শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৩

কবিতাঃ বাজা তোর প্রলয় বিষাণ


কতটা শৃঙ্খল জীবন আমাদের !
বাংলার চলিত রাষ্ট্রযন্ত্রে আমরা কতটা পরাধীন
৪০ বছরের স্বাধীনতা অন্তরে লালন করেও
আমরা আজ ৫ বছরের পক্ষাঘাত রোগে কতটা অসহায়,
জীবন-জীবিকা আর আসক্ত ক্ষুদার যন্ত্রনায়, আমরা কত নিরুপায়।


অন্ধকারে আজ চিৎকার করে ঢুকরে উঠে বলি-
“বাঙ্গালি স্বাধীন হয়েছ, শৃঙ্খল পাও নি
স্বপ্ন দেখেছ, ছুঁতে শেখনি।”
৪৭’এ বাংলার আকাশে লালাভ যে সূর্য
মেঘের আড়ালে হারিয়েছিল-
রাত চলে আসায় সেখানে আর আলো ফুটেনি।
এরপর শুধু স্বপ্নদ্রষ্টাদের স্বপ্ন আলোর লাল ঝিলিক
স্পষ্ট লালাভরেখা টেনেছিল বুকের তাজা রক্তে।
৪০’শে পা দিতেই বার্ধক্য কুজো করে নিল
রক্তের দাগ শুকিয়ে অস্পষ্ট হতে লাগল
চোখ জুড়ে নেমে এল অঘোর অন্ধকার,
গাঢ় অন্ধকারে চোখ বুঁজে আসল
ঘুম গাঢ় হচ্ছে, গাঢ় হচ্ছে বুকের মাঝে জমে থাকা কষ্টগুলো।
চিন-চিন ব্যাথায় চোখ জ্বলছে
দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে নিত্যদিনের স্বপ্নগুলো।
তবে কি নিঃশেষ হবে হৃদয়ের স্বপ্নগুলো?
ব্যথার দহনতলে দম আটকে এল প্রায়
খোলসের প্রকোষ্ঠে তাই যন্ত্রনার নিঃশ্বাস প্রগাঢ় হয়
হারানো স্বপ্নের অন্তরনলে, আওয়াজ দৃড় থেকে দৃড়তর হয়।
তাই; চোখ বুজেই স্বপ্নের নিরূত্তাপ মঞ্চে দাঁড়িয়ে
সরব ধ্বনি তুলি নজরুলের ন্যায় আর্তচিৎকারে-
“কারার ঐ লৌহকপাট,
ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট,
রক্ত-জমাট শিকল পূজার পাষান-বেদী।
ওরে ও তরুণ ঈশান,
বাজা তোর প্রলয় বিষাণ
ধ্বংস নিশান উড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদী।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন