ্চিমে হলে হইশমের বাড়ি উত্তরে অবস্থিত বাড়ি উত্তুরের বাড়ি আর দক্ষিণের বাড়ি দইনের বাড়ি। আমি এখন যে বাড়িটিকে ঘিরে ঘটনাটি বলব, সে বাড়িটিকে সকলে কৌণার বাড়ি নামে চেনে।

প্রসঙ্গঃ ধর্মপ্রচার (বন্ধুদের আহত করার উদ্দেশ্য এ পোষ্ট নয়, এ শুধু ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ)

গতকাল শুক্রবার জুম্মা নামাজের ১০ কি ২০ মিনিট পূর্বে একজন লোক একজন সুন্দরী মহিলাকে নিয়ে আমাদের ম্যাচের দরজায় নক করল। আমাদের ম্যাচের তিনরুমের মাঝখানের রুমটিতে আমার বসবাস। দরজা নক করা হলে আমার পাশের রুমের একটা ছেলে- যাকে আমরা সবাই ভাগিনা সম্মোধন করে দুষ্টামি করি, সে বেরিয়ে এল। তাকে পেয়ে লোকটি জিজ্ঞাসা করল- এখানে কোন হিন্দু ছেলে-পুলে থাকে? ভাগিনা আমাকে ডেকে দিল- আমি কাছে আসলে লোকটি আমাকে দেখেই বলতে শুরু করল- আমি অমুক (লোকটির নাম বুলে গেছি), পাশের মহিলাকে দেখিয়ে বললেন- ও আমার বোন। আমি লোকটি আর তার বোনের দিকে তাকালাম। দেখেই মনে হল বোন পরিচিতি প্রদানকারিনী প্রকৃত অর্থে তার বোন নয়।

আমি লোকটির হাতে দিকে তাকালাম- দেখলাম তার হাতে যিশুখ্রীষ্টের বাণী সম্বলিত কিছু লিফলেট। আমি লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলাম- আপনি কি খ্রীষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে আমাকে ডেকেছেন? লোকটি জবাব দিল- হ্যাঁ; অনেকটা সেরকম।

বুধবার, ২ জুলাই, ২০১৪

সাড়ে তিনঘন্টায় নোয়াখালী থেকে ঢাকায়

সাড়ে তিনঘন্টায় নোয়াখালী থেকে ঢাকায় পৌঁছানো সম্ভব। আর আমি সে সময়ের মধ্যে পল্টন থেকে তেঁজগাঁও (সর্বোচ্চ ১৫ মিনিটের পথ) পাড়ী দিলাম!!!

এ দেশের সাধারণ জনগন হিসেবে বলছি- এ সত্যি আমাদের জন্য চরম দূর্ভাগ্যের, এদেশে আমাদের কথা ভাবার মত এখনো কেহ নেই। ক্ষমতার দৌরাক্তে এখানে মানুষের দূর্ভাগ্যের কথা ভাবার চেয়ে ক্ষমতার প্রদর্শণ বেশী গুরুত্বপূর্ণ । মানুষের ভোগান্তির চেয়ে এখানে উল্লাস যাপন গুরুত্ববহ। তাই মানুষের চরম দূঃসহ জীবনের মুক্তির কথা ভাবার চেয়ে রাস্তা বন্ধ করে ক্ষমতাসীনদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন অতীব জরুরী।

সোমবার, ৩০ জুন, ২০১৪

সমর্পণ

ঘুম থেকে উঠে গতকালকের দৃড়তা যখন বিগঢ়ে যায়, তখন নতুন দিনের সমস্তটাই সমর্পিত হয় আত্মযন্ত্রনায়।

রবিবার, ২৯ জুন, ২০১৪

আটক

অধীরতা; মোহ পাষাণে যে বুক মিশেছে, তাকে গলতে দিও না।
ভালোবাসা; সেযে আটকা পড়েছে কল্প-কাঞ্চণে।।

কি পদ্য সে লেখে?

অকারণ একা-একা, হৃদয় ভেজাবার নিস্ফলতায়
বৃষ্টি তোমার ঝর-ঝর স্পন্দনে, বার্তা দিলাম যাকে
সে বার্তা পেয়েছে কি সে, হয়েছে কি আকুল হৃদয়
মর্মভাষী ভালোবেসে, কি পদ্য সে লেখে?

শনিবার, ২৮ জুন, ২০১৪

তীলোত্তমা

তীলোত্তমা, অতটুকু ছেড়ে দিতে হয়-
না‘হলে শত মমতার আশ্রয়েও বন্ধন টেকে না

কেননা; বহুরূপী প্রকৃতিতে সমরুপ ক্ষয়ে যায়।

মৃগ

মৃগ; কস্তুরীর যাতনায় ছুটে চলে অভেদ্য লক্ষ্যে
উন্মত্ত সে সুগন্ধি টানে ওদার্য্য সহগমণে
যদি কৌঠরেই শুধু জমত জন্মসিদ্ধ সুখ
তবে প্রণয়ের লালসায় ঘুছে যেত সব প্রতিরোধ।

সোমবার, ২৩ জুন, ২০১৪

হারানো

এ বঙ্গে সন্মানীজন সন্মান হারিয়েছে নির্লজ্জ পা‘ছাটা স্বভাবে....

সোমবার, ১৬ জুন, ২০১৪

নারী জীবন

আমগাছে আম ধরে এ সত্য, কিন্তু যদি বলি আমগাছে জাম, লিচু, কাঁঠাল ধরে তখন এ অনেকের কাছে আজও অসত্য হিসেবে নির্ণয় হয়। তবুও বর্তমান যুগে বসবাস করে আমরা জানতে পারি- আমগাছে আম-জাম-লিচু কিংবা কাঁঠাল পাওয়া সম্ভব, যদি আমরা গাছে কলমের চারা প্রতিস্থাপন করি। এক্ষেত্রে কলমের গাছটির শিকড় আকড়ে রাখে মূল গাছটিকে, মূল বিস্তারের উপর নির্ভর করে গাছটির শাখা-প্রশাখার বিস্তার। এখানে মূলগাছটির উপর প্রতিস্থাপিত গাছটিকে বলা হয় পরজীবী। পরজীবী গাছটির জীবন সঞ্চালনে সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে মূলগাছটি বা মাতৃগাছটির উপর। কিছু-কিছু সময় এমন হয় পরজীবী গাছটি বিস্তার লাভ করতে-করতে পুরো গাছটিকে ছেড়ে ফেলে, কিছু-কিছু সময় তারা শিকড় ঠিকমতো জড়িয়ে ধরতে না পারায় প্রাকৃতির কারণে বা কৃত্রিম কারণে মূলগাছটি হতে ঢলে পড়ে।

রবিবার, ১৫ জুন, ২০১৪

বেলা বয়ে গেছে

জীবনে কতশত স্বপ্ন-প্রত্যাশা উঁকি দিয়ে বেড়ায় অথচ নিত্য জীবন খেলা শেষ করতেই দেখি বেলা বয়ে গেছে.......

সোমবার, ৯ জুন, ২০১৪

ফের এবার ঘরে

আমাকেও আমি চিনে নিয়েছি, তোমার মতো করে
হারাবার যা হারিয়ে গেছে, ফের এবার ঘরে।।

শনিবার, ৭ জুন, ২০১৪

ক্ষমতাসীনদের কুক্ষিগত ক্ষমতার সবচেয়ে কুৎসিতরূপের কয়েকটি দৃশ্যের একটি

ছবিগুলো আপলোড করার ইচ্ছে থেকে আপলোড করি নি, করেছি আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনদের পরিছন্ন নগ্নরূপ প্রকাশের উদ্দেশ্যে। নিচের তিনটি ছবি আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনদের কুক্ষিগত ক্ষমতার সবচেয়ে কুৎসিতরূপের কয়েকটি দৃশ্যের একটি। আর এই কুৎসিতরূপের কর্মকার এদেশের সরকার, যাদের ক্ষমতার উৎস সাধারণ জনগণ। আর যেদেশের জনগণ মুখিয়ে আছে সরকার তাদের জন্য নির্মাণ করবে একটি সুন্দর আবাস!

পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশের নগর তথা সমাজ-সংষ্কৃতি গড়ে উঠে দেশের ভূগৌলিক ভূ-খন্ডের চারপাশ ঘিরে। সমাজ তথা দেশের উন্নতিক্ষেত্র হয়ে উঠে দেশের সমগ্র পরিসীমা। অথচ আমাদের দেশেে এর ব্যতীক্রম। এখানে মূলধারার ক্ষমতা বৈকেন্দ্রীকরণ হয় নগর কিংবা রাজধানী ঘিরে, আর তাই আমাদের দেশের সবকিছুর মূলে কেন্দ্রীভূত হয় রাজধানী। গতিময় জীবনের অনুচ্ছেদে তাই যখনই জীবন বাঁচাবার তাগিদ দমআটকাবার প্রচেষ্টা করে, তখনই রাজধানীতে ছুটে আসা, অবস্থান অনিবার্য হয়ে পড়ে।

হিসেব

অভিলাষীর অজ্ঞতা সৃজণে খোঁড়ায় না-
কানা চোখ খুলে দেখ না,
আলো আর ভাবনায়
মানবজীবন কষছে হিসেব দ্যোটানায়.....

মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০১৪

অজানা রয়ে গেলাম

ঘুমঘোরে নিজেকে জানতে গেলাম কল্পরাজ্যের সজিব সৌন্দর্যে, ঝরঝর নিপবণে। নিসংকোচ উল্লাস নিয়েই সেখানে ছিলাম। কিন্তু, হঠাৎ অপ্রত্যাশিত কি জানি এক ভয় এমনভাবে আছড়ে ফেলল, জানবার নিস্ফলতায় জেগে গেলাম।
এখন ভেবে-ভেবে আমার চিত্ত ক্লান্ত হয়- হায়!!! এ‘জীবনে আমিই সবচেয়ে বেশি অজানা রয়ে গেলাম....

রবিবার, ১ জুন, ২০১৪

প্রতিটি গল্পই একটা ইতিহাস হয়

প্রতিটি গল্পই একটা ইতিহাস হয়, যদি সে গল্পের প্রসরণ ঘটে।
যদি সে গল্পে সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আশ্রয়-প্রশ্রয়, বেদনা-দ্যৌদনা,
গঞ্জনা-ব্যঞ্জনা, অগ্রসর-ধ্বংস, পীড়া-পরিণয় সংযুক্ত থাকে।

কার তরে

অঘোর মেঘের তরে, ঘনঘোর বরষণ
রিমঝিম ঝড় ধারায়, কেন এত ভেজে মন
ভেজে মন আকারণ, বহিছে আজ সমীরণ; প্রকটে
কার তরে উতল হীয়া, ভিজে যায় এ পথে।

শনিবার, ৩১ মে, ২০১৪

চরমশূণ্যতা

সবাই স্রষ্টাকে ডাকছে। ডাকার পদ্ধতি ভিন্ন হোক, এখানে পরম শ্রদ্ধায় স্রষ্টাকেই ডাকা হচ্ছে। তবে বাঁধা বা হস্তক্ষেপের কারণ বা হেতু কি? কেউ মসজিদে স্রষ্টাকে ডাকবে, কেউ মন্দিরে। তবে একে ডাকায় অন্যের সমস্যা হবার যুক্তিযুক্ত কারণ কি? মসজিদে যেমন মুসল্লি‘রা তার আল্লাহকে ডাকছে, তেমনি মন্দিরে হিন্দু‘রা তার ঈশ্বরকে ডাকছে। তবে মাইকে শব্দযোগের অজুহাতে মন্দির ভাঙ্গার ইচ্ছা কি ধর্মীয় ভন্ডামী‘কে প্রশ্রয় দেয় না? অন্যের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রে এধরনের হস্তক্ষেপ কি নিজের ধর্মকে ছোট করে না বা অন্যের কাছে আপনার ধর্মকে শ্রদ্ধাহীন করে তোলে না? বিষয়‘টি আপনারা ভাবুন, সত্যি বলছি বিষয়টি অবশ্যই অবশ্যই ভাবনার। কারণ চরমশূণ্যতা একটা সময় অন্যায়কে অনৈতিক পর্যায়ে নিয়ে ফেলে, যার ফলাফল খুবই খারাপ হয়.....

বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০১৪

মানুষ স্মৃতি হাতরে বাঁচে..

মানুষ স্মৃতি হাতরে বাঁচে! অতীতের ছায়া ছুঁয়ে বাঁচে, লুকিয়ে বাঁচে, জমানো ঘৃণা আগলে বাঁচে, মমতার যত্নে বাঁচে।

যতদূর চোখ রাখার প্রয়াস করি দেখি সবাই সুদূর সবুজকে আহ্বান করে, আপনাকে আশ্রয় করে, জীবনকে শীরোধার্য্য করে, অহংকারকে হৃদয়ে জমা করে, মলিনতাকে আশ্রয় করে দগ্ধ হয়, ভীষণকে ধরে রেখে ক্ষয় হয়।

জীবনকে নিকট থেকে দেখেছি, অনেক নিকট থেকে। যেখানে মায়া কখনো আপন করে, কখনো ক্ষমা করে অথবা কখনো ছেড়ে দিয়ে চলে যায় দূরে পরিযায়ী পাখিদের মত। শুধু ডানাঝাপ্টানো শব্দ‘রা খানিকটা সময় বিশ্বাসে রাখে বাতাসের ছন্দ প্রয়াসে।

সময়ের আবর্তে লেখা হয় সহস্র বাসনার মৃত্যু ইতিহাস

সময়ের আবর্তে লেখা হয় সহস্র বাসনার মৃত্যু ইতিহাস......
মানুষ, পেটের ক্ষুধা আর দেহ বীষের অনন্ত জ্বালা নিবৃত করতে সব অসাধ্য সাধ্য করে। অন্যথায় মানুষেরও বলা কষ্টসাধ্য ছিল “মানুষের পক্ষে সব সম্ভব” !!!

 
যে বৃদ্ধের নিজ পায়ে দাঁড়ানোর সক্ষমতা থাকে না, কোন হুঁশে সে রাস্তায় ছুটে চলে বোঁঝা বয়ে, রিকসার প্যাডেল চাপে সর্বশক্তি ব্যয়ে?
যে কুলবধু একরাশ স্বপ্ন নিয়ে স্বামীর সংসারে পা রাখে, ঠিক কি কারণে সে অনিশ্চয়তার পথে পা বাড়ায়?
মানুষের নিজের কাছে যে জীবন অতীব প্রিয়, সে প্রিয় জীবনকে কি ভ্রমে বিসর্জন করে?
অন্ধকার কোন নেশায় অকারণ টুটি চেপে ধরে? কোন আকস্মিকতায় সকলে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়ে?
কোন আড়ষ্টতায় মনের জমানো রিক্ততার বাঁধ ছেড়ে দিতে চেয়েও গলা ধরে আসে?

সামগ্রিক তো এটাই যে; চোখের অশ্রুসব শুকে যায় পেটের তাড়না আর সমগ্রদেহের বীষ যন্ত্রণায়।

বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০১৪

প্রেমরূপ তরীতে

প্রেম বিনোদিনী, রাইনন্দিনী
প্রেমের উজানস্রোতে,
তুমি প্রেমিক, আমি প্রেমিক
প্রেমরূপ তরীতে।

বুধবার, ২১ মে, ২০১৪

মরতে চাইছি ফাঁস পড়ি!

চঞ্চল উচ্ছ্বল বালিকার চলণে
হৃদয় জমে স্থির
তবু বালিকার চরণে বিঁধেনি
প্রণয়ে ছোঁড়া তীর।

দিন চলে যায় ভেবে-ভেবে তাকে
অস্থির তাড়ণায়
নিঃস্ব রিক্ত হৃদয় ক্ষরণে
পড়েছি বিছানায়।

ভালোবাসার ডাকে কে এমণ ডাকে
পিছু নিয়ে তার পড়ি-পড়ি
তবে কি এবার পাখা গজেছে
মরতে চাইছি ফাঁস পড়ি!

রবিবার, ১৮ মে, ২০১৪

দিনশেষ আমরা

আমরা শুধুমাত্র আমাদেরকেই দেখি, আমাদেরকেই দেখতে চাই! আমাদের নিজেদের সুখ-দুঃথ-বিন্যাস-ব্যবচ্ছেদ আমাদেরকে অস্থির করে তোলে, তাড়না দেয় প্রচ্ছদে-প্রকটে নিজেদের ছায়া নিরূপণের, সে হোক শংসতায় কিংবা নৃশংসতায়। কিন্তু; চোখ খুললে নিত্যদিন আমাদের সামনে যখন বৈষম্যনীতি এসে দাঁড়িয়ে পড়ে, তখন তাকে আমরা অবাধ্য হয়ে দেখি, তার আবডাল হতে চাই, আড়ালে সরে তা ভূলতে চাই।

দিনশেষ আমরা আমাদের রক্তের টান খুঁজি, আমরা আমাদের নিজেদের খুঁজি, নিজেদের ভালোবাসি। সহমর্মিতা, সহাভূতি কিংবা সম-মমত্ত্ববোধ সে আবেগে যতটা তাড়িত হয়, কার্য্যপ্রণালীতে তার মাত্রা নিরূপণ কিছুটা কঠিন।

শনিবার, ১৭ মে, ২০১৪

কুমুদিনী

কুমুদিনী,
আমাকে মাপছ পুরুষালি বৃত্তে?
শরীরের ঘ্রাণ অনুভবে দেখ.... 
আর আট-দশটা পুরুষের মত তা?
পীড়িত মন শুধুই কি মোহ বন্ধকতায় বাঁধা?

হৃদয় বন্ধক তার হৃদয়েই কেবল থাকে
যে হৃদয় অস্থিরতায়ও হৃদয়কে সঙ্গ দেয়
পৌরনিক প্রকটেও যেখানে আবছা ছায়া পড়ে না
অথচ ঠিকরে চলা বেলায় পৌঁছে সুরক্ষিত কপটে।
হৃদয় এমন না হলে সে বাসনায় মন পীড়িত হবে কেন?
কি ভেবে অন্ধকার উবে যাবে দু‘টি হৃদয়ের উষ্ণতায়!

কুমুদিনী,
যদি অন্তর নিগড়ে ভালোবাসা দেখানো যেত
যুগে-যুগে প্রেমিক হৃদয় সে সাধ্যই কেবল দেখাত
যদি ফুলের মত শুকিয়ে-শুকিয়ে সৌরভ বিলানো যেত
অনতিকাল হতে সে সৌরভে পৃথিবী পরিপূর্ণ হত।

ভূলচোখে কালবেলা সে বাসরেও আসে
যদি হৃদয় আলিঙ্গনে সুখ না জমে,
নিরুত্তর ভাবনারা ব্যাথা বইতে পারে সদা
যদি সুখ মেটে প্রণয়ে ধোয়া ঘামে।

কুমুদিনী,
ক্লান্তির বিশ্রাম আছে সে তুমিও জান
কিন্তু অপেক্ষার সমবিশ্রাম তখনই কেবল হয়
যখন হৃদয়ের সমূহবাসনা একে সঁপে দেয়া যায়,
অধীর হৃদয়ের প্রকটতা সহেও অপেক্ষার প্রহর গোনা যায়।
তাকে কোন সৌহার্দে মেলাবে তুমি? অথবা কোনরূপে তার ব্যবচ্ছেদ ঘটাবে?
অপেক্ষায় ভালোবাসার বিচ্ছুরণ সে ত কেবল অঞ্জলীতে প্রকাশিত হয়।

কুমুদিনী,
মন মনকে বোঝে আর হৃদয় হৃদয়কে স্পর্শ করে
দৈহিক সৌন্দর্য্য যে অন্ধকারে বিলীন হয়ে পড়ে
কিন্তু মনের বিচ্ছুরিত আলো অন্তরের পরিণয়কে সমৃদ্ধ করে
আমরা যে আজ সে সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে আছি।

কুমুদিনী,
ভূল ভেব না, ভূল ভেবে ভালোবাসা হয় না
ভালোবাসাকে চেতনায় বুঝতে হয়, সময়ে-অসময়ে দেখতে হয়
না হলে সে শক্তির মূল্য কোথায়?

সোমবার, ১২ মে, ২০১৪

অণ্বেষণ

দুষ্টেরনীতি দূর্নীতি আর সুশাসক রাজারনীতি রাজনীতি। যদি এ সত্য হয় তবে- দেশের দায়ভার আমরা দুষ্টের হাতে তুলে দিয়ে কেন সুশাসিত রাজনীতি প্রত্যাশা করছি? আমাদের তো শুধুমাত্র দেশের ছত্রে-ছত্রে লুটেরাদের অণ্বেষণ করা শোভা পায়।

শনিবার, ১০ মে, ২০১৪

হতে পারে

হতে পারে এ মলিন চোখ
হতে পারে এ মলিন মুখ
বলি বাসনা কি তাকে আগলে ধরে?
বলি ভালোবাসা বলে কি তারে?

হতে পারে এলোগেছো চুল
হতে পারে চুলে ঘাসফুল
বলি সৌন্দর্য্য কি সবুজ ভোলায় ভূলে?
বলি প্রণয় সুখ কোথায় কার ছলে?

হতে পারে আজীবনের সুখ
হতে পারে আজীবনের দুখ
বলি মমতা কি জন্মে দুয়ার খোলে?
বলি স্মৃতির রাশি কে কেমনে ভোলে?

বুধবার, ৭ মে, ২০১৪

ওরে খাইলে মিটেনা ক্ষুধা

ওরে খাইলে মিটেনা ক্ষুধা, বাড়ে তার জনবল
লোভ মোহের উর্দ্ধে যিনি, তাহার যে সকল।

মায়ার মোহে বাঁধা পড়ি, গেল জীবন গড়ি
বর্ষা-শরতের আগমন খবর পেলাম না
ওরে আঁধার ঘনিয়ে এল, যখন আমার হুঁশ হল
দেখী সকলে গেল, আমি যে বিকল।

দেহকল নিশ্চল হলো, উর্দ্ধবায়ু যেন চলিল
মায়ার ডাক তখন বলিল, কে কে সঙ্গীজনা
ওরে আশেপাশে কেহ নাই, নিতে হবে একা বিদায়
সবভেবে শেষ পেলাম, তাঁর চরণ আসল।

ক্রান্তিসন্ধি অন্তিমকাল, পাইনা কোন তাল
বেতাল আমি অশ্রু নেত্রে চাই তব চরণ
ওরে না পেলে ঔ চরণ, ভাবে অবিবেচক মিথ্যে জীবন
শেষ প্রভু এই আবেদন, চরণে দাও দখল।

আদিখ্যাতা!!!

আদিখ্যাতা কিসে?
যখন গ্রীবায় চুমিলে শিখন্ড চূর্ণ হয়
যখন ধর্মযজ্ঞে শকুনির প্রয়াস সিদ্ধ হয়
ধর্মধারীর মস্তক নত হয় অকারণ পীড়ায়
অথবা দ্রৌপদির সম্মান ভূলণ্ঠনে জন্মে কুরূচি।

না আদিখ্যাতা চাই না
সংসারযজ্ঞ যখন প্রিয়তে সুখী হয়
তখন উচিত সে ত সহ্যঘেরা অলংকারে প্রতিষ্ঠিত
তাকে কোন বোধে এড়িয়ে যাব অক্ষম জ্ঞাণপ্রভায়?

বিলক্ষনে সুখী হয়
বিনিদ্রায় হয় ভ্রমশান্তি
অস্তির অস্থিরতায় যখন আত্মসির্দ্ধ হবে
তখনই কেবল প্রিয় ঘুছবে সমূহ সংকটে
আদিখ্যাতায় নয়।

কান্না ও কান্নারে

কান্না ও কান্নারে
তুই কি আমার বন্ধু হবি? সারাজীবন সঙ্গে রবি?
দুঃসহ ব্যথা ছাড়িবারে।

ওরে নয়না;
শুনরে কথণ; হারিয়েছি আমার মা।
যাকে নিয়ে স্বপ্ন গড়া, সে স্বপ্নে তাকে ছাড়া
সু‘সময়ে পৌষমাস দ্বারে।

ওরে বদ্ধবাসী;
গুরুদোষ ছাড়া হলাম উদাসী।
যাহা আমার আশা বিশ্বাস, সেযে আজ বদ্ধ নিঃশ্বাস
প্রহসণ যে প্রতি সুরাসুরে।

ওরে গ্রহীরনীদি;
যত ব্যথা; নে না সাধী।
যাহা উদাসধারা পথে, কালঙ্গির রথে
উড়ে চলছে আকাশ দুয়ারে।

রবিবার, ৪ মে, ২০১৪

স্নেহহীন

স্নেহহীনের যে শূণ্যতা, অবোধ ভালোবাসায় কি তাকে নিবৃত করতে পারে?

কদর

প্রেম বাজারে সুখের কদর আছে সত্য, তবে সুন্দরের কদর বোধকরি একটু বেশি....

শনিবার, ৩ মে, ২০১৪

লক্ষ্মী বউ

একটা লক্ষ্মী বউ চাই
যে আমাকে বুঝবে, আমাতে সব খুঁজবে.....
ফেবু দুনিয়া বলতে পার, এমন বউ কি জুটবে?

বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৪

জন্ম যখন অজন্ম পাপ!!!

হ্যাঁ; আমাদের জন্মই অজন্ম পাপ আর তাই পাপের প্রায়চিত্ত আমরা মুখ বুঝেই সহ্য করার চেষ্টা করছি!
জীবন যখন পাথরের যাতাকলে চেপে চুপে যায়, তখন এই কেবল ধ্রুব সত্য হয়ে দাঁড়ায়, খন্ডনের ভাষায় কেহ-কেহ মমত্ত্ববোধ কিংবা মহত্বতা দেখালেও স্বীকৃত দায় কেউই এড়িয়ে যেতে পারে না। ক্ষমতা জীবনকে কেন্দ্রীভূত করে, পারস্পরিক করে সাম্প্রদায়িক অগ্রসানে। যুগে-যুগে, কালে-কালে এই সত্যই কেবল নিরূপনের আপ্রাণ প্রচেষ্টা বা প্রয়াস চলছে। আর এই প্রচেষ্টা বা প্রয়াসের বলিয়ান হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কিংবা ক্ষুদ্র ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠি।

কে কোন সত্য-মিথ্যা আলিঙ্গন করে এই দায় ঠেকাবে? ঠিক কোন প্রবোধ-বিবেচনায় নিজের জিজ্ঞাসাকে স্থির করবে? অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে দুই‘ই সম অপরাধে অপরাধী, যদি তাই হয় তবে গলা খেকিয়ে মহত্ব দেখাবার মাহার্ত্ব্য কি? কার্য্যবিধি প্রণয়নের সুস্থির বিন্যাস ব্যতিত অবুঝ-অবোধ শান্তনার মূল্য কি?

সুখের বারতা

এ‘দেহ তো মেলে দিতেই হয়
না হলে চিত্তের বেগ কবে কোথায়?
আদর-মমতা-প্রেম-পরিজাত মিলে কিসে?

সুন্দর ফুল হয়ে ফোঁটে, আগরে মিশে ঘ্রাণ
নদীরকুলে বুক কাঁপলে বরং ঝরনারধারে যাও
দেখবে শিরশির সুখে কেমন ভরে বুক...

এ আমাদের জীবনখেঁয়া দেহ বিছাবার
দেহ কিনারায় কেউ পাতে, কেউ মাতে
কারো রৌদ্দুর বেলায় দেহ ঘামে আর
বর্ষনবেলায় দেহ ঢেলে দ্যৌলে সুখের বারতা।

শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৪

ভালোবাসার দুখ

প্রজাপতি, সেদিন তুমি লুকিয়েছ চোখের অশ্রু
বুঝেছ নির্মোহ ভালোবাসা সে তোমার একা
আমি গোপনে তোমার অনুরাগ দেখেছি
বইয়ে অশ্রুধারায় আমার অনুযোগের নৌকা।

হে পৃথিবী...

হে পৃথিবী;
যদি নষ্ট হবার পথ হয় গগণসম
তবে পাপিষ্ট কেন আমি শুদ্ধজনে ?
আকাশের নীলে যদি সাদা আর কালো মেঘের সংমিশ্রন ঘটে নিয়ত
তবে অজ্ঞতা কেন আমার মনে ?
পৃথিবীর শুভ্রতা ছেড়ে, আমিই কি শুধু কুয়াশার ঘোরে পথ হাঁটি ?
আমার কাছেই কি শুধু দিন রাত্রি ?

ভালোবাসার আটাশ বর্ষন ও স্মৃতির বেদন

সে বর্ষনের একদিন, অঝরে ঝরছিল বৃষ্টি। রাস্তার ধারে ছিটানো শুকনো খড়গুলো ভীজে সিক্ত হচ্ছিল। জাম্বুরা দুলছিল বাতাসের তালে-তালে। হঠাৎ দেখতে পেলাম তাকে…….
আষাঢ়ের সে বৃষ্টিতে তাকে দেখলাম সিক্ত বসনে। সেদিন অচেনা মনে হানা দিয়েছিল সে। মনের দুয়ার খুলে তাই তার পিছু নেওয়া, অবশেষে মনের দুয়ারে তার পর্দাপন, তার প্রেমের শীতলধারায় হারিয়ে যাওয়া জীবনে।
পরিনয়টা হলো দু’বর্ষন পর। তার হাত ধরে এগিয়ে চলল আমার প্রেমতরী। সেদিল উল্লাসে মন বলেছিল……..

জোৎস্নার আলোয় সমূদ্র স্নান

[ সমূদ্র ভ্রমন! সমূদ্র স্নান! সেতো আর নতুন কিছু নয়, সমূদ্রতটে ভ্রমণবিলাসী হাজার জন হয়। এদের মধ্যে তবু কেউ ব্যতিক্রম, আমার এ গল্পকাব্য তেমনি এক চয়ন।]

সমূদ্রবিহারে শৃঙ্খলহারা কপোত-কপোতি, ওরা প্রাণের টানে এই অদূর দূরে সমূদ্র মন্থণে, ভাবোল্লাসে।

হৃদয় উন্মদনায় এই জোৎস্না ভরা রাতে, দুটি মনের কথা একসাথে নির্জন, নিরালায়। প্রাণের কথা চলে প্রাণে, বাতাসের শিহরিত সঞ্চালনে ধ্বনিত হয় শুধু প্রাণের অশেষে বলা কথাগুলো।

অনেক ইচ্ছে ছিলো জান!
তোমাকে নিয়ে সমূদ্র স্নানে নামব জোৎস্না রাতে
এলিয়ে চুল হারাব নয়ণ, তোমার নয়ণ প্রাতেঃ।
হারিয়ে যাব চাঁদের গায়ে, আলোয় মুড়িয়ে দেহ
শুধু তুমি আমি একসাথে, রবে না আর কেহ।

প্রতিউত্তর আসে-

স্বপ্ন আমারও ছিলো! তোমার হাত ধরে
চলব জোৎস্না রাতে আলোর কৌঠরে
মাখব গায়ে জোৎস্নার আলো, হব একাকার
গাইব হেমন্তের সুরে “এই রাত তোমার আমার”।

শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৪

জ্যোৎস্না ভেজা রাত

জ্যোৎস্না ভেজা রাত। দু’টি মন ভিজে একাকার হয়ে যাচ্ছে। অলক্ষ্য চারিদার, শুধু দু’জনার মন দু’জনায় হারাচ্ছে। নিচ্ছল দেহ, রুদ্ধপ্রাণ, মনের আলিঙ্গনে প্রাণের অশেষে বলে চলা হৃদয়ের যতকথা-

ওগো বসন্তরাগী, আজি এই উত্তাল বসন্তে এলে
এতদিন কোথায় ছিলে?

প্রাণের অশেষে আরোকটি প্রাণ রচে-

ছিলেম সীমাহীন প্রান্তরে, খুঁজে ধারে-ধারে
তোমার কামনায়।

নিরব-নিস্থুপ কিছুক্ষন, এ‘যেন বিস্তৃতির প্রসারণ, স্বপ্নলোকের পরতে। আবেশ রচে, মনের তৃয়াষে, নব বাচ্যতে-

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৪

বৈশেখে আহ্বান

আজ গাহি নবদহণের গান
করি বৈশেখে আহ্বান।
ফুলে-ফলে-বাতাসে মধুকরি মৌ-মৌ
নবচিত্তে গাহি হৃদ্দের গান
করি বৈশেখে আহ্বান।

জানি মেঘালয় আজ থমকে গেছে
জরা-ব্যাধি-শোকে
জানি দহণে আজ অতৃপ্ত সুখ
জীবনে জীবন ধুকে।
তবু; উড়ো পাখির মত উড়ে-উড়ে করি
নব জীবনের জয়গান
ধরিত্রীর বুকে নেমে আসুক সুখ
করি বৈশেখে আহ্বান।

জীবন থেকে শিক্ষা-০১

প্রতিদিনকার মত আজও ফার্মগেইট দাঁড়িয়ে আছি গাড়ীর আশায়। গাড়ীতে লোকের ভীড় সে নিত্যদিনকার, তাই ভীড় ঠেলে যাওয়া-আশাই আমাদের নিত্যদিনকার নিয়তি। মাঝে-মাঝে যখন ভীড় ঠেলতে হচ্ছে হয় না, সেদিন অবসন্ন মুখেই রৌদে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়ে। আমজনতার জ্যাম গাড়ী হলেও স্টাফবাস নামকার সরকারী বাস প্রতিদিনই প্রায় ফাঁকা যেতে দেখি, চাইলেই তারা আমাদের আমজনতার মুষ্টিমেয় লোক টেনে নিতে পারে কিন্তু তা তাদের সামার্থ্যের মধ্যে নয় বলেই বোধহয় আমজনতার কষ্টেও তাদের সমূহ দৃষ্টি অনিবার্য নয়। যা হোক; প্রতিদিনকার মতোই দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ একটা মাইক্রো এসে সামনে দাঁড়াল, দেখলাম লেখা আছে শিল্প ও সংষ্কৃত মন্ত্রণালয়। হ্যাঁ; গাড়ী দাঁড়াতেই পারে, কারণ তাদের স্টাফ‘রা বিভিন্ন জায়গা থেকে গাড়ীতে ওঠে, হয়ত কোন স্টাফ উঠবে বলে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু না, কিছুটা হতবাক করে দিয়ে ড্রাইভার আমার মতো আমজনতাকে আহ্বান করল; আমরা কেউ পল্টন বা দৈনিকবাংলা যাব কিনা। আমি পল্টন যাব, তাই ড্রাইভারের আহ্বানে জানতে চাইলাম ভাড়া কত দিতে হবে? কারণ, আমি আমজনতার পকেটও যে হিসেবের। ড্রাইবার কিছুটা হতবাক করে বলল; আপনারা যা দেন, না দিলেও সমস্যা নেই। ড্রাইবারের অভয় পেয়ে উঠে পড়লাম ড্রাইভারের পাশের সিটটায়। পেছনে তাকালাম দেখলাম দু‘জন সরকারী কর্মকর্তা, যাদের জন্য হয়ত এই গাড়ী বরাদ্ধ। দু‘জনের একজন লেফটপে কি যেন করছেন, অন্যজন দেখে-দেখে গল্প করছেন। যাই হোক আমরা পাঁচ আমজনতা তাদের অনুগ্রহে সরকারী মাইক্রোতে ওঠার সৌভাগ্য লাভ করলাম।

শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৪

নির্লজ্জতা

নারীর গায়ে হাত তোলা‘টাই একপ্রকার নির্লজ্জতা, কাপুরুষের দল নিজেকে দমাতে না পেরে দূর্বল নারীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৪

জীবনের শিক্ষা

জীবনের প্রতি পদক্ষেপে এক-একটা ধ্বাক্কা এক-একটা নতুন জীবনের জন্ম দেয়, নতুন করে ভাবতে শেখায়, শেখায় নতুন করে জাগতিক সকল সৌন্দর্য্যকে ছুঁয়ে দেখতে, ভালোবাসতে।

সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৪

প্রেম

দেহবৃন্তে সুদকষা সুদে প্রণয়কাতুর গৌরবের দন্ডে দন্ডিত যে হেম, তাহাই প্রেম।

বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৪

বান্ধবসহ লক্ষ-লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে কি সরকার, দেশ, দিনকে-দিন আত্মহণনের পথ বেচে নেবার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে!

২০০৯ সালে প্রি-গ্র্যাজুয়েট (B. Sc) শেষ করার পর লেখাপড়া আর কন্টিনিউ করা হয় নি। কারণ‘টা যে শুধু মধ্যবিত্তিয় আর্থিক টান-পৌঁড়ন তা নয়, লেখাপড়ার নিয়ে ভবিষ্যত ভাবনাও লেখাপড়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে কার্য্যত ভূমিকা রেখেছে। সত্য বলতে কি; যে লেখাপড়া জীবনের ব্যাপারে নিশ্চয়তা প্রদান করতে সক্ষম নয় তা কন্টিনিউ করে কি হবে? এমন ভাবনা অহরহ নিজেকে বিচলিত করে তোলে।

ছোট্ট মধুর সংসার

মন মন্দিরে যে ঘন্টা বাঁধা আছে
বাতাসের হিল্লোলে সে দ্যৌলে; কিন্তু বাজে না...
ভালোবাসার ভাবণায় জনে-জনে যাই
যা পাই ভালোলাগা সে, ভালোবাসা হয় না।

চৈত্রের সে দিনেও বসন্ত ছিল
কিন্তু বলা হয়নি কিছু; যা হবার কথা...
মধুর কাননে মধুকরী‘রা বিলিয়েছে মধু
পেয়েছে তারা, বাস যাদের যেথা।

আমি বৈশাখে যেমন ছিলাম,
মাঘেও তেমন, কাটে দিন তেমন ফাল্গুণে...
ডালে-ডালে ফুল, ফুটে মনোহর
দেখে-দেখে মন ছুটে অগ্রহায়ণে।

মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০১৪

লোভ

লোভে পড়ে কুকুর মল খায়
লোভে পড়ে মানুষ মাণবতা খোড়ায়।

সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০১৪

গানঃ আজ নয়নে মোর খেলেগো আলো - ভিডিও

আজ নয়নে মোর খেলেগো আলো, তোমারি নয়ন লুটে।।
বাদল বরষায় দেখেছি তোমারে, চলেছ ভেজা পথে
তোমারি নয়ন লুটে।

এইযে, আমার সীমানা পেরিয়ে আলো, ছড়িয়ে গেছে হৃদমিনারে তোমারে বাসিতে ভালো
ছ্ল-ছ্ল উত্তল বরষা…… তোমারি আশায়, যাবো দূর পথে হেঁটে
তোমারি নয়ন লুটে।

গানঃ পদ্মা নদীরে……..


পদ্মা নদীরে, পদ্মা নদীরে……
ভেঙ্গে দিসনা আমার আশার দ্বার
তোর মায়া-মমতায় ঘেরা, আমার এই সংসার।

আমার রাত পোহায় তোর কূলে
নদীরে……ও পদ্মা নদীরে, ও…….নদীরে
আমার দিনকাটে তোর ছলে…….
এই জীবনযুদ্ধের নাও বেড়ে চলে, তোর বুকে পাল তুলে
সেই তুই যদি পাশে না থাকিস, দিক-বিদিক মোর আঁধার
ভেঙ্গে দিসনা আমার আশার দ্বার
তোর মায়া-মমতায় ঘেরা, আমার এই সংসার।

গানঃ সোনার জগতে………


সোনার জগতে, আকাল পড়েছে মানুষ আপন স্বভাবে
হায়রে; মনুষ্যগুন নাই আচারে, বেদ-বিচারের অভাবে।

মানুষ মানে মনুষ্যরূপী, নাইরে কোন হুঁশ
আপন স্বার্থ, আপন লয়, আপন তরে ঢুঁশ
হায়রে; পরগাছা যে আপনায় জড়ালো, দেখে না জ্ঞান বিভাবে।

গানঃ প্রাণ পাখিরে খোঁজ কি করে…


প্রাণ পাখিরে খোঁজ কি করে
খোঁজ পাওয়া তাঁর এত সহজ নয়।
পঞ্চ ইন্দ্রিয়ে তাঁর গমনাগমন,
নয়দ্বারে তাঁর সঞ্চালন
পঞ্চভুতে তাঁর অবস্থান
সে যদি না জানা হয়।

ত্রিলোকে তার ত্রিকাল দর্শন
যে পালকে হয় তাঁর পালন
যদি না থাকে তাকে স্মরণ
পাওয়া দূর্বিষহ।

গানঃ আজি বৃষ্টি ঝরছে অঝরে


আজি বৃষ্টি ঝরছে অঝরে
আমার মনের নিকুঞ্জ বনে
জানি দেখা হবে না প্রিয়া
আজি তোমার সনে।

উৎফুল্ল মন নিয়ে তুমি
গেলে বাসর সাধনে
প্রেমের দহণ জ্বালায় আমি
মরি আজ ক্ষনে-ক্ষনে।

গানঃ কেন এমন করে নীদ হরিলে প্রিয়


কেন এমন করে নীদ হরিলে প্রিয়
ও প্রিয় মোর, এমন রজনী
যায় কেটে দেখে-দেখে, নয়ন ভরা স্বপ্ন মেখে
চলে দিবস গুনি।

এইযে, আমার স্বপ্ন ভেলা, চলে খেলায় ঢেঁউয়ের তালে
মন উতালে চলে নীলে, তব সুর শুনি।
কেন এমন করে নীদ হরিলে প্রিয়
ও প্রিয় মোর, এমন রজনী।

গানঃ নদীর বুকে বসত আমার

নদীর বুকে বসত আমার, বুঝলনারে নদী
তাইতো আমি জনম দুখী, কষ্ট নীরবধিরে, (কষ্ট নীরবধি)।

স্বপ্ন দেখে নদীর ঢেঁউয়ে, বাঁধি প্রথম ঘর
সে ঘর আমার ভেঙ্গে গেল, পাথারের ভিতররে, (বুঝলনারে নদী)।

করালস্রোতে নদীর ঢেঁউ, মোহনায় মিলায়
তলায়ে গেল আশা আমার, অতল নেশায় রে, (বুঝলনারে নদী)।

গানঃ এই পৃথিবীতে আমায় এত, যতন করবে কে

এই পৃথিবীতে আমায় এত, যতন করবে কে
ঐ মাটির বুকে মাযে আমার, ঘুমায়ে আছে।।

ত্রিভুবণে এত মায়ায় আর, জড়াবে আমায় কে
ঐ মাটির বুকে মাযে আমার, ঘুমায়ে আছে।।

দরদীয়া খুঁজে, দরদী ঐ মন, আমি মায়ের আঁশে
পথ ভেসে যায় নয়ন জলে আমার, মা না আসে কাছে।।

বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৪

অব্যক্ত প্রতিশোধ

সে অনেকদিন আগেকার কথা, মানে আমার দাদার আমলের কথা। সেদিনকার সময়ে ফজর মিয়া নামে এক ব্যাক্তি ছিলেন বেশ জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন। তো একদিন ফজর মিয়া বাড়ি যাচ্ছেন, বাড়ির রাস্তায় পৌঁছতেই দেখেন ফজর মিয়ার ছোটভাই মোহন মিয়া হনহন করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। ভাইকে এভাবে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে ফজর মিয়া তাকে থামালেন, আর জিজ্ঞাসা করলেন কিরে কই যাচ্ছিস? জবাবে মোহন মিয়া বলল- বাড়ি যাচ্ছি। ফজর মিয়া বললেন- বাড়ি যাচ্ছিস মানে? খাওয়া-দাওয়া করে যা। বলে রাখা ভালো ফজর মিয়া আর মোহন মিয়ার বাড়ি হতে দেড়ক্রোশ দূরে ছিল।

যেখানে আমার ডুবে যায় সবি

সন্ধ্যে সদ্য ফোঁটা হে মালতী
আজ যেমন তুমি তেমন আমি
নিরবে লালন করা প্রেমসিন্ধু‘তে
উছলে ওঠা ঢেঁউয়ে ডুবি।

আমি বলতে পারিনি তাকে
তোমার মতো করে সৌরভ বিলিয়েছি
বুঝেছি সে বোধহয় আমায় বোঝে
কিন্তু নক্ষত্র যেদিন ক্ষসে গেল
সেদিন বুঝলাম তার ছল্-ছল্ চোখে
অন্য কারো অপেক্ষার প্রেমসিন্ধু
যেখানে আমার ডুবে যায় সবি।

শনিবার, ২২ মার্চ, ২০১৪

অথৈই

অথৈই অসহায় হয়েও কাঁদে না, পথের পাড়ে অন্ধকার যেখানে জমাট বাঁধে; সেখানে সে থামে।
অথৈই কাঁদতে পারে না, ধুমড়ে-মুছড়ে পড়া হৃদয় ফেঁটে চৌচির হয়, কিন্তু কান্নায় হালকা হয় না। জীবনের নিরূত্তাপ বাসনা তাকে বিঁধে আপন খেয়ালে…

ফুলেরা কাঁদে, পাখিরা কাঁদে, বলে- অথৈই আয় আর একবার; প্রানের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠ খেয়ালী জীবনের সজীব সঞ্জিবনে। অথৈই চুপ যায়। পাহাড়ের কিনারে খাঁজকাঁটায় জলজমায় ভাবান্তর হয়। অথৈই বেলা বাইবার পথ খোঁজে।

জীবন

এতবড় দেহ, তাতে দু‘চারটা বীষফোঁড়া
আর এতেই গিলেছে শীসের সুখ!

বিষিয়ে যাওয়া দেহে মমতার শ্রাদ্ধ হয়
জীবন ভোলানো এই এতটুকু যন্ত্রণার ভোগ,
পুরো দেহটাকে সাক্ষী করে তোলে অসহ্য ক্লেদে।

রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৪

শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৪

জীবন ভূলে

দিন খায়; দিন যায়
বারো মাসে; তের ঘা
চোখ মেলে; চোখ খুলে
স্বপ্ন ঘুছে; জীবন ভূলে।

মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০১৪

বাতাস বালিকা আর জল

সবুজ শিহরণে মুগ্ধ যে বালিকা; তাকে দেখে দৃশ্যলোকের শীহরণ কল্পলোকের ভাবনায় নিয়ে গেল, ভালোলাগায় মিশে গেল দু‘নয়ন। মাতোয়ারা সে রূপ-রঙে্ সুনীল আকাশে সুখ বিচরণে তাকে ছুঁয়ে দেবার একটু ইচ্ছেয় বাতাস তাকে ছুঁয়ে দিল ষড়ঋতু‘র ইচ্ছেবিলাষে। কখনো তাকে প্রজাপতি ডানার হিল্লোলে চুমি, কখনো ফুলের সৌরভে। স্বপ্নলোকে ছায়াখেলা চুমোয়-চুমোয় ভরে দিল কাললোকের রাত-বিরাত।

বালিকা সে শিহরণ অনুভবে বুঝেছিল!! তাই শিহরিত মনে ছল-ছল চোখে চঞ্চলা হরিণীর সুখে জড়িয়ে
নিয়েছিল। আর বাতাস? সেও মাতোয়ারা হয় প্রেম সিংহাসণে সম্রাট হয়ে। সে থেকে বালিকার মুখে সুখ জড়ানো স্মিত হাসিতে বার-বার পাগল হয়ে যেত, তার ওষ্ঠধ্বনি তাকে আরো ভাবুক করে তুলত। সে ভেবে-ভেবে ব্যকুল হত, তার দেহের পূর্ণতীথি, ও‘দু ঠোঁটের ঢেঁউ খেলা, কাজল মাখা চোখের তুলি, সুচালো নাকের দুল।বালিকার কোকরানো চুলের দ্যৌলাখেলায় তাই তার মুহূর্ত কেটে যেত একনিমিষে।

শনিবার, ৮ মার্চ, ২০১৪

ভয়

দমনীতে বহমান রক্ত কদাকার
পাহাড় পাষাণ ওহে নির্বোধ দূরাচার,

মূ-হাঃ-হাঃ-হাঃ-হাঃ
ওহে হতাভাগা; জীবন তোর অসার
চিহ্ন হবে তোর মুন্ডু, বুঝবি মোর আচার।

শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০১৪

পদ

পদব্রজে পদ চলেছে পদে
এমন করে চলবে কি পদ শোধে !

বঙ্গ

বঙ্গ; মরি মম অহংকারে
তোমার ভাষার মধুর স্বরে
সৃজণে যে সুখ,
বঙ্গ; মরি সবুজ সরোবরে
তব গানের মধুর স্বরে
উন্নতশিরে বুক।

বুধবার, ৫ মার্চ, ২০১৪

যাচ্ছি ডুবে অতল জলে

তুমি ব্যাঙ্গেরমত ঘরকোণে
শীতনিদ্রাতে ঘর বানালে
আমার দেহের চর্বি কেটে
শীত বসতের চর্বি জমালে
তোমার মতো তুমি হয়ে
আপন সুখে দিন কাটালে।

আর আমি!!!
শীতহীমাঙ্কে ডাহুক ডুবে ফেনামুলে
যাচ্ছে দম যাচ্ছে বলে
তবু শিকারি হতে বাঁচব বলে
যাচ্ছি ডুবে অতল জলে।

মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০১৪

আমাদের জীবন

জীবনটাকে আজীবন বয়ে-বয়ে ক্ষয়ে ফেরাতেই আমাদের জীবনের সর্বস্ব। মৌণ-মুর্চ্ছনায় এই আমাদের জীবনের সব বাসনাই তিক্ততায় ভরা। অলস বেলায় আমাদের সুখ স্মৃতি আসে না। সারাক্ষনই ঢুলু-ঢুলু ঘুম চোখে রাগিণীর বাসনায় পুষে যাওয়া ক্লেদাক্ত বেলায় আমরা অনুভব করি অপুরন্ত অশ্রান্ত হৃদয়ের অব্যক্ত জ্বালা।

দায়

দেখেও দেখিনা, কারণ বিবেক দেখার দায় সহে না...

বরাত

বরাতে নাই করাতের গুড়ি
আপনা আগুনে আপনি পুড়ি।।

সোমবার, ৩ মার্চ, ২০১৪

চেতনার হাল-বর্তমান


মামা দেখ কি সব আজে-বাজে মিনিংলেস বিতিকিচ্ছা-

কোনটা মামা?

এই যে কবি লিখলেন-
”এমন জীবনের তুমি করিবে গঠণ
মরিতে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবণ।”
-এটা একটা কথা হল?

কি কও মামা আমার তো মনে হয় ঠিকই আছে। একটা মানুষের মহৎ জীবনের অনুভব মানুষের মাঝে সব সময় বিরাজ করবে।

কাঁটা-ফুল

কাঁটা-
সে থাকে গাছের অন্তঃশীরে গীটে
তীক্ষ্ণতায় দেহ বিঁধে
ব্যাথায় টুটে!

রঙ্গিণ ফুল-
সে ফোঁটে গাছের অন্তঃশীরে গীটে
সৌরভ-সৌন্দর্য্যে অন্তর বিঁধে
ব্যাথায় টুটে!

মনমানুষি হারাবে যদি সুদূর দূরে

ওপাড়ে যাবার যদি, সময় হয়ে এল
একপেগ মদ দাও, যন্ত্রনা ভুলি ঘোরে
মনমানুষি; হারাবে যদি সুদূর দূরে
বীষকাঁটা বিঁধে দাও, যন্ত্রনায় ভুলি তারে।

কি এত লাভ হলো, আশায় মন রাঙ্গানোয় ?
নীড় ভোলা সুখের পায়রা, দিগন্তে ডানা ছড়ানো
ভোলা যায় কি হায়, যে মন জড়িয়েছে
দিনে-দিনে তাকে ঘিরে…………


অনুগল্পঃ অনুরাগের প্রত্যয়!

দৈহিক কামসিদ্ধিরপর শিউলী যখন জানালো- আমাকে এখুনি বিয়ে করতে হবে, তা না হলে আমি বাঁচব না। তখন আমি না করলাম না। তাকে জবাব দিলাম, শিউলী আমি তোমাকে জান-প্রান দিয়ে ভালোবাসি, তুমিই বল তোমাকে ছাড়া আমি কি বাঁচব? তারচে চল আমরা এখুনী কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে ফেলি। দু’জনের আগ্রহে আমরা বিয়ে করার উদ্দেশ্যে কাজীর অফিসের দিকে রওয়ানা হলাম।
মাত্র একমাসের চেনা-জানা আমাদের দু‘জনের। অথচ একমাসের মধ্যে আমাদের ভালোবাসার ঢেঁউয়ের জল স্থলবন্দরে এতটাই টইটম্বুর হয়ে উছলে পড়ছে যে, আমরা দু’জন দু‘জনার দৈহিক প্রনয়ে আবদ্ধ হয়ে গেলাম! ভালোবাসার সমাপ্তী টানতে আমরা তাই কাজী অফিসের দিকে যাচ্ছি! আমরা আজ ভালোবাসার পূর্ণরূপ দেব!
তখন আমরা কাজী অফিসের অর্ধেক পথে, আমার মাথায় নানান প্রশ্ন কেন জানী উঁকি-ঝুঁকি দিতে থাকল। তাই আমি তাকে বললাম শিউলী আমরা আজ ভালোবাসার পূর্ণতা দিতে যাচ্ছি, তোমার কেমন লাগছে? লজ্জায় শিউলীর মুখ লাল হয়ে উঠল। ভালোবাসার চুড়ান্তরূপের এই সময়টায় তার হৃদয় যেমন আবেগগ্রস্থ, তেমনী ভালোবাসার শিহরণে তার মন খুব বেশী ব্যাকুল। হয়ত অজানা কোন শীহরণ তার মনেও হানা দিচ্ছে।

প্রলাপ

ঐ কে আছিস কোথায়, সামনে এসে দাঁড়া
এক ফুৎকারে সবকয়টাকে করে দেব হাওয়া।

শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

রূপান্তর

পৃথিবীতে প্রত্যেকে মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করে। জন্মেরপর ধর্ম তাকে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-শিখ প্রভৃতিরূপে পরিণত করে। আবার প্রত্যেকটি স্বাতন্ত্রীক ধর্ম মানুষকে বিভিন্ন গৌত্র বা সম্প্রদায়ে রূপান্তরিত করে। আর এই রূপান্তরিত বিভিন্ন গৌত্র বা সম্প্রদায় নিয়ে গঠিত সমাজ মানুষকে নারী-পুরুষ বা ছেলে-মেয়ে রূপে পরিগণিত করে।

বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

শ, ষ, স তিন‘শ

বাংলা বর্ণমালায় শ, ষ, স এই তিন‘শ অস্তিত্ব বর্তমান হলেও-
জীবনকে উপভোগ করতে প্রয়োজন শ‘ য়ের,
জীবনকে অনর্থক ভাবতে ষ‘য়ের আর
বিলিয়ে দিতে স‘য়ের ব্যবহার স্বভাবসিদ্ধ।

কারণ?
সে একটাই কারণ শ এর শত ব্যবহৃত হয় শতক কল্পে- যেমন শত কোটি টাকা, শত-শত কৌড়ি, শতখানেক চাকর-বাকর।
ষত এর কোন যুক্তযুক্ত অর্থবোধকতা নেই, তাই এর প্রভাব অনর্থক
সত এর অর্থ সৎ বা সততা, যার অর্থ বিলিয়ে দিতে, সব কিছুর উর্দ্ধে নিজেকে ধরে রাখতে।

জীবনের প্রয়োজন অনুসারে মানুষ এই তিন‘শ তে নিজেদের আকড়ে রাখে!!

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

সৃজণ আমায় অন্ধ করে বন্ধ ঘরে

সৃজণ আমায় অন্ধ করে বন্ধ ঘরে
জীবন আমার চলে ঘুরে দ্বারে-দ্বারে
নাইযে আমার কুল কিনারা ভবসংসারে
জীবন আমার চলছে দয়াল আপনা খেয়ালে।

দয়াল দিলেনা যদি ভবের কূল
ব্যাকুল পথে দিশেহারার কর ক্ষম ভূল
কোথায় সে ভবসিন্ধু হাতপাতি আজ সে দুয়ারে
এ সৃজণে জীবন গেল মোহবাসনার করতলে।

বেদনারাও একদিন ক্লান্ত হয়

জান? বেদনারাও একদিন ক্লান্ত হয়। ঐযে শোন নি, সেদিন সরল দুপুরবেলায় পূর্ণত্রীর সাগরসম নয়ন শুকিয়েছিল। অথচ কোন বুঝ দিয়েই তো তাকে এতকাল কেউ থামাতে পারেনি। শুনেছি তার শুকনো সাগরে এখন ধু-ধু বালিচরে ভরে গেছে। স্মৃতিরাও আবছা হয়েগেছে।

নিবারণ সত্যি কি জান? তোমাকে হারালে আমারও এমন হবে। যে বিশ্বাস ঘিরে আমার সবুজ ছায়াবিথীতে রঙ্গিন ফুল ফুটে, যে অধরের গ্রীবায় আলোক উজ্জ্বল হাসে, সে বিবর্ণ হলে আমার স্মৃতিরাও হৃদয় ক্ষরণে জমে-জমে আবছা হবে। চোখের ভ্রুকুটিতে আমার বিষন্ন বেদনার সাজানো অঞ্চল ভিজে একাকার হয়ে যাবে।

প্রচলিত বিদ্যা


প্রচলিত বিদ্যার অনেক বিষয়ে আমার দ্বিমত আছে। আমার মনে হয় জ্ঞানকে তীক্ষ্ণ করতে ভাবনার প্রসারণ ঘটাতে গণিত, বিজ্ঞান, তাত্ত্বিক বিষয়ের ধারণার প্রয়োজন আছে। প্রয়োজন আছে মৌলিক ভাষা চর্চ্চার জন্য ভাষা শিক্ষন শিক্ষার কিংবা ভাষার উৎপত্তি, বিন্যাস, শ্রেনীকরণ জানার। সমাজে বসবাস করতে সামাজিকতা শিক্ষার, যুক্তিযুক্ত আচারণে বিশিষ্ট জনের যুক্তিযুক্তি মতামত প্রকাশ করার।

কিন্তু কেউ কি আমাকে দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন- ঠিক কি কারণে আমাকে শ্রদ্ধাজনদের বাবা, মা, দাদা-দাদী, ভাই-বোনদের নাম মনে রাখতে হবে? ঠিক কি যুক্তিযুক্ত কারণ আছে তাঁদের সব লেখনীর নাম, সৃষ্টির ভিতরকার যেকোন কোন অনুচ্ছেদ, যে কোন আনুষ্ঠানিতকার স্থান, কাল, পাত্র, দিন মুখস্ত রাখায়? কি এমন হেতু থাকতে পারে যাতে আমাকে ঘেটে-ঘেটে চৌদ্দপুরুষের নাম তাদের জ্ঞাতি-গৌত্র খুঁজতে হবে? বুঝতে পারি না আমি, কিছুই বুঝতে পারি না।