বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আমি কেবল শ্রেষ্ঠতারই প্রশ্ন তুলছি

আপনি বিশ্বাস করেন- সমগ্র বিশ্বব্রক্ষ্মান্ড সর্বশক্তিমানের সৃষ্টি, দুনিয়ার কোন কিছুই তাঁর নিয়ন্ত্রণের বাহিরে নেই। তিনি চাইলে- সমগ্র বিশ্বব্রক্ষ্মান্ড এক ইশারায় ধ্বংস করে দিতে পারেন। আবার সে আপনিই বলছেন “সনাতনধর্ম” “ইসলামধর্ম” “খ্রীষ্টধর্ম” “বৌদ্ধধর্ম” “গুরুধর্ম” “শিখধর্ম”...সেরা। আপনার শ্রেষ্ঠধর্ম গ্রহন ব্যতীত বাকীরা কাফের/নাস্তিক, এ‘জন্য তারা স্বর্গ/বেহেস্ত তো পাবেই না বরং নরক/দোজগ এর অনলে দাউ-দাউ করে জ্বলবে।

তাহলে কি দাঁড়াল?
আপনার শ্রেষ্ঠতার যুক্তিতে- আপনার ধর্ম ব্যতীত অন্যধর্মের
সৃষ্টিতে স্রষ্টার ইচ্ছে কিংবা উদ্দেশ্য কি?
তিনি কেন সৃষ্টির সমগ্রকে এক করেন নি?
কেন করেন নি একজাতের কিংবা একধর্মের?
যদি হাশরের ময়দানে সমস্ত সত্য-মিথ্যার নির্ণয়ের স্থান হয়,
তবে- কি কারনে অন্যধর্মের হিসেবে সৃষ্টি করে
স্রষ্টা স্বয়ং কারও নরক/দোজগ নিশ্চিত করেছেন?
বলতে চাইছেন- দুনিয়ায় এসে আপনার শ্রেষ্ঠটাকে গ্রহণের সুযোগ আছে?
কিন্তু প্রশ্ন রাখছি- কেন দুনিয়ায় এসে শ্রেষ্ঠ নির্ণয়ে দ্বীধা-দ্বন্ধে পড়তে হবে?
কেন এখানে এসে নিজের জন্মদাতা-জন্মদাত্রী
আর পূর্বপুরুষদের শেখানো সত্যকে মিথ্যে বলে আপনারটাকে সত্য হিসেবে
গ্রহণ করার মতো দম রূদ্ধকর সিদ্ধান্ত নিতে হবে?
আপনাকে সত্য বলে স্বীকার করতে গিয়ে কেন সমস্ত রক্তের
সম্পর্ক ছিহ্ন করে, সবাইকে হয়ত অসহায় পথে ঠেলে
আপনার দিকে এগিয়ে যেতে হবে?
দুনিয়ায় আপনি এত সহজে শ্রেষ্ঠটাকে পেয়ে গেলেন,
তবে অন্যকে কেন এত আঘাত এত নিঃস্বার্থ ত্যাগ এত বিড়ম্বনা সইতে হবে?
শ্রেষ্ঠত্বের কথা বললে আমি সন্দিহান, আর বিশ্বাস রেখে সবাইকে মানুষ বলে মানবতাকে আশ্রয় করতে চাইলে অথাৎ সবার আগে আমরা মানুষ বললে- আমি আপনার সাথে এক কাতারে দাঁড়াতে সদা উদগ্রীব, আমি আপনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি বিশ্বাস রাখি- সমগ্র ধর্ম সত্য, সমগ্র বিশ্বাসও সত্য।আর বিশ্বাসই সামগ্রিকতার নির্ণয়ক কিংবা রুপকার। আপনি আপনার অবস্থান থেকে সৎ থাকলে, সত্যটাকে আগলে রাখলে, আপনি আপনার জায়গা থেকেই শ্রেষ্ঠ হতে পারেন। কিন্তু অকারন যদি বিতর্ক করতে চান- আমি বলব, আমি আপনার সত্য কিংবা বিশ্বাসকে প্রচন্ড ঘৃণা করি। আপনি স্বার্থণ্বেষী ধ্বান্ধাবাজ, ধর্মের মুখোশ লাগিয়ে পৃথিবীতে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর হীন বাসনা আপনার মগজ আর হৃদয়ের আদ্যপৃষ্ঠে লেপ্টে গেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন