রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৩

কবিতাঃ রেখ চরণ তলে


ভক্তিতে বাড়ে বাসনা কৃপাঙ্কুর বলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

অতিভাজন প্রভু আমি ধনমত্তে বলি
লোভ-মদে মত্ত হয়ে নিজস্বার্থে কেবল চলি
এমন প্রয়াস মন থেকে, রেখ প্রভু ধলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।


না পাওয়ার আশায় রুদ্ধজনে দেই পথে ফেলি
পাওয়ার আশায় অজ্ঞজনে ধরে দেই গলাগলি
এমন অভিপ্রায় তুমি প্রভু ফেলে দাও বিতলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

দূর্বলের প্রতি কীয়ৎক্ষনভাব উগ্রমেজাজে পাড়ি
সবলের শত অপরাধ দেই শুধু ছাড়ি
বোধযুক্ত পাপকে পাপ বলতে, যেন মন জ্বলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

আক্রোশ দেখাই নিরজনে পাশে গিয়ে বসে
সোজা হয়ে থাকি বসে ধনী দেখলে পাশে
মনের এই বৃহৎশৃঙ্খল না যেন জড়ায় গলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

গরীবকে ধ্বাক্কামারি দেখলে আশেপাশে
ধনীদের বাড়িতে এনে তোষামোদে ভরাই হেসে
এমন এপিট-ওপিট পার্থক্য, থাকি যেন সামলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

গুটিকয়েকের সুখে আমি বসে থাকি ঘরে
অদূরে কেঁদে ডাকে আমায় চাইনা কভু ফিরে
এমন প্রত্যাশিত সুখের ভাবনায় মন যেন না গলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

বড়দেহী হয়ে আমি মারি ক্ষুদ্রপ্রানী
বড়দেহী প্রানী দেখলে তাকে বন্ধু জানি
মনের আঁকা এই বিভেদ আমায়, যেন না টলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

চঁন্দ্র-সূর্য-বায়ু ভুলে ফলগাছকে ভাবীপ্রিত
যারগুনে ধরে ফল খুঁজিনা তাঁর অস্তিত্ব
আমি চাই প্রকৃত স্থিতি আমায় নিয়ে চলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

আকাশের চিলের উড়াল দেখে বলি কত উপরে উড়ে
আকাশের তাঁরা যে তারও উপরে ভাবনায় আসেনা নুড়ে
বাস্তব সত্যতা আমার যেন, মনে ভাসে নিরলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

দৃড়তা,কাঠিন্য,অবসন্ন; সব যেন আসে বিতলে
নমষ্কার নিও প্রভু রেখ চরণ তলে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন