শনিবার, ২২ মার্চ, ২০১৪

অথৈই

অথৈই অসহায় হয়েও কাঁদে না, পথের পাড়ে অন্ধকার যেখানে জমাট বাঁধে; সেখানে সে থামে।
অথৈই কাঁদতে পারে না, ধুমড়ে-মুছড়ে পড়া হৃদয় ফেঁটে চৌচির হয়, কিন্তু কান্নায় হালকা হয় না। জীবনের নিরূত্তাপ বাসনা তাকে বিঁধে আপন খেয়ালে…

ফুলেরা কাঁদে, পাখিরা কাঁদে, বলে- অথৈই আয় আর একবার; প্রানের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠ খেয়ালী জীবনের সজীব সঞ্জিবনে। অথৈই চুপ যায়। পাহাড়ের কিনারে খাঁজকাঁটায় জলজমায় ভাবান্তর হয়। অথৈই বেলা বাইবার পথ খোঁজে।

গাছেরা কেঁদে বলে- অথৈই সাগরের কাছ থেকে ঘুরে আয়, তার কুলুধ্বনি তোকে স্বস্তি দেবে।
অথৈই দূরের নীলে তাকায়। দেখে মেঘমালারা অকাশের নীল গ্রাস করেছে, সময়ে ঝড় নামবে!

অথৈব ভেবে-ভেবে হাঁটে, ফুল-পাখিরা বলেছিল প্রানের উচ্ছ্বাসে মাতলে সজীব সঞ্জিবন মেলে, গাছেরা বলেছিল সাগর জলে কুলুকুলুধ্বনিতে স্বস্তি মেলে।

অথৈই দ্রুত চলে, অস্বস্তিগুলো তাকে আরো দ্রুত পা বাড়াতে বলে, মেঘদলের ঢেঁকে যাওয়া আকাশে ঘোর অন্ধকার নেমেছে, এখুনি বৃষ্টি নামবে…

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন