রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭

না হলে

চোখে চেয়ে থাক অবিরাম, জেনো এর ভাষা রপ্ত করার কৌশল শিখতে হয়। না হলে সংগীত তাল হারায় আর জীবন থেমে যায়।

পুরুষ নিজেরাই নিজেদের দোষ বুঝতে অক্ষম

দুটোই সাময়িক নেশা- এক নারী দুই সম্পদ!
অথচ দুনিয়ার সমস্ত লড়াই এই দুটোকে কেন্দ্র করে।

আপত দৃষ্টিতে দেখলে যদিও মনে হয়, সম্পদ আর নারীই সমস্ত লড়াইয়ের মূল কিন্তু সামগ্রিক বিবেচনা দেখা যায় এর কেন্দ্রে কেন্দ্রীভূত কিন্তু পুরুষই। দুনিয়ার সমস্ত কাজে এরা "ধরি মাছ না ছুই পানি" মানষিকতায় থাকায়, এরা নিজেরাই নিজেদের দোষ বুঝতে অক্ষম।

মাপবে কোন মন্ত্রে?

বুকের স্পন্দন সে না হয় মেপে দিলে যন্ত্রে
মনের তীব্র স্পন্দন সে মাপবে কোন মন্ত্রে?

যথার্থ্য স্থির ব্যক্তি

যে হেরে অভ্যস্ত- পরাজয় তাকে যেমন সঙ্কিত করে না, জয়েও সে নিরুত্তাপ থাকে।
- এটাই স্থিরতা। যথার্থ্য স্থির ব্যক্তি আলোক দ্যূতি ছড়ায় জীবন ও জগতের কল্যানে।

আমার মতো বাঁচি আমি

যে জানে খোঁজে আমায়
যে চেনে সে চায়
আমার মতো বাঁচি আমি
অর্ধমৃত কবিতায়।

ছায়া হরিন, মায়া হরিন

ছায়া হরিন ছায়া ফেলে
দৌড়ায় বন বাদাড়ে
মায়া হরিন সম্মোহন জালে
বাঁধে অঘোর ঘোরে।

বুঝবে মরিলে তলে

উতলা হইও না সখী
নামিতে প্রেম জলে
গভীরে তার কি সুধা সুখ
বুঝবে মরিলে তলে।

আমি হীরে-পান্না যাচাই করতে পারি না বিধায়

আমি হীরে-পান্না যাচাই করতে পারি না বিধায় সৈকত তটে ঝিনুক কুড়িয়ে ফিরি।
কুড়িয়ে পাওয়া ঝিনুকে নিজেকে নিজের মতো সাজিয়ে সুখবোধ করি।

আগ্রহ

ভালোবেসে চেয়েছি বাহুডোর
পরে শাঁখা কপালে সিঁদুর
বাহুবলয়ে তোমার সাধ মিটিলে
খুঁজতে চাইলে বিবর্ণ মধুর

জীবনটা ছেলেখেলা নয়!

জীবনটা ছেলেখেলা নয়! ইচ্ছেমত পুতুল গড়তে না পারলেও তা দিয়ে খেলা চালিয়ে নিয়ে খেলা শেষে তা ভেঙ্গে ফেলে দেবে।

অভয়

হাতখানি না রাখিলে তাল
হয়ে যাই আমি বেসামাল...

সমন্ধ

মনে সুবাস মেলে না মেলে
আগর শেষ হয় জ্বলে
হৃদয়ের উত্তাপ টের পাও না পাও
মোম শেষ হয় গলে...

প্রকাশ

রাত ছুটছে গভীর হতে গভীরে
নিঃশ্বাসগুলো নিবির হতে নিবিরে

জন্মঋণ

পালক সে বাতাসে উড়ছে! পাখির মতো স্বাধীন
তবুও সে মৃত! বয়ে ফেরে আপন জন্মঋণ

ক্ষণিক অভিপ্রায়

পথ হতে কুড়ানো ফুল
পথেই পড়ে রয়
ক্ষণিক অভিপ্রায় শেষে
মুছে পরিচয়।

বন্ধুদের কে বলা

আমি দু'চার শব্দ লিখি, তাতে বন্ধুরা নাকি ফোঁড় খাওয়া ব্যথা টের পায়, অন্তর পৌঁড়া গন্ধ পায়। সে বন্ধুদের কে বলা-

যখন চাঁদনির প্রহর শেষে চাঁদ উবে যায়
কালো আকাশ ভরে উঠে তারায় তারায়
উতলা যতই মন প্রেমের বিলক্ষনে
মাতাল হাওয়া ছুঁলে ভরে সে গানে।

প্রেমের নাজরানা

আমি অল্প পারি কইতে
তারচেয়ে ঢের সইতে
তোমার প্রেমের নাজরানা সই
না পারি গো বইতে

জীবন সে শূন্যেই মিলবে

পথিক পথভুলে পথেই ফেরে...
ছুটতে গিয়ে হয়ত ভুলেছ
জীবন সে শূন্যেই মিলবে।

যেদিন রাত গভীরে

যেদিন রাত গভীরে সাধের সেতারা
তারে তুলবে ঝঙ্কার,
জেনো সকল রাতজাগা খগ
ব্যাকুল আমি স্মৃতি ছুঁয়ে তার...

জিতবার আক্ষেপ

আমি সেদিন থেকে জিতবার আক্ষেপটুকু ছেড়ে দিয়েছি যেদিন আবিষ্কার করতে পারলাম হেরে গিয়েও আমি বেশ টিকে থাকতে পারি।

না আমি কখনও কোনকিছুই জোর করে আদায় করতে চাইনি, শুধু চেয়েছি আমার অধিকারটুকু সকলে সেচ্চায় ফিরিয়ে দিক। অবশ্য না দিলেও তাতে আমার আক্ষেপ কিংবা আপসোস কিছুই থাকবে না।

জীবন আপনার ভাবনার বাহিরের অংশটুকু কেবল

আপনি যোগ্যতার উপরে গিয়ে যা চাইছেন - তা স্বপ্ন।
আপনি যোগ্যতর হয়েও যখন উপেক্ষিত - তা যন্ত্রণা।
আপনি যোগ্যহীন কিছুতে মানিয়ে নিচ্ছেন- তা জীবন।
জীবন আপনার ভাবনার বাহিরের অংশটুকু কেবল, যেটুকুতে মানিয়ে নেয়াই সৌর্ন্দয্য ভিন্নতায় দৈন্যতা।

মেটে কিগো প্রেম তৃষা?

যে আঁখি বোঝেনা ভাষা...

সে আঁখি কাজলে, নয়ন ভেজালে
মেটে কিগো প্রেম তৃষা?

প্রেমের মাহফিল

যে পথ মিশে যেতে চায়
প্রেমের মাহফিলে
সে প্রেমের মাল্য সখী
রেখ পথে ফেলে

দ্বীধা

দ্বীধা;
ধরেছিস যত মোরে
সরে গেছি তত দূরে
পথখানি পাড়িবারে
জন্মে যে সংশয়,

পারিনে দাঁড়াতে পথে
কোথা কি জানি রটে
নামিলে আঁধার বাটে
পড়িবে মনে নিশ্চয়

প্রেমবারিতে ভেজে যার মন

সব কথা কব না সখা
পড়িবে গো ভীষণ মনে
প্রেমবারিতে ভেজে যার মন
মূল্য সে কেবল জানে!

একদিন নিশ্চয়ই...

একদিন নিশ্চয়ই...
ভালোবেসে ভেঙ্গে দেব তোর সমস্ত সংশয়
হোক সে প্রভাতে জানাজানি দখিনায় কানাকানি
তোর হাতে হাত রেখে দেব আর একবার অব্যয়

জয়ের বাসনায়

চক্রবূহে আবর্তমান যে খেলা, সংসারের সে খেলায় মজে আপনাবূহে অন্যকে পরাজিত করতে পারার মনোবাসনা স্বার্থবাজদের জন্মগত!

এখানে স্বার্থবাজরা মধ্যবর্তী ফাঁদ ফেলে পরস্পর ভালো খেলতে চায়, জিততে চায়। কিন্তু তাদের জয়-পরাজয়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে কেউ যখন মুষলধারায় সারাটা প্রহর ভিজে বিছানা থেকে শ্বশ্মানে চির সমাহত হয়, তখন পরাজিত তাকে নিয়ে নতুন খেলার পট রচনা করে পুনরায় কারও সঙ্গে খেলায় ফিরতে!

অন্ধকার চোরাগলিতে ডুবছে আজি পা...

কার মমতা আশিস সত্য সবে কি তা জানে?
পাবার আশায় পথচেয়ে রই ভুল মানুষি জনে!
অন্তরে বীষ পুষে কি হে ভালোবাসা যায়
অন্ধকার চোরাগলিতে ডুবছে আজি পা...

হেরে গিয়ে কি লুকোচ্ছিস গা?

সাদা-কালো জীবনে কানে ভাসে
সুবোধ তুই পালিয়ে যা
জীবন থেকে পালাতে গেলে জীবন বলে
হেরে গিয়ে কি লুকোচ্ছিস গা?

কতটা

তোমাকে কতটা ছুঁলে
হই আমি অপরাধী
কতটা পথ পেরুবার আশায়
পাহাড় ভেঙ্গে ছুটে নদী

অবাধ্য প্রেমিক

তখন স্বপ্নটাকে ছুঁলে আর দুটো হাত নাগাল ফেলে
আমিও তোমার মত কারও অবাধ্য প্রেমিক হতাম!

সহসায় বাতায়নে বসন্ত দৌলা দেয়
সব আকাশেই পাখিরা ডানা মেলে উড়ে
কখনও নীলঘন মেঘে, কখনও আবার সাদা
কখনও অন্তঃধ্যানে গুড়ু-গুড়ুম বা এক চিলতে বৃষ্টিতে
ভেজামন হারায় তোমার- আমার কিংবা আমাদের
যদি উপাস্য হতে, আমিও হাত ধরে তোমারি হতাম!

মনের বিষূবরেখা এড়াতে পারি না-
একাকি সঙ্গোপনে এলোকেশী এলে
তাকে এড়িয়ে যাব এতটা কঠোর তো নই...
বরং হৃদয়ের ভূ-খন্ড চিরে গড়তে রাজি ছিলেম
সবুজ বনায়ন, তৃষ্ণার্থ পাহাড়ের স্রোতধারা
সংকোচ কেটে অভয় দিলে, সেই কেবল বলে ফিরতাম!

নব জলপ্রপাতের ধারা ব্যাকুল বাসনায় ছুটে
ঘাস ফড়িং ছুটে ফেরে সবুজের কোমলতা ছুঁয়ে
অথচ আপনাকে বারবার হারিয়েও ফিরি আপনায়
কেননা অন্তরের বেচা-কেনা এত সহজ নয়
অনুপযুক্ত লেন-দেনের হিসাব কষে নেয়াও সহজ নয়
তাইতো চোখের জলুস ফেলে পথ ফেরে গন্তব্যে
আর বাসনারা ব্যাহত কাতরতায় বলে যায়-
পরস্পরের সম্মতি মিললে আমরা হয়ত কুটির গড়তাম!

সুন্দরের মহিমা কেমনে খুঁজিতে?

মনের মাপকাঠিতে মেপে
সুন্দরের মান ধরি
অসুন্দর আছে বলে হই
সুন্দরের পূজারি।

যদি কুৎসিত কদাকার কিছু
নয়নে না পেতে
জগতে সুন্দরের মহিমা
কেমনে খুঁজিতে?

ঋৃণ


হে মাটি-
দিয়েছ যা অশেষে ক্ষমা গ্রহনে
তাহার কি প্রণামি না জানি মনে...

শ্রদ্ধার স্থানটুকু ধরে রাখতে গিয়ে

শ্রদ্ধার স্থানটুকু ধরে রাখতে গিয়ে মাঝে-মাঝে নিজেকে অসহায় অবস্থায় ফেলেতে হয়। অথচ দিনশেষে সমস্ত অপমান ক্ষতি কেবল নিজেকেই বইতে হয়।

কোথাও কেউ নেই

কোথাও কেউ নেই
ডাঙ্গায় গাছ নেই, নদীতে জল নেই
সবুজ আর ঘাস নেই, আকাশে নীল নেই
শুধু তুমি আমি মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রশ্নে
আমরা কি শুধু বেঁচে ভাষাহীন নিরবে?

কোথাও কিছু নেই
সুখে হাসি নেই, দুঃখে কান্না নেই
বেদনায় আকুলতা নেই, কষ্টে বিষন্নতা নেই
তবু পাশাপাশি হাত ধরে দাঁড়িয়ে ভাবনায়
আমরা কি আগের মতো আছি সে?

অন্তরে গচ্ছিত ভালোবাসাটুকু

সকলে অন্তরে গচ্ছিত ভালোবাসাটুকু চোখের সৌন্দর্যে দেখতে চায় কেন?

ফালি-ফালি করে কেটে নাও

তোমার হাতে চাকু রেখ
আমার এ বুক পাতা আছে
ফালি-ফালি করে কেটে নাও
তোমার যা কিছু চাইবার আছে...

সকলে তুলিতে চায় ঘরে

অনাদরে কাননে ফুটে যে ফুল
সৌন্দর্য্য তাহার সবে না জানে
কাহার আদরে ফুটে যে ফুল
কুড়িয়ে সবে তা, টাকায় কেনে।

বুঝি বুঝি এথা
চিত্তের মর্ম ব্যথা
ব্যথাতুর হীয়ার তরে
অবহেলায় নয়
আদরে ফোঁটা ফুল
সকলে তুলিতে চায় ঘরে।

ভালোবাসা ছুঁয়ে দেখা কিংবা লেনদেন নয়

ভালোবাসা ছুঁয়ে দেখা কিংবা লেনদেন নয়, এ অনুভব আর পরস্পরকে বুঝতে শেখা।

সুখ আর ভালোবাসা

সুখ আর ভালোবাসা
দুটোকেই মানুষ কাগুজে টাকায় মাপতে চায়, কাগুজে টাকায় কিনতে চায়...

কিন্তু টাকার ওজনে কিনে যখন প্রকৃত ভালোবাসা হতে প্রত্যাহিত হয়, তখন মুমূর্ষু মর্ম বেদনায় দাহিত হয়।

সে যদি ভাসে মোরে ভালো

সে যদি ভাসে মোরে ভালো
আমিও চাহি তারে ভাসিতে
গোরা আঁখিতে নিভৃতে নিরবে
আমিও চাহি পথখানি ভূলিতে!

থেমে গেছে অল্পে

শৈশবের স্বল্প আলোর তেলের প্রদীপ নিভতেই
রাস্তার নিকষ কালোয় গ্রাস করত ধাঁ-ধাঁ-রা
ভূত-প্রেত, রাখাল-রাজা আর স্বপ্নপুরীর গল্পে

এখন নিয়ন আলোয় রাতগুলো দিনের মতো
আলোর পথ কমতে-কমতে মিলে গেছে পথে
আমাদের ভাবনার বিচরণও থেমে গেছে অল্পে।

তেনারা *

তেনাদের মাথা গরম করা প্রশ্ন শুনলে ইচ্ছে করে তুলতুলে গাল টেনে কাঁদিয়ে দেই। আজ তেনাদের একজন বাবার কাঁধে নিজের স্কুলের ব্যাগ তুলে দিয়ে হেলেদুলে হেঁটে চলছেন আর বাবাকে প্রশ্ন করছেন- "বাবা বাবা ডাব কি প্রথমে ছোট্ট থেকে তাপ্পর বড় হয়?"
বলেন তো এটা কোন প্রশ্ন হল? বলি আমার মতো সবাইতো এ ছোট্টবেলা থেইকা জানি, তেনা তবে কেন...
আমি এ কারনে তেনাদের কাঁদানোর পক্ষে

নানারে (বন্ধু করিম) নিয়া বহুত মছিবতে আছি!!

নানারে (বন্ধু করিম) নিয়া বহুত মছিবতে আছি!!

নানা কইল তার পরিচিত কলেজ-ভার্সিটির চেনা-জানা বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে আমাকে সংসারী বানিয়ে ফেলবে, শুনে মনে-মনে বেজায় খুশি হলাম, যাক একটা হিল্লে হল বলে, উদাসিন যাযাবর স্থায়ী আবাস পাবে বলে। এরপর নানা আমার পছন্দের ব্যাপারে জানতে চেয়ে বলে- তোদের তো টাইটেল-টুইটেল কি সব বাছ-বিচার আছে, তোর এধরনের সমস্যা নাই তো? কইলাম নানা বিয়েটা পারিবারিক হলে জামেলা এখনও আছে, যদি প্রেম-টেমের ব্যবস্থা করবার পারছ তো তার লগে লুকাইয়া সংসার পাইতা লমু!! নানা কয় আমার মতো বুইরার নাকি বেইল নাই, এখন ডাইরেক্ট পারিবারিক বিয়েতে যাওন লাগব। কইলাম তয়লে টাইটেল বিছরান লাগব। যা হোক নানা কইল সে ব্যবস্থাই লইব, শুইনা আমিও নানার ভরসায় পথ চাইয়া থাকলাম।

পরদিন নানা সুখবর লইয়া আসল, কইল দাদা তোর একটা ব্যবস্থা করে ফেললাম!! শুনেই আমি মনে-মনে খুশি, নানা একদিনে ব্যবস্থা করে ফেলল? যাযাবরের ঘর হতে চলল...?

এরপর নানা যা কইল, তাতে যাযাবরের ঘরের আশা কি, ছুটেই কুল পায়না...

নানা কয় সে নাকি ফার্মগেইট কোন দোকানে খেতে গিয়ে এক মহিলার শাখা-সিঁদুর দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করে জেনেছে, তিনি আমার টাইটেলের। নানা তার সাথে কথা বলেছে, আর ঐ মহিলাও বলেছে আমার লাগি তিনি নাকি স্বামী-সংসার ছেড়ে চলে আসতে দুই পায়ে খাড়া!!! কইলাম নানা কইলি কলেজ-ভার্সিটির কথা, তবে বিবাহিত মহিলার কাছে গেলি কেন? নানা কয়- সে নাকি খোঁজ করে কাউরে পাচ্ছে না, তাই.... :o

পরদিন অফিস করে বাসায় আসলাম, দেখি নানা ফুরফুরে মেজাজে। জিগাইলাম নানা ঘটনা কি, বহুত মাস্তিতে আছিস মনে হয়?

নানা কয় দাদা আজকে তোর ব্যবস্থা করেই ফেলেছি, কনে আমাদের বাসাও দেখে গেছে, তোর সবকিছু শোনার পর সে রাজি হয়েছে। আমি বললাম তাই নাকি? আজকে আবার কে রাজি হল? নানা কয়- আজকে বাসার সামনে এক মহিলা বলতেছে- ছাই, এই ছাই লইবেন ছাই? হঠাৎ দেখি মহিলার হাতে শাখা-সিঁদুর... নানাকে থামিয়ে বললাম, তোকে মহিলার দিকে তাকাতে কে বলেছে? আর ছাইওয়ালা মহিলার সাথে তোর কথার দরকার পড়ল কেন? নানা কয় আরে শুন না, তোর জন্য না পাত্রী খুঁজছি, ভেবে দেখলাম মহিলা হিন্দু মানুষ, তার উপর হেঁটে-হেঁটে বিভিন্ন বাসায় ছাই বিক্রি করে...তার মাধ্যমে তোর একটা ব্যবস্থা করা গেলে মন্দ কি? তাই তাকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনার নাম কি? মহিলা কয় সীতা রানি দেবনাথ। একথা শুনেই ভাবলাম, মহিলার মেয়ে বা আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে তো কেউ অবশ্যই আছে, তোর ব্যবস্থা হবেই, কিন্তু মহিলা কয় তার পরিচিত বিবাহযোগ্য কোন পাত্রী নাই। তবে মহিলা নিজে রাজী হয়েছে, বলেগেছে তুই রাজি হলে সারাজীবন ছাই বিক্রি করে তোরে বসাইয়া-বসাইয়া খাওয়াইব... দাদা তুই রাজি হইয়া যায়, এ সুযোগ আর জীবনেও পাইবি না...

ভাই-বন্ধু-মুরুব্বি-শ্রদ্ধেয় জন, নানার মছিবত থেকে বাঁচার একটা উপায় বাতলায়ে দেন, নইলে তেজগাঁও রেললাইনের পাশের কচুগাছ দেখাইতাছে নানা...

ভালোবাসি বলে কাউকে দন্ডিতে চাইনি বলে

ভালোবাসি বলে কাউকে দন্ডিতে চাইনি বলে প্রতিনিয়ত নিজের মনকে দন্ড দিয়ে গেছি। ভালোবাসি বলে আগলে রাখতে না পারার যন্ত্রণা বইতে পারব না বলেই সরে আছি।

কিন্তু না বলতে পারার আরাধ্য ভালোবাসার অন্তঃক্ষরণ কতটা হয়, সে পরাজিতের অভিপ্রায় না জেনে অনুধাবন এতটা সহজতর নয়!

দায়

আমি না হয় মুর্খ্যসুর্খ্য
না বুঝেই হৃদয় বিকিয়ে দিলাম
তুমি কি এমন দায়ে পড়ে
হৃদয়খানা করলে নিলাম?

মনোরাজ্য

হতে পারি আমি অতি সাধারন
তবুও আছে জেনো রাজ্য শাসন
যেথায় আমার প্রভাব- প্রতিপত্তি, একছত্র অধিকার
আমায় হীনে রাজ্যে, বাকি সব অসার!

উগ্রবাদী ধার্মিক হবার চেষ্টায় রত

পবিত্র বেদ, ত্রিপিটক, বাইবেল, কোরআন আমাদের জীবনবোধযুক্ত সত্যিকারের মানুষ হবার উপদেশ দিলেও, আমরা উগ্রবাদী ধার্মিক হবার চেষ্টায় রত হই।

সময়ে একটা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াও জরুরি!

সময়ে একটা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াও জরুরি!

আসলে অন্তরে অন্তর্গাতপূর্ণ শূন্যতা আর মনের ভিতরে কাউকে ভেবে বুনে চলা পৃথিবীটা ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে হৃদয়টাকে বিসন্নতায় জড়িয়ে ফেলে!

কোথাও কেউ নেই

কোথাও কেউ নেই-
তবু পাশে; একখন্ড আকাশ, এক মুঠি রৌদ্দুর আর এক আকাশ আশা

কোথাও কেউ নেই-
তবু পাশে; অনুভবে তুমি, তোমার গড়া পৃথিবী আর স্মৃতি আকড়ে বাঁচা।

আমার মুখে পুরে কেন আমায় গিললি বল

নেশা যদি গিলে নেশায়
মাতালময় এই দুনিয়াটাকে
সে গিলে না তাকে গিলে
কেমন করে বুঝবে লোকে?

ওরে আমার মুষ্টিহাতের বদ্ধ সুরার ঢল
আমার মুখে পুরে কেন আমায় গিললি বল..

জরুরি

অন্যকে মানুষ হিসেবে গণ্য করতে শেখা জরুরি। মানুষ হবার নিরন্তর চেষ্টা সবচেয়ে বেশী জরুরি।

সুখ-দুঃখ বলতে কিছু নাই

সুখ-দুঃখ বলতে কিছু নাই! এটা জৈবিক তাড়নার মতো এক ধরনের তাড়না, যা চাইলেই ভিন্ন উপায়ে মন থেকে হটিয়ে দেয়া সম্ভব! শুধু উপায়টাকে যথাযথ আত্মস্থ করার কৌশল আয়ত্ব করতে শিখতে হয়। আসল কথা হলো অন্তরের ভাব-বাসনার পীড়া মানুষকে যখন পরাস্ত করে তখন মানুষ দুঃখবোধ করে, জয়ে সুখবোধ।

আমাদের ক্ষমা করো

রাষ্ট্র যখন অন্যায়ের কাছে মাথা নুড়ে দেয়, অন্যায়কে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, তখন সে রাষ্ট্রের গণমানুষের বেহালদশার গল্পগুলো মুখে জানানোর প্রয়োজন পড়ে না।

...দেশমাতৃকা আবারও লাজ-লজ্জা হেলে উন্মুক্ত দরবারে উলঙ্গ হল। তাঁর শাসক-নিয়ন্ত্রক যারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল, জীবনের বিনিময়ে হলেও মায়ের সম্মান সমুজ্জল রাখব! তারাও অন্যায়ের কাছে নিজেদের প্রতিজ্ঞা বিকিয়ে, নিজের হাতে দেশমাতৃকাকে উলঙ্গ করে ছাড়ল, তাই তাদের জন্য আবারও-

আমাদের ক্ষমা করো-
হে আমাদের রুগ্ন জন্মধাত্রী
আমরা নষ্ট বীজে অপুষ্ট ভ্রুণ
নেই গ্রহীরে শক্তি...

আমাদের ক্ষমা করো-
ক্ষমাহীন যত অযাচিত শাপ
জন্ম মোদের সংকরিত ফল
প্রভেদে রটে প্রবাদ...

আমরা আপনা নীড় আপনি ভাঙ্গি
নির্বাক প্রতিবাদে
আমাদের জন্মধারায় সংশয় আতুরঘর
কাঁদে ধুকে-ধুকে।

আমাদের ক্ষমা করো-
হে আমাদের রুগ্ন জন্মধাত্রী
কাপুরুষ সন্তান জন্মাতে বয়েছ প্রসব বেদনা
কাপুরুষ সন্তানের ভীড়ে হয়েছ মৃত্যু পথযাত্রী।