বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৩

দায়বদ্ধ

অঙ্কিতা! আমি মুগ্ধবিমোহিত হই। এই তোমাতে-
রাত্রিকালে ছন্দকিরণে যখন বিভোর হই, বুঝি এই খেলাঘরে তোমার আমার অনন্তযৌবণ মিলেমিশে একাকার হয়। আমি মুগ্ধদ্রষ্টা অন্তরমুগ্ধতায় সঁপে দেই তোমাতে আমার জীবন-যৌবণ।
বিধিবৈচিত্র্য বোধে আসে, অনেক দেখী তার নয়নভুলিয়ে। তোমার শরীরে বর্নভোলা রং, সে মিটায় আগলে রাখা অর্ন্তমোহ অনুরাগ। তাই জানতে কিবা অজান্তে পথ ভূলে বিপথে হয়না আমার সুখ।

অঙ্কিতা! দেহ কামনার হোক কিংবা বাসনার। মমতায় বার-বার ছুয়ে দিলে সেও ক্ষয়ে। কিন্তু নিজেকে সামলায়ে যে বাহুবন্ধনে জীবন পারস্পরিক হয় তাকে শুধু দু‘ঠোঁটের অস্ফালন কিংবা দেহসুখ মিটিয়ে থামানো যায় না। প্রকৃতির অনেক মুগ্ধরূপ আছে। তবে শুধু মুগ্ধতায় যদি জীবনটাকে কাটিয়ে দেয়া যেত তবে মায়ার দায়টুকু আর কিসে? জানি বটবৃক্ষের ফল মানুষ পেল না কিন্তু শ্রান্ত পথিকের ক্লান্ত বিরামে সে কি নয়ন জুড়ায় না?  প্রশান্তির সুখধারা কি ছড়ায় না সে দেহপীঞ্জরে?

জীবনে চলতে অনেকে অনেক শিখে; অনেক বুঝে, তবু অনেকে শেখা পথভূলে তাগিদমোহে রক্তাক্ত হতে কাঁটায় পা রাখে। লোভ কিংবা মোহ এরা জীবনকে জীবন বাসনায় এতটাই ভোলায় যে, অনেক বিবেকিও বিপথে পর্যবসিত হয় অধরের অগ্রাসী প্লাবনে। কতটুকু বুঝেছ কিংবা জেনেছ এ আমাকে, সে জানি না; তবে দেহডাকা অলংকারে যে পেটেরমোহ ঘুছে না, চলতে পথে সেটুকু ত অন্তত জান।
অঙ্কিতা! এটুকু জানতে পারলে বোধ করি মানুষ চেনা যায়। আমি আন্তরিকতারসাথে বিশ্বাস করি সে জান। যদি সে জানা থাকে তবে আমাকেও তুমি চিনবে; অন্ধকারেও দেখতে পারবে আমার অন্তরের গহীরে লুকিয়ে থাকা আলোক ঝলকাগুলো। ভালোবাসায় সেটুকু পাওয়া না হলে বীষবর্ষনে বাহুজড়িয়ে উষ্ণ নিঃশ্বাস ফেলে কি লাভ? অপারগ সুখ কুড়োতে দম বিঁধিও না। বলি যেথায় আপনাকে চিনবে, আলোক খেলায় সেখানে না হয় যাও। আঁধার কখনো ঘনালে তখন না হয় এসে চিনে নিয়ো এ আমার ভালোবাসার আলোর ঝলকাগুলো। বিশ্বাস রেখ, অস্পষ্ট ঝলকা হলেও সে তোমাকে আজীবন রক্ষনে দায়বদ্ধ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন