সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

মূঢ়, অলস

রাত-দিন আমরা আমাদের ব্যর্থতাগুলোকে আবেগে পরিনত করি আর অন্যের পানে চেয়ে থাকি তার কৃপা-অনুগ্রহতসূচক শান্তনা বানীতে । কিন্তু ব্যর্থটাকে সফল কার্য্যে পরিনত করতে আমরা বরাবরই মূঢ়, অলস।

রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

হাত রাখা হাতে

অচলা!!! নিবিড় অরণ্যে
থমকে থাকা বেলায়
শালিকের ঝাঁকে
শুনেছ কি!

শুনেছ কি;
গভীর অরণ্যও ঢালে
সমকালের পায়ে-পায়ে
খেয়ালি মাখা চুমো
উচ্ছ্বাসে!

তিতে

উচিত কথার বাক্য দিলে
তাতে দেখি তিতে মিলে।

আপন-পর

যখন মৃত্যু‘টাই সত্য পাগল,
ভুলাবি আপনায় কোনসে্ ভুলে
মায়ায় ভোলা এ জগতে
আপন-পর হেতু অন্তঃমূলে।

সফলতা

মানুষের জানার বা জ্ঞাণের পরিধি বিশাল হলেও জানার ইচ্ছার পরিধি সংকীর্ণ। খুব কমজনই অকারণে নিজ আগ্রহে অজানাকে জানতে চায় বা জানে। তাই কারো চলন-বলন বা কথাবার্তা দিয়ে তার জানার পরিধি বিবেচনা করা ঠিক নয়। সময়, সুযোগ পরিস্থিতিও অনেককে অনেক বেশী সফল করে তোলে।

শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

শোনা যায়

যুগ গেছে চলে, মিশে গেছে অনন্তলোকের আঁধার সীমানায়
তবু; তাঁর পদধ্বনি শোনা যায়, বাতাসের সুর মুর্চ্ছনায়।

স্বপ্নবাঁচুক

হোক এ‘ঘর কুঁড়োঘর
প্রকৃতির শিক্ষায় স্বপ্নবাঁচুক জীবনভর।

বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

নিরূপণ

যিনি সৎ থাকতে চেয়েও সত্য-মিথ্যা নিরূপণে ব্যর্থ, তিনি প্রকৃত অর্থে অসৎ এবং তার স্বরূপও বিপদজ্জনক।

মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

পাবে, নেবে

আমাতে কি আছে বল তুমি পাবে?
কি এমন পাবার আছে তুমি নেবে?

দুঃখিত

দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বাবা কিংবা স্বামীর আর্শিবাদপুষ্ট নেত্রী, বেশ্যাবৃত্তি কিংবা লেয়াজুবৃত্তি করা নেতা, মহাজোটভুক্ত পা‘ছাটা পন্থিদল কাহাকে সমর্থন করতে চাই না। চাই উদার মনোবৃত্তি আত্মদৃড়কল্পসম্পন্ন সত্যিকারের একজন দেশদরদি পরাবিক্রমশীল নেতা, তার পদাচারণে মূখরিত হবে আকাশ-বাতাস আলোক। যতদিন সে আশা পূর্ণ না হচ্ছে, ততদিন দেশের নাগরিক হিসেবে দেশকে ঘৃণাছাড়া অন্যকিছু দিতে পারছি না বলে দেশমাতৃকার কাছে অকৃতজ্ঞ সন্তান মনে ক্ষমা চাই।

সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৩

ক্ষমতা

বেশ্যার একটা ধর্ম থাকে, সে যা সবসময় সেরকম আচারণ দেখায়। কিন্তু বুদ্ধি বেশ্যাদের কোন ধর্ম নেই, এরা গা বাঁচাতে কতক্ষন এদিক চাটে তো কতক্ষন ঐদিক চাটে। আর রাজনৈতিক লেবাসধারী বেশ্যারা তো ক্ষমতা আকড়ে ধরতে সবধরনের বিষ্টা চেটে খায়।

রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৩

ওহে দয়াল কর মোরে পার

জন্মিয়া পৃথিবীতে, ক্ষুধা কিংবা ভয়ে কেঁদেছি বহুবার
স্মরণ নেই কিছুই তার,
সময়ে-অসময়ে দুঃখরাশি করেছে রাশভার।

চলেছি গগণে ঠেকিতে-ঠেকিতে জীবন
দেখেছি পদে-পদে কত ভূমিলোকের ক্রন্দন
ঠেকিতে-ঠেকিতে জমেছে পা, হয়েছে জীবন অসার
সারে সার, বলি মহিমা তোমার ওহে দয়াল
কর, কর মোরে পার।

প্রয়োজন

শরীর নুড়ে পড়ছে, চোখ ভেঙ্গে আসছে; তবু ঘুমানো যাবে না পেটের টানে, জীবনের প্রয়োজনে।

পড়ন্ত বিকেলের আভায়

জীবনটাকে অর্ধেক করে এগিয়ে গেলাম; সূর্যের আলোয় জোৎস্না দেখব না এই সময়ে। ভালোবাসাগুলোকে আঁকব আপন করে নীলপাড়ের ঐ সাগরের নীলপানিতে। জীবনের স্তবক বৃন্তে থাক বা না`থাক কার্পণ্যগুলোকে আবডালে আমি লুকাবো।
চূড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা কল্পকন্যার জন্য বাকী অর্ধেক জীবনকে খোঁড়াতে আজ পথে দাঁড়িয়েছি। তার ভালোবাসার বিবর্ণরূপ কি আমায় কদার্য্য করতে পারবে এই পড়ন্ত বিকেলের আভায়?

শূণ্যতা

আলো আর অন্ধকার এই দুইয়ের মাঝে একধরণের শূণ্যতা থাকে, সকলের পক্ষে তা দেখা বা অনুভব করা সম্ভব নয়।