শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৩

কবিতাঃ আমি এখন রাস্তায় পচে যাওয়া শেয়াল-শকুনের খাবার


শরীরের মাংস আমার পচেছে
কাকভক্ষকের নেশা ধরানো দূর্গন্ধে
মাতাম হয়েছে মাটি-আকাশ-বাতাস
এখনি কি তবে হানা দেবে শেয়াল-শকুনের দল?
আমার কোন ণীতি নেই, ছিল না
পতনের যাতনা যাকে নর্দমায় ছেড়ে গেছে
অম্লান বদনে তার নিঃশ্বাসও বড় কঠিন,


বিধির বেধীতে আমি তাই বড় নির্মম যাতনা ছিলাম!
শোষন আমার অন্তঃদেশে সূঁচ গেঁথেছে
যন্ত্রণা শুষে নিতে তাই আমি ছিলাম শোষক
শোষিতজনকে পিঁপড়া ছোঁয় না, মশাও কামড়ায় না
তাই শুড় গেঁথে তখন আমিই রক্ত শুষে নিতাম!
মানবতা মননের ভেতরে পচে গেছে
পচা মাংসের স্পর্শে;
হতবাক হবার মতো মতবিরোধ জমবে কেন?
প্রলয়গ্রাস কি ধ্বংসে ছাড়ে; সুন্দর কারুরূপ?
অনাগ্রহতা আমাকে আগ্রহ ভেবে চেপে গেছে বহুবার
বলে গেছে আমার পথ, আঁধারে নতজানু
বিলক্ষন স্বপ্নবাস ছাড়া তাই
আলো আমার দূর্ভাগ্য!
আমি আলো চেয়েছি, চেয়েছি একমুঠো আলোর মহিমা
যখন অস্পষ্ট কন্ঠস্বর আমাকে কোনঠাসা করে বলে
এই একটু বাকী শেষ হবার প্রতিক্ষায়,
তখন বুভূক্ষ মন, কোন স্বপ্নের সংগোপনকে সন্ধি করতে গেল
আমি পেয়ে গেলাম, আলোক দ্রূতিতে জ্বলসানো
মহিমান্বিত স্বপ্ন সকল, অতি কম দামে
শুধু মনুষ্যত্বটুকু বিকিয়ে।
কিসের মনুষ্যত্ব? কিসের মানবতা?
রাত-দিন গলাদকরণ বিদ্যা আর
ধর্ম দোহাইয়ে যে সমাজ সচেতন হয়েছে
সে সমাজে বাস্তবতার রূপ বড় অসহায়; বড় নির্মম।
যদি শিক্ষা বাস্তবতার জন্য আলো ছড়াত
যদি কখনো ধর্ম মানবতা বেষ্টিত শান্তি হত
তবে আমি হয়ত মানুষ থাকতাম,
আমি হয়ত সত্যিকারের মানুষ হতাম,
জ্বালাতাম মানবতার অর্নিবান শিখা।
অথচ মানব সমাজে আমি এখন রাস্তায় পচে যাওয়া
শেয়াল-শকুনের খাবার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন