সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০১৫

শ্রমিক অসন্তোষ

শ্রমিক অসন্তোষের জন্য সবচেয়ে বেশী দায়ী মালিক পক্ষের বিক্ষিপ্ত মনোভাব, উদাসিণ্যতা, অফিসের প্রথমশ্রেনীর উপর অতিরিক্ত বিশ্বাস কিংবা তাদের বাড়তি সুবিধা অর্পণ, অফিসে শ্রমিকশ্রেনীর শ্রেনীগত বৈষম্য সৃষ্টি এবং কাউকে নিজ দায়দায়িত্বের বাহিরে অতিরিক্ত কাজ ছাপিয়ে তার থেকে বাড়তি সুযোগ নেবার পয়তারা।

যেমন আমার অফিসের পিয়ন, তাকে পিয়নের কাজের জন্য নিয়োগ দেয়া হলেও তাকে উপরের শ্রেনী নিজেদের কাজে লাগিয়ে নিজেরা বসে-বসে গায়ে বাতাস মাখে। নিজের অবস্থান ভেবে সে প্রথম-প্রথম সে কাজটি যথাযথ করে যাবে ঠিকই। কিন্তু যখন তার মনে অনিচ্ছা তৈরী হবে, অতিরিক্ত বোঝা বইতে সে অসমর্থ হবে, কিংবা তার আপনকার মনে প্রশ্ন উৎপন্ন হবে, এই কাজটি ত তার না, তাহলে সে কি করবে? কেন অন্যরা তাকে দিয়ে সুবিধা নেবার চেষ্টা করবে? তখনই তার মধ্যে প্রাথমিক প্রতিরোধ হিসেবে জাগ্রত হবে প্রতিবাদ করার ভাষা। আর সে যখনই প্রতিবাদে সোচ্চার হবে, যখনই উপরের শ্রেনী তাকে নিজের স্বার্থ হাসিলে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হবে, তখনই তারাও রিএ্যাক্ট করা শুরু করবে। মালিক পক্ষের সাথে কানাঘুষা শুরু করবে। ফলশ্রুতিতে শ্রমিক তার চাকুরী হারাবে তীব্র অসন্তুষ্টি ও আত্মগ্লানি নিয়ে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন