শনিবার, ১৭ মে, ২০১৪

কুমুদিনী

কুমুদিনী,
আমাকে মাপছ পুরুষালি বৃত্তে?
শরীরের ঘ্রাণ অনুভবে দেখ.... 
আর আট-দশটা পুরুষের মত তা?
পীড়িত মন শুধুই কি মোহ বন্ধকতায় বাঁধা?

হৃদয় বন্ধক তার হৃদয়েই কেবল থাকে
যে হৃদয় অস্থিরতায়ও হৃদয়কে সঙ্গ দেয়
পৌরনিক প্রকটেও যেখানে আবছা ছায়া পড়ে না
অথচ ঠিকরে চলা বেলায় পৌঁছে সুরক্ষিত কপটে।
হৃদয় এমন না হলে সে বাসনায় মন পীড়িত হবে কেন?
কি ভেবে অন্ধকার উবে যাবে দু‘টি হৃদয়ের উষ্ণতায়!

কুমুদিনী,
যদি অন্তর নিগড়ে ভালোবাসা দেখানো যেত
যুগে-যুগে প্রেমিক হৃদয় সে সাধ্যই কেবল দেখাত
যদি ফুলের মত শুকিয়ে-শুকিয়ে সৌরভ বিলানো যেত
অনতিকাল হতে সে সৌরভে পৃথিবী পরিপূর্ণ হত।

ভূলচোখে কালবেলা সে বাসরেও আসে
যদি হৃদয় আলিঙ্গনে সুখ না জমে,
নিরুত্তর ভাবনারা ব্যাথা বইতে পারে সদা
যদি সুখ মেটে প্রণয়ে ধোয়া ঘামে।

কুমুদিনী,
ক্লান্তির বিশ্রাম আছে সে তুমিও জান
কিন্তু অপেক্ষার সমবিশ্রাম তখনই কেবল হয়
যখন হৃদয়ের সমূহবাসনা একে সঁপে দেয়া যায়,
অধীর হৃদয়ের প্রকটতা সহেও অপেক্ষার প্রহর গোনা যায়।
তাকে কোন সৌহার্দে মেলাবে তুমি? অথবা কোনরূপে তার ব্যবচ্ছেদ ঘটাবে?
অপেক্ষায় ভালোবাসার বিচ্ছুরণ সে ত কেবল অঞ্জলীতে প্রকাশিত হয়।

কুমুদিনী,
মন মনকে বোঝে আর হৃদয় হৃদয়কে স্পর্শ করে
দৈহিক সৌন্দর্য্য যে অন্ধকারে বিলীন হয়ে পড়ে
কিন্তু মনের বিচ্ছুরিত আলো অন্তরের পরিণয়কে সমৃদ্ধ করে
আমরা যে আজ সে সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে আছি।

কুমুদিনী,
ভূল ভেব না, ভূল ভেবে ভালোবাসা হয় না
ভালোবাসাকে চেতনায় বুঝতে হয়, সময়ে-অসময়ে দেখতে হয়
না হলে সে শক্তির মূল্য কোথায়?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন