বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৪

আদায়


রিপন সম্পর্কে কাকা, প্রায় সমবয়েসি কাকা-মামা-ভাই-ভাতিজা সবাই বন্ধু বনে যায় একসময়। তাই কাকার অংশটা বাদ গিয়ে রিপনও বন্ধু হয়ে গেছে। কিন্তু বন্ধু হলে কি হবে, কাকাবন্ধু কিন্তু বন্ধুত্ব রক্ষার্থে কিছুটা কার্পণ্য করে। মানে বন্ধুমহলে বন্ধুত্ব গাঢ় করতে গেলে মারা-মারি, খেলাধুলা, খাওয়া-দাওয়া সব হতে হয়। কিন্তু কাকাবন্ধু সবকিছুর বেলায় থাকলেও খাওয়ানোর বেলায় কিছুটা কার্পণ্য করে। তাই সকলে মিলে নানান প্রচেষ্টা চালাচ্ছি কাকাবন্ধুকে একটু সাইজে ফেলতে। তো একদিন-দুইদিন কাকাবন্ধু সিষ্টেম করে পালিয়ে বাঁচে, কোনভাবেই তাকে সাইজে পাচ্ছে না কেউ। একদিন সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল আজ তাকে ধরতেই হবে। তাই রাস্তায় আড্ডা দেওয়ার ফাঁকে সবাই মিলে কাকাবন্ধুকে ধরে ফেললাম, সকলের মুখে এক‘রো কাকা আইজকা খাওয়াতেই হবে। কাকা নানান অজুহাত শুরু করল, শেষ বলল তার হাতে টাকা নেই। কিন্তু আমরা জানি তার কাছে টাকা আছে, কিন্তু সে খাওয়াবে না।
বললাম টাকা না থাকলেও সমস্যা নেই, দোকানদার তোকে বাকীতে খাওয়াবে। কাকার জোর আপত্তি সে বাকীতে খাওয়াবে না, অন্য একদিন টাকা হলে খাওয়াবে। যা হোক বুঝে গেলাম ছাড় দিলে আর কাকার হাতে টাকাও হবে না, খাওয়াও হবে না। তাই সবার সম্মতিক্রমে কাকার শার্ট খুলে নেয়া হল, শার্ট খোলার সাথে-সাথে কাকা রেগে গেল, কিন্তু রাগলে কি হবে? আজ যে আদায়ের দিন। যে কোন প্রকারে আজ আজ আদায় করা হবে। শার্ট খুলে ফেলার পর কাকা শার্ট নেওয়ার জন্য সকলকে দৌড়াতে লাগল, কিন্তু এতজনকে দৌড়িয়ে কি কূল- কিনারা কেউ পায়? তাই কাকার কূল-কিনারা মিলল না। শেষে বাধ্য হয়ে কাকা থামল। কিন্তু এখন কথা হল গিয়া, শার্ট দিয়ে কি খাওয়া হবে? না হবে না, হঠাৎ একজন বলে উঠল সে শার্ট‘টা কিনবে। যা হোক খাওয়ার তো একটা ব্যবস্থা হল!অবস্থার বেগতিক অবস্থা দেখে কাকা এবার নিজেই খাওয়াতে সম্মতি দেখাল। আর আমরাও সবাই মিলে আদায় করে নিলাম আমাদের হক?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন