বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

ভালোবাসার চেনা রূপ

অন্তরে লালন করা ভালোবাসা, সে কারো জন্যে না। কেহ জানে না সে ভালোবাসার মর্মার্থ, কেউ বুঝে না সে ভালোবাসার পীড়ন।

অন্তরে তাকে চাইলে, মন-প্রাণ দিয়ে চাইলে, পাশে গেলে, সঙ্গী হলে, তোমার ভালোবাসার হাতছানী সে উত্তাল বাতাসের কানে কান পেতে জানবে না। তাকে তুমি ফুলের উপমায় উপমিত করলে না, তার হাত ছুঁলে না, টোল পড়া গালে হাতের চিমটি কাটলে না, দু‘হাত উর্দ্ধে তুলে চিৎকার করে বলতে পারলে না, তুমি তাকে ভালোবাস। পাখিদের কাকলিতে আমোদে আহ্লাদিত হয়ে আবেগি কথা বললে না, সাগরের গর্জনে, সমূদ্র বিহারে কিংবা পাহাড়ের সবুজ সমারোহে তুমি তাকে দিলে না যুতসই কোন আবেগী আহ্লাদ। তবে সে বুঝবে? সে খুঁজবে তোমার কায়া, জোৎস্নার ছায়ায় পূর্ণিমার রাতে?


হৃদয় আলোড়ন করতে শিখতে হয়, মুখ ফুটে বলতে হয়, তাকেও বুঝতে হয়। বুঝতে হয় বোধহীন ভাষা! তবে তোমার মনে কি আছে, কি বাসনায় ডুব দাও তুমি ডুব সাগরে, সে জানা লাগবে না। হয়ত অবরুদ্ধ কারাগারের অশ্রুসজল বিসর্জন কাব্য হয়ে শিথিয়ে পড়বে অন্ধকারের ঘনঘটায় আর তাতেই মিলবে প্রেমের স্বীকৃতি! কেননা; রূদ্ধতাপ শেষে শীতল ছায়াও পিছনে পড়ে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন