বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০১৫

বিশ্বাস, সৃষ্টি কিংবা সামগ্রিকতা কি থামিয়ে দেয়া সম্ভব

হাত হতে হাতের কলম কেড়ে নেয়া যায়, হাতের আঙ্গুল কেটে লেখা বন্ধ করানো প্রয়াস করা যায়, ব্যাক্তিটাকে খুন করে তাকে থামানো চেষ্টা করানো যায়। কিন্তু তার বিশ্বাস, তার সৃষ্টি কিংবা সামগ্রিকতা কি থামিয়ে দেয়া সম্ভব? যে সৃষ্টিগুলোকে সে দিনের পর দিন আগলে রেখে বড় করে তুলেছে, তাদেরকে রাতা-রাতি স্তব্ধ করে দেবে কার সে সাধ্য? সত্য কি বলে? ইতিহাস কি সাক্ষ্য দেয়?

উম্মাদনা দিয়ে সবকিছু কি থামিয়ে দেয়া সম্ভব? হুমায়ুন আজাদ থেমে গেছে? হুমায়ুন আজাদকে থামিয়ে রাখা সম্ভব হয় নি, ৫০ বছর পরও সম্ভব হবে না, অভিজিৎ রায়কেও যেভাবে থামিয়ে দিয়ে ভেবেছে অভিজিৎ রায় থেমে গেছে, তারা অবোধ, আবাল, তীর্যক দৃষ্টিশূণ্য খোয়াড়ের বলদ।

লেখার ভাষাকে লেখার ভাষায় জবাব দিতে হয়, কলমের ভাষার জবাবে যারা অস্ত্র হাতে নেয় এরা কখনো মানুষ হতে পারে না। মানুষের মাঝে বিবেক থাকবে, বিবেকের তাড়না থাকবে, সে সত্য-মিথ্যা অনুধাবণ করবে, সে খুঁজবে, জানবে, নিজের লালিত মতাদর্শকে টিকিয়ে রাখতে যথার্থতার সাহার্য্য নেবে। কিন্তু নিজের দৃষ্টিভঙ্গিকে টিকাতে না পেরে, ব্যাক্তিটাকেই মেরে ফেলার চেষ্টা করবে না। কেননা; অন্যায়ভাবে তার ঝরানো রক্তের উপর যে লক্ষ ব্যাক্তিরা জন্মাবে, তাদের মেরে ফেলা এতটা সহজতর হবে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন