কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬

কার !

টগবগে তরুন তুখোড় কবি
বুকে প্রেমের পাথার, চোখে রঙ্গিন ছবি
কার ! প্রেমিকার?
এ বোঝা দায়!!

কবি কোন বিভোরে থাকে, কখন ইশারায় ডাকে
রুপকথার জগত পেরিয়ে ভ্রান্তী কাটলে, সকলে বুঝে
সে শুধুই প্রেমিক ছিল !
সুন্দরের, কবিতার...

রবিবার, ১ মে, ২০১৬

আমার দেহগড়িয়ার অন্তর বাঁধিতে চায় কোন মায়ায়?

(শ্রদ্ধেয় নচিকেতা যখন বাংলাদেশের বরিশালে তাঁর পৈত্রিক ভিটায় এভাবে বসে নয়নজলে অবিরত ভাসতে থাকেন, তখন সে ভাষাটাকে, সে ভাবার্থটাকে বুঝে নেয়া কতটা কঠিন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমার এই প্রয়াসটুকু শুধু তাঁদের জন্য, যারা ছেড়ে যাওয়া পৈত্রিক স্মৃতি জড়িয়ে আবেগের মূর্চ্চনায় হু-হু-কারে ঢুকরে কেঁদে উঠেন।

সামাজ্র্যবাদের যুগে সবসময়ই মনে একটা ভয় বয়ে বেড়ায়, তবুও কখনও নিজের পৈত্রিক ভিটে, নিজের দেশ ছেড়ে যাবার কথা ভাবতে পারি না, সারাক্ষনই কেবল মনে হয়, যদি কোনদিন সব ছাড়তে হয়, সেদিন বোধ করি আমার দেহ-মন আক্ষেপ করতে গিয়ে সেখানে পড়ে মরবে।)

এ মাটির কোলে সহস্র জন্ম ঋণ!!
ও তাঁর জিহ্ন-শীর্ণ বদনে অন্তর মলিন...
তবুও আজ সে বন্ধনে বাঁধিতে চায় কি মায়ায়?
আমার দেহগড়িয়ার অন্তর বাঁধিতে চায় কোন মায়ায়?

এ মাটি শুষেছে নাড়ীছেড়া রক্ত খুলেছে তাঁর আলোয় চোখ
ঐ আতুরঘরে শরীর ধোয়া জল মিশে ভূমিকোলে মমতার বুক
প্রসবের যন্ত্রণা ভুলে, সন্তানের মুখ তুলে, খুশি মিশে মায়ের মিষ্টি মুখে
চেনা শরীরের ঘ্রানে প্রাণের যে বিষাদ টানে আজন্ম বেঁচে থাকার সুখে
বুঝ বাঁধিবার আগে কঠিন বাঁধিয়া বুকে, হঠাৎ সে পথ থমকিয়া যায়
আমার দেহগড়িয়ার অন্তর বাঁধিতে চায় কোন মায়ায়?

এইখানে কুঁড়েঘরে আমার পিতৃদেবের চলেছে কয়েক পুরুষ বাস
বাড়ির পেছনে সুপারির মাচানে হুক্কার ধোঁয়ায় দাদুর মৌনতা গ্রাস
উঠোনে পালা করে ফসল শুকোতে দিলে, রমণীর আঁচলে ঘামের ঢল
পুকুরের জলে নেমে অশ্বথ গাছের তলে আমাদের সাঁতার অবিরল
সেসব পেছন ফেলে মমতার চুমু হেলে, পথ পথকে আগলে দাঁড়ায়
আমার দেহগড়িয়ার অন্তর বাঁধিতে চায় কোন মায়ায়?

এতদিনে ভুলে গেছি সে পথ, যেখানে কত সন্ধ্যে নেমেছে গোধূলির আড়ালে
চাতালের ঐদিকটায় হুল্লোরে কত খেলায়, কত বাঁশি বেজেছিল মাঠের পালে
স্মৃতির মানসপটে কতদিন এমন ঘটে রাতভর জ্যোৎস্নার স্নাতে খুনশুটি
বাড়ির আনাচে-কানাচে লুকোচুরি খেলে মিছে আনন্দে কতশত লুটোপুটি
আজ কেবল খুঁজে ফেরা বাংলার শ্যামলধারা, মুখোমুখি বসিবার ধাঁধাঁয়
এখনও দেহগড়িয়ার অন্তর বাঁধিতে চায় কোন মায়ায়?

ঘৃণা

সৃষ্টি রহস্য উলঙ্গ, সঙ্গমরত যুগল উলঙ্গ
জন্ম-জৈববৃত্তি উলঙ্গ, বিবেক-বোধ উলঙ্গ
শুধু নেড়া মাথায় ঘোল ঢেলে মানুষের দাবী তারা সভ্য!!!

শালারা!! নিত্য-নৈমিত্তিক বৃত্তবলয়ে গড়ে তুলছে যত্তসব অদ্ভুত উপখ্যান
দিন-রাতের ব্যবধানটুকুতে থাকে আড়াল হিংস্র জানোয়ার আর ভগবান।

চাওয়া-পাওয়া

আঁধারকে কি কেউ ডেকেছে কখনও অসীম ব্যথার রোধনে?
অথচ জগত সংসারময় কত দীপ পুড়ে অনন্ত আলো আহ্বানে

যা ফসিল তা মেলে সংসারে যুগব্যাপী চাপা সয়ে
জীবনের পথ দিকে-দিকে বদলায় অন্তরে বিষ বয়ে

খাল-নালা-ডোবায় জমে জঞ্জালস্তুপ পঁচে দিগন্ত কটুবাসে
অথচ অনলে ধুপ না পোঁড়ালে সুবাস মেলে না তার আশে

ভালোবাসা দেখানো খুব সময়ই কঠিন !

ভালোবাসা দেখানো খুব সময়ই কঠিন !
চাইবার মতো মন থাকলে- ফুল ছুঁয়ে শিহরণ মেলে,
পাখির কাকলিতে তন্ময় জমে, অথবা সাগরের গর্জনে উল্লাস আসে।
আবার নেবার মতো অধিকার থাকলে- চেয়ে নেয়া যায়,
আহ্লাদি আবদার করা চলে, কখনও আবার কেড়ে নেয়া যায়।

পতঙ্গ ভাবনা পতঙ্গের মত, মনুষ্য ভাবনা মানুষের মত
আর জাগতিক ভাবনা জগতের মত...
পতঙ্গ আনন্দ অহরসে অনলে আত্মাহুতি দেয়,
মানুষ চিত্তোল্লাসে ধ্বংশযজ্ঞে আসক্ত হয় আর অসহ্যে জগত ধুমড়ে-মুছড়ে রুপ পাল্টায়।
না; সেযে, বলছি- ভালোবাসা দেখানো খুব সময়ই কঠিন! সেখানে ফিরি-
দেখুন; সময়ে ভালোবাসা পাথরে ফোঁটে, গোবর হতে নেমে আসে আগরের সুগন্ধি,
মোলায়েম পদ্ম ফোঁটে নোংরা দুর্গন্ধ ডোবায় আর কাঁটার আঘাতে দেহ বেড়ে বের হয় বীষ।
অনুসঙ্গ নয়, ভালোবাসার রুপ ঘাটলেও অনেক সময় বোধে আসে না।
আসলে কোনরুপে কোন ভালোবাসা কারে বাঁধে তা বোঝাবার মতো সামর্থ্য কয়জনারই বা আছে?

বস্তি

এখানে জীবন বাস্তবতা শেখার, কঠিন পরাভূত করার
আর জীবনের মুখোমুখি দাঁড়াবার চেষ্টা বারবার!
“জীবন যেখানে আশ্রয়হীনের” - সেখানে কেউ আশ্রিত
“জীবন যেখানে যান্ত্রিকের” - সেখানে কেউ যন্ত্র
এখানে ভোগ আছে বিলাষ নেই
ক্ষমা আছে ক্ষমতা নেই
মমতা আছে মায়া নেই
বলার ভাব আছে ভাষা নেই

ছোট্টশিশু সে যেমন শীর্ণকায় নিয়ে নুন-মরিচে ক্ষুধা ভুলে
জিহ্নকায়ের বয়োবৃদ্ধও দুঃসহ পরিনতি ভেবে পথ ভুলে...

এখানে প্রতিটি দিন পার হয় যুগের আবর্তে
বেঁচে থাকা মানুষগুলো জানে তাদের গড় আয়ু শত-সহস্র
তবু বিনয়ে এদের পরাজিত করার শক্তি পাবে যে; সে মহান
এদের জীবনের রহস্য নিয়ে ভাববে, সে ত কেবল ভগবান...

শুধু চৈত্রের খরা কেটে বর্ষার ধামাকায় পড়লে
চারপাশের পচাগলায় থেকে এরা ভাবতে পারে
এখনও ত পঁচি নি! দিব্যি মানুষ বলছে লোকে!
বস্তিতেও মানুষ নামের কেউ বেঁচে
শুধু জানেনা তারা জীবন বলে কাকে?

বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬

মানুষের উর্দ্ধে

ভাবতে শিহরে উঠি-
আমরা জাত চিনতে চাই, জাতি চিনতে চাই
মনুষ্য বোধ চাই না,
বলতে ঘেন্না লাগে-
আমরা জাত বিভক্তি চাই, জাতি বিভক্তি চাই
মানুষ হতে চাই না।

জন্মে শ্বাস-প্রশ্বাস টানি, যে মাটিতে একছত্রে
তার মানুষ জাতশত্রু করি, জাতি তুলি মিত্রে
জাতির ভাবনায় জাতের টানে, ভিন্নমত সব দালাল
ভাবি না কভু এক মাটির বুকে দুইয়ে টানছি হাল
দুইয়ে করেছি এক সরোবরে স্নান, এক কুপের জল পান
এক বায়ুতে দুইয়ের কায় শীতল, একঘামে সোনালী ঘ্রাণ
এক মাটিতে দুজন বাঁচি, মরি এক মাটির বুকে
জন্মবধি স্বপ্ন বাঁধি সবে, এক মাটিতে সুখে-দুখে।

আশা-নিরাশা

তারা বলেছে তোমরা শ্রম দাও, হও দেশ উন্নয়নের অংশীদার
সকলেই রক্তঝরা প্রতি কনার মূল্য পাবে মনে করি অঙ্গিকার

আমরা দেশমাতৃকার মাথা পাহাড়সম উঁচু করার করি প্রতিজ্ঞা,
শৈশব ভূলি কৈশর হেলি যৌবন করি জলাঞ্জলি
বৃদ্ধ হাল কাঁধে বয়ে পাই নাঙ্গল-জোয়ালে বেঁচে থাকার আজ্ঞা

দেশমাতৃকাকে দেয়া কথা রাখতে হই বিদেশ-বিভুঁইদের গোলাম
রাত-দিন ঘুম ভেঙ্গে শ্রম দিয়ে সদা করি কর্পোরেটরদের সালাম
হাতুড়ির লৌহ আঘাতের ক্ষতগুলো করি প্রতিনিয়ত আড়াল
অকারণ অন্যায়ে শত যাতনাগুলো সহে করি অশ্রু আবডাল

চারদিকে যখন একটু-আধটু আনন্দঘন ঘন্টা শুনি,
শুনি বাতাসে ভেসে আসা শব্দ এগিয়ে যাচ্ছি আমরা
শুনে সুখ পাই- ভাবি এতদিনে কষ্টরা হচ্ছে সারা
কিন্তু হায়; পৌড়া কপাল আরও পুড়ে নিরাশায়...

যারা স্বপ্নটাকে সত্যি করবে বলে দেশের হাল নেয় তুলে
আমাদের রক্তের প্রতিটি ফোঁটা তরল গিলছে তারা ভুলে...

ভালোবাসার অনুসঙ্গে

বীণাকে ভালোবেসে ফেলেছি মুগ্ধতা ঝরা চঞ্চল নয়নভোলা হাসি দেখে
তারপর থেকে এক অদৃশ্য মায়া সারাদিন তার কাছে টেনেছে
হঠাৎ সামনে দাঁড়াবার সাহস ছিলনা, তবু ব্যকুল অনুসঙ্গ ভোগালে
পথ আগলে দাঁড়াই, বলি কাউকে ভালোবাসিস বীণা?
বীণা- আকস্মাৎ প্রশ্নে কিছুটা দ্বীধা নিয়ে বলে; কেন?

বলি- চলিস তো নদীর মতো এঁকে-বেঁকে, পায়ের নুপুরে কি খেয়াল রাখিস?
বীণা বলে- তুই বড্ড পাগল হয়েছিস, নুপুরে চেয়ে হাঁটতে কি হোঁছট খাব?

কবির অকাল প্রয়ান

যৌবনে সম্ভবনাময় কবির ঔরস প্রোথিত গর্ভ হতে
আজ নেমে গেল জন্মবিধৌত মৃত প্রসব যন্ত্রণা
তার দশমাস সন্তান যাতনা ছিল
সতর্ক চলনেও তার অন্তঃ ছিল ভার
ডাক্তারি পরীক্ষা সব ঠিকঠাক ছিল
আল্ট্রাসনোগ্রামেও সমস্যা পায়নি খুঁজে
জন্মদানের ব্যাপারটিও ছিল স্বাভাবিক
তবুও অপ্রাকৃত পৃথিবীতে মৃত প্রসবের জন্ম যাতনায়
কবির অকাল প্রয়ান তিথীটাও এঁকে গেল।

মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

মানুষ, আমরাও ছিলেম একদিন!

ঝুলবারান্দায় বসে-বসে পচে গেছে মন
সভ্যতার স্তুপে জমে শহুরে যান্ত্রিক দর্শন
যাবতীয় কোলাহলে জমে যত ত্রাহি-ত্রাহি রাহুদশা
তারি মাঝে আমরা বাঁচি, দেহপৃষ্ঠে নিয়ে লাগাতার ব্যস্ততা...
ভূ-মৃত্তিকা জানে কি না জানে
জানি না আমরা শেষ কবে পেয়েছি সে দিন
বৃত্তের আবর্ত বলয়ে পড়ে থেকে আজন্ম
দু‘হাতে বিলিয়ে দিতে বে-রসিক স্বপ্নঋণ
জানে সবে গন্তব্যে জনে-জনে ফিরতে হয় একদিন
তবুও সভ্যতার ভূতলে কষাঘাতে ঠেকে মাথা
বলে চলা হায় মানুষ, আমরাও ছিলেম একদিন!

মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

বিভেদ

সবজায়গায় হালুয়া-রুটির ভাগাভাগি; কাড়াকাড়ি

আমি-
পায়ে বল নেই বলে বাহন চাপাতে পারি না
গায়ে বল নেই বলে গতর খাটাতে পারি না
হাত কাঁপে বলে ভার বইবার শক্তি পাই না
মগজ শূণ্য বলে বুদ্ধির জোরেও টিকি না

সবাই পথ খুঁজে হালুয়া-রুটির কিঞ্চিৎ পেয়ে গায়-গতরে বেঁচে যায়
আমি কঙ্কালসার দেহের বেদন সহতে না পেরে ওপারের প্রত্যাশায়...

বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৬

বদল

বদলে যাচ্ছে দুনিয়া, একটু করে বদলে যাচ্ছি আমিও
বদলে যাওয়ার অনিবার্য রীতিতে, বদলে যাচ্ছ তুমিও

সময় গল্প শিখে, কবিতা লেখে, গান শুনে মনের খেয়ালে
পূর্বাপর সময়ও হয়ত হেঁটেছে একই মাত্রায় একই তালে
শুধু বদলেছে দিন, পাল্টেছে বোল, সাথে মেরুন রংমাখা রুপের ছটা
রাত্রির স্বপ্নরাঙ্গানো প্রহর শেষে পথে ফেলে যাওয়া উন্মাষিক বারতা।

না চাহি আপন গলে

অতটা দেবার ছিলনা আমার
যতটা তুমি চেয়েছ
চোখের কিনারে দু‘ফোঁটা অশ্রুজলে
অকারণ চরণ ভিজিয়েছ

আমিতো কভু ছিলেম না চাঁদ
ধারিয়া আলোয় ভাসাব তোমায়
তবু মিছেমিছি কোন খেলার ছলে
জড়িয়ে গেলে হায়!

রাতের সেঁজুতি ডুরিয়া কাঁদে
শিহরিয়া বারে-বারে
কেন অকারন পড়িলে ফাঁস আজ
না চাহি আপন গলে!

নির্ণয়

সুন্নি না হয়ে সুন্নত করলে কি
মুসলিম হয়রে ভাই
শিয়া, ওহাবী, কাদিয়ানী, খারিজির
সুন্নতের দাম নাই!

সুন্নত কেবল সুন্নি জানে
জানত হিন্দু ব্রাক্ষ্মণে
জাত-পাতের বিধান ঘুটিয়ে
শুয়ে গেছে তারা শ্মশানে!

সুন্নি দেহ জান্নাতবাসী
সবকিছু তাদের জায়েজ হবে
বাকীসকল মাটির দেহ
কবরমাঝে কীটে খাবে!

দোজাহানের মূল্য কি জানি
আমার মত অজ্ঞ-ফ্যাসাদী
ধার্মিকের দেহে বোম্ বাঁধা দেখে
বাঁচিবার আশায় তাঁকে ডাকি।

ডাক কি তিনি শুনবেন আহা
সুন্নত আমার বড় বিকল
সুন্নতের পর সুন্নতি মুসলমান
বলিছে ধর্ম তাদেরই আসল!!!

বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

হয়ত একদিন

হয়ত একদিন লড়তে থাকা জীবনগুলো পূর্ণতা পাবে!
রবি আর রাতের তারার আলো আলতো ছুঁয়ে প্রাণ জুড়োবে
সানবাঁধানো পুকুরজলে জলতরঙ্গে মন ভোলাবে
উদাস হাওয়া সবুজঘাসে প্রজাপতির দোল সে খাবে

হয়ত একদিন লড়তে থাকা জীবনগুলো পূর্ণতা পাবে!
স্বপ্ন দেখে লড়তে থাকা জীবনগুলো রং রূপ পাবে
কাঁদার মাঝে লুটিয়ে পড়া আলোর ঝলকে চিত্র হবে
ভূলে যাওয়া পথের ভাবুক সেও স্মৃতি খুঁজে নেবে

হয়ত একদিন লড়তে থাকা জীবনগুলো পূর্ণতা পাবে!
ন্যায় আদায়ের দীপ্তকণ্ঠ আকাশ জ্বেলে বজ্র হবে
অসহ্যের সব দৃড়বলয় ভেঙ্গে-চুরে গুড়িয়ে দেবে
জানবার মতো বিশ্বসংসার আপন হাতে গড়ে দেবে।

বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫

কেটে যাবে তোমার দুখ?

তোমার রেখে দেয়া স্মৃতি যদি
হীরের মূল্যে কেউ কিনতে চায়
অনাদরে তারে দেবে কি বেঁচে
দুর্মূল্যের এই বাজারটায়?

যুগের পাঁজর কেটে-কেটে
জমা হয় যে কয়টা অশ্রু-সুখ
হীরের মূল্যে সে কি গো বেঁচে
কেটে যাবে তোমার দুখ?

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

বেঁচে থাকার গল্প

তবুও বেঁচে থাকতে হয়-
রাতের আঁধারে ডানা ঝাপ্টিয়ে গন্তব্যে ফেরা পাখির মত
রাস্তারধারে অনাদরে অকারণ বেড়ে উঠা আগাছার মত

বেঁচে থাকার অভিনয়ে ভাঙ্গা কুঁড়োঘরে জমে বর্ণিল নুড়ি
আলো কিংবা বাদলে অঘোর ঘুম ভাঙ্গে সুখ সঞ্চায়নে
বিদির্ন স্বপ্নের বিচিত্র নেশা অহেতুক হানা দেয় মনে

দ্যোদুলমান এ জীবন-
একে রং চংয়ে সাজিয়ে একটু রঙ্গিন করে তোলা গেলেই
অযাচিত পথচারি বেশে ঠুকরে চলা প্রতিটি পায়ের ছাপে
সহজেই এঁকে নেয়া যায় বেঁচে থাকার রোমাঞ্চকর গল্প...

শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৫

প্রিয় ভাবতে দিও

আমায় ভাবতে দিও
যখন তুমি ভাবছ আমার মত, প্রিয়
প্রিয় ভাবতে দিও;

ভাবতে দিও কেন এত লাল টিপ পরেছ
লাল পাড়ের ঐ জামদানি পরে রেশমি চুলের বেনী তুলেছ
কানে সোনার দুল পরেছ, নাকে সোনার নোলক পরেছ

ভাবতে দিও চলতে কেন নুপুর বাজে
দু‘হাতের ঐ রিনিঝিনি চুড়ি বাজে
সকাল-সাঁঝে কোন বিহগের সুর সে বাজে
অকাল বোধন চাঁদ-তারারা গান সে বাঁধে।

আমায় ভাবতে দিও, ভাবতে দিও
কেন তোমায় দেখলে মনে শিহরণ লাগে
দুরুদুরু বুকে কেন এত কাঁপন জাগে
নীল আকাশের সাদা মেঘেরা ভেলায় ভাসে
ভাবনা গড়িয়ে সোনার পালঙ্কে স্বপ্ন আসে?

প্রিয় ভাবতে দিও
কেন তোমায় ছুঁয়ে দিলে চোখ এত লাল হয়
মেঘের সাথে মেঘের গর্জন বুকের বানে বর্ষন হয়
সুখের রাগে কান্নার গড়িয়ে নদী হয়ে সাগরে বয়
হারিয়ে ফেলা দিনগুলো পেতে কেন আবার ইচ্ছে হয়।

কেন তুমি এমন প্রিয়,
প্রিয় হয়ে জড়িয়ে থাক হৃদখোলসে
ভাবতে ভাবতে যখন তখন তন্দ্রা আসে
হাত বাড়িয়ে হাত রেখে যাই সবুজঘাসে; ভালোবেসে অনায়াসে।

জন্ম

দিনে দিনে কত স্বপ্নের অপমৃত্যু
ধরিত্রীতে কত শোকের মাতম
তবু জন্মধারার খোলস খুলে হয়
কতশত কীটপতঙ্গের জনম।

জন্ম বয়ে বেড়ায় অভিশাপের পণ
জন্ম বয়ে চলে জন্মের মতন
নিধারুন জন্মক্ষয় আজও জন্মের বলয়ে
হায়! তবু কত জন্ম দেখ দীনের আলয়ে।