বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০১৪

বেওয়ারিশের আত্মকথণ

পঁচা-গলা আবর্জ্জনার আঁশ দেহে লেপ্টে মলিন হয়েছে খুব
বুভূক্ষু আমি ক্ষুধায় রাস্তায় নামি, ডাস্টবিনে খাবার পাই
পঁচা খাবারে পেট ফুঁলে, মল ঝরে, পথে পড়ি-পড়ি করি
অদেখা অন্তহীন পথে তবু আমি মানুষ হয়ে বেঁচে আছি!


অতীতেও আমি মানুষ হয়ে ছিলাম, বর্তমানেও আমি মানুষ
ভবিষ্যতেও আমি মানুষ হব, ঈশ্বরের নাকি প্রতিজ্ঞা তাই
জন্মের পর জন্ম হবার আক্ষেপ ঘুছে যায় সলর্জ্জ অভিমানে
দূর অধরায় বসে ঈশ্বর খুশিতে ভ্রুকুটি কাটে ভাবোউল্লাসে!

মানব বসতিতে অকারণে বড় অচেনা-অচেনা লাগে, বড় ভয় হয়
চোখ পড়ার মত ভিন্ন মানুষ দূরে সরে, বলে কুকুর হলে মনিব পেতে
স্পর্ধা আমার আসে না, খুব সাহস কুলোলে পা পর্যন্ত ছুঁতে যাই
তবুও দূর-দূর করে, বলে থু, গায়ের দূর্গন্ধে মুখে বমি চলে আসে।

না ঈশ্বর; যাব না তোমার স্বর্গের সুরম্য অট্রালিকার মোহ বাসনায়
মোড়কে মূর্ত ঝলক চোখে ধাঁ-ধাঁ লাগিয়ে দেয়, ধাঁ-ধাঁ-য় চোখ জ্বলে
ধাঁ-ধাঁ-য় পড়ে ঈশ্বর তুমি ঈশ্বর হও, চোখ রাখ সুরম্য ঝলকানিতে
মানুষরুপে আমি কেবল ফিরি, মনুষ্য খোলস ছেড়ে পশুরুপে মর্ত্তে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন