শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

যথার্থ সঙ্গ দিলে, আমিও যোগ্য অর্ধাঙ্গ হব

যদি রাগ না কর, প্রিয়তমেষু;
তবে সত্য বলি!
তুমিই কেবল আমার প্রিয়তম নও!


অধিকারের কথা বললে-
তাই সত্যটাও জানানো কর্তব্য!
আমার প্রথম অর্ধাংশ আমার শিক্ষা
সময়ে অসময়ে মানা না মানার মাঝেও-
জড়িয়েছি তার প্রণয়ে,
অর্জন করেছি তার স্থিতি
তাই; তাকে কটুক্ত প্রণয়ে ছিন্ন করবে
সে শক্তি তোমার কোথায়?


আমার দ্বিতীয় সত্ত্বা আমার কর্ম, কর্তব্য!
প্রথম প্রথম তার ভয়েও পালাতাম!
অথচ দীর্ঘ কালচক্রের সমস্ত জিজ্ঞাসায়
আমাকে সে সমর্পিত করে নিয়েছে!
শিখিয়েছে- ভালোবাসার জন্য যথার্থ সমর্পণ!
বুঝিয়েছে- অক্লান্ত প্রচেষ্টায়ই মেলে
কেবল প্রেমময় অমৃতসুধা!
তাই; সে জায়ার প্রতি সম সমর্পণে
সঁপেছি সমস্ত, যা তার প্রাপ্য সংকলন।
জীবনের গতিপথ নির্মাণে এটুকু যদি পর্যাপ্ত হত!
যদি যোগ্য উত্তরসূরির প্রদাহ তাড়নায় না বাঁধত।
তবে তুমিই বা আমার কি ছিলে?
অথচ কি আশ্চর্য দেখ-
সে তুমিই দাবী করে বসলে, তুমিই প্রথমা!
দাবী করলে তুমি সমস্ত প্রনয়ের দাবীদার! জানালে তুমিই ঐশ্বর্য্য, শয্যা, সংসার!


এটা কতটা অবাক ব্যাপার না? বল!
মাত্র কয়দিনেই তুমি আমি হতে শুরু করলে!
প্রতিভূ শুরু করলে আমার নাড়ী- নক্ষত্র, অস্তিত্বে!
তাও হয়ত সে পর্যন্তই ঠিক ছিল-
কিন্তু; যখন বোঝালে তুমি ব্যতীত আমি লীন!
তখন তোমাকে সত্য জানানো জরুরি হয়ে পড়ল।
তবে হয়ত এও সত্য,
অত তাড়া না দিলে-
সময়ের প্রয়াসযজ্ঞে তুমিই হবে আমার
সত্যিকারের অধিশ্বরী, প্রেমময় অর্ধাঙ্গিনী!


তাই; পুনঃ প্রেমময় আহ্বান-
খোলসের আগ্রহে বেঁধোনা প্রিয়তম।
হে প্রিয়তমেষু, তুমি বরং সময়ের যোগ্য হও!
বিশ্বাস রেখ, শিক্ষা নিষ্ঠা কর্মে যথার্থ সঙ্গ দিলে
শাশ্বত সত্য শপথে আমিও যোগ্য অর্ধাঙ্গ হব!