রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

চাওয়া

জানতে আমার ভূল কোথায় জানি না
তবু জানতে আমার মন কভূ চাহে না।

শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

নিরূপণের ইচ্ছে

আকাঙ্খাগুলোকে যদি গলাটিপে মেরে ফেলা যেত তবে বোধহয় এতটা ভাবান্তর হতে হত না আমাকে, শূণ্যহাতে এসে শূণ্য হাতেই যদি ফিরি তবে আলো-আঁধারের পার্থক্য নিরূপণের ইচ্ছে কোথায়?

ভাবাচ্ছন্ন মোহ

জীবন উৎপত্তি সমাপ্তির জন্যই।
তবুও; রাজপ্রসাদে কিংবা কুড়োঘরে, সম্রাট কিংবা চোর, জীবনের তাগিদে কিংবা মোহসুখে প্রশ্রয় দেয় বাসনায়।

যখন ছাতিফাটা চৈত্র কিংবা যৌবনাৎসায়ী বসন্ত মিশে একাকার হয় তখন মানবতা কিংবা ভালোবাসা বাঁচে নিষ্কন্টতায়।
কমলালেবুর মত গোল পৃথিবীতে আলো-আঁধারির খেলা নিমিত্তিক বলেই বলি, মানুষের ভিতরকার চিত্রপট নিঃস্বার্থ ভাবে ভাবা মুশকিল। বরং জীবনভূমে সেই বড় সত্য, স্বার্থের তাগিদে মানুষের চলাচলই জীবনভূমে অতী বাস্তব।

ভাবাচ্ছন্ন মোহনায় মোহে আবদ্ধ ব্যক্তিত্ব আমাদের কাছে মিথ্যে করে দেয়, জন্ম-মৃত্যুর মত ধ্রুব সত্যকেও!

বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

সুতো


চেনা সুতো
বাঁধে তোমাকে-আমাকে-তাকে
দূর বিজনে; নির্জনে,

এই সংসার মোহতলে
দুঃখ-সুখ ভাগাভাগি করে
মমতার বানে।

ভালোবাসার চেনা রূপ

অন্তরে লালন করা ভালোবাসা, সে কারো জন্যে না। কেহ জানে না সে ভালোবাসার মর্মার্থ, কেউ বুঝে না সে ভালোবাসার পীড়ন।

অন্তরে তাকে চাইলে, মন-প্রাণ দিয়ে চাইলে, পাশে গেলে, সঙ্গী হলে, তোমার ভালোবাসার হাতছানী সে উত্তাল বাতাসের কানে কান পেতে জানবে না। তাকে তুমি ফুলের উপমায় উপমিত করলে না, তার হাত ছুঁলে না, টোল পড়া গালে হাতের চিমটি কাটলে না, দু‘হাত উর্দ্ধে তুলে চিৎকার করে বলতে পারলে না, তুমি তাকে ভালোবাস। পাখিদের কাকলিতে আমোদে আহ্লাদিত হয়ে আবেগি কথা বললে না, সাগরের গর্জনে, সমূদ্র বিহারে কিংবা পাহাড়ের সবুজ সমারোহে তুমি তাকে দিলে না যুতসই কোন আবেগী আহ্লাদ। তবে সে বুঝবে? সে খুঁজবে তোমার কায়া, জোৎস্নার ছায়ায় পূর্ণিমার রাতে?

ব্যর্থ জীবনের মাতালময় অনুচ্ছেদ-


ব্যর্থ আমি!
তাকে ভালোবাসতে পারিনি বলে!
নিজেকে চিনতে পারিনি বলে!

আগ্রহ আমার নিকোটিনের ধৌঁয়াময় চারিদার
সূরার ঢোকে মাতালময় অনুচ্ছেদ-
যেখানে সৃজন নেই; প্রতিষ্ঠা নেই
অতঃপর জেগে থেকে-
মরার মত পড়ে থাকা দুনিয়ায়
অনাচার, অবজ্ঞা সবের চিহ্নিত ব্যবচ্ছেদ।

বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

দূরবর্তী

আকাশের মত দূরবর্তী থাকাই ভালো। কারণ; এতে ছুঁতে ইচ্ছে হয়, ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছে হয়; কিন্তু স্বাদ মেটাতে ক্ষমতা দেখাবার প্রয়োজন পড়ে না।

বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

জেনো

যখন পড়বে খসে সুখতারা‘টাও আকাশ হতে
জেনো তখন তুমি-আমি মাটির ঘরে, পড়ে আছি শূণ্যমনে
গভীর নিকষ অন্ধরাতে।

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

বাসনা

কর দেহের প্রতিটি অঙ্গচ্ছেদ,
যতটায় স্বাদ মিটে, মিটে বাসনা তোমার
আমি আবেগ রূধিতে না পেরে
করি না হয় একটু চিৎকার


সে চিৎকারে তোমার সুখ, আমার দুখে 

অশ্রুজলায়; রক্তধারায় একাকার।

যদি

মাকড়সার জালের মত- অন্তর্জালের আবর্তে গড়া জালের এক সূতিকা ঘরেই যদি জীবন থমকে দাঁড়ায়, তবে এক জীবন কিভাবে অন্য জীবনকে উপলব্ধি করবে? মানবতার জন্য হাহা-কারে ঢুকরে কাঁদবে?

রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

গৃহহীণ

স্বপ্নকাতুরেরা দিনশেষে গৃহহীণ!

সত্য

মিথ্যের বেসাতি দিয়ে সত্যকে যতই আবডাল করা হোক না কেন, মিথ্যার রং ছং এ সাজিয়ে যত সুন্দর প্রাসাদ‘ই গড়ে তোলা হোক না কেন, সত্যের একটুখানি সু-বাতাস তাকে খড়কুটোর ন্যায় উড়িয়ে নেবে, সত্যের একটুখানি অগ্নিদাহ তাকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে অঙ্গার করে দেবে।

শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

বাস্তবতা বড় কঠিন

যে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়, অর্ধেকের বেশী হিন্দুদের ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে, আজ সে দেশ ইসলামী দেশ। সে দেশে হিন্দু‘রা সংখ্যালঘু, তাদের এদেশে বসবাসের অধিকার নেই। সত্যি বাস্তবতা বড়ই কঠিন..........

নিজের বুঝ

যত সত্য-সংযত তথ্য দিয়েই বুঝানো হোন না কেন, প্রত্যেকে নিজের বুঝকে আকড়ে ধরে থাকার আপ্রাণ চেষ্টায় থাকে।

শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

পার্থক্য

বিশ্বস্ততা আর সততার মাঝে বিরাট পার্থক্য আছে, একজন বিশ্বস্ত লোক অসৎ হতে পারে। কিন্তু একজন সৎ লোককে অবিশ্বাসী প্রমাণ করতে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া লাগে.......

বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩

অঘোরের ঘোরে ঘুরছে প্রকৃতি


বুক চিরে দেখ; এ প্রহসণ হৃদয়টাকে কুড়ে-কুড়ে খায়
দায় আমার ৪২ বছরের জমানো ক্ষরণের,
নিশ্চুপে কত বিলাপ, কত আহাজারী সে শূণ্য মিলিয়ে গেছে
অন্তর‘টাকে খুলে এনে যদি দেখাতে পারতাম
তবে হয়ত দেখতে এ প্রহসণে সে কতটা চিহ্ন-ভিন্ন।

মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৩

যদি এ‘হয় মানবাধিকার!!!

শালাল মানবাধিকার, মানবাধিকার, মানবাধিকার। মুতি মানবাধিকারের মুখে।
দৈনিক হিংস্রাত্নক আচরণে সাধারণ জনগন মেরে ফেলার পরও মাণবাধিকারের প্রশ্ন উঠে না,
সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা‘কে জিম্মি করে বারংবার কোনঠাসা করতে গেলেও মানবাধিকারের প্রশ্ন উঠে না,
ক্ষমতায় তৃয়াস মেটাতে অস্রধারীর অস্র রক্তে রঞ্জিত হলেও মানবাধিকারের প্রশ্ন আসেন,
একাত্তরে হানাদারের ঘৃণ্য কু-কর্মের জন্য মানবাধিকারের প্রশ্ন উঠে না।

আর যেই না কাদের মোল্লা, সাঈদী, সাকা, নিজামীসহ একাত্তরের হিংস্র জানোয়ারদের বিচার কার্য্য হচ্ছে, তখনই মানবাধিকার ছটপট করা শুরু করেছে?
জানতে ইচ্ছে করে মানবাধিকার কি বিশষস্থান থেকে বেড়ে পড়া রস যা মানবাধিকার বলে চিৎকার করা সুশিলদের স্বাদ মেটায়?
যদি এ‘হয় মানবাধিকার, তবে এমন মানবাধিকার চাই না, শুধু চাই একাত্তরের হিংস্র হানাদারদের ফাঁসি।

অরক্তিম ভালোবাসা আর সম্মান রইল মহান নেলসন ম্যান্ডেলার প্রতি

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। অথচ শ্রেষ্ঠত্বের এই রূপটাই বারংবার পাংশুটে বিবর্ণ রূপ ধারণ করে স্বার্থসিদ্ধ; মনুষ্যত্ব বিবর্জিত আচারণের কারণে। হ্যাঁ; শুধু এ একটা কারণেই মানুষেররূপটা হিংস্রপশুররূপে ধরা পড়ে, কঠিণ হয়ে পড়ে চিহ্নিত করতে জীবজগতের এই শ্রেষ্ঠ জীবটিকে।
জীবজগতের অন্য জীবদের তুলনায় মানুষ দৈহিক, বাহ্যিক আর চিন্তাধারায় উন্নত হলেও তারা সবসময় নিজেকে নিজের আসনে ধরে রাখতে পারে নি। ক্ষমতার অন্ধমোহ, শারীরীক গঠণ, জৈবিক আকর্ষণ, ধর্মীয় গোড়ামী কিংবা আপনার মধ্যেকার অজ্ঞতাপ্রসূত দাম্ভিকতায় মানুষ বারংবার নিজেদের মধ্যে জড়িয়ে নিয়েছে লড়াইয়ে। লড়াই শেষে রক্তাক্ত প্রহসন মানুষের মধ্যেকার মানুষটিকে কিছুটা নাড়া দিলেও ক্ষোভ কিংবা আপনার চরিতার্থ রচনায় তারা কখনো পিছু হটে নি। ফলে সর্বত্র দেখা মেলে যুদ্ধ, বিগ্রহ, হিংসা, দ্রোহ, নৈরাজ্য কিংবা বর্ণবাদের মহোৎসব। আর এই মহোৎসবের উন্মাদনায় যখনই দেশ, জাতি কিংবা বিশ্ব পথভ্রষ্ট হয়, তখনই জীবনবাজি রেখে আলোকবর্তিকা হাতে ধরে সাম্যের গানে-গানে আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে চলে অবিসংবাদিত কোন মহান নেতা। নেলসন ম্যান্ডেলা তেমনি একজন। সমগ্র দক্ষিন আফ্রিকায় যখন বর্ণবাদের ছড়াছড়ি, শ্বেতাঙ্গদের কাছে যখন কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি নির্মম অত্যাচার চলছে, ঠিক তখনি কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য নিজের জীবনবাজী রেখে আলোক হাতে এগিয়ে চলেন তিনি। জীবনের দীর্ঘ ২৭ বছর কারাভোগ, শারীরীর, মানুষিক অত্যাচার সহ্য করেও তিনি লড়ে গেছেন বর্ণবাদ আর শ্রেণী শোষনের বিরূদ্ধে। আর তারই ফলশ্রুতিতে পেয়েছেন মানুষের নিষ্কণ্টক ভালোবাসা, দক্ষিন আফ্রিকার জনকের শ্রেষ্ঠত্ব সম্মান। এই শ্রেষ্ঠ মানুষটি গত বৃহঃস্পতিবার আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। অরক্তিম ভালোবাসা আর সম্মান জানাই এই মহাণ মানুষটিকে।

একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি

আজ বিপ্লবি নেতা ক্ষুধিরাম বসুর জন্মদিন। ১৮৮৯ সালের এ দিনে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত মেদিনীপুরে এ সূর্যসন্তানের জন্ম। যিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরূদ্ধে লড়তে গিয়ে মাত্র ১৮ বছর ৭ মাস ১১ দিন বয়সে হাসি মুখে ফাঁসির মঞ্চে আরোহণ করেন। বরণ করে নেন মাতৃভুমির জন্য গৌরব উজ্জ্বল মৃত্যু যাতনা।
স্যালুট জানাই সময়ের এই বীর সূর্যসন্তানকে, যে অকুতোভয় প্রাণ নিয়ে এগিয়ে গিয়েছে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলণে আমার স্বপ্নের রূপকার হয়ে।
আর তাঁর মৃত্যুতে আহত মনে কেঁদে উঠে বলি- “একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি”।

নির্ভরশীলতা

স্বপ্ন দেখে যাও, স্বপ্ন দেখিয়ে যাও
স্বপ্ন দেখার পথগুলোকে যদি আস্থায় দৃঢ়শীল করতে পার, তবে সে স্বপ্ন পূরণ হবেই।
তবে স্বপ্ন দেখার ক্ষেত্রে কোন নির্ভরশীলতা আশা কর না, কারণ একটা নির্ভরশীলতা স্বপ্ন ভেঙ্গে দেবার ক্ষেত্রে হাজারটা বন্ধকতা তৈরী করে।

শুভ জন্মদিন

নিসঙ্গ পথচারী, সুদূর পথে
হেঁটে যায় একাকী অকারণ
চলে যাওয়া সে পথে
ভালোবাসা বাঁধে তারে আমরণ।

সে ভালোবাসা ভূলে, পথে ফেলে যে
পাষন্ড চিত্ত তার,
পথে-পথে ঝরা ফুলে
পদদোষে চিত্তবিষে একাকার,

অজানা সত্য

বোধের বিচারে নির্বোধ হয়েছি আমি,
যাতনা পুষেছি অন্তরে;
জেনেছি, সেই অজানা সত্য,
ক্ষোভের প্রায়চিত্তে মানুষ হয় সাধু কিংবা চোর
পুষে রাখা স্বপ্নের মন্তরে।

সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

সুযোগ

দৃষ্টিকটু বাক্যে শুরু হওয়া নিষ্কন্টক সত্যও গুরুগম্ভীর মিথ্যা। কারণ; তা বিতর্ক সৃষ্টিতে সুযোগ দেয়।

জানা

মরতে যাকে চেনা হয়, সে আমার যম
সংসার তরণী পাড়ি দিতে, লাগে বড় দম!!

মমতার আশ্রয়ে আমাদের স্বপ্ন‘রা যে বড় নিঃস্ব

জীবন আর জীবিকার পথে পুড়ে ছাই কত স্বপনের সোনালী কুড়োঘর। তবু স্বপনের খুনশুটি ভূলে ছুটি এই আমরা, বাঁচার তাগিদ যে আমাদের বড়, মমতার আশ্রয়ে আমাদের স্বপ্ন‘রা যে বড় নিঃস্ব।

মূঢ়, অলস

রাত-দিন আমরা আমাদের ব্যর্থতাগুলোকে আবেগে পরিনত করি আর অন্যের পানে চেয়ে থাকি তার কৃপা-অনুগ্রহতসূচক শান্তনা বানীতে । কিন্তু ব্যর্থটাকে সফল কার্য্যে পরিনত করতে আমরা বরাবরই মূঢ়, অলস।

রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

হাত রাখা হাতে

অচলা!!! নিবিড় অরণ্যে
থমকে থাকা বেলায়
শালিকের ঝাঁকে
শুনেছ কি!

শুনেছ কি;
গভীর অরণ্যও ঢালে
সমকালের পায়ে-পায়ে
খেয়ালি মাখা চুমো
উচ্ছ্বাসে!

তিতে

উচিত কথার বাক্য দিলে
তাতে দেখি তিতে মিলে।

আপন-পর

যখন মৃত্যু‘টাই সত্য পাগল,
ভুলাবি আপনায় কোনসে্ ভুলে
মায়ায় ভোলা এ জগতে
আপন-পর হেতু অন্তঃমূলে।

সফলতা

মানুষের জানার বা জ্ঞাণের পরিধি বিশাল হলেও জানার ইচ্ছার পরিধি সংকীর্ণ। খুব কমজনই অকারণে নিজ আগ্রহে অজানাকে জানতে চায় বা জানে। তাই কারো চলন-বলন বা কথাবার্তা দিয়ে তার জানার পরিধি বিবেচনা করা ঠিক নয়। সময়, সুযোগ পরিস্থিতিও অনেককে অনেক বেশী সফল করে তোলে।

শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

শোনা যায়

যুগ গেছে চলে, মিশে গেছে অনন্তলোকের আঁধার সীমানায়
তবু; তাঁর পদধ্বনি শোনা যায়, বাতাসের সুর মুর্চ্ছনায়।

স্বপ্নবাঁচুক

হোক এ‘ঘর কুঁড়োঘর
প্রকৃতির শিক্ষায় স্বপ্নবাঁচুক জীবনভর।

বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

নিরূপণ

যিনি সৎ থাকতে চেয়েও সত্য-মিথ্যা নিরূপণে ব্যর্থ, তিনি প্রকৃত অর্থে অসৎ এবং তার স্বরূপও বিপদজ্জনক।

মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

পাবে, নেবে

আমাতে কি আছে বল তুমি পাবে?
কি এমন পাবার আছে তুমি নেবে?

দুঃখিত

দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বাবা কিংবা স্বামীর আর্শিবাদপুষ্ট নেত্রী, বেশ্যাবৃত্তি কিংবা লেয়াজুবৃত্তি করা নেতা, মহাজোটভুক্ত পা‘ছাটা পন্থিদল কাহাকে সমর্থন করতে চাই না। চাই উদার মনোবৃত্তি আত্মদৃড়কল্পসম্পন্ন সত্যিকারের একজন দেশদরদি পরাবিক্রমশীল নেতা, তার পদাচারণে মূখরিত হবে আকাশ-বাতাস আলোক। যতদিন সে আশা পূর্ণ না হচ্ছে, ততদিন দেশের নাগরিক হিসেবে দেশকে ঘৃণাছাড়া অন্যকিছু দিতে পারছি না বলে দেশমাতৃকার কাছে অকৃতজ্ঞ সন্তান মনে ক্ষমা চাই।

সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৩

ক্ষমতা

বেশ্যার একটা ধর্ম থাকে, সে যা সবসময় সেরকম আচারণ দেখায়। কিন্তু বুদ্ধি বেশ্যাদের কোন ধর্ম নেই, এরা গা বাঁচাতে কতক্ষন এদিক চাটে তো কতক্ষন ঐদিক চাটে। আর রাজনৈতিক লেবাসধারী বেশ্যারা তো ক্ষমতা আকড়ে ধরতে সবধরনের বিষ্টা চেটে খায়।

রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৩

ওহে দয়াল কর মোরে পার

জন্মিয়া পৃথিবীতে, ক্ষুধা কিংবা ভয়ে কেঁদেছি বহুবার
স্মরণ নেই কিছুই তার,
সময়ে-অসময়ে দুঃখরাশি করেছে রাশভার।

চলেছি গগণে ঠেকিতে-ঠেকিতে জীবন
দেখেছি পদে-পদে কত ভূমিলোকের ক্রন্দন
ঠেকিতে-ঠেকিতে জমেছে পা, হয়েছে জীবন অসার
সারে সার, বলি মহিমা তোমার ওহে দয়াল
কর, কর মোরে পার।

প্রয়োজন

শরীর নুড়ে পড়ছে, চোখ ভেঙ্গে আসছে; তবু ঘুমানো যাবে না পেটের টানে, জীবনের প্রয়োজনে।

পড়ন্ত বিকেলের আভায়

জীবনটাকে অর্ধেক করে এগিয়ে গেলাম; সূর্যের আলোয় জোৎস্না দেখব না এই সময়ে। ভালোবাসাগুলোকে আঁকব আপন করে নীলপাড়ের ঐ সাগরের নীলপানিতে। জীবনের স্তবক বৃন্তে থাক বা না`থাক কার্পণ্যগুলোকে আবডালে আমি লুকাবো।
চূড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা কল্পকন্যার জন্য বাকী অর্ধেক জীবনকে খোঁড়াতে আজ পথে দাঁড়িয়েছি। তার ভালোবাসার বিবর্ণরূপ কি আমায় কদার্য্য করতে পারবে এই পড়ন্ত বিকেলের আভায়?

শূণ্যতা

আলো আর অন্ধকার এই দুইয়ের মাঝে একধরণের শূণ্যতা থাকে, সকলের পক্ষে তা দেখা বা অনুভব করা সম্ভব নয়।

নিরুদ্দেশে যাত্রা

শব্দহীন পথে আমি পা বাড়াতে চাই
তবুও জনকৌলাহল মেতে রাখে আমায়
জানিনা কে কি বলতে চায় উৎসাহে
তবু নিরুদ্দেশে যাত্রা হোক, মনের আগ্রহে।

পথের বেলা

সবতো দেখী রঙ্গলীলা,
বাঁধন ছাড়া এই আমাদের কি আছে গো
থাকবার বাকী কি রঙ্গশালায়
হেসে কাটি আপদভোলা
এই আমাদের দিনগুলোসব যত্নে তোলা
পথের বেলা।

আমার জীবনটাই রক্তাক্ত প্রহারের প্রহরী

জীবনের দেয়ালে মাথা ঠুকে-ঠুকে বার-বার রক্তাক্ত হয়েও যখন দেখী জীবনকে আমি আগের মতোই স্নেহ-মমতায় বাড়তে দিচ্ছি, তখন ভাবার আর কোন কারণ থাকে যে; আমার জীবনটাই রক্তাক্ত প্রহারের প্রহরী?

আমি বিভ্রান্ত নই

মানুষ হিসেবে আমার মাঝে বিভ্রাট থাকতে পারে, কিন্তু আমি বিভ্রান্ত নই। আমার চোখের সামনে দিয়ে তোমাদের নিয়ত লুকোচুরি খেলা দেখেও আমার চুপ থাকা দেখে ভেব না, বোঝার ক্ষমতা আমার কমে গেছে। আমিও শুধু অপেক্ষা করছি তোমার খেলার শেষধান‘টা দেখতে। জয়-পরাজয় সেতো খেলার শেষে নির্ণয় হয়; নাকি.......?

শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৩

বেওয়ারিশ নাভীমূল আজ ছেদ করে নিচ্ছে জগতের সব সুখ-সৈকত


বড় বেদনাসক্ত প্রাণ বয়ে যাচ্ছি, বেঁচে থাকার কথা ভাবতেই আৎকে উঠি। চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাই মন্টু পাল, সুমিদের প্রজ্জ্বলিত আগুনের দগ্ধতা থেকে বেঁচে থাকার অপ্রাণ চেষ্টা, আত্মচিৎকার। উহঃ, চিৎকার দেহের প্রতি রন্ধে-রন্ধে প্রতিয়মান হচ্ছে। চিৎকার বেঁচে থেকে স্বপ্ন দেখার স্থানটাকে বড় অমানবিকতায় ছিরে-ছিরে ছুড়ে ফেলছে সহিংসতায়। হায়; আর চোখ বুঝে থাকতে পারছি না। কত নৃশংসতা, কত অষ্পৃষ্টতা, ঘৃণায়-ঘৃণায় হৃদয়টাকে ছিহ্ন-বিছিহ্ন করে দিচ্ছে। বলছে আমি মানুষ বড় অমানবিক, আমি মানুষ পশুর গর্ভদায়ে স্তম্বিক।

মৃত্যু!!!!


মৃত্যু!!!!
নিতে হবে স্বাদ, জন্ম যখন বন্ধন তাড়নায়
প্রহর কেটে, পশ্চিম দিগন্তের ঐ আভাটুকু
পৃথিবীর সুখ খুঁজে নিতে, অমৃত মন্ত্রণায়।

ঐযে; বেদী,
সেখানে সংসার খেলা চলে
স্বপ্ননিয়ে কতজন খেলতে যায় খেলাঘরে।

পুঁজিবাদী সমাজের সমাচার


গত তিনদিন ধরে লিটন‘দার একটু-আধটু সান্নিধ্য পেয়েছি, পেয়েছি এমন কয়েকটি সামাজিক আর বৈষয়িক বিষয়ে ধারণা যা সত্যি ভাবনার। এমন কিছু সচেতন ধারনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি তাকে। দাদা আমাকে খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন-সমাজের পুঁজিবাদী‘রা নিজেদের হীণস্বার্থ উদ্ধারের জন্য সমাজের প্রতিটি স্তরে কৌশলে এমনভাবে ধাঙ্গা বাঁধিয়ে চলছে যাতে করে আমরা যারা সমাজে বেঁচে থাকার জন্যই বেঁচে থাকি, তারা পরষ্পরের সাথে খড়গ হস্তে লিপ্ত থেকে পরষ্পরকে নিঃশেষ করে যাচ্ছি। প্রকান্তরে স্বার্থণ্বেষী‘রা নিজেদের এমনভাবে প্রচারের সুযোগ পাচ্ছে যে, তাতে মনে হতে থাকবে আমাদের যা কিছু আশা-প্রশ্বাস তা তাদেরই জন্য সম্ভব হচ্ছে। বাস্তবিক অর্থে মোটেই তা নয়। প্রত্যেকটি ব্যাপার তারা সমাজের আধ্যপৃষে্ঠ এমনভাবে জড়িয়ে দিচ্ছে নিজেদের অজ্ঞতায় আমরা সেসব হতে কখনোই পারছি বের হতে পারছি না অথবা সেসব আমাদের ধারণা কিণারেই ঠাঁই পাচ্ছে না।

সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৩

খেলা ও অশ্রু

কত সুন্দর করে রাজনৈতিক ময়দানের উত্তপ্ত খেলা চলছে,
তখনো আমাদের চোখের অশ্রুজল পৌঁড়া ঘর আর মন্দিরের পাণে চেয়ে ঝরছে।

শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৩

ভাবের দেশ

ভাবের দেশে লরের গাড়ী উল্টো দিকে চলে
সে গাড়ীতে পড়শি‘জন নাই, একা পৌঁছি ঘরে।।

চরিতার্থ

যে রাজনীতিতে সুবিধাভোগীর সংখ্যা দেশের মোট জনগনের ১০ শতাংশ কিংবা তারও কম, সে রাজনীতির মূখ্য উদ্দেশ্য রাজনীতি হয় না, মূখ্য উদ্দেশ্য ক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে নিজ দল বা ক্ষমতালোভীদের স্বার্থন্বেষী মনোভাব চরিতার্থ করানো।

মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৩

দেখী হাসাতে পারি কিনা?

প্রযুক্তির ছোঁয়া জনজীবনকে দিয়েছে আকাশচুম্বি সফলতা, তারই ধারাবাহিকতার জের ধরে আজ জনজীবন হতে চলেছে যান্ত্রিক, প্রানহীন। যান্ত্রিকতার বেড়ানালে চাপা পড়ে ধীরে-ধীরে মানুষের মধ্যে মানষিক অশান্তি বাড়ছে দিনকে-দিন। আর এই মানষিক অশান্তির একমাত্র ঔষধ একচামচ হাসি। জীবনকে ঝরঝরে রাখতে প্রতিদিন তিনবার করে এই ঔষধ পান করুন। কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভাবছেন? ভয় নেই, সম্পূর্ন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ামুক্ত এ ঔষধ বিনামূল্যে সর্বত্রই পাওয়া যাচ্ছে। বিনা পয়সার জিনিস বলে ভাবছেন? ভয় করবেন না, শুধু একবার মনে করতে চেষ্টা করূন- আমরা বাঙ্গালি জাতী, আর এ জাতীর গৌরব আছে এ ব্যাপারে। বাঙ্গালি বিনাপয়সায় পেলে আলকাতরাও খেতে রাজী। হাঃ হাঃ হাঃ, দেশপ্রেমিক বাঙ্গালি ভাইরা, দয়া করে মন খারাপ করবেন না। আমরা দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে একটাকা ঘুষ খাওয়ার জন্য মানুষের জীবন ছন্নছাড়া করে দিতেও ভাবি না। দুঃখিত, আবার ভুল করে ফেললাম তাই ভুলের মাশুল হিসেবে নিচে দুটো সত্য ঘটনার আর দুটো শোনা কৌতুক দিচ্ছি।

গর্বিত আগামি প্রজন্ম!

যুগ বদলেছে........
চারিদিকে আজ পালাবদলের হাওয়া। প্রকৃতির আনাচে-কানাচে পালাবদলের ঢেঁউ। সুন্দর বদল, কত সৃষ্টি-সৈকতের আগমণী বার্তা, বৈচিত্রের রঙ্গে-ঢঙ্গে বর্নিল।
সত্যি কি তাই! এই বদল শৃঙ্খলিত? এই পালাবদলের সুর কি বৈচিত্র্যের আহ্বানে চির-সুন্দর?
ঠিক আছে, আসুন আমরা একটা পালাবদলের চিত্রফট দেখী।
কি???? শালার বাচ্চা শালা, ইয়া...........

মুক্তির ক্ষুধা

সে অনেকদিন আগেকার কথা, এক বনে ছিল এক দুষ্ট বাঘ, তার হিংস্রতায় ছিল বনজীবন ও জনজীবন অতিষ্ট। একদিন এক দুষ্ট শিকারীর ফাঁদে ধরা পড়ে খাঁচায় বন্দি হয় বাঘটি। ফলে বনজীবন ও জনজীবনে নেমে আসে সুখের বারতা।
এভাবে কিছুদিন কেটে যায়, দিনের পর দিন খাবারের অভাবে বাঘটি ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং পথিমধ্যের লোকজনকে আকুতি-মিনতি করে তাকে ছেড়ে দেবার জন্য। কিন্তু দুষ্টবাঘের ব্যাপারে সবাই জানত বলে কেউ তাকে ছেড়ে দিতে রাজি হয়না। শেষে এক সহজ-সরল লোক বাঘের মায়াকান্নার মোহজালে ধরা পড়ে বাঘটিকে ছেড়ে দেয়। অবাক ব্যাপার হল বাঘটি বেরিয়ে এসে লোকটির উপর কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করে ক্ষুধার তোপে তাকে খেতে ছুটে যায়। অনেক অনুনয়-বিনয় করেও লোকটি বাঘটির হাত থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে পায় না। পরিশেষে ধূর্ত শিয়াল পন্ডিতের বুদ্ধিতে লোকটি প্রানে রক্ষা পায়।

নিদ্রিত হোক বেঁচে থাকার সুপ্ত বাসনাটুকুও

নিয়নের আবছা আলো ছড়ানো। ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঐ আলোয় পথ দেখে চলতে হয়। রেললাইনের স্লিপার ধরে তেজতুরি বাজারের মোড় দিয়ে বাসায় ফিরছি। হঠাৎ একটা ব্যাপার চোখে পড়তেই আমি থমকে দাঁড়ালাম। ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে যে আবছা আলো পড়ছে তাতে আমি প্রথমে কিছু না দেখতে পেলেও ভালোভাবে খেয়াল করতেই যে দৃশ্য দেখলাম তাতে হতবাক না হয়ে উপায় ছিলনা। আমি দেখলাম ঘুটঘুটে ঐ অন্ধকারে একটা লোক জড়োসড়ো হয়ে শুয়ে আছে। তার দেহের গড়ন চিকন ছিপছিপে, কালো। পরনে একটা লুঙ্গি যা কিনা বুক হতে হাঁটু অবধি জড়িয়ে আছে।

কঠিন বাস্তবতাঃ জননী

জননী ইট ভাংছিল, খেলছে নিজে-নিজে তার কোলের শিশুটি।  অনেক সময় পর শিশুটি খেলা সাঙ্গ করে মায়ের সান্নিধ্য পাওয়ার আশায় কান্না জুড়িয়ে দিল । মায়ার মোহজালে আবদ্ধ জননী আর নিজেকে স্থির রাখতে পারল না, ছুটে এলো নাড়ির টানে। হাতুড়ির কষাঘাতে শক্ত খসখসে হাতে সন্তানকে আপনার বুকের কাছে টেনে নিল। অথচ শক্ত খসখসে হাতের পরম মমতায় শিশুটির কান্না থেমে গেল। জননী শিশুটিকে আপনার বুকের দুধ খাইয়ে আবার খেলতে বসিয়ে দিলেন।কিন্তু; শিশুটি এখন আর নিজে- নিজে খেলতে রাজী নয়, সে খেলার সঙ্গি হিসেবে জননীকে প্রত্যাশা করে।

বিদ্রুপের হাসি

[ঢাকা শহর।কত জানা-অজানার সংমিশ্রন, কত সংথৈব দুঃখ-কষ্টের পদচারনা, কত নিয়তির দীর্ঘশ্বাস, কত যুদ্ধ-সংঘাত, কত আহুতির পরিসর আর তার মধ্যে আবার কত দালান-কৌঠা, গাড়ী আর পাপের বিস্তৃতি।আর সেসবের দু্'একটার প্রকাশ আমার বাস্তব জগত।-অবিবেচক দেবনাথ।]
এখনো কচিমুখের চাপ কাটেনি মুখ থেকে অথচ সংসারের দ্যৌটানা নামিয়ে নিল পথে। দেখে হতবাক হই, সংসারের হাল ধরতে এই বয়সে ওদের প্রচেষ্টা। নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে ওরা ভাবিত নয়, ওদের প্রচেষ্টা শুধু জীবনের প্রতিটি ধাপ যুদ্ধ করে টিকে থাকা। ঢাকা শহরের পথে-ঘাটে, অলিতে-গলিতে চোখ পড়ে এমনি কত কচি ছেলে-মেয়ের, যারা সংসারের দুঃখ-কষ্ট ঠেকাতে নেমেছে পথে। চলছে জীবনের বাস্তবতার সন্মুখিন যুদ্ধ করে।
আমার এই লেখা এমনি এক কচিমুখ নিয়ে, যার এখন মাঠে-মাঠে ছুটে বেড়ানোর কথা, যার জ্ঞান আরোহনের জন্য বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু; ভাগ্যের পরিহাসে পথে-পথে তার খেলাধুলা চলে কর্মের মাধ্যমে।আর কর্মের মধ্যেও ঘটে কষ্টের সন্নিবেশন, এ যেন তার প্রতি পদক্ষেপের হৌঁছট এবং ভাগ্যের বিরূপ-প্রতিরূপ।

অন্যায্যনীতি ও দূর্ণীতি

শরীরের কোনস্থানে পচন ধরলে তার চিকিৎসা করা সম্ভব অতি সহজে। কিন্তু যখন সারা শরীরে পচন ধরে, তখন তার চিকিৎসা করা এতটা সহজতর হয় না। আর অনেক সময় এই পচন থেকে হাজারো চেষ্টাতেও মুক্তি মেলে না। আমাদের দেশের নষ্ট রাজনীতি (নষ্ট রাজনীতি এই জন্য বলছি যে, আমি দেখেছি, যারা নিলজ্জ-বেহায়ার মতো লুঙ্গি তুলে পথ চলাচল করে, পথে-ঘাটে কারণহীন অসভ্যতামি করে, তারাই রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়।)‘র কোপানলে যেভাবে সর্বত্র পচন ধরেছে, তার চিকিৎসাও এত সহজ নয় এবং আমার কেন জানি মনে হচ্ছে কখনো এই পচন থেকে আমরা মুক্তি পাব না। আর যদি কখনো মুক্তি মেলে, তবে বলব সে আমাদের পরম সৌভাগ্য!

নিজেকে বাঁধতে গিয়ে

নিজেকে বাঁধতে গিয়ে বেঁধে ফেলেছি নিজের মধ্যেকার সত্যিকারের অদম্যতাকে, ভিতরকার শক্তিকে। একটা সময় ছিল যখন বর্ণিল স্বপ্ন‘রা এতটাই পারস্পরিক ছিল যে, মনে হত আর কয়দিন পরেই তাদের ছৌঁয়া পাব, আর একটু পথ এগিয়ে গেলেই মনের গহীরে পৌথিত পুঞ্জিভূত স্বপ্ন‘রা ধরা দেবে। কিন্তু দিন পুরোতেই সময় বাঁক নেই, অসমতাকে সমণ্বয় করে,
নিহৃদ্য বিধান জারি করে আর পরস্পর খন্ডবিভাজনে জীবনকে অস্থির করে।

শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৩

অতৃপ্ত হৃদয়


গতকালও এখানের বাঁশঝাড়ের শন-শন বাতাসে কি যেন একটা ছিল
অতৃপ্ত প্রাণ সে!!!
জীবনের কোন সুপ্তশাপ তাকে গিলেছিল,
বিঁধেছিল প্রাণ তার অতৃপ্ত বাসনায়।

জীবনের লালায়িত সুখ, হাজারো বেদনার বেঁড়ী ভেঙ্গে ফেলে দেয়
উত্তাল জোয়ারে ভেস্তে যায় পাড়ের ধারে নীড়বাঁধা বাবুইয়ের স্বপ্ন।
তবু প্রাণের এপাড়ে সুখ কেড়ে নেয় পাষানের একঝলক আহ্বান।

পূর্ণাঙ্গতা

একজন মানুষ তখনই পূর্ণাঙ্গতা পায় যখন সে মানবতার জন্য দাসত্ব স্বীকার করতেও অঙ্গিকারবদ্ধ। নৈতিকতাহীন বুদ্ধিবৈশ্যা কিংবা চটকধার রাজনীতিবিদ‘রা মুখে যতই মিষ্টি বুলি আওড়ায় না কেন, মানুষ বলতে তাদের আমরা বাঁধা পাই। বিবেকই হয়ত চটকধারদের কখনো মানুষ বলেই স্বীকৃতি দিতে চায় না।

শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০১৩

অভাব

জীবনের বিন্যাস যেখানে প্রতিনিয়ত শ্রেণী শোষন আর সামাজিক ভাগ বিভাজন, সেখানে মর্মস্পর্শী লোকের বড় অভাব হয়।

রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩

আজীবনের ভয়

যখন কিঞ্চিৎ কারণে প্রিয় বিয়োগ হয়
তখন আরোগ্যেতেও জমে থাকে আজীবনের ভয়।

সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৩

স্মৃতিচারণ

ঝাপসাদেখায় হাতের রেখায় ছবির মুখে হাতরায়ে
অবয়বটাকে টেনে নেই স্মৃতির কোলঘেষা বাদল বেলায়,
টপটপবৃষ্টির ধারায় ভেসে যায় তাই চোখেরকোণ!!

অনিষ্ট

মানুষ সুন্দরে আকৃষ্ট হয়ে তাকে নষ্ট করে ফেলে। ফুলের ক্ষেত্রেই দেখুন, গাছে তারা কত বিমেহিত থাকে অথচ মানুষ তাকে ছিড়ে অনিষ্ট করে।

মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৩

খোঁজ

ভূলকে ভূলতে চেয়ে ভূলের মায়ায় আবদ্ধ হয়েই আমরা সুখ খুঁজি।

শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৩

সমস্যা

যদি সব শৃঙ্খলকেই ভেঙ্গে নতুন করে গড়তে পারি, তবে জীবনকে জীবনের রূপ দিতে আমাদের সমস্যা কোথায় বাঁধে?

মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৩

ভাবনা

জীবনসংসার নিয়ে এত ভাববার কুসরত কোথায়
নয়নধারায় নোনাস্রোতের ঢেঁউ যেথায়?

রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

হৃদয়ে থাকিও

নয়ণ নীদহারা
কুয়াশাধারা
বহে শীতে
আমার চেতনারা
পাগলপারা
অর্হনিশ প্রাতেঃ

তাহারে বিঁধিব
সুধিব
শোন প্রিয়
হৃদয়ে গাঁথিব
ভাবিব
হৃদয়ে থাকিও।

মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

সৃষ্টি

সৃষ্টি সৃষ্টিকে ধ্বংস করে অথবা নব্যরূপ প্রদান করে।

শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

দায়ভার

ঐ দেখ, মরিবার কিযে স্বাদ তার
আমি মরব, সে মরবে; কে নেবে মৃত্যুর দায়ভার?

বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৩

নিশন্তি

আজ চারাগাছটিতে নতুন দুটো পাতা গজালো। কি সুন্দর চকচকে দুটো পাতা। ভোরের আলোয় আলো খেলায়, মিষ্টি হাওয়ায় হাওয়া দোলায়। এ যেন নব আগমনে সুখের জোয়ারে আহ্লাদিত কচি দুটো পাতা। ছোট চারা কচিপাতা, দোলে খোলে স্বপ্নখাতা।
নিশন্তি ঘুম থেকে উঠে পাতা দুটো দেখে বড় আবেশিত হয়, ছোট্টখুকির অবুঝ মন, অবুঝ ভাবনাদের কথা-কথণ, কত কি বলে যায়, বার-বার টান পায়, ছুটে যায়। ধরে যত্ন করে, তার ছোঁয়ায় চারাটি শিহরিত হয়, দোলে, আনন্দে নড়ে।
ভোর সরে যায়, সকাল হয়। সূর্যের আলো বাড়তে থাকে। কৌলাহল বাড়ে, শব্দ ঝঙ্কারে ছায়াপূর্ণ হয়। খুশির কলরোল নামে, নিশন্তির খেলাঘরে। বন্ধুরা জড়ো হলে, সুখ লাগে। খেলা জমে। কতশত বর্ণিল রঙ্গে রাঙ্গে মাতানো মন, জীবন রাঙ্গানো খেলা। চলতে-চলতে ছুটে, পথে যেতে-যেতে কত হিল্লোল ঐ বাতাসের হিমে, রোদের ঘামে, খেলা জমে। খেলা বর্নিল, কোন খেলাই বেশী গড়ায় না, বন্ধুরা বাঁকে, কেউ কাঁদে, খেলা ভাঙ্গে, তবু খেলা চলে।

ভালোবাসার এবেলা ওবেলা

আমার ভালোবাসা এখন
মেঠোপথে হেঁটে চলা
চোরাকাঁটায় পা জড়িয়ে
অদূর বেলা
সকাল-সাঁঝে; একাকি একলা
ভেবে ভালোবেসে
মনের টানে, সবুজ বনে
আপন গানে; আত্মভোলা,
অনুরাগ আর অবহেলায়
দূরসবুজে দূ‘কূলঘেষে
নদীরটানে চালায়ে ভেলা (তরী)।

স্বপ্নশিখা যাব বয়ে পরস্পরে

তোমার ইচ্ছে হলেই এসো; এ আমার বৃষ্টিঝরা বাদল বেলায় কদমতলে
তোমায় তেমন কিছু দিতে না পারি; শূণ্য হাতে ফিরবে না ঠিক
কদমডালি বিছিয়ে দেব চরণতলে।

তোমার ইচ্ছে হলেই এসো; এ আমার নুড়ে পড়া কুড়োঘরে
তোমায় বসতে বলার স্থান দিতে না পারি; কষ্ট তোমার হবে না জেনো
আলো-ছায়া খেলবে যখন বদণপরে।

বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৩

পূর্ণত্রী

হাতের কৌঠরে এইযে জ্বলন্ত সিগারেট, এও এক্ষনে শেষ হবে।
রূপ-যৌবনের প্রাক্কালে এই শ্রীদেহের দম্ভতো?
পূর্ণত্রী এও শেষ হয়।

জীবনের তোপে যখন ছুটবে সাগর থেকে মহাসাগরে
সৌন্দর্য্য চোখে স্বপ্নধরা বুকে দিগন্ত থেকে দিগন্তে
নোনাফেনা আর বিষাক্ত বাতাস হিংসে তোমার শ্রীদেহ স্পর্শ করে রং ছুইয়ে নেবে।

মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৩

ভালোবাসা দুখ

প্রজাপতি, সেদিন তুমি লুকিয়েছ চোখেরঅশ্রু
বুঝছ নির্মোহ ভালোবাসা সে তোমার একা
আমি গোপনে তোমার অনুরাগ দেখেছি
বইয়ে অশ্রুধারায় আমার অনুযোগের নৌকা।

সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৩

দিন কাটে

এদের দিন কাটে
খোলা আকাশের নিচে
শনশন বাতাসে
কীট-পতঙ্গের যন্ত্রনায় নীরবে
খেলাঘরে অকারণ স্বপ্নহেলায়।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৩

দায়বদ্ধ

অঙ্কিতা! আমি মুগ্ধবিমোহিত হই। এই তোমাতে-
রাত্রিকালে ছন্দকিরণে যখন বিভোর হই, বুঝি এই খেলাঘরে তোমার আমার অনন্তযৌবণ মিলেমিশে একাকার হয়। আমি মুগ্ধদ্রষ্টা অন্তরমুগ্ধতায় সঁপে দেই তোমাতে আমার জীবন-যৌবণ।
বিধিবৈচিত্র্য বোধে আসে, অনেক দেখী তার নয়নভুলিয়ে। তোমার শরীরে বর্নভোলা রং, সে মিটায় আগলে রাখা অর্ন্তমোহ অনুরাগ। তাই জানতে কিবা অজান্তে পথ ভূলে বিপথে হয়না আমার সুখ।

অঙ্কিতা! দেহ কামনার হোক কিংবা বাসনার। মমতায় বার-বার ছুয়ে দিলে সেও ক্ষয়ে। কিন্তু নিজেকে সামলায়ে যে বাহুবন্ধনে জীবন পারস্পরিক হয় তাকে শুধু দু‘ঠোঁটের অস্ফালন কিংবা দেহসুখ মিটিয়ে থামানো যায় না। প্রকৃতির অনেক মুগ্ধরূপ আছে। তবে শুধু মুগ্ধতায় যদি জীবনটাকে কাটিয়ে দেয়া যেত তবে মায়ার দায়টুকু আর কিসে? জানি বটবৃক্ষের ফল মানুষ পেল না কিন্তু শ্রান্ত পথিকের ক্লান্ত বিরামে সে কি নয়ন জুড়ায় না?  প্রশান্তির সুখধারা কি ছড়ায় না সে দেহপীঞ্জরে?

মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০১৩

সুখের ঠিকানা

আর কি বাকী আছে?
দূষণে আমি আর তুই;
অন্ধকারে চিলেকৌঠা পার হয়ে
যখন আপন চরিতার্থে পীড়া উঠে
তখন ঘাম শরীরে লেপ্টে
বাসনার বীষে লোভের শরীর।

প্রেম কি তারে বলে

ঐ‘দেখ সখী মরিবার, কিযে সুখ তার
আমি মরব সে মরবে, কে নেবে মৃত্যুর দায়ভার
সখী কি সুখ বল কার
এক প্রেমেতে দু‘জনার প্রাণ হল বনাচার
হাস কেন ওগো সখী বল সমাচার।


সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৩

মনোলি-০২


অযাচিত ভাবনারাও একদিন মুখ থুবড়ে পথে পড়ে,
তখন জীবনপথের আসক্ত বাসনাটুকু আর থাকে না।
পূর্ণচাঁদে গ্রহণদিলে যেখানে শুক্লপক্ষের জোৎস্না ম্লাণ হয়,
জীবনজোৎস্না চাঁদহীন গ্রহণে সেখানে ম্লাণ হবার মত কি খুঁজবে?

শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৩

মনোলি


রাতের প্রদ্বীপটাকে জ্বালিয়ে রাখতে পারিনি
পারিনি শরীর কিংবা মনকে আশ্রয়ে রাখতে
বাতাসের অস্ফালন বেয়ে যখন জ্বালাবার ভরশাও শেষ হয়
তখন উন্মত্ত আঁধারে ঢলে পড়া উগ্রঝড়ে বড় দিশেহারা হই
তোর কষ্টতুর ঐ সাগরের ফেণিলের গর্জনের মতো নিঃশ্বাসে,
আমি আজ বড় অসহায় হয়ে যাই; সুশান্ত।

সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৩

বাবা


বাবা আমার প্রতি তোমার এই এতটুকু বিশ্বাসই
আমার সারাটি জীবনের আশ্রয়
যে বিশ্বাসটি আরো একদিন আমার জন্মেছিল
তোমার কোলের খোপে মমতার আশ্রয়ে আশ্রয় পেয়ে।

সোমবার, ১০ জুন, ২০১৩

পথিক এই একটাই বাঁশের বাঁশি আমার


পথিক এই একটাই বাঁশের বাঁশি আমার
এর মাঝেই তুমি শুনেছিলে-মাতাল হরা সে গান
যে গান বাতাসে মিশে; পাখির কলতানে, মাতায় ভাবুক প্রাণ।

কি করে বাজে সে সুর?

পথিক; তুমি কি কখনো যামিনীদের দেখ নি!!!

বুধবার, ৫ জুন, ২০১৩

স্মৃতিচারণঃ ননুদাদু

()
বসন্ত কাল, শীতের তীব্রতা শেষে গরমের ভাফসা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সারাদিন মাঠে কাজ শেষে তাই সকলের শরীর চুইয়ে ঘাম ঝরছে। মাঠের ক্লান্তি শেষে সবাই ফিরছে ঘরে একে-একে। রমনীরা ধুপ জ্বেলে, উলুধ্বনি করে, কাসি বাজিয়ে, শঙ্খের ধ্বনি তুলে সন্ধ্যা আরতি সম্পন্ন করছে পরমপ্রভুর শ্রীচরণতলে। মসজিদে আযানের ধ্বনি বাজছে, আর জানান দিচ্ছে- এস শান্তির জন্য, নত চিত্তে এই শান্তির আশ্রয়স্থলে।

খোলা কলামঃ আর পারছি না

সত্যি বলছি আর পারছি না। আমার ভাষা আমি হারাচ্ছি, না কিছুই লিখতে পারছি না। সব আমার গোলমেলে হয়ে যাচ্ছে
আমরা কি? নিজেদের আজ খুব বেশী ছোট লাগছে। যে পতাকার জন্য ৭১ ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হলো .৫০ লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম হারালো। রক্তের প্রবাহমান স্রোতে ভেসে গেল বাংলার জমিন। যে পতাকা আমাদের হাতের শক্ত বাহুতে রেখে শান্তিতে নিদ্রার আশ্রয় খুঁজতে চেয়েছে লক্ষ শহীদ, সেই পতাকা আবারও ছিহ্ন-হিহ্ন হলো বাংলার মাটিতে, এই বাংলার সন্তানদের হাতে?

মানবতাঃ আসুন কিছু মানবিক কাজে সাড়া দেই

ছোট্ট ছেলে। বয়স আট কি নয় হবে। মায়ের কাছ থেকে খাওয়ার জন্য দশ টাকা পেয়ে খেতে বেরিয়ে আসল দোকানে। এসে দেখে দোকানের পাশে একটা লোক মুরগির বাচ্চা বিক্রি করছে। খাঁচার মধ্যে কতগুলো মুরগির বাচ্চা খেলছে দেখে কোমল মন আনন্দে নেচে উঠল। মুরগির বিক্রেতার কাছে তাই তার জিঞ্জাসা মুরগির বাচ্চার দাম কত? লোকটি জানাল প্রতি বাচ্চার দাম পনের টাকা। ছেলেটি বলল-দশ টাকা দেবেন? আমার কাছে দশ টাকা আছে।

স্মৃতিচারণঃ একদিনের কল্পবিলাস পার্বণের আমন্ত্রনে


জীবন থেকে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে চলে যাবে, কেননা জীবন যে বড়ই সঙ্গীন। ভালোবাসা জনে-জনে ভিন্ন হয় দিনে-দিনে গাঢ় হয়। কিন্তু একি? গাঢ় ভালোবাসার যে এখন গলনাংক কমে যাচ্ছে আর দিনকে-দিন তা শূণ্যের কৌঠায় পৌঁছে যাচ্ছে। আচ্ছা ভালোবাসার গলনাংক যখন শূণ্যে গিয়ে দাঁড়াবে তখন কি মানুষ ভালোবাসায় এঁটে যাবে? মানে- সবকিছু একত্রে জড়ো হয়ে যাবে?

খোলা কলামঃ দাসত্ব মানষিকতা


গরীবের দায়ভারটা শুধুই পেটের, তাই পেটের জন্য শয্যা পাততে যেমন তাদের দ্বীধা নেই, রাত-দিন মল ছাটতেও তাঁদের ঘৃণা নেই। শত্রুর একটুখানী স্বার্থণ্বেষী সহানুভূতিও তাদের আবেগ কেড়ে নেয়।
বাঙ্গালি জাতি আজীবন গরীব, গরীব জীবন-যাপনে, গরীব কার্য্যকরনে; মণণে। নিজের বলা এই কথাগুলোয় আমি নিজেই লজ্জায় ডুবে মরি, তবু সত্যটাকে অস্বীকার করতে পারি না বলে, অকপটে তা বলতে পিছ‘পা হই না।

সোমবার, ৩ জুন, ২০১৩

লুকানো

খোলস বদলানো যায়, কিন্তু খোলসের অন্তরালে লুকিয়ে রাখা পশুপ্রবৃত্তি বেশীদিন লুকিয়ে রাখা যায় না।

শনিবার, ১ জুন, ২০১৩

জাগরণ


অথচ নারীর বুকে জেগে উঠা ঐ মাংসপিন্ডটুকুই নাকি
নিসাড়-নির্জীব পুরুষকেও সজিব করে তোলে
যারা সমাজের কথা বলে; রাষ্ট্রের কথা বলে; বলে সম-অধিকারের কথা
অথচ বুকের উপর পোথিত ঐ মাংসপিন্ডটুকুর মোহতায়
তারা কামনার ঢেঁকুরে অস্থির হয়ে পড়ে
চিৎকার তুলে আহা; এ‘যে কাপড় তুলে সব উন্মুক্ত করে দিলে
বাতাসের ঘুর্ণি‘যে ঐ ছুটছে, দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যাও হে...

বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৩

প্রদাহ

বিছানা ছেড়ে আজই উঠে এলাম,
শরীর আর মনের যে রোগ
নিত্য প্রদাহে প্রহার করছে
তার নিরন্তর সুখকে বিসর্জন করে
ছেড়ে আসার মতো শক্তি- 

কিংবা মনোবল আমার ছিল না।

সোমবার, ২০ মে, ২০১৩

জীবন মোদের নর্দমার ফাঁক

জুয়াড়ি নানান চিন্তায়;
সন্মোহনি জুয়ায় টাল
জ্ঞানপাপী ছদ্মবেশে দেয়;
পদে-পদে দাবার চাল।

রসিকজনা রসে টইটম্বুর
রসখসে পথ ভিজে যায়
প্রগতিশীল ছাত্রনেতার পথ
অসহায়ের রক্তে ভেজায়।

ধর্মকর্তার ধর্মবিচার আজ
অন্যসবের সব মিথ্যে অসার
মূর্খজনার গোয়ারনীতিতে
তিল থেকে তাল হচ্ছে আচার।

বুদ্ধিজীবী‘রা আছে সমাজে
বাঁশসুখ তাদের কল্যাণে
হাবাগোবা মোটা মানুষ লাগে
স্বার্থউদ্ধারে প্রয়োজনে।

কিংকর্তব্য বিমূঢ় আমরা
অতশত কি বুঝি?
জীবন মোদের নর্দমার ফাঁক
বিষকচু‘তে ফাঁক বুঁজি।

সোমবার, ১৩ মে, ২০১৩

কবিতাঃ মানবতার মুক্তি


অনেক দিয়েছ শক্তি বিধাতা; অনেক দিয়েছ শক্তি
তবু; এ‘ধরা কভু হয়নি সুখের; পায়নি মানবতা মুক্তি।

মানবতা নিয়ে ভেবেছে অনেকে; করেছে অনেকে তার আচর
তবু; শক্তির কাছে নতজানু হয়ে; নামেনি কভু আলোর প্রহর
দিগন্তে-দিগন্ত ছুটে চলেছে সদা; লোভ-কামনা তার প্রাপ্তী;
ক্ষমতার ঝড়ে মানবতা কেঁদেছে; পায়নি মানবতা মুক্তি।

বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০১৩

বাহির-ভিতর

বাহিরে বিস্তৃত যে সুখ মানুষকে অভিভূত করে, তার ভিতরের রূপ দেখতে বেশীরভাগই অপ্রস্তুত।

রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৩

কবিতাঃ রেখ চরণ তলে


ভক্তিতে বাড়ে বাসনা কৃপাঙ্কুর বলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

অতিভাজন প্রভু আমি ধনমত্তে বলি
লোভ-মদে মত্ত হয়ে নিজস্বার্থে কেবল চলি
এমন প্রয়াস মন থেকে, রেখ প্রভু ধলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

কবিতাঃ স্বপ্নলোকে আমার বাংলা


দিনের ক্লান্তি শেষে ছুঁয়েছি বিশ্রামের বিছানাখানী
আমার দু’নয়নের তন্দ্রাঘুম স্বপ্নে নিল টানি।

ঘুমের প্রথম স্বপ্ন; নিখিলের তরণী
ফুল-ফল-পাখির সাম্রাজ্যে, আমার জননী
আমার মুক্ত নিঃশ্বাস, উচ্ছ্বাসের নীতিমালা
আমার প্রিতী অহংকার এই বাংলা।

কবিতাঃ কোন এক অজানা পরিতাপে


আমি অমানিশায় বাতায়নে বসি
রাত্রির কালো রেখেছি চোখের অঞ্জলিতে
তারারা নির্গুমচোখে ছিলো তাকিয়ে
স্মৃতির ভ্রুকুটিতে….
কোন সে আড়ালে বসে লক্ষীপেঁচা
ডাকছে মনের ভীতি তাড়িয়ে
আমি ভয়ের ম্লানতা ধরে
আছি পথ চেয়ে….

কবিতাঃ ঘৃনা


কাকে ঘৃনা করব আমি?
এই আমার অধ্যুষিত সমাজকে? আমার জাতীসত্ত্বাকে?
চোখ হাতের মুঠোয় আবদ্ধ করে পথচলি
রাস্তার অলিতে-গলিতে বেওয়ারিশ কুকুরের চেটেখাওয়া দেখতে চাইনা আর
ঘৃনা জন্মেগেছে নিজের রক্তের উপর
এই রক্ত বেজন্মা পুরুষের
যৌনক্ষুদা ওরা চেটে-চেটে নিয়েছে ।

কবিতাঃ ভাবনা পরিষ্কার


ছোটমাছ ধুলে বার-বার, বের হয় কাঁদাপানি
মূর্খ্যজনে করলে সেবা, মেলেনা মুখের বানী
অরণ্যে ফলালে ফল, যবে তথাকালে

কবিতাঃ মহত্ত্ব


মহত্ত্ব- সে নয় উন্মেলিত আবেশের সৌহার্দ্য অনুভূতি
মহত্ত্ব- সে নয় বিশাল বিস্তৃতি, আপনার সুকৃতি
মহত্ত্ব- সে হল মহৎ আত্মারধারণ।
নিষ্কোমল পদ্মপত্রে শিশিরকণার ঝরণ,
সে উচ্চাশা নয়,নয় আপনার বিস্তরণ
এ’শুধু অপরের হীতকল্যানে আপনার হৃদয় দহণ।

কবিতাঃ প্রাপ্তী

জীবনটা অর্ধনিমগ্ন….
গোধুলি আকাশে হা-হা-কার সুর
বিষন্নতায় মন আহত পাখির ন্যায়
সায়রের গর্জনে দিক-বিদিক হারা।

তবুও;
ঐ পশ্চাৎ’এর ধারস্ত নয় কেহ
সকলেরই সন্মুখে এগিয়ে যাবার প্রচেষ্টা

কবিতাঃ সম্ভবনা


ঐ উঁচুতে শব্দশৃঙ্খলে এক মহেন্দ্রতীথি
খালি হস্তে নীরব সায়রে দাঁড়ায়ে অতিথি
দিকভ্রান্ত নয় সে, নয়তো উদভ্রান্ত মাতাল
দিগন্ত শেষে নীলসীমান্ত; আছে সে তাল
ভ্রূকুটি তার বিষ তলোয়ারে
নির্মুক্ত মেঘের টানে
ছুটিতেছে পিছে তার গগনবেধীর রণে।

কবিতাঃ বিনিময়ে

দিবা পরে রাত্রি ঝরে নীলঘন আকাশে
সুন্দর-সুবলীল কন্ঠে মাদল বাজিয়ে, ছড়ায় বাতাসে
কোন কিছুই প্রয়োজন নেই, কোন কিছুর আ্যাখ্যান নেই
তবু; এই ঘটনা ঘটিতেছে প্রতিনিয়ত
পৃথিবীকে করছে সুষম-মন্ডিত।
এর অবদানে !
দিবা ভুমি রাত্রি ঘুমায়ে,  আমরা করছি কি?
সবাইকে আছি ভুলে,নিয়ে স্ত্রী-পুত্র-ঝি।

কবিতাঃ দুনিয়া

দুনিয়াটা খড়ের ঘর!
কখনো হেলেধুলে পড়ে, কখনো করে মর্মর
কখনোবা একদিক থেকে ভেঙ্গে পড়ে, কখনো হতাশায় ঝরঝর
কখন জানী ভেঙ্গে পড়ে ঘর….
দুনিয়াটা খড়ের ঘর।

কবিতাঃ আপনার দহন সুখ


আকাশটাকে যায়না ছৌঁয়া, যদিনা মাটি চায়
ক্ষুদ্রপ্রয়াস না ত্যাগিলে বৃহৎ যায় বৃথায়
তীর চলে অগ্রপথে ধ্বাক্কায়ে পিছপথ
নানানজনে নানানভাবে দিতেছে অভিমত
সব মতই ঠিক জানী তবু; বিবেচনা আপনার
যে পথ আপনার ভাব যাও সে দ্বার।

কবিতাঃ বড় ইচ্ছে করে

বড় ইচ্ছে করে........
মনটাকে উড়িয়ে দেই পবনের পুলকিত পরশে
সাগরের উত্তাল ঢেঁউ খেলায়, দিগন্ত ছৌঁয়া নীল গগনের প্রত্যাশে।


মনে ইচ্ছে করে........
শয়নপাতি ঐ বটের ছায়ায়, যেথায় শান্ত আশ্রম আছে
আমি শুঁয়ে-শুঁয়ে ভাবব, ঐ বটের পাতায়-ডালে পাখিরা কেন নাচে?


কবিতাঃ ভাগ্যের তিরোধান

শূন্যকড়াই উনুনে বসিয়ে
আমি আজ ভাগ্যের তিরোধান করছি
এসে দেখে যাও তার আয়োজন যজ্ঞ।
আমার মৃত্তিকা শাপ, অন্নপাপ,সূর্যের দহন অনুতাপ
জ্ঞাতিদোষ, সমাজ আক্রোশ, রাষ্ট্রদ্রোহ
সব থরে-থরে সাজিয়েছি
আজ সব এক-এক করে আগুনে আহুতি দেব।


কবিতাঃ প্রানহীন অচলদেহ হারালে তার অবস্থান


তার চোখে চোখ পড়িতেই গুলালো আমার দিক-তাল
হলাম আমি মাতাল।
আমার মাতলামি নয়তো পেয়ালার পরশ পানে
একচুমুকে মাতাল হওয়া, ঘোর কাটিলে আবার চাওয়া
দিক-বিদিক চলা বর্ণিল মনে।

কবিতাঃ ব্যর্থতা


মানুষের বিশ্বাসী রক্তে মিশেছি আজ
দিন-রাত আরাধ্য দেবতার দুয়ারে হাত পেতেছি
যেন দু'মুঠি ভরাতে পারি অশ্রু আর্শিবাদে।
তার নিদ্রিত জীবন জাগ্রত করার প্রচেষ্টায় কত রাত ঘুমাই নি
জীবন অনিদ্রার বন্ধু হয়ে গেছে

কবিতাঃ সত্যি আমার যে তোমাকে রক্ষা করার কোন উপায় জানা নেই


তুমি স্থিরতা চাও?
তবে কেন এই অস্থির লোককে ডাকলে?
যে অন্ধকারের তলায় হাতায়ে চলছে
যার হাতে, মনে কালি জমে-জমে অন্তরকে নিষ্প্রভ করে দিয়েছে
কেন তাকে আগলে ধরলে?

কবিতাঃ এই হল ছুটি বুঝি মমতার দিন


ক্ষুদ্র গ্রহ-গ্রহান্তরে, নক্ষত্র-নক্ষত্রে রণ,
এক বিভব সহন মায়া
পুঞ্জিভূত স্বপ্নে দাহ, বিড়ি পোড়া যৌবন।
সুখ অন্তঃসহন কাল
গর্ভে গোত্রহীন, জাতী-জ্ঞাতীহীন গর্ব অবস্থান

কবিতাঃ ভালোবাসার অনুভব


জীবনের এ’এক কঠিন সময়
ভালোবাসার অনুভব ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত শীরায়, উপশীরায়
বৃষ্টির মত তার ছুঁয়ে যাওয়া, তাকে ছুঁয়ে দেখার ব্যাকুলতায়
এক শিহরণের ঝড় বয়ে যায় প্রাণে।

কবিতাঃ আমি তোমাকে অনুভব করি আজো


প্রিয়,
আমি তোমাকে অনুভব করি আজো
এই বুকের পীঞ্জরে অদৃশ্য মায়ার টানে।
চাইলেই এই টান তুমি চোখ মেলে দেখতে পারতে
পারতে আমার বুকে হাতদিয়ে স্পন্দন থেকে ঠিকরে নিতে
কারন; এ যে, উত্তারাত্তরকালের সূর্যের আলোর মত
প্রকৃতির মায়ায় সে চোখমেলে তাকিয়ে ছিল,
কিন্তু; তুমি তা করলেনা.....

শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৩

কবিতাঃ প্রতিত্তুরে আমি দিব্যনেশায় হারাব নাকি?


প্রতিত্তুরে আমি দিব্যনেশায় হারাব নাকি?
তুমি কি ভুলে গেছ?
ঐ পাহাড়ের বুকচিরে আমি কেমন করে তোমাকে কাছে টেনেছি।
ঐ সাগরের ঢেঁউ যখন তোমাকে তার গহ্বরে লুকাতে চেয়েছে
তখন ঐ গহ্বরকে স্থল করেছি,

কবিতাঃ দেহ আঙ্গিয়া ভুমিতে লুটিবে


ঐ রক্তচক্ষু কর নিচু, ভেবনা দূর্বল এমনতর
আমাদের রক্তে স্বাধীন শোর বড়
দূর্বলভাবে আছি বলে দূর্বল এত ভেবনা
আমরা শান্তির কপোত গগণে উড়িয়ে হয়েছি শান্তমনা।

কবিতাঃ নারী পদবিলাস-১


যদি মনটাকে জান, যদি পৃথিবীটাকে চেন
চেয়ে দেখ তোমার চারিদিক, আকাশ-বাতাস আলোক
সবখানে টানিছে পুরুষ, মুগ্ধধ্যানে নারীলোক।

যদি কাননে তোল ফুল, যদি উল্লাসে যাও সাগরকূল
আবেশের মনকে জিজ্ঞাসা কর, কিসের বিচরণ?
সে‘যে, অন্তরেরপীড়া নারীর আর্তদহণ।

যদি ব্যথায় মন ভাঙ্গায়, যদি বোধ কিছুতে না পায়
দ্বীধাবিভক্ত কৌলাহলে মনটাকে টান…..
দেখবে নারীর সুদর্শনীয় উল্লাস, আশা ব্যঞ্জণ।

এমনি পরতে-পরতে ছড়িয়ে আছে, নারীর পদবিলাস
তাইতো; নারী কখনো মা, কখনো বোন, কখনো বা প্রিয় অভিলাষ।

কবিতাঃ জীবনের হিসেব


অতৃপ্তির আকাঙ্খায় ডুবে মরে যাই…
জীবনে বড় আশা ছিল
সন্তানদের মানুষ করে থাকব বড় সুখে
সুখ আমার ডুবে গেল অস্তঃরবির ফাঁকে।
জীবন আমার আজ সম্পূর্ন ব্যর্থ
ক্ষুদে যে পিপাসা ছিল,

কবিতাঃ ভালোবাসা


ভালোবাসা- শীরোনামহীন পথে, একরাশ কাঁশফুল
ভালোবাসা- অশান্ত হৃদয়ে অচেনা পথিকের ভুল
ভালোবাসা- ছন্দ ছৌঁয়া, রাগিনীর কিছু রাগ
ভালোবাসা- শেষ বিকেলের প্রজাপতির পরাগ

কবিতাঃ নারী পদবিলাস


নারী মানে; আছে স্বামী, আছে বন্ধু-ভাই
নারী মানে; সীমানার অধ্যাদেশ কর্মতৎপরতায়।
নারী মানে; বসুমতির মত সহ্য সন্তানের যন্ত্রণা
নারী মানে; স্বপ্ন চোখে বোনা, সন্তান করে বাসনা।
নারী মানে; এক গৃহিণী, শৃঙ্খলিত এক ঘর

কবিতাঃ সন্তানের সুখ


সবার অন্তরের দুঃখ               ললাটে বিস্মৃতির রুক্ষ
           ঘুচিবে তখন, মা আসবে যখন
কান্না হাসি হবে              বাবা আসিলে তবে
           তিনি করেন মোদের ভরণ-পোষণ

কবিতাঃ বিসর্জন


ভাগ্য পরাহত !
অজন্মা পাপের পরিক্রমায় বিচরণ
কখনো যেন এই শৃঙ্খল ভাঙ্গার নয়
বৃহৎ’এর পদতলে পৃষ্ঠমান ক্ষুদ্রপ্রাণ ।
কিসের ধৈর্য্যধারন ? নিরন্তন প্রদাহ যেখানে অবিরত !

কবিতাঃ উদাস মনের কথন


কে হে অলক্ষ্যরাগী, ডাকিছ আনমনে উদাসে?
সবুজ-শ্যামলাঘেরা মাঠে, ডাকিছ নীলঘন আকাশে
প্রকাশে প্রাপ্তি আমার আনমনা ছাহনি
অলক্ষ্য কোন যমুনায় বাহিব তরণী ।
কুহু পুস্পবনে, বসন্তেরই বার্তা আনে

কবিতাঃ খুকির শান্তনা


ছোট খুকিকে কোলে নিয়ে মা
চুমু খায় গালে
কাঁদেনা মা কতো ভালো
হেঁটে-হেঁটে বলে
ঐযে দেখ মা, কত্তো সুন্দর
উঠেছে আকাশে চাঁদ

কবিতাঃ সৃষ্টি আর সৃজন সুখের উল্লাসে


গানের পাখি, গেয়ে যাও আজ আকাশে-বাতাসে
সৃষ্টি আর সৃজন সুখের উল্লাসে।
মানবতা আজ যেথায় বন্দিতের বঞ্চণা
শিকলে জড়ানো পা,  কষ্টের মন্ত্রণা
সে শিকল যাক ভেঙ্গে, জয়-জয়-জয়াকারে

কবিতাঃ আলোকের মহিমার আঁশে


যখন শান্ত হৃদয়ে অশান্ত করে খেলা
অস্থিরতায় গড়িয়ে যায় বেলা
তখন আমি অর্ধনিমগ্ন ছায়াপথে
ক্রান্তির লগণে পড়ছি ভূমিতে লুটে।
আকাশবেশী গগণ তাঁরা ছৌঁয়
আমি বসে নীরব ধাঁধাঁর ফাঁদে
স্তম্ভিকতা নেই যে, নিজের আর
নেশা মেটে একপেয়ালা মদে।

কবিতাঃ স্বপ্নলোকের রাজকুমারীর স্বর্ণপুরী


এ আমার অজান্ত ভাবাবোধে জড়ানো অভিশপ্ত বাসনা নয়
বন্ধু; হারিয়েছি তোমায় শিহরিত সে বর্ষায়।
উপকূলে নোনাফেনায় নোনা ক্ষরস্রোত তুলে যেদিন
অসম প্রতিকূলে দিল দরিয়ায় দিয়েছিলে হানা
ভ্রান্ত-ভাবনায়, নিমগ্ন অন্ধকারাচ্ছন্ন প্রতিরোধে তাই
সহস্র-যোজন পথে বিবাগীর বিসর্জন?

কবিতাঃ সুখলতা


সুখলতা; তুমি চঁন্দ্রবাসরে দ্বীপ্তচোখে
তারার জোয়ার দেখেছ?
সবুজ মাঠে ধেণু চারণে
অবুঝ সুখে ভেসেছ?
তুমি নীল গগণে বসন্ত ধাঁধাঁনো
ফুলের সৌরভ ছুঁয়েছ?
তুমি নিজের মাঝে লজ্জাবতীর
লাজুক আবরণ পেয়েছ?

কবিতাঃ আজ রক্ত নেচেছে হোলিখেলায়


আজ রক্ত নেচেছে হোলিখেলায়, রক্ত নেশা
অন্ধকারের নাই দিশা আজ, শুধু তৃষা।
ক্ষুরধারার ক্ষুদার্ত তরবারি চলছে বেশ, অহনীশি
চারিদিক ধ্বনিত কুরুক্ষেত্র ভয়, সর্বনাশী।

কবিতাঃ বাজা তোর প্রলয় বিষাণ


কতটা শৃঙ্খল জীবন আমাদের !
বাংলার চলিত রাষ্ট্রযন্ত্রে আমরা কতটা পরাধীন
৪০ বছরের স্বাধীনতা অন্তরে লালন করেও
আমরা আজ ৫ বছরের পক্ষাঘাত রোগে কতটা অসহায়,
জীবন-জীবিকা আর আসক্ত ক্ষুদার যন্ত্রনায়, আমরা কত নিরুপায়।

কবিতাঃ আমাদের পরিচয়


শ্রমিকরা কি তবে মানুষ নয়?
হ্যাঁ; ঠিক তাই,
তারা সকলে সহনশীল গাধা
তাদের কাঁধ-মাথা বইবার জন্য ভাই।

কবিতাঃ বলদ মরুক শোকে


পেট ফুলেছে, পেট বেড়েছে
হয়েছে মোটা চাম,
খা শালার সোনার ছেলেরা
বলদের কি আর দাম?
হুজুগে বাঙ্গালী, থাকতে কাঙ্গালী
স্বপ্ন ভরা চোখ

কবিতাঃ আমি অন্ধকারের মানুষ


আমি অন্ধকারের মানুষ
অন্ধকার আমার বড় বেশী আপন
তাই মাতৃগর্ভ ছিল আমার সবচাইতে সুখের স্থান।

যেদিন আমি প্রথম পৃথিবীর আলো দেখী
সেদিন ভয়ে আমি আত্কে উঠেছিলাম
একি! এত ঝলসানো আলো কেন এখানে ?
ভয়ে চিৎকারে আমার নয়ন অশ্রুসজল হয়েছিল।

কবিতাঃ অশ্রুহীন দৃঢ়তা

কেন এত হারানোর ভয় হয় আমার?
কি আছে এত যা ক্রমন্নয়ে আমাকে দাওয়া করে
ভয় দেখায় এই হারাবে বলে?

জীবন থেকে বড় চাওয়া, সে আমার মা
তিনি হারিয়ে গেছেন, ঐ ওখানে, ঠিক ওখানে

কবিতাঃ পৃথিবীর পাপ প্রায়শ্চিত্ত


আশ্রিত আমরা নরলোকে!
নোংরা নখ চিবুই,
বিশেষনে মিলাই ডানা
পালক পবন ভিবুই।

গদ্যশৈলীর শৃঙ্খল ভাঙ্গে
কাব্য কর্কশ প্রহসনে,
ঘন-সবুজ পল্লববিহার
পাংশু মেঘের আবরণে।

কবিতাঃ মা তোমার মমতার দাম কত?


[মাতৃবন্দনাঃ
মস্তক আজ নত মাগো তোমার শ্রীচরণে
তোমার মতো এমন মমতা কে দিয়েছে কোনখানে,
সহস্রযোজন স্বপ্নবিলাষ আমি সঁপিবো ভাবী চরণে
তবু কি কাটিবে ঋণ, মোহিত অজ্ঞজনে!
এইযে, আমার চরম অজ্ঞরূপ

কবিতাঃ ব্রতী


থাকতে পারে তব মনের মাঝে
ব্রত বাসনা
এই সমাজে ব্রতী হওয়া তবু
সহজ কথা না।
হিংসা, দ্বেষ আর ত্রাস
এই সমাজে বাস

কবিতাঃ বাসনার দু‘জোড়া চক্ষু

বর্ধিত পৃথিবীর সব চক্ষু স্বচ্ছতা হারিয়েছে
কাকচক্ষুর মতো স্বচ্ছ অক্ষিগোলকের
কৃষ্ণকালো কিংবা বিড়ালসবুজ মনি
অক্ষিগোলকের ধুম্র আচ্ছ্বাদনে মলিন হচ্ছে,
তাকিয়ে থাকা সজল চোখের আশায়
হৃদয় যেখানে দ্বীপ্তমান…
সে হৃদয় হয়তো ধূসর রঙ্গে, নতুবা টকটকে লালে
অক্ষিগোলকে উদীয়মান।

সহস্র-লক্ষ বছর ধরে আমি আকাঙ্খার ব্রত করে যাচ্ছি
দু’জোড়া সজল চক্ষু আমার খুব বেশী প্রয়োজন,
একজোড়া চক্ষু আমার নিকট বন্ধুর আর
অন্যজোড়া অন্তরঙ্গ প্রিয়ার,
তাদের প্রীতিময় আগ্রসন আমায় সইতে পারবে
পারবে আন্তরালে লুকিয়ে থাকা আমার ব্যথার ভার বুঝতে।

অনেক পথ হেঁটে চলছি আমি………
হয়তো স্বপ্নে, নয়তো অজানা ভাবাবেশে
তখন অজানা পথের পাড়ে ছুঁয়ে থাকা সৌন্দর্য্য দেখে
আমি বুক বেঁধেছি বহুবার
ভেবেছি; এই বুঝি দু‘জোড়া সজল চক্ষু আমার সামনে এসে দাঁড়ালো
আমি উচ্ছ্বাসে উন্মাদ হয়ে পড়লাম,
কিন্তু সে দু‘জোড়া চক্ষু
আমায় ভালোবাসার বাহুপাশে বেঁধে স্থির করল।

স্বপ্নের শৈল্পিক সৃষ্টি মনে যেমন, নীলেও তেমন
হঠাৎ কালোমেঘের ধুম্র আচ্ছাদনে ঢেকে পড়া
আবার উজ্জ্বল রোদ্রশিখায় হিরণ্যবর্ণে ছুঁয়ে দেয়া।
গোপনে নিয়ত আত্মদহন যখন প্রতিকুলতাকে ছেড়ে
অদূর বন্দরে ছুটে চলে
তখন মনে হয়…..
এই কালোমেঘ আর হিরণ্য আলোর দ্রুতিময় ব্যাপ্তীতে
আমি আশাহত হই
হারিয়ে যায় আমার মনের মাঝে এঁটে থাকা অস্পষ্ট বাসনার
সেই দু‘জোড়া চক্ষু,
অস্থির আর নেশাসক্ত চক্ষুগুলোতে তাই
আমি বিভাজনে বিভাজিত।

অধীর সমক্ষেপনে চলতে গিয়ে যখন ভাবনারাও ক্লান্ত হয়
তখন আভাস পাই, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ যন্ত্রনার
যা হঠাৎ বজ্রাঘাত হওয়া নতশীরে অস্পষ্ট দেখাটাকেও আরো কালো করে গভীরে
বলে চলে, বহুযুগব্যাপি তোমার অন্তরের জমানো ভাবাবেশ বিনষ্ট হল আজ
তুমি শুধু অতৃপ্ত বাসনায় সেই দু‘জোড়া চক্ষুর আশায়ই জীবন খোয়ালে।

কবিতাঃ কবিতায় আর কি লিখব?

কবিতায় আর কি লিখব?
যখন শতসহস্র শতাব্দীর আঘাতের ক্ষত হৃদয়ে নিয়ে আর্তচিৎকারে বলতে পারিনি
ঐ ক্ষমতাশালী হিংস্রজানোয়ারের দল, তোরা আমাদের অধিকার লুটে নিয়েছিস,
আমাদের ঠেলে দিয়েছিস অন্ধকারের অতল গহ্বরে
আমাদের হৃদয় ঘুনো পোকায় খাইয়ে করেছিস ক্ষত-বিক্ষত।

নিয়তিকে আমরা মেনেছি, সব আমাদের নিয়তি! হাঃ হাঃ হাঃ, সব আমাদের নিয়তি!
আমরা নিয়তি মানি, নিয়তির পদতলে উষ্ঠা খাওয়া যন্ত্রণার স্বরূপ মানি
ভাবী; আমরা সহায় সম্বলহীনরা প্রতিবাদে যাব? আমরা প্রতিবাদ করব গলা ফাটিয়ে?
দেখ; পাগল কুকুর বলে আমাদের ক্ষেপিয়ে সামনের দিকে তাড়িয়ে দৌড়াচ্ছে।
আমরা নাকি পাগল হয়ে গেছি, সবাই হাত উঁচু করে আঙ্গুল তুলে বলে যাচ্ছে,
অবিবেচকরা পাগল হয়ে গেছে! অবিবেচকরা পাগল।
সবার কথায় আমরা আজ বুঝেছি, সময়ের খরস্রোতে আমরা পাগলের প্রলাপ বকছি।

কেউ আমাদের বুঝলনা! কেউ আমাদের ভাষা বুঝেনা!
আমরা শুধু গলা ফাটিয়ে আমাদের অধিকার চাইছি, অথচ সবাই আমাদের পাগল ভাবছে।
আমরা শান্তনা নিতে ঘুরছি না? কারণ আমরা আজ জেনে গেছি শান্তনা আমাদের বার-বার স্তব্ধ করছে
শান্তনা আমাদের রক্তঝরা ঘামে সুবিধাভোগীদের জিহ্বা হতে লালসাতৃপ্ত স্বাদক্ষরণ করেছে
ওরা আমাদের সবকিছু চেটে খেয়েছে, আমাদের করেছে নিঃস্ব পদদলিত।

ওহে নির্বাক জাতি, তুমি আজ অবাক! আমরা হতবাক!
পথে-পথে অবিবেচকরা হুন্নি হয়ে ঘুরবে অধিকার স্থাপনে?
বল অধিকার কি তারা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে অজ্ঞতার প্রহসণে?

কিছুই হবেনা, হিংস্রনখরের থাবায় রক্তকনা ঝরে-ঝরে চারদিকে ছিটাবে
পথ-ঘাট রঞ্জিত হবে লালরঙ্গে, প্রাপ্যতা হবে লালরঙ্গে রঞ্জিত সিক্ত ভেজা মাটি।
শুধু একটা আশাই পুষি নীরব যতনে আমরা, যদি এই মাটি কখনো কথা বলে,
তবে বেঁচে থাকবে অবিবেচকরা, বেঁচে থাকবে অবিবেচকদের স্বপ্ন কবিতা
সে প্রত্যাশায় কবিতা লিখি নরদানবদের হাত থেকে অধিকার অর্জনের রক্তশিহরণে।

কবিতাঃ আগুন জ্বলবে ঘরে-ঘরে

ধর্ম পুড়ছে, ধর্ম পুড়বে কিছূ হবে না
মানবধর্ম উঠেছে যখন, ঘুছবে ধর্মের সাধনা?
বৌদ্ধমন্দির জ্বলেছে কাল, মসজিদও একদিন জ্বলবে
মন্দিরে যখন লেগেছে আগুন, প্যাগোডাও পুড়বে।
হাঃ হাঃ হাঃ, সব উপসনালয় পুড়বে
ধর্মসাধনা সব গুলবে……

কবিতাঃ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রূপরেখা!

মুখে একদলা থু-থু ছাড়া এই আমাদের
ঘৃণা করার আর কোন ভাষা অবশিষ্ট নেই
বিশ্বব্যাপী মানবতা নিধনযজ্ঞে
যে ক্ষোভ কিংবা উৎসাহের জোয়ার ধারা
স্পষ্ট হচ্ছে দিনকে-দিন
তা প্রকাশে অশ্রুহীন অসহায় মনদগ্ধ হৃদয়
থু-থু ছিটানো ছাড়া কি বা আর করতে পারে?

কবিতাঃ প্রার্থনা- ওহে; প্রাণত্রাতা

সতত পুরাণের বানী,
কোরানের বানীতে জ্ঞাণী
লঙ্ঘিত যদি হয় মানবতার গান,
ওহে; প্রাণত্রাতা,
তুলে নাও মোর ত্রাণ, এই প্রাণ।


কবিতাঃ আমি এখন রাস্তায় পচে যাওয়া শেয়াল-শকুনের খাবার


শরীরের মাংস আমার পচেছে
কাকভক্ষকের নেশা ধরানো দূর্গন্ধে
মাতাম হয়েছে মাটি-আকাশ-বাতাস
এখনি কি তবে হানা দেবে শেয়াল-শকুনের দল?
আমার কোন ণীতি নেই, ছিল না
পতনের যাতনা যাকে নর্দমায় ছেড়ে গেছে
অম্লান বদনে তার নিঃশ্বাসও বড় কঠিন,

কবিতাঃ পূর্বপ্রজন্মের ইতিহাসের ভগ্নস্বপ্ন উন্মোচণের ইতিকথা

এ মাটি এর আগে কখনো ভালোবাসিনি এত
এই আমাকে যেমন, আমার মাকে যেমন,
আমার পরিবার-পরিজনকে যেমন…


স্নিগ্ধতার বিথীকারতলে যেদিন মা আমার নিরবে শুয়ে রইল
সেদিন হতে এ মাটির তত্ত্ববেদনটুকু যেন
আমার ক্ষুদ্রপ্রাণের আজীবনের লালনের সুখ
যা মিছিলে-মিছিলে সায়ে তিনহাত মাটির সুখ খুঁজে বেড়ায়
১ লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার প্রান্ত ছুঁয়ে……


কবিতাঃ ভালোবাসার সামনের দেয়ালটাই সত্য, স্মৃতিমন্থনে

তবুও আজ নিষিদ্ধ প্রান্তরে চোরাকাঁটায় হেঁটে যাব-দ্বিধাহীন
পিছনে সীমান্ত লঙ্ঘনে ছুটে আসুক আক্রোশ; বিক্ষত হোক দু‘পা বীষকাঁটায়
রাখব না তবু আশা জড়ানো স্বপ্ন, করব না কভু নবসুখে অন্তর রঙ্গিন ।
গীরিখাতে সুখ নেই, অদম্যতায় পীড়ণে জড়াই নিরবধি
দৃষ্টির সীমানা ভ্রুকুটি লঙ্ঘন করে নীলপ্রান্ত ছৌঁয় ঐ অদূর স্বপ্নলোকে
যেখানে পৌঁছে যায় ফিরিয়ে দেয়া অব্যর্থ ঘৃণার অন্তঃ; আদি।


কবিতাঃ জন্মান্তরের দায়


আমি শয়নে সঁপেছি দেহ-মন আমার
তোমার উষ্ণ ক্রোধে,
তুমি লবিলে সুখ তৃষিত বুকে
প্রগাঢ় নিঃশ্বাসে বেঁধে।
সেই বাঁধনের বাঁধভাঙ্গা জোয়ারে
ভেঙ্গে গেছে অদূর তার

কবিতাঃ কে বলে ঠাঁই নাই তার?

নীড়হারা পাখি;
ভেবনা খুঁজে যাবে ফিরে
নীড়ে!
যাও উড়ে দূরে
ঐ‘দূর; বহুদূরে……
যাও পথভূলে ছড়িয়ে সীমানা
আছে কেউ ঐ‘পথে ভেব না।

কবিতাঃ ভালোবাসার কথা

নীশিতে নিমগ্নচিত্তে করি
কাহারে লালন?
কি লাজে মুখ রাঙ্গে, বুক ভাঙ্গে?
ডুরিয়া বুকে হয় গোপন।


কিসে বেষ্টিত মুখ তার?
এত-এত চাহিয়া ফিরি
গোপনে ফুলবাসরে
এত-এত যতন করি।


কবিতাঃ কার নামে আলোকধারা


মানুষ, কেন তোমার চোখে-মুখে, এত-এত ভয়; বিষ্ময়?
তাকিয়ে দেখ চারিধার; বিশ্বময়, কোথাও কিছু স্থির নয়।
এই দাঙ্গা-হাঙ্গামা-ঝঞ্ঝাট, ঐ প্রকৃতির বিভৎস-কদাকার
সবকিছু ডিঙ্গিয়ে যেতে হবে পথ ধরে, অর্জিতে আপন অধিকার।
তুমি নিরালায় চাও বাঁচিবার, তাই হয় এত ভয় তোমার
ভয়-কাতুরে মন ভূলে তুমি, আলোর ভূমে চাও
দেখ রনাঙ্গণে বাঁচিবার জীবন, স্বাদ অন্তরে লও।

কবিতাঃ পেটের দুখ


আমি কি ঘরে কি বাহিরে
সব জায়গায় সমান অনাহারি
ভিক্ষাহীন ক্ষুদার অনুযোগে
হয়েছি নৈশ প্রহরী।

কবিতাঃ নিজভূমে পরবাস

আমি রক্তস্নাত স্নান চাই না
চাই না কারো রক্তাক্ত লাশ
কাটছে আমার দিনগুলো তাই,
নিজভূমে থেকে পরবাস!


আমি বন্ধুত্ব চাই
হাত রাখি তাই বন্ধুর হাতে
আমি ভালোবাসা চাই

কবিতাঃ পথে পড়ি মারা


পথ আমার পারাবারে, চোখে দিল ধূল
আমি চোখবুঁজে পথের মাঝেই, হারিয়েছি পথের কূল
যাব কোন পথ, আঁধারে সব সারা
মিলায়ে দেহ ধূলি মাঝে, পথে পড়ি মারা।

কবিতাঃ নাজমুল


আমার ভার্সিটির বন্ধু নাজমুল। আমি লেখালেখি করি, সে জানে। তাই একদিন আমাকে সে অনুরোধ করল আমি যেন তাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখি। ইংরেজী ২০০৮ সাল, আমাদের ভার্সিটির লেখাপড়াও প্রায় শেষ হবার পথে। ঠিক ওই সময় একদিন নাজমুলকে নিয়ে লেখলাম আমার অগোছালো মনের দু‘একটা কথা।

কবিতাঃ ভালোবাসার সুখ


আমি চলতে চাই দুনিয়ায়
মাথা তুলিয়া, বক্ষ খুলিয়া
আত্ম-সম্মান নিয়ে চলব, সেই ভাবিয়া
আমি চলি সরল হইয়া।
গরল আমি নইতো মনে
সরল হয়ে বাঁচতে চাই,

কবিতাঃ স্বপ্নভাঙ্গার যন্ত্রনায়


আশা মরে গেছে- নগ্নবেশে মন জড়ায়ে।
ঝরে পড়া শুকনো পাতা মাড়ানো পায়ে
পশম তোলা রক্ত জমাট উদাম গায়ে!
পালকবিহীন দেখে আমায় হাসছ কেহ?
আমি খুশী মনে দেইনি আমার এলিয়ে দেহ
ক্ষমতার ঐ শক্তবাহুতে দিলো ছেটে—–

কবিতাঃ প্রলয়ের পথে


প্রলয়ের পথে মৃত পথিক
শকুন মাংস খায় চারপাশ চেয়ে
এ এক দূর্ভিক্ষ অভিশাপে,
সব ধ্বংস পারমানবিক তান্ডবতায়
জানোয়ার ঐ ছুটছে ক্ষমতার তোড়ে
জীবন বোধহীন তেজস্ক্রিয় পরিতাপে।

ক্ষুধার দুখ

জন্মাবধী ডুলির গলুইয়ে
উড়ি সুতো হতে,
অন্তর-দেহ কলংক করে
পেটের দায়ে নটে!

তৃষায় বাসনা নয়
বাসনায় জাগে তৃষা,
ঠোকরে ক্ষয় অর্ধযৌবণ
মুঠোখানি অন্নের আশা!

কবিতাঃ এমন বন্ধুত্ব চাই

জীবনের বেলাভূমির অন্তঃসমীকরণে বসি
হিসেব মিলাই পিথ্যাগোরাসের সূত্র ধরে
কিংবা নিউটনের মহাকর্ষের সূত্র নিয়ে
ভাষ্করাচার্য্যের জ্যোতিবিদ্যার সূত্রও রেখেছি
সব তত্ত্বধারায় রাসায়নিক সমীক্ষা টানি, পেয়েছি এক অন্তঃমিলন শিক্ষা
যে শিক্ষার ভাববস্তু হল টান।

কবিতাঃ আমরা সবাই মিলে স্বপ্ন সাজাতে চাই

আজ স্বপ্নকুঠিরে সবাই মিলে স্বপ্ন সাজাতে চাই
মানবতার স্বপ্ন-সৌহার্দ্যে কে কে আসবে হাত বাড়াই
আমরা তাদের নিয়ে স্বপ্ন গড়াই, আমরা তাদের নিয়ে স্বপ্ন গড়তে চাই।
আমরা আজ স্বপ্ন গড়ব তৃণসনে, স্বপ্ন গড়ব দীনজনে
অবক্ষয়রোধে, মনুষ্যত্ববোধে আমরা মন জড়াই
আমরা সবার জন্য একটা স্বপ্ন চাই, আমরা সবাই মিলে স্বপ্ন সাজাতে চাই।।

আমরা চাইনা নিরক্ষরতার শাপ কিংবা অন্নপাপ
আমরা চাইনা বেকারত্ব কিংবা দরিদ্রতার রূদ্ধতাপ
সবাই আমরা বন্ধু-স্বজন থাকব সবাই মিশে
সে স্বপ্নে হতে আগুয়ান, জাগি প্রভাত প্রত্যূষে
আমরা জীবন-যাপনে সাম্যের বাণী প্রাণেতে সবার জাগাই।
আমরা সবার জন্য একটা স্বপ্ন চাই, আমরা সবাই মিলে স্বপ্ন সাজাতে চাই।।

তারা’তো আমাদেরই বোন-ভাই, যারা আজ নিরক্ষরতার অভিশাপে
এরা’তো আমাদেরই স্বজন, যারা ধুকছে ক্ষুধার তাপে
ওরা’তো আমাদেরই মতো স্বপ্ন দেখতে চায়, যারা অন্ধ-সামর্থ্যহীন
তাদের’ওতো আমাদেরই মতো বাঁচতে সাধ জাগে, যারা পথভুলে হয়েছে শৃঙ্খলহীন
পথে-পথে বেকার হয়ে ঠুকছে মাথা, সেও তো বন্ধুজন
আমরা কাকে হেলে পথে কাকে ধরে করব, নিজেদের স্বপ্ন সাধন?

আমরা এমন স্বপ্ন চাই, থাকি যেন আমরা সবে আনন্দ উচ্ছ্বলতায়
দুঃখ যদি ভাসাবে মোদের ভাসব একসনে, একাত্মাপ্রাণ মোদের; জড়াব প্রাণে-প্রাণে
যদি আজো হয়নি পূরণ স্বাধীনতার পূর্ণস্বাদ, তবু মোরা স্বপ্ন দেখী শুভ্র সেই প্রভাত
আমরা প্রভাত ফেরিতে আজ, মানবতার গান গাই
আমরা সবার জন্য একটা স্বপ্ন চাই, আমরা সবাই মিলে স্বপ্ন সাজাতে চাই।।

কবিতাঃ ভালোবাসার বৃষ্টিতে ভেজা


বৃষ্টি নেমেছে আকাশ ভেঙ্গে, হাঁটছি আমি মেঠো পথে
অজান্তে ভেবে যাই যাকে; সেও কি ভাবছে আমাকে?
হেঁটে চলছি একা, নেই পাশে সে
বৃষ্টি কি ভেজাবে; শুধু আমাকেই?
অচেনা পথে চলি, কিংবা অজানায়

কবিতাঃ আহত মূর্ছনা

গোধূলি আকাশে ছড়াচ্ছে কালো রং
চাতক-চাতকির তৃষ্ণার্ত চিৎকারে ভাঙ্গছে নৈসর্গিক মৌনতা
হুতুমপেঁচা গাছের আড়াল হতে চেয়ে আছে
দূর-দিগন্তে পাখিদের ঘরে ফেরা থেমে গেছে
পথে-পথে বর্ষার ব্যাঙ্ ঘ্যাঁঙ্গর-ঘ্যাঁঙ্গ শব্দে মাতাচ্ছে

কবিতাঃ পরশি কন্যা


হাজার নদীর তীর ভেঙ্গে ঢেঁউ, ডাঙ্গায় উছলায়
নদীর তরঙ্গে মৌনতা ভেঙ্গে, কোমল মন খেলায়।
কে হে, পরশি কন্যা; সবুজ ঘাস মাড়ায়ে পায়ে
ছিটায়ে জল অবুঝ প্রানে, বার বেলায় এলে গাঁয়ে!

কবিতাঃ আজব মানুষ


আজব মানুষ, আজব কাজে ব্যস্ত
সবদোষ তার ভাগ্যে ন্যস্ত
তা ধারণে সে অভ্যস্ত
তার জীবন সূর্য্য পশ্চিম আকাশে অস্তঃ।
কোথায় কি গেল? কি ধরাধরি হল?
খোঁজ নেবে তুমি আজব মানুষ!
অন্তরের অন্তরীক্ষে তোল সেই হুঁশ।

কবিতাঃ মায়াহীন ভুবন কাঁদে ডুরিয়া


মা কিংবা জননী    এই নাম দামী জানি
       নাই তুলনা কারো সনে
দিবস-রজনী       সব মধুর জানি
       রইলে মাগো নয়নে।
ভুবন আঁধার হায়   মাগো তুমি পাশে নাই
       ছাড়িলে মায়া সন্তানে
বড় অথর্ব এ জীবন   সব বৃথা আয়োজন
       বাঁচিয়া মরি দহণে।

কবিতাঃ ছাত্রনীতির জয়

স্ট্যাটাস দেখাতে!
বেনসন খাই,
এয়ারফোন কানে
ঘন্টার ভাব জমাই।
মেয়ে নিয়ে- ঐ রিক্সা
চলো যাই পার্কে,