গল্প ও কাব্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
গল্প ও কাব্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৪

ভালোবাসার আটাশ বর্ষন ও স্মৃতির বেদন

সে বর্ষনের একদিন, অঝরে ঝরছিল বৃষ্টি। রাস্তার ধারে ছিটানো শুকনো খড়গুলো ভীজে সিক্ত হচ্ছিল। জাম্বুরা দুলছিল বাতাসের তালে-তালে। হঠাৎ দেখতে পেলাম তাকে…….
আষাঢ়ের সে বৃষ্টিতে তাকে দেখলাম সিক্ত বসনে। সেদিন অচেনা মনে হানা দিয়েছিল সে। মনের দুয়ার খুলে তাই তার পিছু নেওয়া, অবশেষে মনের দুয়ারে তার পর্দাপন, তার প্রেমের শীতলধারায় হারিয়ে যাওয়া জীবনে।
পরিনয়টা হলো দু’বর্ষন পর। তার হাত ধরে এগিয়ে চলল আমার প্রেমতরী। সেদিল উল্লাসে মন বলেছিল……..

জোৎস্নার আলোয় সমূদ্র স্নান

[ সমূদ্র ভ্রমন! সমূদ্র স্নান! সেতো আর নতুন কিছু নয়, সমূদ্রতটে ভ্রমণবিলাসী হাজার জন হয়। এদের মধ্যে তবু কেউ ব্যতিক্রম, আমার এ গল্পকাব্য তেমনি এক চয়ন।]

সমূদ্রবিহারে শৃঙ্খলহারা কপোত-কপোতি, ওরা প্রাণের টানে এই অদূর দূরে সমূদ্র মন্থণে, ভাবোল্লাসে।

হৃদয় উন্মদনায় এই জোৎস্না ভরা রাতে, দুটি মনের কথা একসাথে নির্জন, নিরালায়। প্রাণের কথা চলে প্রাণে, বাতাসের শিহরিত সঞ্চালনে ধ্বনিত হয় শুধু প্রাণের অশেষে বলা কথাগুলো।

অনেক ইচ্ছে ছিলো জান!
তোমাকে নিয়ে সমূদ্র স্নানে নামব জোৎস্না রাতে
এলিয়ে চুল হারাব নয়ণ, তোমার নয়ণ প্রাতেঃ।
হারিয়ে যাব চাঁদের গায়ে, আলোয় মুড়িয়ে দেহ
শুধু তুমি আমি একসাথে, রবে না আর কেহ।

প্রতিউত্তর আসে-

স্বপ্ন আমারও ছিলো! তোমার হাত ধরে
চলব জোৎস্না রাতে আলোর কৌঠরে
মাখব গায়ে জোৎস্নার আলো, হব একাকার
গাইব হেমন্তের সুরে “এই রাত তোমার আমার”।

শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৪

জ্যোৎস্না ভেজা রাত

জ্যোৎস্না ভেজা রাত। দু’টি মন ভিজে একাকার হয়ে যাচ্ছে। অলক্ষ্য চারিদার, শুধু দু’জনার মন দু’জনায় হারাচ্ছে। নিচ্ছল দেহ, রুদ্ধপ্রাণ, মনের আলিঙ্গনে প্রাণের অশেষে বলে চলা হৃদয়ের যতকথা-

ওগো বসন্তরাগী, আজি এই উত্তাল বসন্তে এলে
এতদিন কোথায় ছিলে?

প্রাণের অশেষে আরোকটি প্রাণ রচে-

ছিলেম সীমাহীন প্রান্তরে, খুঁজে ধারে-ধারে
তোমার কামনায়।

নিরব-নিস্থুপ কিছুক্ষন, এ‘যেন বিস্তৃতির প্রসারণ, স্বপ্নলোকের পরতে। আবেশ রচে, মনের তৃয়াষে, নব বাচ্যতে-

বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৩

নিশন্তি

আজ চারাগাছটিতে নতুন দুটো পাতা গজালো। কি সুন্দর চকচকে দুটো পাতা। ভোরের আলোয় আলো খেলায়, মিষ্টি হাওয়ায় হাওয়া দোলায়। এ যেন নব আগমনে সুখের জোয়ারে আহ্লাদিত কচি দুটো পাতা। ছোট চারা কচিপাতা, দোলে খোলে স্বপ্নখাতা।
নিশন্তি ঘুম থেকে উঠে পাতা দুটো দেখে বড় আবেশিত হয়, ছোট্টখুকির অবুঝ মন, অবুঝ ভাবনাদের কথা-কথণ, কত কি বলে যায়, বার-বার টান পায়, ছুটে যায়। ধরে যত্ন করে, তার ছোঁয়ায় চারাটি শিহরিত হয়, দোলে, আনন্দে নড়ে।
ভোর সরে যায়, সকাল হয়। সূর্যের আলো বাড়তে থাকে। কৌলাহল বাড়ে, শব্দ ঝঙ্কারে ছায়াপূর্ণ হয়। খুশির কলরোল নামে, নিশন্তির খেলাঘরে। বন্ধুরা জড়ো হলে, সুখ লাগে। খেলা জমে। কতশত বর্ণিল রঙ্গে রাঙ্গে মাতানো মন, জীবন রাঙ্গানো খেলা। চলতে-চলতে ছুটে, পথে যেতে-যেতে কত হিল্লোল ঐ বাতাসের হিমে, রোদের ঘামে, খেলা জমে। খেলা বর্নিল, কোন খেলাই বেশী গড়ায় না, বন্ধুরা বাঁকে, কেউ কাঁদে, খেলা ভাঙ্গে, তবু খেলা চলে।